নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেই তো কোন পরিচয়

আহা রুবন

নেই তো কোন পরিচয়

আহা রুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় গল্প: দাগ অথবা কাজল (কিস্তি— ১৯তম) শেষ পর্ব

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯


৫৪

সন্ধ্যার পর সুমি নীলাকে দিপুর ঘরে ডেকে নিল। ওর সঙ্গে নাকি কিছু কথা আছে। কবরস্থান থেকে যে দু-চারজন ফিরেছিল তারাও চলে গেছে। মঙ্গল মন ভার করে, তার ঘরে জানালার পাশে চেয়ার নিয়ে, উদাস চোখে অন্ধকারে তাকিয়ে আছে। সুমি নীলাকে হাত ধরে তার সামনে খাটে বসাল।
‘নীলা আমাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, কিন্তু তা স্বাভাবিকভাবে হয়নি। বলা চলে সম্ভবও ছিল না। তোমার সাথে আমি যে আচরণ করেছি, আমার স্থানে তুমি থাকলে, একই কাজ করতে। (অর্থাৎ ওসব তার ভুল হয়নি। দিপুর কথা মনে পড়ল নীলার— ভুল করে কখনও স্বীকার করে না, বরং তার পক্ষে যুক্তি খাড়া করে।) আশা করি— তুমি এসব কিছু মনে রাখবে না। আমার সাথে তোমার আর হয়ত দেখাও হবে না।’
নীলা কথাগুলো শুনছিল কোনও সাড়া না দিয়ে। কী মনে করে সুমি উঠে দাঁড়াল, ওয়ার্ডরোবের ওপর থেকে, একটা স্ক্রু-ড্রাইভার হাতে নিয়ে নীলার সামনে বসল। নীলা তাকিয়ে সুমির হাতের ভেতরে সেটা ঘোরানো দেখতে লাগল। বাম তালুতে মাথা রেখে ডান হাত দিয়ে স্ক্রু-ড্রাইভার ঘুরিয়েই চলেছে।
‘তুমি হয়ত জেনে গেছ, আমাদের বিয়ে হয়েছে এগারো বছর। আমাদের স্বামী মৃত্যুর পূর্বে জেনে যেতে পারেনি, সন্তান না হবার পেছনে, আসলে আমিই দায়ী।’
সুমি চোখ মুছল। চুপ করে থেকে ঘাড় ঘোরাল, যেখানে দিপুর বালিশ রাখা ছিল। নীলা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে, জানালা বরাবর বাইরে তাকাল।
‘বছর তিন পরেই পরীক্ষায় ধরা পড়ে। আমি একেবারেই মুষড়ে পড়ি। কিন্তু তা প্রকাশ করিনি, এবং দিপু যাতে বুঝতে না পারে, সেই চেষ্টাই করেছি সব সময়। অন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে চাইলে, আমি নানা ছল-ছুতোয় তা বাতিল করে দিয়েছি। একবার অবশ্য গিয়েছিলাম, পুরনো ডাক্তারের সাথে লিয়াজোঁ করে। তাকে সব কিছু গোপন রাখতে, হাতে-পায়ে ধরেছিলাম। আমার কেবলই মনে হত— ঘটনাটা জেনে গেলে, আমি ছোট হয়ে যাব। ওর কাছে আমার কোনও মূল্য থাকবে না। মনে হত ফের যদি বিয়ে করে, আমাকে তাড়িয়ে দেয়। মাঝে মাঝে মনে হত— দিপু হয়ত কিছু সন্দেহ করছে। ভয়ে তখন কুঁকড়ে যেতাম। আমার অস্তিত্ব নড়বড়ে ছিল বলে, কঠোরতা দেখাতাম দুর্বলতা ঢাকতে। হ্যাঁ খারাপ ব্যবহারই করতাম, যাতে আমাদের মাঝে বেশি ঘনিষ্ঠতা তৈরি না হয়। আর তা হলেই তো, আমার দুর্বলতা ফাঁস হয়ে যাবে। নীলা তোমার কাছে স্বীকার করছি, ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি, নিজের দাম বাড়াতে, আর কোনও কারণ নেই। (নীলার মনে পড়ল দই খাওয়া নিয়ে ঘটনা— বাকি থাকল না কিছু বুঝতে। সবটা ছিল ইচ্ছাকৃত, দিপু কোথাও যেন নিয়ে না যায়। ওকে বিব্রত করাই উদ্দেশ্য ছিল।) চাইতাম ও এসে আমাকে তোষামোদ করুক, আমার কাছে মাপ চাক। ওর থেকে সেসবের কিছুই করা হয়নি। তখন আমি ক্রোধে ফেটে পড়তাম। অবশ্য মিথ্যে বলা হবে— অনেক সময় ক্ষমা চেয়ে বলত— ভুল হয়েছে। কিন্তু আমি চাইতাম সব সময় ও আমাকে তোয়াজ করুক, নইলেই মনে হত— দিপু বোধ হয় সব জেনে গেছে। এক সময় অন্যরুমে থাকতে শুরু করলাম। ভাবলাম— পুরুষ মানুষ— হয়ত হাতে-পায়ে ধরে আমাকে ওর রুমে নিয়ে যাবে। ও, তার কিছুই করল না। আমার মনে হতে লাগল— সমস্ত মানুষের সুখ-শান্তি যদি তছনছ করে দিতে পারতাম! রাতে এপাশ ওপাশ করতাম, যখন দেখতাম; দিপু বেঘোরে ঘুমোচ্ছে, আমার শরীরে যেন আগুন ধরে যেত।’
সুমি একটু থামল, হয়ত হাঁপিয়ে উঠেছে। গভীরভাবে কিছু একটা ভাবতে লাগল।
‘সন্তানের জন্য ধর্মীয় যত আচার মানতে লাগলাম। অফিস থেকে ফিরে সারাটা সময়, ঘরে ধর্মীয় বই, নামাজ নিয়ে পড়ে রইলাম। মনে-মনে আশা করতাম, সবাই যেন শ্রদ্ধা করে। আমার সব সময় মনে হত, পরিচিত সকলে আমাকে অবহেলা করে। আসলে করতও তাই। আমার সামনে ছেলেমেয়েদের সাফল্যগুলো, শুনিয়ে শুনিয়ে গল্প করত। শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য পুরোপুরি ধর্ম-চর্চায় মন দিলাম। সমাজে আর যাই হোক, ধার্মিকদের সবাই সম্মানের চোখে দেখে। অথচ দিপুর ভেতরে সে সবের কিছুই দেখলাম না। সে আগের মতোই চলতে লাগল। রাগ করে বাবার বাড়ি চলে গেলাম। ভাবলাম, কদিন পরেই ক্ষমা চেয়ে হাত ধরে নিয়ে আসবে, তাও গেল না। আসলে বিধাতা কিছু মানুষকে দু:খ-কষ্ট পাবার জন্যই শুধু পাঠায়। এত কিছু করেও সুখের নাগাল আমি পাইনি। বলতে পারো— আমার এই হতভাগ্য জীবনের জন্য দায়ী কে?’
নীলা কোনও কথা বলল না। সুমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে খাট থেকে উঠে দাঁড়াল।
‘আমি আজ রাতটা এখানেই আছি, তুমি?’
নীলা কিছুটা অবাক হল— ‘আমিও থাকব।’
‘ভাইয়াদের আলোচনা তো শুনলে। ফার্নিচারগুলো দু-একদিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলব। তোমার নিজের যদি কিছু থাকে আলাদা করে ফেল।’
‘আজকেই করতে হবে?’
‘সমস্যা কী?’
নীলা অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওর কাপড়-চোপড় টুকিটাকি যা ছিল গোছাতে লাগল।
‘থার্মোমিটারটা নিতে চাচ্ছি?’
‘নাও নাও... আরও কিছু নিতে চাইলে নিয়ে নাও।’
‘আমাদের বাড়িতে ওর কিছু পোশাক আছে, আমি... তার... মাত্র... দিতে চাই না।’
‘ঠিক আছে রেখে দাও, ওসব দিয়ে আমি কী করব।’

