নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গবেষক, পাঠক ও লেখক -- Reader, Thinker And Writer। কালজয়ী- কালের অর্থ নির্দিষ্ট সময় বা Time। কালজয়ী অর্থ কোন নির্দিষ্ট সময়ে মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর বিজয়। বিজয় হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী চিন্তার বিজয়।

*কালজয়ী*

সভ্যতার উৎকর্ষ শুরু মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর মাধ্যমে। ক্রম উন্নয়নের ধারায় শিক্ষা-ক্ষেত্রে কলমের কালীর রং কখনো কালো, কখনওবা সাদা। প্রাথমিক যুগে আবক্ষ শক্ত ভিত্তিতে (ব্লাকবোর্ডে) লিখতে ব্যবহৃত হত সাদা চক যা এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে সাদা বোর্ডে কালো মার্কার কলম ও কালো বোর্ডে সাদা মার্কার কলম। কি-বোর্ডে সাদা-কালো অক্ষর বাটন নব প্রযুক্তির অবদান। Believes in the ultimate potential of Human Mind……

*কালজয়ী* › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্বাত্বিক পদার্থবিজ্ঞান (Theoretical Physics), গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান (Mathmetical Physics) সামাজিক পদার্থবিদ্যা (Social Physics): পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ত্বাত্বিক ভিত্তি ও সম্ভাবনাময় বৈশ্বিক আনবিক শক্তি-------২

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:১৬

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবস্থানঃ

রূপপুর পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র বাংলাদেশে নির্মানাধীন ২.৪ Gigawatt electrical (GWe) পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র। পদ্মানদী বিধৌত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে নির্মিতব্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঢাকা থেকে ৮৭ মাইল(১৪০ কিলোমিটার) পশ্চিমে ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র ও প্রথম দুই ইউনিট চালু হওয়ার সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে ২০২৩-২৫ সাল।



পারমানবিক বিদ্যুৎ এর বাস্তবতাঃ

বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক প্রযুক্তি আর্থিক, কারিগরি ও পরিবেশগত দিক দিয়ে সুবিধাজনক। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের গ্রহণযোগ্যতা আজ সর্বজনবিদিত। আজকের বিশ্বে ঘনবসতিপূর্ণ ও স্বল্প জ্বালানী সম্পদের অধিকারী উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত রাষ্ট্রসমূহ তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কর্মসূচীকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি অন্যতম বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক প্রযুক্তির নির্ভরতার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণসমূহ হল-

(১) পারমাণবিক প্রযুক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিশ্চয়তাদানকারী টেকসই উৎস,
(২) এটা জ্বালানী শক্তি আমদানিতে নির্ভরতা হ্রাস করে,
(৩) বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে পারমাণবিক প্রযুক্তি একটি উপায় যা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে নির্ভরযোগ্য ও উন্নততর করে,
(৪) আর্ন্তজাতিক শক্তি-সরবরাহ বাজারে নিয়মিতভাবে তেল/গ্যাস সরবরাহের অনিশ্চয়তা এবং জ্বালানি শক্তিতে উন্নত দেশসমুহে তেল/গ্যাস-এর মজুদ দ্রুত হৃাস পেতে থাকা,
(৫) আর্ন্তজাতিক বাজারে তেল/গ্যাস-এর মূল্য সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা,
(৬) গ্রীন-হাউস গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাসের মাধ্যমে বৈশ্বিক উঞ্চতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান এবং
(৭) তেল-গ্যাস রফতানীকারক দেশসমূহে ২০১১ সালের রাজনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন। এ সকল বিবেচনায় এশিয়া মহাদেশ ভবিষ্যতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রযুক্তি ব্যবহারের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হতে যাচ্ছে।

