নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেই তো কোন পরিচয়

আহা রুবন

নেই তো কোন পরিচয়

আহা রুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃহত্তর ময়মনসিংহ কেন আজ পচনের মুখে?

২৪ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০৮




অনেক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষে ভালয় ভালয় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগ্নে ফিরে এসেছেন। সোহেল তাজের মত মানুষের ভাগ্নে বলে হয়ত অপহরণকারীরা ভয় পেয়ে কোনও ক্ষতি ছাড়াই সৌরভকে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের বেলায় অপহরণকারীরা কী করত কে জানে! সৌরভ হয়ত ফিরে এসেছে, কিন্তু ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মত অসংখ্য মানুষ হারিয়ে যাওয়াই বলি, আর গুমের কথাই বলি শেষ পর্যন্ত তারা ফিরে আসেনি। কোনদিন ফিরে আসবে বলে সেরকম কোন লক্ষণও নেই। ওইসব পরিবারের কান্না হয়ত কোনদিনই আর থামবে না।

দেশের মধ্যে অপহরণকারীদের দৌরাত্ম্য আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে। লোভের জন্য মানুষ আত্মীয়-স্বজন, আপন ভাইদেরকেও রেহাই দিচ্ছে না। কিছুদিন আগেই বড় ভাই বন্ধুদের মিলে ছোট ভাইকে অপহরণ করেছে টাকার জন্য— এমন খবর আমরা পত্রিকায় দেখেছি।

শিশুদের অপহরণের সঙ্গে মূলত চেনাজানারাই, কাছের মানুষেরাই জড়িত থাকে। তাই শিশুদের সচেতন করা উচিত, অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।

অপহরণের বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও তৎপর হওয়া উচিত। অনেক অপরাধী ধরা পড়ে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কী হয় কোনও খরব থাকে না। অপহরণের শাস্তিটাই-বা কী? আমরা কয়জন জানি? শাস্তির বিধান না জানলে মানুষ কি ভয় পাবে? কিন্তু সেটি গেল ভিন্ন একটি দিক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তারা তাদের কর্মতৎপরতা সব সময় চালিয়ে যাবে, কিন্তু আমাকে যে জিনিসটি খুবই উৎকণ্ঠিত করেছে; সেটি হল বাংলাদেশে শিশু অপহরণ, নারী অপহরণ থেকে শুরু করে পূর্ণ বয়স্ক মানুষদের অপহরণ করার হার আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে। আর কোনও একটি কারণে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা হয়েছে হয়ে উঠেছে অপহরণকারীদের স্বর্গরাজ্য। এ বিষয়ে সমাজ সচেতন মানুষদের অবশ্যই ভাবতে হবে, কেন এই বিশেষ অঞ্চলটিতে ও এর আশেপাশের জেলাগুলিতে এই অপ-তৎপরতা চালাচ্ছে।

ময়মনসিংহ জেলাকে কেন্দ্র করে অপহরণের কয়েকটি লিংক দেয়া হল। যা দেখে কপালে অবশ্যই চিন্তার ভাঁজ পড়বে।
ভালুকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গেছে এক কলেজ ছাত্রকে

ভালুকায় কলেজ ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা

ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে কলেজ ছাত্র খুন,আটক-১ : পিস্তলসহ ১ যুবক আটক

শিক্ষার্থীরাই মুক্তিপণ আদায়ে শিক্ষার্থীকে অপহরণ করছে

ফুলবাড়ীয়ায় কলেজ ছাত্র অপহরণ ২ অপহরণকারীকে গণধোলাই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ ছাত্র অপহরণের দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

ময়মনসিংহে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ ॥ পাচারের আশঙ্কা পরিবারের

ময়মনসিংহ থেকে অপহৃত কলেজছাত্রী ৮ দিন পর উদ্ধার

দুই অপহরণকারীকে ধরিয়ে দিল কলেজ ছাত্র, শিশু উদ্ধার

দেখা যাচ্ছে ছাত্ররাও ইদানীং অপহরণের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। কিছু টাকার জন্য, দামি মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের জন্য তারা সহপাঠী বা জুনিয়র ছাত্রদের অপহরণ করতে দ্বিধা করছে না। একে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও উপায় নেই। এখানে পরিবারের, অভিভাবকদের, সমাজ সচেতন মানুষদের কোথাও না কোথাও অবহেলা রয়েছে। শুধু অপহরণই নয়— ময়মনসিংহ অঞ্চলটা চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, জুয়াখেলা, যৌন-ব্যবসা সবকিছুতেই একটা পচন ধরছে।