৫৫

ওয়ার্ডরোবের ভেতর এককোণে একটি প্লাস্টিক বক্সে কিছু ঔষধ দেখে নীলার চক্ষু স্থির।
‘এগুলো! দিপুর ওষুধ ছাড়া আর কারও তো হবার কথা নয়। এসব খেত কখন। নাঃ এগুলো ওর নয়, নয়ত খেতে দেখতাম। যদি এমন হয়— আমি বাথরুমে থাকলে লুকিয়ে খেত। কী ভয়ানক! এমন মরণ-ব্যাধি বাঁধিয়েছে অথচ আমাকে ঘুণাক্ষরেও জানায়নি। শৈলেশ দাদা হয়ত এ কারণেই রিপোর্টগুলো না দেখাতে চেষ্টা করেছিলেন। তলে তলে এতকিছু, আর আমি এর কিছুই জানতে পারলাম না! মঙ্গল ভাই কি জানে? হয়ত জানে না। কত বড় প্রতারণা! মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে, আরেক জনকে জীবনের সাথে জড়ানো!... আগে যদি জানতাম কিছুতেই এই ভুল করতাম না। এ ব্যাপারে আমার সাথে পরামর্শ পর্যন্ত করল না! প্রত্যেকটি মানুষই আসলে চরম স্বার্থপর, যার জন্য মনঃপ্রাণ উজাড় করে দিলাম, সে-ই কিনা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিল।’
ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল নীলা। আঁচলে চোখ মুছল। পাশের ঘর থেকে সুমি এসে বলল, ‘বসে কী ভাবছ; ভেবে আর কী হবে। শক্ত হও।’
এই বলে আবার চলে গেল। নীলা চমকে উঠল— ‘এত ছোট মনের মানুষ আমি! বিয়ে তো জোর করে আমিই করেছি। রাজি না হলে, আমি হয়ত আত্মহত্যাই করে বসতাম। আর এখন সুযোগ খুঁজছি... ছি ছি, ছি...’ নিজের প্রতি নীলার ধিক্কার জন্মাল। ‘দিপু বারবার বোঝাতে চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি বুঝতে চাইনি, ছিঃ... সেই আমি ভাবতে পারলাম!... কোনও সুস্থ মানুষকে বিয়ে করেও তো আমার এমনটি ঘটতে পারত। আমি আসলে ছোট মনের মানুষ... মানুষকে দেখানোর জন্য মহৎ-কাজ করতে গিয়েছিলাম, হু-হ মহৎ-কাজ! (মুখে বিদ্রুপের ভাব ফুটে উঠল।) এখন সব বালির পাহাড়ের মতো ধসে পড়ছে। আমি তাহলে এত বছর ধরে কী অর্জন করলাম— সামান্য স্বার্থের কারণেই, সুযোগ মতো অন্যরকম ভাবতে শুরু করেছি! আমি নিজকেই তো ঠিক মতো চিনি না, অন্যকে চিনব কেমন করে।’ নীলা ভাবতে থাকল— ‘এমনও তো হতে পারে— দিপু সত্যি সত্যি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল— সেরে উঠবে, হ্যাঁ তাই তো মনে হয়। হয়ত আমাকে পেয়ে, নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। আর আমি কী ভাবছি! (ফুঁপিয়ে উঠে দুহাতে মুখ ঢাকল।) হয়ত ওষুধগুলো লুকিয়ে খেত— আমি চিন্তিত হব তাই; আর জানলে, ঐ কটাদিন এত মধুর হত! সারাটা জীবন, যে লোকটা একটুও সুখ পায়নি, একটু সুখের জন্য শেষ-বেলায় সামান্য ছলনা না-হয় করলই... অন্য কারও? হ্যাঁ, ওর মা তো মারা গেছেন কিছুদিন আগে, হয়ত তাঁর... তাইতো... দিপুর কাছে চিকিৎসা করাতে এসেই তো, মারা গেছেন... এই দামি ওষুধগুলো হয়ত ফেরত দিতে, যত্ন করে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত আর হয়ে ওঠেনি। হয়ত মায়ের শেষ স্মৃতিটুকু হিসেবে সযত্নে...’ লজ্জায়— মুখে সমস্ত রক্ত উঠে চাপ দেয়ায় মনে হল, মুখটা বেলুনের মতো ফেটে যাবে, চোখে স্রোতের ধারা। নীলার মাথা এলোমেলো হয়ে গেল।
‘মানুষের চোখের সব দেখাই সত্য নয়, তার অন্য অর্থও থাকতে পারে।’ বিড়বিড় করে বলল, ‘আমি একজন অতিসাধারণ মেয়ে, অতি সাধারণ— কেবলই নীলা।’