সহযোগিতায় যে দেশগুলোঃ

১৯৮৫ সালে ITER (International Thermoneuclear Experimental Reactor) ২৮ টি দেশ (USA, Russia, EU) এর সমন্বয়ে গঠিত হয় যা বর্তমান প্রজেক্ট ফিউশন এনার্জিকে (পারমাণবিক প্রযুক্তি, শক্তি ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা) নেতৃত্ব দিচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি কমিশন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানকাজে মৌলিক সহযোগিতা করছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত এই প্রজেক্টে রাশিয়ার সাথে যুক্ত। বিশ্ব পারমাণবিক পরিদর্শক আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার ৬১তম সাধারণ সম্মেলনে এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় আনবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান Mr. Shekhar Basu। যদিও ভারত পারমাণবিক শক্তি সরবরাহকারী দলের (NSG- পদার্থগত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, পরমানু প্রযুক্তি ব্যবসা সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত দল) সদস্য নয়।

পারমানবিক বিদ্যুৎ-প্রযুক্তি, গবেষণা ও বর্তমান বিশ্বঃ

পারমানবিক পদ্ধতিতে বর্তমানে পৃথিবীর উৎপন্ন বিদ্যুতের পরিমাণ মোট উৎপন্ন বিদ্যুতের প্রায় ১০.৯ শতাংশ। ৩০টি দেশে ৪৪৯টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ১৪টি দেশে আরও ৬৫টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ ২৭টি দেশে ১৭৩টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।



উল্লেখ্য, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বর্তমানে ২১ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি চালু রয়েছে। এছাড়া আরও ৬ টি নির্মাণাধীন রয়েছে এবং ২৪ টি পারমাণবিক চুল্লি পরিকল্পনাধীন রয়েছে। দেশটি ২০২৪ ও ২০৫২ সাল নাগাদ যথাক্রমে ২৭,৪৮০ মেগাওয়াট ও ৬৩,০০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।









অন্যদিকে, চীনে বর্তমানে ৩০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি চালু রয়েছে। এছাড়া আরও ২৪ টি নির্মাণাধীন রয়েছে। দেশটি আগামী ২০২০ সাল নাগাদ ৩০,০০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।















বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বের ষষ্ঠতম দেশ। দেশটিতে বর্তমানে বিদ্যুতের মোট চাহিদার প্রায় ২৮ শতাংশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে, ২৫ টি পারমাণবিক চুল্লি চালু রয়েছে এবং নির্মাণাধীন রয়েছে ৩টি এবং আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দেশটি মোট চাহিদার ৪৯% পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। একটি অনুন্নত পর্যায় (least developed country) থেকে উন্নত পর্যায়ে (developed country) উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে পারমাণবিক প্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন- এর একটি উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া।

ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ যেমন-ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়াও বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তেল-সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২০ সালের মধ্যে ৪টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যে তিনটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। আগামী বিশ বছরের মধ্যে সৌদি আরবে ১৬ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের নাইজেরিয়া ও কেনিয়া, ইউরোপের তুরস্ক, বেলারুশ, পোলান্ড প্রভৃতি দেশসমূহ প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি যথেষ্ট উন্নত ও নিরাপদ এবং এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে Energy Security'র অন্যতম পদ্ধতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বর্তমানে যে সমস্ত দেশগুলোর পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে......



ঐতিহাসিক পরিক্রমায় বাংলাদেশে আনবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তাবনাঃ একুশ শতকে পারমাণবিক বিদ্যুতের হাতছানি

বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৬১ সালে। সেই লক্ষ্যে পাবনা জেলার রূপপুরে প্রকল্প এলাকার জন্য প্রায় ২৬০ একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করে ভূমি উন্নয়ন, অফিস, রেষ্ট হাউজ এবং বৈদ্যুতিক সাব-ষ্টেশন নির্মাণসহ ৭২টি আবাসিক ইউনিটের নির্মাণ কাজও আংশিকভাবে সম্পন্ন করা হয়।

১৯৬৪-৬৬ সালে কানাডা সরকারের সাথে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সুইডেন ও নরওয়ে সকারের সাথেও আলোচনা চলতে থাকে। কিন্তু আলোচনায় কোন অগ্রগতি হয়নি।