সন্ধ্যার পরে পথচারী নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারবে কি না, তার কোন ভরসা নেই। যারা শহরের স্থায়ী বাসিন্দা তারা অতটা ভুক্তভোগী নয়। কিন্তু যাদের মুখ একটু অপরিচিত তারাই সাধারণত ছিনতাইকারীদের শিকারে পরিণত হয়। মোটকথা ময়মনসিংহ অঞ্চলটি এক জঘন্য অরাজক জেলায় পরিণত হয়েছে। অথচ এই ময়মনসিংহবাসী এক সময় যথেষ্ট প্রগতিশীল, সংস্কৃতিমান, সমাজ সচেতন হিসেবে পরিচিত ছিল। এখনও আছে তবে কিছু কুলাঙ্গারের কারণে সব নষ্ট হতে বসেছে। আরও একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই—জাল টাকার ছড়াছড়ি মার্কেটে, প্রধানত কিশোরগঞ্জে। আমার লোকজন যখন ওখানটায় মাল ডেলিভারিতে যেত আতঙ্কে থাকতাম—না-জানি আজ কয়টা জাল নোট নিয়ে আসে! কেন শিল্প-সংস্কৃতিতে অগ্রসর শিক্ষানগরী বলে খ্যাত এই শহরটি এবং আশেপাশের এলাকা দিন দিন ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে— এ বিষয়ে সবাইকে গুরুত্ব-সহকারে চিন্তা করতে হবে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের জন্য অপহরণ একটি বিজনেস মডেল, মনে হচ্ছে; এটিকে আবিস্কার বলা যায় কিনা, সেটা দেখেন!

২৪ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

আহা রুবন বলেছেন: আবিষ্কার বলা না গেলেও সম্ভবত শিল্প তো বলাই যায়।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ময়মনসিংহের একটি উজ্জ্বল অতীত আছে। এককালে এটা শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত ছিল। বহু দানবীরের অর্থ সাহায্যে বহু নামী দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ক্রিকেট খেলায় এ জেলাটি সেই পাকিস্তান আমল থেকেই অগ্রগামী ছিল। স্পষ্টবাদী হিসেবে এ জেলার লোকদের একটা বিশেষ পরিচিতি ছিল, যেমন ছিল সিলেট ও চট্টগ্রামের। জেলাটির বর্তমান অবস্থার কথা জেনে ব্যথিত হ'লাম, শঙ্কিতও বোধ করছি।
জনসচেতনতার স্বার্থে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬

আহা রুবন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেও ব্লগার।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মানূষের হাতে টাকা নেই। চাকরি নেই। তাই বাধ হয়ে মানুষ বাজে কাজ করছে।

২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

আহা রুবন বলেছেন: তার কিছুটা সত্য আছে বৈ কি। কিন্তু আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্ররা যখন জুনিয়র ছেলেদের অপহরণ করে তার ব্যাখ্যা কী? একে নৈতিকতার অবক্ষয় ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে। তাদের তো এখন টাকা কামানো ধান্দা থাকা স্বাভাবিক নয়।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় রুবন ভাই,

বহুদিন পর আপনার পোস্ট দেখে একরাশ আগ্রহ নিয়ে পড়তে এসেছিলাম। কিন্তু অপহরণের খবর পড়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম। ক্রাইম-এর এভাবে বাড়বাড়ন্ত যে কোন সভ্যতা কে পিছনে টানতে বাধ্য।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৪ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

আহা রুবন বলেছেন: মাঝে মাঝে হতাশা এসে গ্রাস করে। কোথায় যাচ্ছি আমরা!

শুভ কামনা রইল প্রিয় লেখক্

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কবে হবে ভোর?

২৪ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

আহা রুবন বলেছেন: নিশ্চয় একদিন ভোর হবেই।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

নতুন বলেছেন: ক্ষমতার অপব্যবহার ্আর প্রশাসনের দূবলতাই এই রকমের কাজ বাড়ায়...