৫৬

মঙ্গলের কাছ থেকে বিদায় নিতে গিয়ে নীলা কেঁদে ফেলল। এবং সেই কান্না ছোঁয়াচে রোগের মতো মঙ্গলের চোখেও সঙ্ক্রমিত হল।
‘ভাই বেঁচে থাকলে, আমরা কত সুখেই-না জীবনটা পার করতে পারতাম!’
নীলা আঁচলে নাক মুছে মঙ্গলের দুহাত ধরে বলল, ‘ভাই আপনাকে বড় ভাইয়ের আসনে বসিয়েছি, ক্ষমা করবেন...’
আর কিছু বলতে পারল না, হুহু করে কেঁদে ফেলল। মঙ্গল বাম হাতে মুখ ঢেকে রাখল।
‘আমি চলে যাচ্ছি, কিন্তু আপনার সাথে, আমার সম্পর্ক শেষ হল না, বাড়ি যাবার আগে দেখা করে যাবেন। আর মাঝে মাঝে, এই ছোট বোনটার খোঁজ নেবেন। আমার বড় ভাই নেই, আপনার মতো একজনকে পেয়েছি হারাতে চাই না।’
‘নীলা আমি তোমাকে কথা দিলাম, তুমি আমার ছোট বোন হয়েই থাকবে, যোগাযোগ রক্ষা করব। তোমার জিনিস-পত্র পরে দিয়ে আসব।’
‘ঠিক আছে। বিদায় ভাই!’
‘বিদায়!’
নীলা চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে গেল।

গেট দিয়ে বেরোবার কালে পেছন ফিরল। বাম হাতে আঁচলে মুখ চেপে ধরল। গেটের পিলারে ডান কাঁধ ঠেস দিয়ে, বাড়িটার দিকে করুণ চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল, তারপর আস্তে করে বেরিয়ে গেল।

নীলা বাড়িতে ফিরলে, মা-বাবা, পিন্টু তাকিয়ে তাকিয়ে ওকে দেখতে লাগল। নীলা ডাইনিং-রুমের চেয়ারে বসল ঘরে ঢুকেই। টেবিলে কপাল ঠেকিয়ে পড়ে রইল মরার মতো। বাবা এসে কোনও কথা না বলে, মাথায় হাত বোলাতে লাগলেন।
শেষে বললেন, ‘ছেলেটা খুব ভাল ছিল রে!’
মা হঠাৎ বলে উঠলেন, ‘আমার কাছে লাউ-চিংড়ি খেতে চেয়েছিল।’ এই বলে ফুঁপিয়ে উঠে সারা ঘর ভাসিয়ে দিলেন, মুখের পেশিগুলো থরথর করে কাঁপতে লাগল। পিন্টু দুহাতে চোখ রগড়াল, হয়ত কাঁদল— ওর নিজের মতো করে।
কিছুক্ষণ পর মা এসে নীলাকে জড়িয়ে ধরে, আবার কাঁদতে শুরু করে দিলেন— ‘এমন কেন হল রে...’
******
যারা বিয়ের সময় প্রচণ্ড আপত্তি করেছিল, তারা আজ দিপুর জন্য চোখের জল ফেলছে দেখে, নীলা একটু অবাক হল। নীলা উঠে ওর রুমে ঢুকল। কিছু সময় বিছানায় বসে থাকল, পুতুলের মতো। তারপর ধীর পায়ে উঠে, একটা গান ছেড়ে পড়ার চেয়ারে হেলান দিয়ে মাথা পেছনে হেলিয়ে দিল। দিপুকে শোনাতে চেয়েছিল গানটি— আর হয়নি শেষ পর্যন্ত। বুকে দুই হাত বাঁধা— চোখ বুজল। গান বেজে চলল ধীরে—


