নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

পুলহ

পুলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শঙ্খমালা (গল্প) [সাইকো-থ্রিলার লেখার প্রচেষ্টা]

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

ডিসক্লেইমারঃ

গল্পে বর্ণিত সকল চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক। (এবং প্রার্থনা করি- এগুলো যেনো সবসময় কল্পনার জগতেই থাকে, বাস্তব কখনো না হয়!)
লেখাটায় ১৮+ কিছু উপাদান আছে।
---------------------------------------------

মার্চ ২৫, ২০১৬
নরসিংদী

ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের পাশে জংলামত একটা জায়গা, সেখানে কে বা কারা এক তরুণীর খন্ডিত মৃতদেহ ফেলে রেখে গেছে।
পুলিশ ডেডবডি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এদেশে খুন কোন নতুন ঘটনা নয়, তারপরো এলাকায় কিছুটা চাঞ্চল্য তৈরি হোল। সপ্তাখানেক পর আবার সব নিস্তরংগ। মাঝে মাঝে এলাকাবাসীদের কারো কারো গভীর রাতে ভৌতিক কিছু অভিজ্ঞতা হয়, সেগুলোই এমুখ- ওমুখ ইতস্ততঃ ঘুরে বেকার যুবকদের রাত্রিকালীন আড্ডায় প্রাণের সঞ্চার করে- খুনের স্মৃতি বলতে এটুকুই!


"ধুর, এই বালের চাকরি আর করমু না"
শহিদের কথা শুনে সেলিনা খুব একটা অবাক হোল না। তার স্বামী মাসে অন্ততঃ কয়েকবার এ ধরণের কথা বলে। স্বাভাবিকভাবেই তাই চাকরি ছাড়ার এই প্রতিজ্ঞার উপর সেলিনার খুব একটা বিশ্বাস নেই। তবে ক্রাইম রিপোর্টিঙের এ কাজটা যে শহিদের একেবারেই পছন্দ না, সেটাও সেলিনার খুব ভালোমতই জানা। কিন্তু কি আর করা- এ সমাজে একটা চাকরি জোটানো কি মুখের কথা! তাই পছন্দ না হওয়া সত্বেও আমাদেরকে অনেক কিছু করতে হয়। বাংলা সাহিত্যের যে ছাত্রটি একসময় মুগ্ধ হয়ে বিভতিভূষণের উপন্যাস পড়তো- তাকে ছুটতে হয় চোর, ডাকাত আর খুনি-ধর্ষকের পেছনে।

রাতে শহিদ ঠিকমতো খেতে পারলো না। সেলিনা কারণ জানতে চায় নি- তারপরো স্পষ্ট বুঝতে পারলো- তার স্বামী মর্গ থেকে এসেছে। শহিদের কঠিন নিষেধ আছে- বাইরে থেকে বাসায় এলে তাকে অফিসের কথা কিছু জিজ্ঞেস করা যাবে না।

স্বামীর এমন নিষেধ সত্বেও সেলিনা প্রথম প্রথম জানতে চাইতো- কেন শহিদের মন খারাপ কিংবা সে কোন ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত কি না.... তবে এখন আর সেটা করে না। এতোদিনে তার স্বামীকে সে খুব ভালোমত বুঝতে শিখেছে; দুইয়ে দুইয়ে চার মিলানোর মত করে লক্ষণ মিলিয়ে সে তার স্বামীর মন খারাপের কারণ বের করে ফেলতে পারে। যখনি অনুমান করে যে- কারণটা আসলে পেশাগত, তখনই চুপ করে যায়; শহিদকে আর সেটা নিয়ে ঘাটায় না।

প্লেটে অর্ধেক ভাত রেখেই উঠে গেলো শহিদ, তারপর হাত ধুয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরালো। বাইরে খুব সুন্দর জোছনা হয়েছে, বাতাসও বইছে বেশ। মন ভালো করে দেয়ার মতন আবহাওয়া। শহিদের মন অবশ্য ভাল হোল না। সে অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে সিগারেট টানতে টানতে আজকের ঘটনাটা সম্পর্কে চিন্তা করতে লাগলো।

