নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেই তো কোন পরিচয়

আহা রুবন

নেই তো কোন পরিচয়

আহা রুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহমুদুর রহমান মান্না আর বেকুবি করবেন না, তার নিশ্চয়তা আছে কি?

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩২



জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন “নৌকায় (আওয়ামী লীগ) তো আমিও ছিলাম। ড. কামাল নৌকা থেকে নেমেছেন, সেই নৌকায় আমিও চরেছি। বেকুব না হলে করে এরকম।” তার এই উপলব্ধি হতে নাকি বেশি সময় লাগেনি। তবু বেকুবি চালিয়ে গিয়েছিলেন। কেন? কিছু পাওয়ার আশায়? যদি কিছু হয়? নাকি তার আশা ছিল আওয়ামী লীগ পুরো দল তার মনের মত হয়ে উঠবে, সেই আশায় বসে ছিলেন। আমাদের দেশের মেয়েরা যদি স্বামীর ঘর করতে না চায় অথচ স্বামীর কোনও দোষ খুঁজে না পায়, তখন এরা বলে স্বামীর ইয়ে বলশালী নয়! মাহমুদুর রহমান মান্নার কথা শুনে তেমনি মনে হল। তার এই বেকুবি কেবল আওয়ামী লীগে যোগ দেয়াই না সারা জীবনটাই বেকুবিতে পরিপূর্ণ!

স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের বিরোধী হয়ে জন্ম নেওয়া জাসদে ছিলেন মান্না। জাসদ ভাঙার পর বাসদে যোগ দেন তিনি। নব্বইয়ের পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন মান্না, দলটির সাংগঠনিক সম্পাদকও হন তিনি। কিছু দিন পর পর মনে হয় বেকুবি করে ফেলেছেন তাই দল বদল করেন। একজন জীবনে কতবার বেকুবি করে? জরুরি অবস্থার সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের পদ হারান মান্না। তারপর গড়ে তোলেন নাগরিক ঐক্য। তার টেলিফোন সংলাপ যেটি ভাইরাল হয়েছিল তাতে তিনি দু-একটি লাশ ফেলার কথা বলছিলেন, সেটিও যে বেকুবি ছিল তা কি স্বীকার করবেন গণতন্ত্রের সবকদাতা জনাব মান্না!

এরা আর কত ভণ্ডামি করবে? এরা কি জনগণকে বেকুব মনে করে? নানা ছুতোয় বেকুবি (দল থেকে বেরিয়ে) করবে আর সাংবাদিক বেষ্টিত হয়ে গলা ফুলিয়ে নির্লজ্জের মত বড় বড় কথা বলবে! ছোট বেলায় রেডিওতে শোনা রাজা কনডমের বিজ্ঞাপনের মত “ছিলাম বোকা, হইলাম বুদ্ধিমান।” মনে পড়ছে এসব কথা শুনে। এমন কী স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ খেলেন মান্না সাহেব, যে তিনি ভবিষ্যতে আর বেকুবি করবেন না? কেন আমরা তার ওপর সেই ভরসা রাখতে পারি, তার নিশ্চয়তা কি পেতে পারি? দুই দিন পর পর ডিগবাজি দেবেন আর একটা করে তত্ত্ব নিয়ে আসবেন। হঠাৎ কী এমন ঘটল, কী করে খুব বুদ্ধিমান হয়ে উঠলেন, সেটা একটু খোলাসা করা দরকার জনাব মান্না!

আমারা আপনাদের বেকুবি দেখতে দেখতে হাঁপিয়ে উঠেছি। দয়া করে এবার আপনার বিদায় হোন।


ছবিঃ বিডি নিউজ ২৪ ডট কম

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই। ভালো লাগলো।
কোন নিশ্চয়তা নেই ভাই, কেউ নিশ্চয়তা দিতেও পারবেনা।।

শুভকামনা আপনার জন্য

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

আহা রুবন বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন ভাই।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

আরিফ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: ভালো লাগলো লিখাটি

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

আহা রুবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরিফ শাহরিয়ার জয়। শুভ কামনা রইল।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: Idiot!