‘মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে সে দিন ভরা সাঁঝে,
যেতে যেতে দুয়ার হতে কী ভেবে ফিরালে মুখখানি—
কী কথা ছিল যে মনে।।
তুমি সে কি হেসে গেলে আঁখিকোণে—
আমি বসে বসে ভাবি নিয়ে কম্পিত হৃদয়খানি,
তুমি আছ দূর ভূবনে।।
আকাশে উড়িছে বকপাঁতি,
বেদনা আমার তারি সাথি।
বারেক তোমায় শুধাবারে চাই বিদায়কালে কী বল নাই,
সে কি রয়ে গেল গো সিক্ত যূথীর গন্ধ বেদনে।।’


কপোল বেয়ে নোনা-জলের ঝর্না বইছে। নীলা ভাবতে লাগল— ‘এতদিন যে রঙিন স্বপ্নগুলো দেখত, তা আর নেই। এখন অন্যেরা দেখতে শুরু করেছে।’ ভাবতে লাগল— ‘স্বপ্নদেরও আলাদা অস্তিত্ব আছে। তারা মানুষের ওপর ভর করে, আর তাকে পরিচালিত করে। মানুষের মৃত্যু হয়, স্বপ্নরা অন্য মানুষ খুঁজে নেয়, যুগযুগ ধরে; কিন্তু স্বপ্নদের মৃত্যু হয় না।’

সমাপ্ত


কিস্তি - ১৮তম

প্রথম পর্ব

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

বিজন রয় বলেছেন: আপনার এই সিরিজ আর পড়া হয়নি। সময় পাচ্ছি না।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

আহা রুবন বলেছেন: সময়-সুযোগ হলে পড়ার আমন্ত্রণ রইল। শুভকামনা।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানুষের মৃত্যু হয়, স্বপ্নরা অন্য মানুষ খুঁজে নেয়, যুগযুগ ধরে; কিন্তু স্বপ্নদের মৃত্যু হয় না।

হুমম।

শেষ হয়ে গেল!!

যেন আরো কত-কছিূ বাকী ছিল! নীলার না বলা কথার মতোই ...

+++

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫০

আহা রুবন বলেছেন: হ্যাঁ, নীলার অনেক কথাই আর শেষ পর্যন্ত বলা হয়ে ওঠেনি। প্লটটি বাস্তব ঘটনা থেকে নেয়া। উপস্থাপনটা শুধু ভিন্ন। তাই আরও কিছু ঘটানো সম্ভব হলেও মূল সুর অতিক্রম করিনি। ঝামেলায় উত্তর দিতে দেরি হল, ক্ষমা করবেন। গল্পপাঠে মন্তব‍্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
১ম পর্বে নীলাচল, বাড়ি নং-৮, রোড নং-৩, উদয়পুর কোন লোকেশন ? পড়তে ভালো লেগেছে ।
২য় পর্বে লজ্জা পাওয়ার বিষয় টা মজা লাগল । দিপুর সত্য বলাও ...... ভালো লাগলো।
৩য় পর্বে তিনটি মানুষ বাকহীন— অনন্তকাল; ঘড়ির কাঁটা পথ ভুলে বোকা দারোয়ানের মতো। বৈদ্যুতিক পাখাটি অযথাই হাওয়ায় সাঁতার কেটে যায়। মজা পেলাম .....
৪র্থ পর্বেলিকার ছাড়া চা, নাকি সহ?’
‘লিকার ছাড়া চা মানে!’ নীলা চোখ পাকাল।
হা হা হা ..............
৫ পর্ব ভুল, সবই ভুল ... প্রকৃতি মানুষকে এক-চোখেই দেখে, সন্দেহ করা পাপ, মস্ত বড় পাপ।’ কথা খুব ভালো লাগল এবং সত্য .......
৬ ষ্ঠ পর্ব মোটামুটি লাগলো।
৭ম পর্বে পড়ে ওখানে মন্তব্য আছে আমার ।
বাকি পর্বগুলো পড়েছি .......
মানুষের মৃত্যু হয়, স্বপ্নরা অন্য মানুষ খুঁজে নেয়, যুগযুগ ধরে; কিন্তু স্বপ্নদের মৃত্যু হয় না।’
কথাটার গভীরতা অনেক বেশি এই আমাদের জীবন ।
যাহোক গল্পটা খুব সুন্দর হয়েছে । ধন্যবাদ ভাই।