খবরটা সে পেয়েছিলো অফিস আওয়ার শেষ হয়ে যাবার কিছুক্ষণ আগে। শোনামাত্র সে মর্গে রওনা হোল। তেমন আহামরি কোন খবর না, একজন ক্রাইম রিপোর্টারের জন্য খুব সাধারণ একটা খবরই বলতে হবে- কে বা কারা এক তরুণীকে মেরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গেছে। হোসেন ভাই খবরটা শুনে শুধু জিজ্ঞাসা করলেন-
"রেপ কেইস নাকি?"
"সে ধরণের কিছু তো শুনলাম না ভাই। যাই, গিয়ে দেখি।"
মর্গে পৌছুতে পৌছুতে সন্ধ্যা সাতটা। তারপর এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি আর খবর সংগ্রহের চেষ্টায় কেটে গেলো আরো ঘন্টাখানেক। খবর অবশ্য তেমন কিছু জানা গেলো না- পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে প্রতিহিংসার খুন, তাও সেটা পুলিশের সুলতান ভাই বললেন 'অফ দ্য রেকর্ড'। ভিক্টিমের বয়স বাইশ থেকে আঠাশ এর মধ্যে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ব্যতিক্রমী খবরটা পাওয়া গেলো মর্গের ডোম খলিল মিয়ার কাছ থেকে। তার মতে- খুনীরা লাশের যৌনাঙ্গ কেটে আলাদা করে নিয়েছে!

খলিল মিয়া নির্বিকার গলায় বললো- "মনে হইতাছে- প্রথমে রশি দিয়া গলা পেচায়া মারছে। পরে দম বাইর হওনের পর লাশের হেইডা কাইট্টা আলাদা কইরা নিছে"
যোনী কেটে নেয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া গেলো না, শুধু তথ্যের সত্যতাটুকু নিশ্চিত করলেন সুলতান ভাই। আরেকটু জোরাজুরি করলে হয়তো আরো কিছু তথ্য পাওয়া যেতো, তবে স্পর্শকাতর বিষয়টা নিয়ে শহিদের নিজেরো আর এগুতে ইচ্ছে করছিলো না। একজন পেশাদার ক্রাইম রিপোর্টারের সাথে এ ধরণের আচরণ নিশ্চিতভাবেই খাপ খায় না, কিন্তু সে সময় ঐ চিন্তাটুকু দূরে সরিয়ে রাখলো জোর করে....

শহিদের ভাবনায় ছেদ পড়লো সেলিনার কন্ঠস্বর শুনে। সে দু'কাপ চা বানিয়ে এনেছে। সেলিনা অসম্ভব গোছানো আর পরিপাটি একটা মেয়ে। বারান্দাটাকে খুব সুন্দর সাজিয়েছে সে- একপাশের দেয়াল ঘেষে টবের সারি, তাতে ছোট বড় নানা আকারের গাছ- গোলাপ, অপরাজিতা, বেলী কিংবা নয়নতারা। একদিকে পাশাপাশি দু'টো বেতের চেয়ার- তাতে স্বামী স্ত্রী বসে ব্যস্ততার এই যান্ত্রিক যুগেও কিছু আন্তরিক মুহূর্ত নিজেরা ভাগাভাগি করে নেয়! বড় ভালো কাটে সে সময়টা।

কিন্তু আজ তাও খুব একটা স্বতঃস্ফূর্ত হোল না। শহিদ 'হ্যা, হু' এর ওপর দিয়েই কথপোকথন চালিয়ে নিয়ে গেলো। সেলিনা স্পষ্ট বুঝলো- তার স্বামী কিছু একটা নিয়ে আসলে গভীরভাবে ভাবছে।
শহিদকে আর বিরক্ত না করে সেলিনা ভিতরের ঘরে চলে এলো।