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

আহা রুবন বলেছেন: :(

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখনো বুঝেনি যে, দল করা ও রাজনীতি করা এক নয়; এগুলো ছাত্র রাজনীতিবিদ, এখনো ছাত্র।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

আহা রুবন বলেছেন: ‌এদের আসল সমস্যাটা মনে হয় সেটাই।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৯

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ভাল বলেছেন।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:০১

আহা রুবন বলেছেন: এই সমস্ত জঞ্জাল যত দিন থাকবে রাজনীতির কোনও পরিবর্তন হবে না।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪২

ইফতেখারুল মবিন বলেছেন: মনের কথাটি বলেছেন ভাই!
মান্নাদের কথা শুনলে মাথায় খটকা লাগে--আসলে বেকুব কারা?মান্না'র মতো তথাকথিত নেতারা নাকি আমাদের মতো সাধারন জনগন?

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:০৬

আহা রুবন বলেছেন: এই খটকা লাগা মানুষের সংখ্যা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে কম। মানুষ বিবেচনার চেয়ে মিষ্টি কথায় আকৃষ্ট বেশি হয়। ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৯

আহা রুবন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেচারা রাজনীতির জন্য আজীবন ছাত্র হয়েই থাকবে

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৬

আহা রুবন বলেছেন: এরা স্বভাবে ছাত্র, কিন্তু দেশের মানুষের ঘারে মাস্টার হয়ে বসে আছে।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বলে রাখলাম, মান্না কিন্তু পলটি দিবে।
সব চেয়ে বড় সত্য- ভালো লোক রাজনীতি করে না।
দুষ্টলোকদের কারবার হলো রাজনীতি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২০

আহা রুবন বলেছেন: এরা জাতির সামনে জোকার সেজে হাসির খোরাক যোগাচ্ছে।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০১

মানিজার বলেছেন: সামরিক বাহিনীর লোকেরা আমাদেরকে সাধারণ বলে আন্ডারএস্টিমেট করে । কর্পোরেট মিটিংয়ে আমাদেরকে সাধারণ ভোক্তা হিসেবে গণনা করা হয় । সরকারের লোকেরা আমাদেরকে সাধারণ মানুষ হিসেবে গণ্য করে । আদালতের লোকেরা আমাদেরকে মক্কেল হিসেবে মনে করে ।
কবেলমাত্র রাজনীতিবিদরা আমাদের সাধারণ বলে গণ্য করে না । তারা খেলার পুতুল হিসেবে আমাদের গণ্য করে ।

আপনে একটা ভন্ডা দেখেন । আমি দেখে হাজার । শত শত ভন্ডা আমাদের সামনে খেলছে আমাদের নিয়ে । পর্দার পেছনে এরা সবাই একসাথে চিয়ার আপ করে । আর পর্দার সামনে পুতুলগুোলো দিয়ে রক্তের খেলা খেলে । আমরা বলি এইটা রাজনীতি ।

এরা মুজিব কোটএর ইউনিফর্ম পরে আমাদের সামনে আসে ।কেউ কেউ জিয়ার সৈনিক বলে মুখে ফেনা তুলে । আবার কেউ কেউ আল্লাহু আকবার বলে প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হয় । কোন সময় পল্লীবন্ধুর ডাক নিয়ে আশার কথা শোনায় ।

আপনে একটা ভন্ডকে চিহ্ণিত করতে পেরেছেন । আমি সবগুলাকে করতে পেরেছি ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৫

আহা রুবন বলেছেন: সামরিক বাহিনীর লোকেরা আমাদেরকে সাধারণ বলে আন্ডারএস্টিমেট করে । কর্পোরেট মিটিংয়ে আমাদেরকে সাধারণ ভোক্তা হিসেবে গণনা করা হয় । সরকারের লোকেরা আমাদেরকে সাধারণ মানুষ হিসেবে গণ্য করে । আদালতের লোকেরা আমাদেরকে মক্কেল হিসেবে মনে করে ।
কবেলমাত্র রাজনীতিবিদরা আমাদের সাধারণ বলে গণ্য করে না । তারা খেলার পুতুল হিসেবে আমাদের গণ্য করে ।


খুব খাঁটি কথা বলেছেন। কথাগুলো খুব পছন্দ হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.