পুলিশ/রেব যদি ততপর হইতো এবং দু`বিত্তরা সরকারী দলের ছায়ায় ছাড় না পেতো তবে অনেক অপরাধ কমে যেত.।

২৪ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আহা রুবন বলেছেন: কালকে কাগজে দেখলাম হাসান মাহমুদ সাহেব বলেছেন--নৌকায় বেশি মানুষ উঠলে ডুবে যাবে। দল ভারি করতে গিয়ে আবর্জনা টেনে এনেছে। তার প্রভাব তো সমাজে পড়বেই।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

করুণাধারা বলেছেন: সারাদেশ যখন পচনের মুখে, তখন ময়মনসিংহ কি একা ভালো থাকতে পারে? পুরো দেশেরই একই অবস্থা! কবে এই আঁধার কাটবে কে জানে!!!

২৪ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

আহা রুবন বলেছেন: ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছেছে কিন্তু মনটা ঘুটঘুটে অন্ধকার!

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পুলিশের কিছু লোকজন এদের চেনে, মনে হয়।

২৪ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আহা রুবন বলেছেন: অবশ্যই চেনে। শুধু পুলিশ কেন এলাকার লোকজন সবাই এদের চেনে। কিন্তু এরা এতটা বেপরোয়া যে কেউ এদের ঘাটায় না।

৯| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৩:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বৃহত্তম ময়মনসিংহ এলাকার বর্তমান আইন শৃংখলার কিছু তথ্য তুলে ধরে সমাজ ও সংস্লিষ্টদেরকে সচেতন করার জন্য । উএল্লখ্য যে সাম্প্রতিককালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলকায় কিছুটা পচন দেখা দিলেও এর রয়েছে প্রাচীন গৌরব গাথা ।বাংলার সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ গীতিকাগুলো বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার পূর্বাংশে নেত্রেকোণা, কিশোরগঞ্জের বিল, হাওর ও বিভিন্ন নদনদী প্লাবিত বিস্তৃত ভাটি অঞ্চল থেকেই হহয়েছে সংগৃহীত , যা ড: দীনেশচন্ত্র সেন কতৃক সংকলিত হয়ে কলিকাতা বিশ্ব হতে প্রকবিশত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে । ময়মনসিংহ গীতিকাভুক্ত ১০ টি পালা যথা মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতী, কমলা, দেওয়ান ভাবনা, দস্যু কেনারামের পালা, রূপবতী, কঙ্ক ও লীলা, কাজলরেখা ও দেওয়ানা মদিনা বিশেষ প্রসিদ্বি লাভ করেছে ।
ধর্ম নয়, পার্থিব জীবনকথাই গীতিকার প্রধান বৈশিষ্ট্য। মৈমনসিংহ গীতিকার দস্যু কেনারামের পালা ছাড়া বাকি ৯টি পালার মুখ্য বিষয় নরনারীর লৌকিক প্রেম।
এই গীতিকাগুলিতে নারী চরিত্রসমূহ প্রেমে দুর্জয় শক্তি, আত্মমর্যাদার অলঙ্ঘ পবিত্রতা ও অত্যাচারীর হীন পরাজয় জীবন্তভাবে দেখিয়েছে । দস্যু কেনারবমের পালাতেও শেষতক দেখিয়েছে মানুষের জন্য মুক্তির বারতা । প্রসঙ্গক্রমে উএল্লখ্য যে
দস্যু কেনানের পালার লেখক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি মহিলা কবি চন্দ্রাবতী( জন্ম: ১৫৫০ – মৃত্যু: ১৬০০ )।
বাংলার বার ভুইয়াদের একজন ঈশা খার স্মৃতি বিজরিত বৃহত্তর ময়মনিসংহ এলাকার কিশোরগেঞ্জর জঙ্গঁলবাড়ি অঞ্চলের পাতুয়াইর ‘কাচারি পাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে চন্দ্রাবতীর শিব মন্দির ।

দস্যু কেনারামের পালা হতে দেখা যায় তারাকান্দা এলাকার কাছাকাছি জালিয়া হাওর অঞ্চলের বাকুলিয়া গ্রামে দেবতার বরে দ্বিজ খেলারাম ও যশোধারা নামক সন্তানহীন এক দম্পতির কুলে জন্ম নেয় কেনান । সাত মাস বয়সে মাতৃহারা হয়ে দেবপুরে নানার বাড়িতে মামির কোলে আশ্রয় নেয় শিশু কেনান। সেখানে দেবতার বরে বেড়ে উঠছিল কেনান। আর পিতা খেলারাম স্ত্রী শোকে হরিনাম জপে হলেন নিরুদ্দেশ। মামির অতি আদর আর শাসনের অভাবে দিন দিন উচ্ছন্নে যেতে লাগল কেনান । টক বগে ভীম সদৃশ কেনান উত্তেজনার বশে স্থানীয় হালুয়ার ডাকাত পুত্রের সঙ্গে মিশতে শুরু করে। একসময় যুবা বয়সের রক্তের গরমে ডাকাতি শুরু করে কেনান। অতি অল্প দিনে খুনে মেজাজ আর হত্যা লিলায় তার নাম দস্যু কেনারাম হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকাময়। হয়ে উঠে দস্যু সরদার ।তার বিবেকহিন নিষ্ঠুরতার গল্প শুনে ভয়ে কেপে উঠত সকলের মন।তার হাতে কত মানুষ লুণ্ঠনের শিকার হল, কত মায়ের বুক খালি হল তার কোন হিসেব রইলনা । এই হত্যা আর লুন্ঠন একদিন বন্ধ হল— (তার জন্মদাতা পিতা) এক সন্ন্যাসীর স্পর্শে।