প্রকল্প বাস্তবায়নের অনেকগুলো সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর তৎকালীন সরকার কর্তৃক ১৯৬৩-৬৯ সালে প্রকল্পটি অনুমোদিত হওয়া সত্ত্বেও অনিবার্য কারণে এতদ্সংক্রান্ত কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পড়ে, বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে আলোচনা শুরু করে। কিন্তু কোন চুক্তিতে উপনীত হয়নি।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭৭-৮৬ সালে এম. এস. সোপারটম কর্তৃক ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন, ‘একনেক’ কর্তৃক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (১২৫ মেগাওয়াট) অনুমোদন এবং যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জার্মানী থেকে প্রস্তাব করা হয়। ১৯৮৭-৮৮ সালে জার্মানী ও সুইজারল্যান্ডের উদ্যোগে আরেকটি ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হয়।

১৯৯০ এর শেষের দিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ড শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে উপরোক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্বেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও জীবাশ্ম জ্বালানীর উপর অধিকতর নির্ভরশীলতা এবং যথোপযুক্ত পদক্ষেপের অভাবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৯৬ সালে তদানীন্তন সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং জাতীয় জ্বালানী নীতি, ১৯৯৬ এ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা হয়। ১৬ অক্টোবর, ১৯৯৭ তারিখে তৎকালীন সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আই,এ,ই,এ-এর সুপারিশমালার আলোকে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রাক-বাস্তবায়ন পর্যায়ের কার্যাবলী বিশেষ করে সাইট নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রণয়ন ও মানব সম্পদ উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।

২০০০ সালে সরকার কর্তৃক Bangladesh Nuclear Power Action Plan অনুমোদিত হয়। ২০০১ সালে সরকার জাতীয় আনবিক শক্তি পরিকল্পনা গ্রহন করে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার পুনরায় রাশিয়ান সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি পারস্পারিক বোঝাপড়ায় সাক্ষর করে। ২০০৯ সালে সরকার “ভিশন-২০২১”- বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে ২০২১ সালের মধ্যে ২০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিতকরণকল্পে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে ১৩ মে ২০০৯ তারিখে একটি ‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার’ বিষয়ক একটি ‘সমঝোতা স্বাক্ষর’, ২১ মে ২০১০ তারিখে ‘Framework Agreement’ স্বাক্ষর এবং ০২ নভেম্বর ২০১১ তারিখে রূপপুরে প্রতিটি আনুমানিক ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন দু’ ইউনিট বিশিষ্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।











রাশিয়ান সংস্থা রোসাটম নির্মান শুরু করে ২০১৩ সালে। ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ের নির্মাণ কার্যাদি সম্পাদনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের State Export Credit সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বর্ণিত চুক্তি মোতাবেক প্রযুক্তি সরবরাহকারি কোম্পানী রূপপুর প্রকল্পের জন্য উপযোগি সকল নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য- সম্বলিত ভিভিইআর পরিবারের সর্বাধুনিক বিদ্যুৎ চুল্লি সরবরাহ করবে। উক্ত কোম্পানি বর্তমানে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ের বিভিন্ন কাজ সম্পাদনে নিযুক্ত রয়েছে।

২০১৫ সালে প্রস্তাবনা একবছর পিছিয়ে যায়। রোসাটম ভিভিইআর-১২০০ ক্ষমতাসম্পন্ন দুইটি শক্তি কেন্দ্র প্রস্তাব করে এবং আউটপুট বাড়িয়ে ২.৪ GWe করা হয়। ২০১৫ সালে জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের মতে, প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

২০১৬ সালে রাশিয়ান সরকার হতে ১২.৬৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার (৯০%) ঋণচুক্তি গ্রহন করা হয়। ইউনিট দুটি ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশী চালকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রাশিয়া পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করবে ও ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি নিয়ে যাবে।

৪ নভেম্বর ২০১৭, বাংলাদেশ আনবিক শক্তি সংস্থা ইউনিট-১ এর জন্য বাংলাদেশ আনবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছ থেকে নকশা ও নির্মান লাইসেন্স গ্রহন করে।
৩০ নভেম্বর ২০১৭, ইউনিট-১ এর ভিত্তি প্রস্তরের জন্য প্রথম কংক্রিট স্থাপন শুরু হয় রোসাটমের পরিচালক অ্যালেক্স লিখাশেভ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে।
১৪ জুলাই ২০১৮, ইউনিট-২ এর ভিত্তি প্রস্তরের জন্য প্রথম কংক্রিট স্থাপন করা হয়।

উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাঃ

২০১৩ সালে একদল বাংলাদেশী বিজ্ঞানী এবং বৈশ্বিক ড্যায়াস্পরিক সম্প্রদায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমর্থের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।

জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারনাশনাল, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

ত্বাত্বিক পদার্থবিজ্ঞান (Theoretical Physics), গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান (Mathmetical Physics) সামাজিক পদার্থবিদ্যা (Social Physics): পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ত্বাত্বিক ভিত্তি ও সম্ভাবনাময় বৈশ্বিক আনবিক শক্তি

বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি চূড়ান্তভাবে পরীক্ষণ ও ত্বত্বের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান বলতে প্রধানত পদার্থবিজ্ঞান, চিন্তন ও পরীক্ষণ অনুপ্রাণিত গবেষণা বুঝায় যা গাণিতিক কাঠামোর অন্তর্গত অধ্যয়ন ও পদার্থবিজ্ঞানের কোন সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত বিষয়কে ইংগিত করে। একাডেমিক রাজ্যে গনিত ও পদার্থবিজ্ঞানের খাঁটি মিশ্রন হচ্ছে গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান। যদিও এটি ত্বাত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত, এটি গনিতের মধ্যে পাওয়া গাণিতিক কাঠামোর উপর গুরুত্বারোপ করে। ত্বাত্বিক পদার্থবিজ্ঞান গুরুত্বারোপ করে পর্যবেক্ষন ও পরীক্ষণ পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্কের উপর যেখানে ত্বাত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী (সাধারণ অর্থে ‘গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী’) সর্বদা আরোহ যুক্তি-তর্ক, অন্তর্জ্ঞানমূলক ও প্রায় যথাযথ বিচার-বিবেচনা ব্যবহার করেন। ত্বাত্বিক পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা যা গাণিতিক মডেল, বস্তু/পদার্থ, পদ্ধতি প্রয়োগ করে যুক্তিসংগত বিচার-বিশ্লেষন ও প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কে ভবিষ্যৎবানী করে। পরীক্ষণ পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি প্রয়োগ করে উক্ত ঘটনা প্রমান করার চেস্টা করে। অন্যদিকে সামাজিক পদার্থবিদ্যা হচ্ছে উন্নত পদ্ধতি প্রয়োগ করে বড় ধরনের তথ্য-উপাত্তের বিচার-বিশ্লেষনের উপর ভিত্তি করে মানব আচরন (e.g., phone call records, credit card purchases, taxi rides, web activity) সম্পর্কে বোঝাপড়া, পরিবর্তন ও ভবিষ্যৎবানী করার নতুন পদ্ধতি। সামাজিক পদার্থবিদ্যায় গতিশীল মানবিক গবেষণাগারের গবেষকেরা অবদান রাখেন। সামাজিক পদার্থবিদ্যার প্রধান প্রশ্ন হচ্ছে,

কিভাবে আমরা সৃষ্টিশীল, উৎপাদনশীল ও পারস্পরিক সহযোগিতাপুর্ন সংস্থা ও সরকার তৈরি করতে পারি??

সামাজিক পদার্থবিদ্যা হচ্ছে বিজ্ঞানের ক্ষেত্র যা গাণিতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে জনতার আচরন বোঝার জন্য। বানিজ্যিকক্ষেত্রে, সামাজিক পদার্থবিদ্যা বলতে বোঝায় বড় ধরনের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সামাজিক ঘটনাপ্রবাহের বিচার-বিশ্লেষন। সামাজিক পদার্থবিদ্যা বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে পদার্থবিদ্যা ও জীববিদ্যার মত সামাজিক ঘটনাপ্রবাহকে জোতির্বিদ্যাবিষয়ক, শারীরিক, রাসায়নিক ও শারীরবৃত্তীয় ঘটনাপ্রবাহের মত একই দৃষ্টিতে দেখে। পদার্থবিদ্যার পদ্ধতি ব্যবহার করে অর্থনীতিকে ব্যাখ্যা করার নাম আর্থিক পদার্থবিদ্যা। পারমাণবিক প্রযুক্তি উন্নয়ন, গবেষণা, প্রয়োগ ও বিকাশের ধারায় ত্বাত্বিক পদার্থবিদ্যা, গাণিতিক পদার্থবিদ্যা ও সামাজিক পদার্থবিদ্যার মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।