"হ্যালো ডালিম ভাই বলছেন?"
"জ্বি, বলছি!"
"ভাই স্লামালিকুম। আমি দৈনিক 'প্রথম খবর' থেকে বলছিলাম, জুনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার শহিদ। ভালো আছেন?"
"ওয়ালাইকুম সালাম। জ্বি ভালো। আমার কাছে কি ব্যাপারে...."
"আমি আসলে এই মাসের ৩ তারিখে আপনাদের 'দৈনিক পূর্বকোণ' পত্রিকায় বেরুনো একটা রিপোর্টের ব্যাপারে জানতে ফোন করেছি। খোজ নিয়ে জানলাম- রিপোর্টটা আপনিই করেছিলেন, তাই আপনাকেই সরাসরি কন্টাক্ট করলাম আর কি..."
"কোন রিপোর্টটা বলুন তো? আমি তো ঠিক...."
"ঐ যে- হৃৎপিন্ডবিহীন তরুণীর মৃতদেহ...."
"হ্যা হ্যা বুঝতে পেরেছি। তা কি জানতে চান? রিপোর্টেই তো বিস্তারিত সব ছিলো। নরম্যাল মার্ডার কেস..."
"সেটার কোন ফলো আপ কি আছে? আই মিন- কোন অপরাধী কি গ্রেফতার হয়েছে, বা অন্ততঃপক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে ন্যূনতম কোন অগ্রগতি?"
"ভাই, এদেশে মানুষ মেরে ফেলাটা তো খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। আপনি নিজেও একজন ক্রাইম রিপোর্টার- আর কেউ না বুঝুক অন্ততঃ আপনার তো এটা ভালো বোঝার কথা! আর ফলো আপের কথা বলছেন? সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ব্যাপারে কারোই তেমন কোন আগ্রহ নেই। এগুলো শুধুই এক একটা খবর- আর কিছু না।"
"নরম্যাল মার্ডার কেস হলে হৃৎপিন্ড কেটে সরিয়ে নেবার কি দরকার- সেটাই সন্দেহজনক। তাই ভাবলাম আপনার সাথে একটু কথা বলে দেখি- খবরের পেছনেও আর কোন খবর আছে কি না.."
"আরে দুনিয়াতে কত রকমের সাইকো আছে, ঐরকমেরই কিছু একটা হবে..... কেন আপনার কাছে কোন তথ্য আছে নাকি?"
"না ভাই, কোন তথ্য নাই। হয়তো আপনি ঠিকই বলেছেন- নরম্যাল মার্ডার কেসই হবে.... এনিওয়ে- থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাই। এদিকে আসলে আমাদের অফিস ঘুরে যাবেন। দাওয়াত রইলো!"

ফোন কেটে শহিদ সামনে মনিটরের দিকে তাকালো। কাল রাত থেকেই মনে হচ্ছিলো কিছু একটা যেনো ঠিক নেই। আজ অফিসে এসে সে সন্দেহ থেকেই প্রথমে নেট সার্চ দিলো। গত মাসে অন্ততঃ তিনটা মার্ডারের ঘটনা ঘটেছে- এর মাঝে ঢাকারটা কাভার করেছে সে নিজে, বাকিদু'টোর একটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আরেকটা নরসিংদীর। আর এ মাসে ঘটা দু'টো ঘটনার একটা ছাপিয়েছে ডালিম ভাইদের 'দৈনিক পূর্বকোণ'; ঘটনাস্থল হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, অন্যটা তো গতকালেরই। সত্যি বলতে গতকালের ঘটনাটা নিয়ে চিন্তা করতে করতেই খুনগুলোর মাঝে একটা প্যাটার্ন শহিদের মাথায় প্রচ্ছন্নভাবে উকি দিতে শুরু করে।

খুনগুলোকে আপাতঃ বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে হলেও খুব খেয়াল করলে কিছু কিছু মিল নজরে পড়ে যায়। যেমনঃ ভিক্টিম পাচজনই মেয়ে, সবারই বয়স ২০ থেকে ত্রিশের মধ্যে। সব থেকে বীভৎস ব্যাপারটা হোল- প্রতিটা খুনের পর ভিক্টিমের একটা না একটা অংগ শরীর থেকে কেটে নেয়া হচ্ছে- হয় হাত, স্তন, হৃৎপিণ্ড, যোনী কিংবা চোখ.... খুনগুলোর মধ্যে আরো একটা খুব সূক্ষ্ম ঐক্য আছে- সেটা হচ্ছে- একেকটা মার্ডারে মধ্যে সময়ের ব্যবধান থাকে কমবেশি এক সপ্তাহ।

হতে পারে- মিলগুলো সবই আসলে কাকতালীয়, কিন্তু ঘটনাগুলো সব মিলে পুরো চিত্রটা আসলে এতোটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ যে আরো অশুভ কিছু একটার সম্ভাবনা শহিদ পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে পারছে না। অবশ্য তার অনুমানের আদৌ কোন ভিত্তি আছে কি না- সেটা প্রমাণ করার একটা খুব ভালো উপায় আছে! যদি সত্যিই সবগুলো মার্ডার একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে- তবে আর সপ্তাখানেকের মাঝে আরেকটা খুন হবে- একই কায়দায়, একই উদ্দেশ্যে। খুনের পর ভিক্টিমের শরীর থেকে সরিয়ে নেয়া হবে তার কোন একটি অঙ্গ!