একদা এক জটায়ু সন্ন্যাসী ভক্তসহ কেনানের জঙ্গল এলাকায় দস্যু কেনারামের আস্তানার পাশ ঘেঁষে হরিনাম আর ভজন গাইতে গাইতে যাচ্ছিল। পথে পড়ল তারা দস্যু কেনারামের সামনে। লুণ্ঠন ও হত্যার জন্য সন্ন্যাস দলকে থামিয়ে দিল দস্যু দল।
“কেমন ঠাকুর তুমি চেন না আমারারে”
হাসিয়া কহেন পিতা ডাকাইতের স্থানে
পাপেরে দেখিয়া বল কেবা নাহি চেনে”
সন্ন্যাসীর কথায় ও ভয়হীন কথামালায় দস্যু কেনারাম চটে তাকে হত্যা করার জন্য খাগড়া তুলে। সন্ন্যাসী তাকে বলে – মানব হত্যা মহা পাপ। ধর্মের নানা কথা বলে নরকের কথা বলে কেনারামকে মানব হত্যা হতে ফিরে আসতে বলে। কিন্তু পাষণ্ড কেনারাম বলে মানুষ হত্যা করে সে খুবই সুখ পায়। কথায় আছে না—
“চোরা না শুনে দেখ ধর্মের কাহিনী
পিশাচ না শুনে রাম অন্তরেতে গ্লানি”
এক পর্যায়ে সন্ন্যাসী তার নাম জিঙ্গেস করে। নাম শুনে ভক্তগন ভয়ে কেদে উঠে। পিতা চিনতে পারে পুত্রকে।
এর পর পুত্র কেনানের কাছে জীবনের শেষ গান গাইবার অনুমতি চায় পিতা। তার পর যেন তাকে হত্যা করা হয়।
দুই চক্ষে অশ্রুর বান তুলে মনসার নাম স্মরে জীবনের শেষ ভজন গাইতে লাগে পিতা। গান শুনে দস্যু কেনারামের মন
বিগলিত হয়।
কেনার ইঙ্গিতে যত ডাকাতিয়া ছিল
আন্ধার নাশিতে সবে মশাল জ্বালিল,
মশালের তেজে হইল বন যে উজালা
সূর্যের পশরে যেমন দিন হইল আলা”।

শেষতক সকল আন্ধকার হলো দুর
পাপাচার আর দস্যুতা হলো পরিহার ।

তাই কামনা করি সেই মধ্যযুগের বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার গৌরব গাথার মত এখনকার ময়মনসিংহের দুর্নাম ঘুচিবে কবে । কোন সে মহর্ষী এসে অপরাধীদের মাঝে জ্বালাবে জীবনের আলো ।

শুভেচ্ছা র'ল


২৫ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

আহা রুবন বলেছেন: অনেক তথ্যপূর্ণ মন্তব্য, যেমনটা আপনার সঙ্গেই মানানসই। নিশ্চয়ই একদিন এই আঁধার কেটে উজ্বল আলো ফিরে আসবে।

১০| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আসলেই কিছু কিছু সংবাদ মনে ভিতর অস্থিরতা আর ভয়ের কারণ হয়ে যায়। মানুষের মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে দিনদিন, সামাজিক অবক্ষয়ের চরম পর্যায়ে বর্তমান সমাজ।

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৪

আহা রুবন বলেছেন: সব কিছুকেই আমরা সরকারের বা পুলিশের কাজ মনে করে নাগরিক দায়িত্বটাকে এড়িয়ে যাই। এ-কারণে সামাজিক অবক্ষয় ভাইরাসের মত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। ধন্যবাদ নয়ন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.