ফরাসী সামাজিক চিন্তাবিদ হেনরি ডি সেইন্ট সাইমন সামাজিক পদার্থবিদ্যা (Social Physics) প্রত্যয় সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন তার প্রথম বই Lettres d’un Habitant de Geneve তে 1803 সালে। আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম প্রবক্তা অগাস্ট ক্যোঁৎ ছিলেন তার ছাত্র। সামাজিক পদার্থবিদ্যার ঐতিহাসিক উন্নয়নের ধারায় সামাজিক পদার্থবিজ্ঞানী হেনরি অ্যাডামস (Social thermodynamics or sociophysics), মার্কিন জন স্টেওয়ার্ট & সুইডেনের রেইনো আজো (Spatial distribution of social interactions), আর্থার ইবেরাল ( Homeokinetics), অ্যালেক্স পেন্টল্যান্ড (Social Physics), মার্ক বুচানন (The Social Atom), ডির্ক হেল্বিং (The Automation of Society is next), ফিলিপ বাল (Why Society is a Complex Matter), মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী লাজলো বারাবাসি (Linked) এবং বেলজিয়ামের পরিসংখ্যানবিদ আডলফি কুইটেলেট (Essay on Social Physics: Man and the Development of his Faculties)।









গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানীর মধ্যে যুগান্তকারী হচ্ছেন স্যার আইজ্যাক নিউটন ( Particle theory of light; Law of universal gravitation, absolute space & Time; Theory of motion, calculus and numerical methods)। এরও আগে বিখ্যাত গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানীর মধ্যে রয়েছেন, গ্রিসের আর্কিমিডিস, প্রাচীন মিসরের টলেমি, ইরাকের আল-হাজেন এবং পারস্যের আল-বিরুনি। ত্বাত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ক্রমন্নয়নের ধারায় নিকলাস কোপার্নিকাস, আরিস্টটল, জার্মানির জোহার্নেস কেপলার ( laws of planetary motion; Clestial laws of motion), টাইকো ব্রাহে, স্কটল্যান্ডের জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল (Electricity and magnetism; Electromagnetic field theory; Electromagnetic spectrum), আয়ারল্যান্ডের লর্ড ক্যালভিন ( Thermodynamics), আলবার্ট আইনস্টাইন (Photoelectric effect), সুব্রামানিয়ান চন্দ্রশেখর, আব্দুস সালাম, সত্যেন্দ্রনাথ বোস (Quantum mechanics), গ্যালিলিও গ্যালিলি (Discourse on Two New Sciences; law of inertia; invariance or relativity; Terrestrial laws of motion), রেনে ডেকার্টেস (Cartesian physics; 3D space & Coordinates) ও ক্রিস্টিয়ান হ্যাজেন (Wave theory of light).

ডাচ বিজ্ঞানী Christiaan Huygens’ ই সর্বপ্রথম গাণিতিক নিয়ম/পদ্ধতি প্রয়োগ করেন ফিজিক্সের সুত্র/নিয়ম ব্যাখ্যা করার জন্য। এ কারণে Christiaan Huygens’ কে বলা হয় প্রথম ত্বাত্বিক পদার্থবিজ্ঞানি (Theoretical Physicist) ও গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান (Mathmetical Physics) এর প্রতিষ্ঠাতা।

Atomic, Molecular And Optical Physics (AMO) গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের এই তিনটি খুবই ঘনিষ্ঠ। এটি পদার্থের সাথে পদার্থ ও আলোর সাথে পদার্থের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নির্নয়ের পাশাপাশি কিছু পরমানু ও আনবিক স্কেলের সাথে কতিপয় ইলেক্ট্রন ভোল্ট নিয়ে অধ্যয়ন করে। Ordinary Differential Equation (ODE) হচ্ছে ম্যাথমেটিক্সের পার্থক্যসুচক সমীকরণ যা অনেক প্রায়োগিক কর্মের সাথে স্বাধীন চলকের ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রের আন্তঃআনবিক সম্পর্ক নির্নয় করে।

কেন পারমানবিক বিক্রিয়া??



