নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গবেষক, পাঠক ও লেখক -- Reader, Thinker And Writer। কালজয়ী- কালের অর্থ নির্দিষ্ট সময় বা Time। কালজয়ী অর্থ কোন নির্দিষ্ট সময়ে মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর বিজয়। বিজয় হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী চিন্তার বিজয়।

*কালজয়ী*

সভ্যতার উৎকর্ষ শুরু মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর মাধ্যমে। ক্রম উন্নয়নের ধারায় শিক্ষা-ক্ষেত্রে কলমের কালীর রং কখনো কালো, কখনওবা সাদা। প্রাথমিক যুগে আবক্ষ শক্ত ভিত্তিতে (ব্লাকবোর্ডে) লিখতে ব্যবহৃত হত সাদা চক যা এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে সাদা বোর্ডে কালো মার্কার কলম ও কালো বোর্ডে সাদা মার্কার কলম। কি-বোর্ডে সাদা-কালো অক্ষর বাটন নব প্রযুক্তির অবদান। Believes in the ultimate potential of Human Mind……

*কালজয়ী* › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাওড়ের দুর্যোগঃ নৈশ্যব্দের জনতা!

০১ লা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

সুনামগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের ১ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর আবাদি জমির পুরোটাই এখন পানির নিচে। জেলা কৃষি অফিসের হিসাবে, সুনামগঞ্জে শুধু ফসলই নষ্ট হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। নেত্রকোনায় ৬৫ হাজার হেক্টর বোরো পানির নিচে। মত্স্যসম্পদ নষ্ট হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি টাকার। কিশোরগঞ্জে ২৩ হাজার, হবিগঞ্জে সাড়ে ১৩ হাজার ও মৌলভীবাজারে ১৩ হাজার হেক্টর বোরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবছর বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠ মাসে ধান যখন কাঁচা থাকে, ভারতের চেরাপুঞ্জি, আসাম ও মেঘালয় থেকে সুরমা-কুশিয়ারা বেয়ে পানি আসে হাওরে, যা আটকাতে বাঁধ দিতে হয়।

২৯ মার্চ হাওর এলাকায় পানির উচ্চতা ছিল ২ দশমিক ৪৭ মিটার। কিন্তু এরপর টানা বৃষ্টিতে ৪ দিনের মধ্যে পানির উচ্চতা ২ দশমিক ৪৭ মিটার থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ১৭ মিটার হয়। আর আমাদের বাঁধের উচ্চতা ৬ দশমিক ৫ মিটার। এতে বাঁধ উপচে পানি হাওরে ঢুকে যায়। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না থাকায় এপরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিসঃন্দেহে বলা যায়। এরপর ধান কেটে ফেলার পর আরও একবার পানি আসে, যা হাওরের জন্য আশির্বাদ; সব রোগ-বালাই ধুয়ে যায় সেই পানিতে। সেই পানি আটকালে হাওরের জন্য ক্ষতি হয়। তাই বাঁধ কত বড় করে দিলাম তা মুখ্য নয়, সময়মত বাঁধ দিতে হয়। এবার ১৫ দিন আগে চলে এসেছে বলেই হাওরের এই অবস্থা।”
সময়মত বাঁধ না দেওয়া এবং হাওরের দুর্যোগের পেছনে অন্যতম কারন। “প্রতিবছরই বাঁধ নিয়ে তাল-বাহানা চলে, দুর্নীতি হয়। নয় ফিটের কথা বলে তিন ফিট বাঁধ বানানো হয়। অব্যবস্থাপনা চলে লাগামহীন।”

এবার পানিতে তলিয়ে ফসলহানির পর হাওরাঞ্চল ঘুরে এসে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে হাওর গবেষক মুজিবুর রহমান বলেন, “হাওরে আজ সবাই দুর্গত, চরম অবস্থার মধ্যে বাস করছে সবাই। কবরস্থান ভেঙে লাশ ভেসে যেতে দেখেছি।”
নিজেকে ‘হাওর অঞ্চলের মানুষ’ হিসেবে অভিহিত করে মুজিবুর রহমান বলেন, “ত্রাণ নেওয়ার মানসিক অবস্থা আমাদের নেই। যে চাষি ১০০ মন ধান ফলাত, ১০ কেজি ধান তার ক্ষতি মিটাবে? “সত্যি যদি হাওরের মানুষদের উপকার করতে চান, সুদমুক্ত ঋণ ও গবাদি পশুর খাদ্য দিন; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন ও আগের ঋণের সুদ মওকুফ করুন। স্পেশাল টিম করে স্বাস্থ্য সেবা দিন।” পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, “হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম খুবই খুবই ইউনিক, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া যা ঠিকমত ম্যানেজ না করা সম্ভব নয়।” ‘বিকল্প উপায়’ খুঁজে দেখার পরামর্শ দিয়ে এই প্রবীণ পরিবেশবিদ বলেন, “শুধু বোরো ধান নয়, এ অঞ্চলে অন্যান্য ফসলও চাষ করা উচিত। বর্ষাকালে হাওরে পানি উঠার কারণে এ অঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পরে, তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শাল্লায় হাওড় এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রায় দেড় লাখ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে চাল ও অর্থ সহায়তা দেবেন শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন। ঘুরে দেখেছেন হাওরাঞ্চলের পরিস্থিতি। মতবিনিময় করেছেন সুধীজনদের সাথে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর ভাষ্য, পরিস্থিতি এখনো তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার সামর্থ্য তাঁদের রয়েছে। বস্তুত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া কিভাবে হাওড়বাসির দুর্দশা লাঘব হবে আদৌ বোধগম্য নয়।