শহিদ একটা নিঃশ্বাস ফেলে মনে মনে বললো- "আল্লাহ, আমার অনুমান যেন ভুল হয়!"
-------
এরপরের ঘটনাগুলো ঘটলো খুব দ্রুত। শহিদের অনুমান ঠিক প্রমাণ করে সত্যি সত্য আরেকটা মেয়ে খুন হোল। এবারের ঘটনাস্থল অবশ্য ঢাকা থেকে খুব একটা দূরে নয়- মানিকগঞ্জ। খুনের পর ভিক্টিমের উরু থেকে নিয়ে নীচের অংশ- পুরোটাই কেটে সরিয়ে নেয়া হোল। ডেডবডির বাকি অংশটুকু উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন সেটা প্রেরণ করে পোস্টমর্টেমের জন্য।

এ খুনের পরপরই শহিদ তাদের নিজদের পত্রিকায় একটা প্রতিবেদন ছাপে। সেখানে প্রতিটা মার্ডারকেস স্টাডি করে তাদের মধ্যকার মিলগুলো সব উল্লেখ করা হয়। একাজ করতে গিয়ে ঘটে যাওয়া ছয়টা মার্ডারের প্রতিটা কেসের আপডেট তাকে নিতে হয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপারটা হচ্ছে- প্রশাসনের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্বেও মামলাগুলোয় খুব একটা অগ্রগতি এখন পর্যন্ত হয় নি! অপরাধী খুজে বের করা তো দূরের কথা, এখনো খুনের কারণ সম্পর্কেই নিশ্চিত কোন বক্তব্য দিতে পারে নি সংশ্লিষ্ট কোন মহল। ভিক্টিমের পরিবার-পরিজনেরাও খুনের কারণ সম্পর্কে তেমন কোন অনুমান করতে পারছে না। সব মিলে পুরো ব্যাপারটা যথেষ্টই রহস্যজনক।

সত্যি কথা বলতে এতো খাটাখাটনি করে তৈরি করা শহিদের প্রতিবেদনটা খুব একটা পাত্তা পেলো না। ডালিম ভাই বোধহয় ঠিকই বলেছিলেন- এদেশে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ব্যাপারে কারোই তেমন কোন আগ্রহ নেই। এগুলো শুধুই এক একটা খবর- আর কিছু না!

অদ্ভূত ঘটনাটা ঘটলো আরো কিছু সময় বাদে। সে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার ছয় দিনের মাথায় শহিদের অফিসের ঠিকানায় একটা চিঠি এলো। ইন্টারনেট, ই-মেইলের যুগে এখনো যে কারো চিঠি লেখার মত ধৈর্য থাকতে পারে- সেটা শহিদের জানা ছিলো না। তারচেয়েও বড় কথা- পত্র-প্রেরক শহিদের অপরিচিত, অন্ততঃ রাশেদ হাসান নামটা সে আগে কখনো শুনেছে বলে মনে করতে পারলো না।

চিঠিটা খুলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পড়ে শেষ করে ফেলে শহিদ, এরপর বসে থাকে বজ্রাহতের মতন। পাশের ডেস্কের আব্দুল্লাহ ভাই শহিদকে দেখে কিছুটা অবাক গলায় জিজ্ঞেস করলেনঃ "ভাই কোন সমস্যা? শরীর খারাপ লাগছে নাকি?"
শহিদ ক্লান্ত গলায় বললোঃ "একটু পানি খাবো।"
আব্দুল্লাহ সাহেব তাড়াতাড়ি উঠে ফিল্টার থেকে পানি আনতে গেলেন। এই ফাকে শহিদ কাপা কাপা হাতে চিঠিটা খুলে আবার শুরু থেকে পড়া আরম্ভ করলো-