পারমাণবিক বিক্রিয়ার মধ্যে রেডিওঅ্যাকটিভ ডিকে, নিউক্লিয়ার ফিশন এবং নিউক্লিয়ার ফিউশন অন্তর্ভুক্ত। পারমাণবিক বিক্রিয়া হচ্ছে সেই বিক্রিয়া যার মধ্যে অ্যাটমিক নিউক্লিয়াস, নিউট্রন এবং প্রোটন সাজানো থাকে। এই প্রক্রিয়ায় পরমানু একধরনের আকৃতিগত উপাদান থেকে আরেক উপাদানে পরিবর্তিত হয়।

Nuclear Reactor - Understanding how it works Physics Elearnin

How Nuclear Power Plants Work Nuclear Energy (Animation)

How Uranium Becomes Nuclear Fuel



তুলনামূলকভাবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরমানু কনার বাইরের স্তরে ইলেকট্রন সংযুক্ত থাকে। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরমানু কণাগুলো সাজানো থাকে কিন্তু ভেতরে কোন পরিবর্তন হয় না।

পারমাণবিক বিক্রিয়া রাসায়নিক বিক্রিয়ার তুলনায় অনেক বেশি শক্তি বিমুক্ত করে। কারন যে পরিমান শক্তি নিউট্রন ও প্রোটন’কে একত্রে রেখে অ্যাটমিক নিউক্লিয়াস গঠন করে তা অনেক শক্তিশালী, ইলেকট্রন যে পরিমান শক্তি একে অন্যের উপর অনুশীলন করে তার চেয়ে। কয়লা অথবা তেলভিত্তিক চুল্লির চেয়ে পারমাণবিক বিক্রিয়ায় কেন অধিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্ভাবনা আছে – এটা হচ্ছে তার একটা কারন। কয়লা ও তেলভিত্তিক চুল্লি নির্ভর করে দহন ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার উপর।

বাংলাদেশ উন্নয়ন কৌশল ও গবেষণাখাত:

বাংলাদেশ উন্নয়ন কৌশল গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গুরুত্বারোপ করার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক বিকাশ সাধন করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে চায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালে নির্ধারন করে পরবর্তি দশকে ভিশন-২১ অর্জনের জন্য প্রয়োজন হবে ৬.২ বিলিয়ন ডলার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আইন ২০১০ অনুযায়ী, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুরের আঞ্চলিক অর্থনীতিতে জোরালো ভূমিকা রাখবে।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপরে নির্মিত টিভি প্রতিবেদন......







দেশে TRIGA 3 MW গবেষণা শুরু হয়েছে ১৯৮৬ সাল থেকে। রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ পাবলিক পর্যায়ে আনবিক শক্তির গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে বিস্তর গবেষণা ও প্রচার জারী রেখেছে। বর্তমানে প্রায় ৭০% ভাগ রাশিয়ান পরমানুর শান্তিপুর্ন ব্যবহারের পক্ষে ‘হ্যা’ সুচক সম্মতি দিয়েছে। প্রায় ২০০ সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, স্কুল শিক্ষার্থী, ছাত্র এবং শিল্প বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যে রাশিয়া সফর করেছে।

বাংলাদেশ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য ও চুক্তি সাক্ষরকারী দেশ। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের সময় সিভিল পারমাণবিক সেবার জন্য চুক্তি সাক্ষর করেন। যদিও ভারত পরমানু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সাক্ষর করেনি। (অসমাপ্ত)