ত্রাণমন্ত্রী জানান, হাওরের ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে আগামী ১০০ দিন প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আর ৫০০ করে নগদ টাকা দেওয়া হবে। এ জন্য ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

হাওর প্লাবিত হওয়ার পেছনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি বা দুর্নীতি দায়ী কি না—এমন প্রশ্নে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতি বৃষ্টি হওয়ায় এই প্লাবন হয়েছে। হাওরের বাঁধ টপকে পানি ঢুকেছে। ফলে এই বাঁধ আরও উঁচু করা যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ ফসলের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে বলেন, যে ক্ষতি হয়েছে, এতে দেশের মোট খাদ্য উৎপাদনের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কারণ, বৃষ্টি হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকায় ধানের উৎপাদন বাড়বে।

১। সীমান্তের ওপারে মেঘালয় রাজ্যে অপেন-পিট মাইন রেডিওএক্টিভ রাসায়নিক থাকায় পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ভেসে আসা ইউরেনিয়াম হাওড়ের পানিকে বিষাক্ত করে তুলেছে।
Amid a massive public outcry, the Uranium Corporation of India Ltd (UCIL) was forced to withdraw from a pilot uranium extraction back in 1992, only to get mining clearance from the Indian Ministry of Environment and Forests recently.

UCIL is up for setting up an open-cast uranium mine and processing plant there with production target of 375,000 tonnes of uranium ore a year and processing 1,500 tonnes a day, according to Indian media reports.

২। ভারতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে যেসব খনির কাজ হচ্ছে খনিজ দূষণ বহন করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে তার সুস্পষ্ট সন্দেহজনক আলামত পাওয়া রাসায়নিক এর উপস্থিতি। দেশটি কখনই আঞ্চলিক ও প্রতিবেশি দেশের প্রাণ-পরিবেশের ব্যাপারে দায়িত্বশীলতা দেখায়নি। পচা ধান ডুবে যাওয়ার কারণে পচে পানির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেছে।
৩। মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাসুদ হোসেন খান বলেন, হাওরের পানি পরীক্ষা ও মরা মাছ পরীক্ষা করে প্রাথমিক কারণ হিসেবে আমরা দেখেছি হাওরে অস্বাভাবিক অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং মাত্রাতিরিক্ত এমোনিয়া গ্যাসের আধিক্য। অন্য কোন কারণ আছে কি না তা জানতে আরো বিশেষ পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার দরকার। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ১৫-২০দিন লাগতে পারে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গত সপ্তাহে নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বিভিন্ন হাওরে মাছের মড়ক অনুসন্ধান করে এমোনিয়া গ্যাসের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও অক্সিজেন কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল। পানির উপরে এখনো অক্সিজেন দ্রবীভূত মাছ অনেকটা দুর্বল।



৪। প্রজনন মওসুমে মাছের এই মহামারি হাওরের মৎস্য সম্পদে সুদূর প্রসারি প্রভাব ফেলবে। যা পূরণ হওয়া কঠিন হবে। সুনামগঞ্জের উদ্ভিদবৈচিত্র্য গবেষক কল্লোল তালুকদার বলেন, বিলুপ্তপ্রায় রিটা মাছসহ নানা প্রজাতির মাছ মরে যাচ্ছে। সকল হাওরে কমবেশি এসব মাছ মারা যাওয়ায় এই প্রজনন মওসুমে হাওরে মাছের সংকট দেখা দিতে পারে। এটা হাওরের জলজ জীব-বৈচিত্র্যের জন্য বড় হুমকি।

৫। সুনামগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের ১ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর আবাদি জমির পুরোটাই এখন পানির নিচে। জেলা কৃষি অফিসের হিসাবে, সুনামগঞ্জে শুধু ফসলই নষ্ট হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। নেত্রকোনায় ৬৫ হাজার হেক্টর বোরো পানির নিচে। মত্স্যসম্পদ নষ্ট হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি টাকার। কিশোরগঞ্জে ২৩ হাজার, হবিগঞ্জে সাড়ে ১৩ হাজার ও মৌলভীবাজারে ১৩ হাজার হেক্টর বোরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