পরিচয় দিলেও আমাকে আপনি চিনবেন না, তাই সেদিকে আর গেলাম না। আমি পত্রিকায় আপনার প্রতিবেদন পড়েই চিঠিখানা আপনাকে লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাজ প্রায় শেষের দিকে; পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবার পর আমার আর নিজেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করার মত কিছু থাকবে না, আর সে চিন্তা থেকেই আসলে এ চিঠিটা লেখা।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি রক্তিমা নামের একটা মেয়েকে খুব ভালোবাসতাম। উলটো দিক থেকে সে ও আমাকে! স্মার্টফোন, ল্যাপ্টপ, ফেসবুকের যুগেও আমাদের প্রেমটা ছিলো আশ্চর্য রকমের গভীর। কত দুপুর, কত বিকেল আমরা এক সঙ্গে কাটিয়েছি! কত গোধূলি আমাদের ভবিষ্যত স্বপ্নের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে! যে স্বপ্নে আশা ছিলো, সাধ ছিলো, ছিলো ছিমছাম, স্নিগ্ধ এক সংসারের মায়াময় বাসনা। নিজেকে আমার অসম্ভব রকমের সুখী একজন মানুষ মনে হোত সে সময়....
জীবনের বাস্তবতা যে কত কঠিন আর বিশ্বাসঘাতক- সেটা তখন সদ্য তারুণ্যে পা দেয়া তরুণ-তরুণী দু'জনের কেউই বোঝা তো দূরের কথা, কল্পনাও করতে পারে নি। সেদিক থেকে আমি প্রথম ধাক্কাটা খাই যখন রক্তিমাদের ফ্যামিলি- তাকে জোর করে আরেক জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের ঠিক ছয় মাসের মাথায় মারা যায় আমার ভালোবাসার সে মানুষটি। তদন্তে বেরিয়ে আসে ঘটনার আদ্যোপান্ত- স্বামীর পরকীয়ার বিষয়ে জেনে ফেলায় প্রাণ দিতে হয় রক্তিমাকে। লোকটি নিজেই ঠান্ডা মাথায় নিজের স্ত্রীকে খুন করে ডেডবডি তুরাগ নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন নদীর পাড় থেকেই পুলিশ উদ্ধার করে রক্তিমার বিকৃত মৃতদেহ।
রক্তিমার মৃত্যুর পর আমি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ি। এম্নিতে শারীরিক কোন রোগ ধরা না পড়লেও আমার চেতনার জগত ওলট পালট হয়ে আসে। দিনরাতের কোন হিসাব থাকতো না আমার, খাওয়া-দাওয়াও চলছিলো না নিয়মিত। এমনো দিন গিয়েছে যে আমি হয়তো কাদতে কাদতেই ঘুমিয়ে পড়েছি- আবার চিৎকার করে ঘুম ভেঙ্গে জেগেছি বীভৎস কোন দুঃস্বপ্ন দেখে....
চেতন, অধঃচেতনের সে অদ্ভূত সময়টাতেই আমি এক যাদুকরের সন্ধান পাই, লোকালয় থেকে দূরে নির্জন কোন স্থানে যে কালোযাদুর চর্চা করে চলেছে। সে ই আমাকে রক্তিমাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার কথা বলে! বলে নির্দিষ্ট বয়সের সাতজন মেয়েকে খুন করে তাদের প্রত্যকের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংগ যাদুকরকে জোগাড় করে দিতে পারলে রক্তিমাকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব।

বাকিটুকু আপনারা জানেন....
এ চিঠিটা যখন আপনার হাতে পৌছবে, ততক্ষণে আমি আমার শেষ খুনটিও করে ফেলেছি; ভিক্টিমের মাথা নিয়ে রওনা হয়েছি মৌলভিবাজারের গহীন অরণ্যের দিকে। আজ পূর্ণিমা রাতেই রক্তিমাকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এরপর আমি যদি মারাও যাই- তাতেও আমার কোন দুঃখ নেই।
এখন আপনার কাছে আমার একটা অনুরোধ। চিঠিটা পাওয়া মাত্র আপনি পুলিশ নিয়ে নীচে লেখা ঠিকানায় উপস্থিত হবেন। এম্নিতে আমি নিজেই হয়তো পুলিশের কাছে ধরা দিতাম, কিন্তু আপনার লেখা প্রতিবেদনটা পড়ে কেন যেনো 'কনফেশন'টুকু প্রথমে আপনার কাছেই করে নিতে ইচ্ছে হোল!

সাত সাতটা নিরপরাধ মানুষকে খুন করে যে জঘণ্য অন্যায় আমি করেছি- তার প্রায়শ্চিত্ত করা সম্ভব কি না আমি জানি না! শুধু এটুকু জানি- শাস্তি- তা যত কঠিনই হোক- সেটা গ্রহণ করবার জন্যও আমি মনে-প্রাণে প্রস্তুত। তবে ভাই- শুধু একটা কথা মনে করিয়ে দেই- এ সাতজন মেয়ের মত হতভাগী রক্তিমারও কিন্তু কোন অপরাধ ছিলো না। আরেকজনের অন্যায় অপরাধের বলি হতে হয়েছে তাকে। কে জানে অবিচার আর বেইনসাফের এ নিষ্ঠুর পৃথিবীর এটাই হয়তো নিয়ম.....