This Writing Refers Courtesy towards Specific References (তথ্যসূত্র)………


1. Ministry of Science and Technology of Bangladesh
2. Department of Atomic Energy Commission of the India
3. Bangladesh Atomic Energy Regulatory Act, 2012
4. Alex Likhachev; Director General Rooppur Office [Rosatom (Russian State Atomic Energy Corporation) South Asia]
5. Andrey Shevlyakov; The daily star
6. International Institute Of Social And Economic Sciences (IISES)
7. Social Science Computer Review: Sage Journals
8. Journal Of Physics And Neuclear Power – IOP Science

To Be Continued…………

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

পল্লব কুমার বলেছেন: এই পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অর্থনৈতিকভাবে আমাদের কতটুকু লাভবান করবে? মানে প্রতি ইউনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে এক্ষেত্রে কতটাকা ব্যয় হবে। আর রাশিয়ার ১২.৬৫ বিলিয়ন ঋণ কোন প্রক্রিয়ার পরিশোধ করা হবে?
তথ্যবহুল লিখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

*কালজয়ী* বলেছেন: @পল্লব_কুমার,

গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন। ধন্যবাদ

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক মূল্যবান তথ্য দিয়েছেন, ধন্যবাদ।
পারমানবিক প্রকল্পটির দুর্ঘটনাজনিত নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠা রয়েই গেলো।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

*কালজয়ী* বলেছেন: @খায়রুল_আহসান,

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: *কালজয়ী* ,



ভালো পোস্ট ।
মানলুম , পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত পাবো । কিন্তু বলেছেন , দক্ষিন কোরিয়ার ২৫টি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সেদেশের ২৮% বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় । তার অর্থ, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সে দেশের চাহিদার মাত্র ১% এর কিছু বেশী বিদ্যুৎ তৈরী হচ্ছে । তাহলে ১টি কেন্দ্র থেকে মাত্র ১% বিদ্যুতের বিপরিতে প্রকল্প ব্যয় ( যা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারে হিসেব করতে হয় ) সহ দূর্ঘটনাজনিত পারমানবিক বিক্রিয়ার ক্ষয়ক্ষতির অংক কি এই সামান্য ১% বিদ্যুতের জন্যে জাষ্টিফাইড ?????

এব্যাপারে বিশদ কিছু লিখলে ভালো হতো । দূর্ঘটনাজনিত পারমানবিক ঝুঁকি সম্পর্কেও কিছু লেখেন নি । উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা নিয়ে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও জার্মানীর কথা ঊল্লেখ করেছেন মাত্র । চেরনোবিল ও জাপানের উদাহরণ তো আমাদের কাছে রয়েছে । তাই নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে আশ্বস্ত করলে ভালো হতো । আশা করি পরবর্তী পর্বে বিশদ লিখবেন ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

*কালজয়ী* বলেছেন: @আহমেদ_জি_এস,

উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার একমাত্র উপায় হচ্ছে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেওয়া। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও পারমাণবিক প্রযুক্তির বহুবিধ কল্যাণমূলক দিক রয়েছে। প্রথমে সক্ষমতা অর্জন করা বেশি প্রয়োজন। ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বিশাল তথ্যবহুল পোস্ট। কাজে লাগবে...
@ ২.৪ GWe পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র।
আচ্ছা, এখানে GWএর সাথে e দেয়া হয়েছে কেন???



@আহমেদ জী এস
সহমত। আমিও এটা নিয়ে চিন্তিত। যে দেশে উদ্ভোদন হবার আসে সেতু ভেঙে পড়ে, সেখানে......:P

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০০

*কালজয়ী* বলেছেন: @পাঠকের_প্রতিক্রিয়া,

প্রবন্ধের শুরুতে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে। ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: পারমানবিক বিদ্যুৎ নিয়ে বিশদ লেখা। ভালো লাগল।

কিছু তথ্যগত ত্রুটি আছে। যেমন দক্ষিণ কোরিয়া শুধুমাত্র পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করেই উন্নত দেশে পরিণত হন নি। তারা জিডিপির সিংহভাগ শিক্ষা ও গবেষণায় ব্যয় করে আজকের এই অবস্থানে এসেছে। আর তাই নিজেদের পারমানবিক কেন্দ্র নিজেরাই তৈরি করছে।
আর আমরা লাখ কোটি ক্রেডিটের মাধ্যমে দক্ষ জনবল ছাড়াই শ্বেত হস্তী পুষতে যাচ্ছি কিনা তা সময় বলে দিবে...

