নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

— জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে,বন্ধু হে আমার,রয়েছ দাঁড়ায়ে...

রুদ্র জাহেদ

অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয়— আরো এক বিপন্ন বিস্ময় আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে খেলা করে

রুদ্র জাহেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি হেলাল হাফিজের অজানা উপাখ্যান

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩




কবি হেলাল হাফিজ ফেসবুকে বা গণমাধ্যমে এখন যতটা সহজলভ্য, বছর দুয়েক আগেও অতটা সহজলভ্য তিনি ছিলেন না। অনেকেরই ধারণা ছিল -- তিনি মারা গেছেন অথবা প্রবাসে আছেন, অনেকের মতো আমারও একই ধারণা ছিল। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে আকস্মিকভাবে একদিন জানতে পারলাম তিনি বেঁচে আছেন এবং প্রেস ক্লাবে নিয়মিত বসেন। যার কাছে জানতে পারলাম; তিনি আমাকে হেলাল হাফিজের ফোন নাম্বার দিতে পারেননি, পেরেছিলেন তার ছোট ভাই নেহাল হাফিজেরটা দিতে। নেহাল হাফিজকে কল করে হেলাল হাফিজের ফোন নাম্বার যোগাড় করেছি এবং প্রেস ক্লাবে গিয়ে তাকে খুঁজে বের করে ফেসবুকে তাকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছি, তার ফেসবুক আইডি থেকে ছবি নামিয়ে আমার আইডি থেকে প্রকাশ করেছি, তখন তার আইডিতে ফ্রেন্ডসংখ্যা ছিল ৩৪। এর পর থেকে আমার মতো অন্যরা জানতে পারলেন -- তিনি বেঁচে আছেন এবং এক প্রকারের আত্মগোপনে কিংবা স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা হেলাল হাফিজ আবার মানুষের সাথে মিশতে শুরু করলেন।
.
হেলাল হাফিজের কবিতায় হেলেন নাম্নী এক নারীর বহুল উপস্থিতি আছে, এই নারীকে কেন্দ্র করে তিনি বেশ কয়েকটি মর্মস্পর্শী কবিতা লিখেছেন। হেলেন ছিলেন তার প্রথম প্রেমিকা এবং হেলেনের ব্যাপারে তিনি অতিমাত্রায় সংবেদনশীলও ছিলেন, হেলেনপ্রসঙ্গ উঠলে তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে একসময়ে কান্নাকাটিও করতেন। নেহাল হাফিজ আগেই আমাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন আমি যেন হেলাল হাফিজকে হেলেনপ্রসঙ্গে কোনো প্রশ্ন না করি। প্রথম সাক্ষাতে তাকে আমি হেলেনপ্রসঙ্গে কিছু বলিওনি।
.
২০১২ সালের পহেলা মে নেহাল হাফিজকে আমি দ্বিতীয় দফায় কল করি এবং জানতে পাই হেলেনের মর্মান্তিক গল্প। হেলাল হাফিজের স্কুলজীবনে হেলেনের সাথে প্রেম হয়, তারা ছিলেন প্রতিবেশী। দীর্ঘ প্রেমের পর দুই পরিবারে ঘটনাটি জানাজানি হয়। হেলেনের বাবা ছিলেন দারোগা আর হেলাল হাফিজের বাবা স্কুলশিক্ষক। হেলাল হাফিজের বাবা দারোগার মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দিতে চাননি, এ নিয়ে দুই পরিবারে বিরোধ ঘটে এবং হেলাল হাফিজ হেলেনকে বিয়ের ব্যাপারে কথাবার্তা বললে হেলেনও নির্বিকার থাকেন। পরে হেলেনের বিয়ে হয় ঢাকার একটি সিনেমা হলের (সম্ভবত মুন সিনেমা হল) মালিকের সাথে।
.
হেলেনের বিয়ে হয়ে যাবার পর হেলাল হাফিজ দশ-পনেরো দিন কারো সাথে কোনো ধরনের কথা বলেননি। তার ভাবি তার বিয়ের জন্য তাকে কোনো মেয়ের ছবি দেখালেই তিনি বলতেন, 'ভাবি, এই মেয়েটা দেখতে ঠিক আমার মায়ের মতো।' এর পর তার ভাবি তাকে আর কোনো মেয়ের ছবি দেখাতে সাহস করেননি।
.
তীব্র দুঃখ বুকে চেপে নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান হেলাল হাফিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেখাপড়াও করেছেন। ব্যতিক্রমী ও সহজবোধ্য কবিতা লেখার ফলে তার খ্যাতি ক্যামপাস থেকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ল দেশব্যাপী। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তার আলোড়ন সৃষ্টিকারী কাব্যগ্রন্থ 'যে জলে আগুন জ্বলে'।
.
হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি 'যে জলে আগুন জ্বলে' বইটিও কিনে বাসায় নিয়ে যান। হেলেন যখন দেখতে পেলেন বইটির পুরোটা জুড়ে বিধৃত আছে হেলেন-হেলাল প্রেমউপাখ্যান, আছে হেলালের কষ্টের ইতিবৃত্ত আর হেলেনের জন্য হেলালের শব্দে-শব্দে নিঃশব্দ হাহাকার; তখন ক্রমশ তার মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটে, তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। হেলেনের স্বামী দেশে-বিদেশে হেলেনের উচ্চচিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও হেলেন আর ভারসাম্য ফিরে পাননি। একপর্যায়ে স্বামীর কাছ থেকে হেলেন তালাকপ্রাপ্ত হন।
.
হেলেন এখন নেত্রকোনায় আছেন। এখন তিনি বদ্ধ উন্মাদ। নেহাল হাফিজের ভাষ্যমতে -- হেলেনকে এখন শেকল পরিয়ে ঘরে বেঁধে রাখতে হয়, ঘুম পাড়িয়ে রাখতে হয় ওষুধ খাইয়ে; অন্যথায় তিনি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন।
.
পঁয়ষট্টি পেরুনো হেলাল হাফিজ আজও বিয়ে করেননি। যখনই তাকে জিজ্ঞেস করেছি বিয়ে না করার কারণ, তিনি জবাবে বলেছেন -- 'আমি যে কাউকে বিয়ে করিনি, তা নয়; বরং আমাকেই কেউ বিয়ে করেনি!'
.
কবিরা এই সমাজের অত্যন্ত নিগৃহীত একটি সম্প্রদায়। আর্থিক অনটন থেকে সব ধরনের অনটন কবিকে সদাসর্বদা ঘিরে রাখে। কবিদের ব্যাপারে অনেকেই বিভ্রান্ত। অনেকেরই ধারণা কবিমাত্রই বহুগামী; নারীদের ধারণা -- কবিরা নারীবেষ্টিত থাকেন, অতএব কবিতাকে ভালোবাসা গেলেও ব্যক্তি কবিকে ভালোবাসা যাবে না। এসব ধারণা আর পালটা-ধারণার জাঁতাকালে পড়ে কবি শেষতক নিঃসঙ্গই থাকে, জনতার মাঝে নির্জনতা তাকে ঘিরে রাখে অকটোপাসের মতো। কবির দুঃখ অনুধাবন করতে পারে, কবি ছাড়া এমন ব্যক্তির পরিমাণ নগন্য।
.
ব্যক্তি হিশেবে কবি হয়তো তুচ্ছ, কিন্তু কবিদের অলৌকিক ক্ষমতা প্রবল। কোনো নারী যদি কবিতার সমঝদার হয়, কবিকে যদি সে এক মুহূর্তের জন্যেও ভালোবেসে থাকে, ভালোবাসার পর যদি সে বঞ্চিত বা প্রতারিত করে কবিকে; তা হলে তাকে নিয়ে কবির রচিত কবিতা একসময়ে তার (ঐ নারীর) জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াবেই। ঐ কবিতা ঐ নারীর স্বাভাবিক জীবনকে পরবর্তীকালে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করবে, মানসিক যন্ত্রণায় জীবদ্দশাতেই সে অজস্রবার মারা যাবে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হেলাল হাফিজের হেলেন।
.
একেকটি কবিতা একেকটি বঞ্চনার ফসল। বঞ্চনাই কবির কবিতাকে ঋদ্ধ-সিদ্ধ-সমৃদ্ধ করে। তাই বলে কবিকে পদে-পদে বঞ্চিত করতে নেই। মাত্রাতিরিক্ত বঞ্চনা কখনোই ভালো ফল নিয়ে আসে না। কবিকে যে লাগামহীনভাবে বঞ্চিত করে, তার চারিদিকে সদা ঘুরে বেড়ায় হেলেনের শেকল!
.
গ্রন্থ : প্রিয়াঙ্গনে রণাঙ্গনে
আখতারুজ্জামান আজাদ