৬। আকস্মিক প্লাবনে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাওড়াঞ্চলের ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবার। সুনামগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্যালয়ের তথ্যমতে, জেলায় আসা ৫২ লাখ টাকার ত্রাণের মধ্যে ৪৮ লাখ টাকা উপজেলা হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কাছে গেছে। জেলা সদরে নয়টি ও উপজেলাগুলোয় ৩৩টি বুথ খুলে ওএমএসের চাল ও আটা বিতরণ করা হচ্ছে। নেত্রকোনায় খয়রাতি সহায়তা দেয়া হয়েছে ৩২৭ টন চাল ও নগদ ২১ লাখ টাকা।

৭। সব হারিয়েছেন জমির মালিক ও বর্গাচাষী। ফসল তুলতে যাদের দিনমজুরের কাজ করার কথা ছিল, তারাও এখন কর্মহীন। হাওড়বাসীর অধিকাংশের ঘরেই মজুদ খাবার ফুরিয়ে গেছে। জেলা ও উপজেলা সদরে ভিজিএফ ও ওএমএসের মাধ্যমে কেউ কেউ কিছু সহায়তা পেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো তা পৌঁছেনি।

সুনামগঞ্জের হাওরে মাছ ও জলজপ্রাণীর অস্বাভাবিক মড়ক এবং পানির গুণাগুণ নষ্ট হওয়ায় সরকারের বিভিন্ন দফতরের গবেষকদল হাওরে কাজ শুরু করেছে। দুটি দল একাধিক হাওর পরিদর্শন করে জানিয়েছে এমোনিয়া গ্যাস বৃদ্ধি, অক্সিজেন ও পিএইস অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় মাছ মারা যাচ্ছে এবং পানি দূষিত হচ্ছে। পানিদূষণ রোধে মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি উপজেলায় চুন ও জিওলাইট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয় নিয়েই হাওরে গবেষণায় নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের একটি গবেষণা দল। গত সপ্তাহে কাজ করে চলে গেছে আরেকটি দল। তবে মাছের মড়ক ও পানি দূষণের প্রকৃত কারণ জানতে হলে আরো ১০-১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তাছাড়া দলটি আরো জানিয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য টাঙ্গুয়ার হাওরে মাছ ও জলজ প্রাণী মারা গেলেও অন্য হাওরের তুলনায় তা কম। তবে হাওরের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

গত ১৬ এপ্রিল রাতে কালবৈশাখী ঝড় হয়। পরদিন থেকেই মাছ মরা শুরু হয়। জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরে প্রথমে মাছ মরার কথা জানা যায়। উল্লেখ্য জেলার প্রথমেই এই উপজেলার নলুয়ার হাওরটি বাঁধ ভেঙে কাচা ধান নিয়ে তলিয়ে যায়। পরদিন জেলার সকল হাওরেই কম বেশি মাছ মরতে থাকে। ১৮ এপ্রিল থেকে মাছের মড়কের পাশাপাশি হাওরে দুঃসহ গন্ধ বেরুতে থাকে। কাঁচা ধানের পচা গন্ধ ও মাছ মরে পচে যাওয়ার গন্ধ ভয়াবহ রূপ নেয়। হাওরঘেরা গ্রামের বাসিন্দারা তীব্র দুর্গন্ধের কারণে চলাফেরা করতে পারছেনা। এই সময় মাছের সঙ্গে শামুক, জোঁক, শাপসহ নানা জলজ প্রাণীও মারা যায়। যা হাওরের জীব-বৈচিত্র্যের উপর সুদূর প্রসারি প্রভাব পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

স্বল্প মেয়াদে কৃষি, মৎস্য, পশু, পশু খাদ্যের ক্ষতি পোষাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রোগ ব্যাধির সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মেডিক্যাল ফেসিলিটি বাড়াতে হবে। হাওড় রিমোট হওয়ায় সেখানে স্বাস্থ্য সেবা একেবারেই অনিয়মিত। বাধের উচ্চতা ও পানি আটকানোর সক্ষমতা যাচাই না করা হলে, কনক্রিট এর বেইজ সাপোর্ট হীন শুধু মাটির বাধ দিলে সেটা আবার ভেঙে যাবে। এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সুনামগঞ্জের হাওড়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফ করে নতুন ঋণ দিতে হবে।সুনামগঞ্জ হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করতে হবে।ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য উপকরণ সরবরাহ করতে হবে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়ী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

হাওরের পানির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করে পানির কোয়ালিটি কোন পর্যায়ে আছে তা পর্যালোচনা জরুরী। এবং ডিজেল অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, ফসফেট ফসফরাস সহ নানা প্যারামিটার পরীক্ষা করে দেখা দরকার। হাওরের জলজ পরিবেশে এমোনিয়া গ্যাসের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জলজ পরিবেশের দুরবস্থার জন্য দায়ী কিনা তাও পরীক্ষা করা দরকার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.