আর আরব আমিরাতের চারটি কেন্দ্র নির্মান চলছে। এবং প্রায় ৯০% কাজ শেষ হয়েছে।

আর একটি কথা বাংলাদেশই একমাত্র স্বল্প উন্নত দেশ যে এই ধরণের বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে ক্রেডিটের উপর ভিত্তি করে। আর নানারকম কূটকৌশলে ভারতও সামিল হয়েছে এই নির্মাণ যজ্ঞে। যা আগে কথা ছিল না।

ভবিষ্যৎ বলবে আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে লোকালয়ের পাশে এই জিনিস আশিবার্দ নাকি অভিশাপ হবে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০১

*কালজয়ী* বলেছেন: @আখেনাটেন,

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের সৌরবিদূতের উপরে জোর দেওয়া উচিত....

ঘন মানব বসতির পাশে পারমানবিক বোমা রাখা ঠিক না।

বিলিওন ডলার বানিজ্যের মাঝে অনেক লোকের লাভ হয়...তারাই শুধু এই প্রকল্পে সমথ`ন করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন পারমানবিক প্রকল্প থেকে সরে আসছে সেই খবর কি আপনার কাছে আছে??

সৌর বিদ্যুর সহ অন্যান্য গ্রিন এনাজির দিকে বিশ্বঝুকে পড়ছে আর আমরা পারমানবিক বোমা বানাচ্ছি বাড়ীর পাশে রাখার জন্য। :(

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

*কালজয়ী* বলেছেন: @নতুন,

গ্রিন এনার্জির যথাযথ ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট পরিমানে বিশেষজ্ঞ ও সচেতন জনগন প্রয়োজন। ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
খুব মন দিয়ে পড়লাম।
কিন্তু মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম। এই বিষয়ে আমার জ্ঞান খুব কম।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

*কালজয়ী* বলেছেন: @জনাব রাজীব নুর,

আপনার মন্তব্য অনেকটা সক্রেটিসের মত। সক্রেটিস মনে করত, সে কিছুই জানে না। ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

করুণাধারা বলেছেন: পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুবিধা অনেক কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু ঝুঁকিও অনেক। প্রথমত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যেখানে আমাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু সেখানে নয়, পুরো দেশে অকল্পনীয় বিপদ ঘটবে যা সামলানোর কোন উপায় জানা নেই। দ্বিতীয়তঃ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে তাকে সুষ্ঠু বলা যায় না। আশা করি আপনি পরবর্তী পর্বে এ সম্পর্কে আলোকপাত করবেন।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রযুক্তি অন্য দেশের, জনবল প্রশিক্ষণ অন্য দেশের, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্যদেশের। এইভাবে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন অন্য কোন দেশ করেছে কিনা জানা থাকলে জানাবেন দয়া করে। আমি মনে করি, আমাদের দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র না করে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ স্থাপন করা যেত অতি সহজে। যেমন লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, এই টাকায় এক কোটি সোলার প্যানেল বানানো এবং ব্যবহার করা যেত নিজস্ব প্রযুক্তিতে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮

*কালজয়ী* বলেছেন: @করুনাধারা,

গুরুত্বপূর্ন চিন্তা। ধন্যবাদ।

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা কালজয়ী লেখা দেখে মনে হলো ইংলিশ থেকে অনুবাদ করে বাংলা রচনা লিখেছেন ক্লাশ টেনের একজন ছাত্র। ব হু জ্ঞানে অজ্ঞান হলাম

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৩

*কালজয়ী* বলেছেন: @উদাসী স্বপ্ন,

জ্ঞান অর্জন, অনুবাদ পড়া, প্রবন্ধ পড়া, প্রবন্ধ লেখা - এগুলোর কোনটির জন্যই অজ্ঞান হবার প্রয়োজন নেই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.