ফিরে দেখা: জানুয়ারি ২০১৪। একটি সংকলন পোস্ট।

কবি হেলাল হাফিজের অজানা উপাখ্যান

♣ অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪'তে সামহোয়্যার ইন ব্লগারদের বই ♣

কবিতা একাত্তর//যে জলে আগুন জ্বলে - হেলাল হাফিজ

কবিতা একাত্তর।।যে জলে আগুন জ্বলে।।হেলাল হাফিজ

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

ছন্দ্বহীন বলেছেন: কবি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেল। অনেক ধন্যবাদ রুদ্র জাহেদ ভাই।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে ফেলার জন্য।ভালো থাকুন সবসময়

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: om।ভাবতে অবাক লাগে

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অনেকটা তাই

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

নীলসাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা
কিছু জানা এবং কিছু অজানা কথা পড়লাম।

ভালো লাগা রইলো রুদ্র জাহেদ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখক

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

শায়মা বলেছেন: কি কষ্টকর! :(

হেলাল হাফিজের কবিতারা তাই হৃদয়ের মাঝে ঢুকে যায়। পোস্টটা প্রিয়তে রাখলাম ভাইয়া।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১০

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: হ্যাঁ আপুনি,এজন্যই প্রিয় কবির কবিতারা হৃদয়ে গেঁথে থাকে