২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৭

আহা রুবন বলেছেন: নীলাচল, বাড়ি নং-৮, রোড নং-৩, উদয়পুর কোন লোকেশন ? এটা গোপন থাক...
শাহরিয়ার কবীর ভাই তবে পুরোটাই পড়েছেন। একবার নীলা বিয়ের পর দিপু ভাই বলেছে। আবার ১৮ পর্বে মঙ্গলকে তুমি বলেছে। আপনি কি লিখন-ত্রুটি ধরেছেন ওটাকে? আমার কিন্তু ভিন্ন বক্তব্য আছে (যেটা ওখানে আভাস মাত্র দেইনি। চেয়েছি পাঠক নিজের মত ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে নিক) পুরো গল্প পড়ে মন্তব্য করা, উৎসাহ দেয়ায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। উত্তর দিতে দেরি হল, ক্ষমা করবেন।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২

ফাহমিদা বারী বলেছেন: রুবন ভাই, পড়বো একসময়। এখানে বড় গল্প লেখার একটা সুযোগ নেওয়া যেতে পারে। পাঠক প্রতিক্রিয়াও সাথে সাথে জানা যাবে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

আহা রুবন বলেছেন: ফাহমিদা আপা, খুশি হলাম। পড়ে অবশ্যই মন্তব্য করবেন। হ্যাঁ বড় গল্পের চেষ্টা সামুতে করতেই পারেন। আমার বিশ্বাস আপনার লেখা জনপ্রিয় হবে। গল্পকবিতা ডট এক ধরণের, এটা আরেক ধরণের। ওখানে সচরাচর কেউ সমালোচনা বা ভুলগুলো তুলে ধরে না। কিন্তু এখানে অকপটে অনেকেই মত দেন। নতুনদের সংশোধন হতে সুবিধে হয়।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সুমি ও নীলার কথোপকথন, এসব কথার অর্থ, মরাল সবকইছু শরৎ চন্দ্রের লেখার মতো, জড় পাকানো; অকারণে এট কঠিন সব ভাবনা ও কথাকে নিয়ে এসেছেন?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২২

আহা রুবন বলেছেন: সব তো শেষ করে দিয়েছি।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এটা পাঠের আগে প্রথম পর্ব থেকে শুরু করে পাঠ করে করে এগুতে হবে । এই মাত্র ১ম পর্ব পাঠ করে একটা খুব ছোট্ট মন্তব্য রেখে এসেছি । প্রতিটি পর্বে বিশেষ করে এই শেষ পর্বের শুরুতে আগের পর্বগুলির একটি লিংক কিংবা লিখাটির শেষে যেখানে সুবিধা হয় দিয়ে দিলে বাকি পর্বগুলি ইচ্ছুক পাঠকদের কাছে পাঠ করা সহজ হয় বলে মনে করি ।
এখন এই পর্বের উপরে মন্তব্য করার মত অবস্থানে আসি নাই বিধায় এর উপরে কিছু বলতে পারছিনা ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১০

আহা রুবন বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.