ভালো থাকবেন।

রাশেদ হাসান

------

যাদুকরের কথা অনুযায়ী চাঁদের হলুদ রঙ পুরোপুরি পালটে যাওয়ার পর পরই অরণ্যের গভীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার কথা ছিলো রক্তিমার। রাশেদ আকাশের দিকে তাকালো। তার কাছে মনে হয়- অপেক্ষার সে হলুদ রঙ বুঝি পালটে গেছে আরো কতকাল আগে ! ততোক্ষণে আকাশের প্রায় মাঝামাঝি উঠে এসেছে তুলোর মত সাদা একটা চাঁদ।

রাশেদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। যাদুকর যে আসলে তাকে ধোকা দিয়েছে- সেটা আর বুঝতে বাকি থাকে না তার। অসহায় পরাজয়ে সে উপলব্ধি করে - পিশাচের মত কেউ একজন, তাকে ব্যবহার করে নিজের বিকারটাকে চরিতার্থ করেছে শুধু; প্রচন্ড মানসিক যাতনায় ক্রমাগত বিদ্ধ হতে থাকা, স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধি হারানো এক যুবককে নিয়ে খেলেছে নিজের যাদুবিদ্যা চর্চার স্বার্থে। তা না হলে- একবার যে মানুষ এ জগত থেকে পরপারে চলে গেছে, তাকে কি ফিরিয়ে আনা কখনো সম্ভব? তাও আবার একজন ধুলোমাটির মানুষ হয়ে.....

ডুবন্ত মানুষ যেমন খড়কুটো আকড়ে ধরে, রাশেদও তেমনি অবিশ্বাস্য এক দুঃস্বপ্নের মত বিভ্রান্তিকে জড়িয়ে ধরেছিলো। আর আজ তার ফল কি হলো? ফল হলো- নৃশংসভাবে কিছু মানুষের মৃত্যু। কয়েকটি নিরপরাধ ঘুম!

চিন্তাগুলোকে জোর করে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইলো সে। অবশ্য এম্নিতেও ক্লান্তির তোড়ে ইতিমধ্যেই তার চেতনা অনেকাংশে ঘোলা হয়ে এসেছে; মনে হচ্ছে- যেনো শরীরের প্রতিটি কোষ চেতনালীন হয়ে ঘুমিয়ে পড়তে চাইছে তার। অথচ এতক্ষণে হয়তো সাংবাদিক শহিদ সাহেব পুলিশ নিয়ে কাছাকাছি চলে এসেছেন। রাশেদের হঠাতই কেন জানি খুব হাসি পেলো। পুলিশ এসে দেখবে- ভয়ংকর এক খুনী চাঁদের আলোর তলে আরাম করে ঘুমুচ্ছে, কি হাস্যকর!

ক্লান্ত হাটু ভেঙ্গে মাটির ওপর কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে পড়ে রাশেদ। মানসিক অস্থিরতার সাথে যুদ্ধ করে করে সে আর পারছে না.... একটু বিশ্রাম দরকার !

কতদিন ঠিকমত ঘুমাতে পারে নি ! ঘুমালেই বিকট সব দুঃস্বপ্ন দেখতো; দেখতো রক্তিমাকে কারা যেনো ক্রমাগত ছুরি মেরে চলেছে.. আজো সেরকমই একটা স্বপ্ন দেখে জেগে ওঠার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই চোখ বন্ধ করে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ঘটনাটা ঘটলো উলটো ! ঘুমিয়ে পড়ার সাথে সাথেই অন্যরকম, অদ্ভুত একটা স্বপ্ন শুরু হলো তার।

যেনো এরকমই কোন একটা বনের বাইরে রাশেদ খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। দূর বনপ্রান্ত নিঝুম, কিন্তু ঝিঝি পোকা, নিশাচর পশু-পাখি কিংবা চেনা-অচেনা নানা পতঙ্গের রাতজাগা, চাপা আওয়াজ শোনা যাচ্ছে শুধু। আশেপাশে জনমানুষের চিহ্ন বলতে নেই, মনে হয়- আশ্চর্য সে জগতে রাশেদ বুঝি পুরোপুরি একা....

চারপাশে সে পরিবেশ হঠাতই কেমন পালটে গেলো বুঝি, দূর বনের সব শব্দ সহসাই কেমন স্তিমিত হয়ে এলো। যেনো ওদিকের গহীন অরণ্য, আকাশের নীলাভ জোছনা কিংবা হালকা জলের মত বাতাস- সব নিঃশ্বাস বন্ধ করে কোন এক মহাঘটনার সাক্ষী হবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্বপ্নের মধ্যেই রাশেদ বুঝতে পারে- কিছু একটা ঘটতে চলেছে এখন এখানে। এমন কিছু একটা- যার জন্য আসলে অনেক জীবন ধরে অপেক্ষা করা যায় !