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছোট্ট একটা জীবন । মাত্র ১ জনের জন্য থেমে যেতে পারে না। কবি বা কবির প্রেমিকা দুজনের কাছ থেকে বাহবা দেয়ার মত বা প্রেরণা নেয়ার মত কোন ঘটনা নয় এটা। দুঃখিত।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বাস্তবতা
নির্মমই হয়, আপনি ধরতে পারেন নাই।
উপলব্ধি করার মতো প্রত্যক্ষ এবং
পরোক্ষভাবে অনেককিছুই
রয়েছে লেখাতে।ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।নিরন্তর ভালো থাকবেন

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

মিহির সাহা বলেছেন: ১৯৮৩ সনে যখন বরিশাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি হই,তখন একটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠন আমাদের হেলাল হাফিজের "দুঃসময়ে আমার যৌবন" নামের কবিতা দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে ছিল। তখনই তাঁর অসাধারণ লেখনীর কথা প্রথম জানতে পারি। স্যালুট হেলাল হাফিজ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: দারুন।ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: হেলাল হাফিজের সাথে প্রথম পরিচয় তাঁর জীবনযুদ্ধের এমন একটি ক্ষেত্রে, বুঝতে সেদিন ভীষণ কষ্ট হয়েছিলো তিনিই লিখেছেন, এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়


শুভকামনা অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: প্রিয় কবি।ধন্যবাদ
আপনিও অনেক অনেক ভালো
থাকবেন

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

হাবিব কবি বলেছেন: thanks

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।ভালো থাকুন সবসময়

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

দরবেশমুসাফির বলেছেন: প্রিয়তে। খুব ভালো লেখা। হেলাল হাফিজের নামই জানতাম শুধু। আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু জানা গেল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এটা একটি বই থেকে নেওয়া।বইয়ের নাম "প্রিয়াঙ্গনে রণাঙ্গনে"--লেখকঃ আখতারুজ্জামান আজাদ।

ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।ভালো থাকুন সবসময়

১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৩

এহসান সাবির বলেছেন: আপনার এই শেয়ার গুলো আমার অনেক ভালো লাগে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।কিছু সহজ সুক্ষ্ম বিষয় অনেকেরই জানা থাকে না অথবা গভীর থেকে ফিল করে না।এগুলো সংরক্ষণ করে রাখলে হঠাৎ দেখে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে মানুষিকতার পরিবর্তন ঘটতে পারে...

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, এই লেখাটা শেয়ার করার জন্যে। লেখাটা পড়তে ভালোই লাগলো, তবে মনের মধ্যে কোথায় যেন কি একটা খচখচ করছে।
ঐ কবিতা ঐ নারীর স্বাভাবিক জীবনকে পরবর্তীকালে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করবে, মানসিক যন্ত্রণায় জীবদ্দশাতেই সে অজস্রবার মারা যাবে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হেলাল হাফিজের হেলেন। -- এ ব্যাপারে হেলেনের বক্তব্য তো জানা হলো না। এত কঠিন কথা কবি হেলাল হাফিজ নিজেও হেলেনকে বলবেন কিনা জানিনা।
কবিকে যে লাগামহীনভাবে বঞ্চিত করে, তার চারিদিকে সদা ঘুরে বেড়ায় হেলেনের শেকল! -- নাহ, এতটা কঠোর হতে পারছিনা। সব কবিরাই বোধহয় মনে প্রাণে চান, শত বঞ্চনার পরেও তাদের হেলেনেরা ভালো থাকুক।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত সুপ্রিয় লেখক।আসলে কথাগুলো লেখক হয়ত একটুখানি ক্ষোভ থেকেও বলেছেন।সত্যিকার অর্থে যদি ভালোবাসা হয় তাহলে কখনো ভালোবাসার মানুষটির অকল্যাণ প্রত্যাশা করা সম্ভব নয়।অবশ্য তার জন্য সেই মানুৃষটির মাঝে মানুষের জন্য মানুষের যে গভীর মানসিকতাবোধ থাকা প্রয়োজন!অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন সবসময়

১২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

অগ্নিপাখি বলেছেন: ্কবি হেলাল হাফিজ এর "যে জলে আগুন জ্বলে" বইটি সংগ্রহে আছে। আমার জানামতে তিনি এই একটিমাত্র গ্রন্থই লিখেছেন। এখনও মন খারাপ থাকলে উনার কবিতা পড়ি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: প্রিয় কবিদের একজন হেলাল হাফিজ।২০১২ সালে বিভাস প্রকাশনী থেকে "কবিতা একাত্তর" নামে আরেকটা বই প্রকাশিত হয়েছেতো।এটাতে প্রথম যে জলে আগুন জ্বলে এবং তার সাথে নতুন করে "অচল প্রেমের গদ্য--"সিরিজের অনেকগুলো কবিতা রয়েছে।অতিরিক্ত পাওয়া হলো--বইটিতে প্রত্যেকটা কবিতা ইংরেজি অনুবাদসহ আছে।অনুবাদ করেছেনঃযুবক অনার্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.