তখন আবার স্বপ্নের মধ্যেই কেউ একজন তাকে মনে করায়- অল্পক্ষণেই শহিদ হায়দার পুলিশ নিয়ে এখানে এসে উপস্থিত হবে। সাথে সাথে বহু দূরে পুলিশের গাড়ির সাইরেনও বুঝি শোনা গেলো। সেটা কি বাস্তবে না স্বপ্নে- তা অবশ্য রাশেদ আর নিশ্চিত হতে পারে না।

শুধু বোঝে- ঘুমের মধ্যে কল্পনার এক পৃথিবীতে রক্তিমা আসতে চলেছে তার কাছে ! আকাশের পূর্ণচন্দ্র সফেদ আলোর পোশাক গায়ে জড়িয়ে কি বিপুল ঐশ্বর্যেই না জোছনা বিলিয়ে চলেছে- রাশেদ উপরে তাকিয়ে দেখে! পুলিশের গাড়ির সাইরেন ধীরে ধীরে আরো এগিয়ে আসে। আর রাশেদ অপেক্ষা করে। ব্যাকুল হয়ে কাছাকাছি কারো পদশব্দ শোনার জন্য উন্মুখ হয়ে কান পাতে ! রিনরিনে নূপুরের ক্ষীন একটা আওয়াজ কি কানে আসছে? বাতাসে কি ছড়িয়ে পড়ছে রক্তিমার গায়ে মাখানো কোন অপূর্ব সুগন্ধী?

একপর্যায়ে স্বপ্নে রাশেদ সত্যি সত্যিই নুপূরের শব্দ শুনতে পেলো। ছোট ছোট, কোমল পদক্ষেপে যেনো কেউ তার দিকে এগিয়ে আসছে! সময়ের সাথে সাথে নুপূরের শব্দ একেবারে রাশেদের পেছন ঘেষে এসে থামে।

তারপর........ পরম মমতায় কেউ একজন তার মেহেদী রাঙ্গানো হাত রাখে যুবকের কাঁধে।

স্বপ্নের মাঝেই রাশেদ দূরে পুলিশের গাড়ির সাইরেন, উত্তেজিত মানুষজনের গলার স্বর- এগুলো শুনতে পায়। তবে সেটা বাস্তবে হোক, আর স্বপ্নেই হোক- এখন তো আর তার কোন তাড়া নেই। সে ভারমুক্ত, সার্থক ! স্বপ্নে যে একবার, মাত্র একবারের জন্য হলেও সে রক্তিমার দেখা পেয়েছে ! রাশেদ ধীর স্থিরভাবে নিজের ডান হাত দিয়ে তার কাধে রাখা কোমল হাতটাকে স্পর্শ করে। সাথে সাথে ভয়ংকর এক খুনীর দু'চোখ বেয়ে ফোটা ফোটা গড়িয়ে পড়ে ভালোবাসার শুদ্ধ অশ্রু।

রাশেদ ভেজা চোখেই জোছনা জড়ানো দূর বনভূমির দিকে তাকায়। সেদিকে অবাক রহস্য আড়াল করা কি শান্ত, অভিজাত এক অরণ্য ! যুবকের জল টলমল চোখে ধীরে ধীরে সে অরণ্য অস্পষ্ট হয়ে আসে।
আর পেছন থেকেও মিলিয়ে যায় রক্তিমার উপস্থিতি....

রক্তিমাকে দেখতে না পেলেও, অরণ্যের দিকে তাকিয়ে রাশেদ গাঢ় গলায় আবৃত্তি করে-

"...তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,
পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,
মানুষ র'বে না আর, র'বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ
সেই মুখ আর আমি র'বো সেই স্বপ্নের ভিতরে।"

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

সিলা বলেছেন: থ্রিলার টা সুন্দর, সাংঘাতিক, ভয়ংকর আর মর্মান্তিক।
সব মিলে দারুন।

৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সময় করে গল্পটা পড়বার জন্য সিলা !
ভালো থাকবেন!
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

২| ৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

বিজন রয় বলেছেন: দারুন!!!

৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেকদিন পর পেলাম আপনাকে।
ভালো আছেন আশা করি!
শুভকামনা

৩| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১২:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মানুষটার কবিতা দেখলেই মন ভাল হয়ে যায়। বেশ ছিল।

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৬

পুলহ বলেছেন: আপনার মত অভিজ্ঞ একজনের কাছ থেকে এপ্রিসিয়েশন বড় পাওয়া।
শুভকামনা বস।

৪| ০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। গতিময়।

০১ লা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। ভালো থাকবেন !

৫| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৮:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলহ ,




আমিও একটি কনফেশান করছি । এক একটি অঙ্গ কর্তনের কথা পড়ে ( রাশেদের প্রসঙ্গ আসার আগেই ) মনে হলো আপনাকে মন্তব্য করে এভাবে বলবো , "পুলহ, সব অঙ্গ জোড়া লাগিয়ে একটি অভিনব মানবীর কথা নিয়ে আর একটি থ্রিলার লিখে ফেলুন ।"
শেষে দেখি আমার মনের বাসনাই ঠিক । আপনি রক্তিমাকে আনলেন ।

আমিও আবার সাইকো হয়ে গেলুম কিনা কে জানে ! ঐ ব্লাক আর্ট চর্চ্চা করা যাদুকরের মতো !!!!! :(
সম্ভবত আপনার এরকম সাবলীল ও সার্থক লেখাটি এর জন্যে দায়ী ।

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৬

পুলহ বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে আপনাকে পেলাম। ভালো আছেন আশা করি
"সম্ভবত আপনার এরকম সাবলীল ও সার্থক লেখাটি এর জন্যে দায়ী ।"- আমার সেটা মনে হয় না আহমেদ জী এস ভাই। বরং গল্পের ভবিষ্যত আঁচ করবার জন্য দায়ী আপনার সচেতন আর অভিজ্ঞ পাঠক মন!
শুভকামনা এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা

৬| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলহ,




অনেকদিন পরে পেলেন এ কারনে যে পাসওয়ার্ড সমস্যায় পড়েছিলুম । হ্যা, বেশ কিছুদিন আপনাদেরকে মিস করেছি সত্য ।
ভালো লাগছে যে আবার আপনজনদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি ।
শুভেচ্ছান্তে ।



০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৬

পুলহ বলেছেন: প্রিয়জনদের কাছে ফিরে আসাটা সব সময়েই আনন্দের।
ভালো লাগছে পাসওয়ার্ড সমস্যা মিটে গিয়েছে দেখে !

৭| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫০

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: গল্পটা আসলেই অনেক সুন্দর। বিশেষ করে কবিতাটা বেশি ভালো লাগলো।

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

পুলহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সময় করে লেখাটা পড়বার জন্য। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা- ভালো লাগতেই হবে!
শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

জুন বলেছেন: ভালোবাসা যে মানুষকে হিতাহিত জ্ঞ্যানশুন্য করে ফেলে তারই একটি নমুনা পেলাম আপনার গল্পে।
সাইকো বা ভৌতিক যাই বলেন এসব গল্প পড়তে ভয় ভয় লাগলেও ভালোলাগাটাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়।
+

০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

পুলহ বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু।
জুন মাসে জুনাপুর মন্তব্য পেয়ে ডাবল ভালো লাগছে !
শুভকামনা

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৭

জেন রসি বলেছেন: ভালো লেগেছে। প্লটটা দারূন। গল্পের কাঠামোটাও ঠিক আছে। তবে আরেকটু রহস্য সৃষ্টি করার স্কোপ ছিল।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

পুলহ বলেছেন: "আরেকটু রহস্য সৃষ্টি করার স্কোপ ছিল। "-- আপনি ঠিকই বলেছেন, একমত আমি আপনার সাথে। ইদানীং নানা কারণে লেখার পেছনে সময় দিতে পারছি না, তারই একটা কনসিকুয়েন্স এই তাড়াহুড়া....
ভালো থাকবেন জেন রসি ভাই!

১০| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বেশ ভালো একটা গল্প পড়লাম। অনেক শুভেচ্ছা রইল।

গল্পটা পড়া্র সময় মনে হচ্ছিলো শেষ খুনের শিকার হয়তো সেলিনা হবে, তেমন কিছু হয়নি বলে স্বস্থি পেলাম।

০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৫

পুলহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য।
হা, গল্পের গঠন থেকে সেলিনাকেও একজন ভিক্টিম মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক ....
ভালো থাকবেন শান্তির দেবদূত!

১১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

এহসান সাবির বলেছেন: রক্তিমা তাহলে এসেছিল??? না বাপু এত খুন খারাবী করে রক্তিমা আনা ঠিক হলো না। আর রাশেদ তো ধরা পড়েই গেল জনতার হাতে.... নাকি??

++++++

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫২

পুলহ বলেছেন: "রক্তিমা তাহলে এসেছিল?"- কল্পনার জগতে কত কিছুই তো সম্ভব !!
হ্যা, রাশেদ ধরা পড়েছিলো!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

কল্লোল পথিক বলেছেন:






দারুন থ্রিলার!
তবে আরও একটু রহস্য তৈরি করলে মনে হয় ভালো হত।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

পুলহ বলেছেন: নেক্সট থ্রিলারটা লেখার সময় আপনার সাজেশন মনে থাকবে ।
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ভাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.