নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গবেষক, পাঠক ও লেখক -- Reader, Thinker And Writer। কালজয়ী- কালের অর্থ নির্দিষ্ট সময় বা Time। কালজয়ী অর্থ কোন নির্দিষ্ট সময়ে মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর বিজয়। বিজয় হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী চিন্তার বিজয়।

*কালজয়ী*

সভ্যতার উৎকর্ষ শুরু মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর মাধ্যমে। ক্রম উন্নয়নের ধারায় শিক্ষা-ক্ষেত্রে কলমের কালীর রং কখনো কালো, কখনওবা সাদা। প্রাথমিক যুগে আবক্ষ শক্ত ভিত্তিতে (ব্লাকবোর্ডে) লিখতে ব্যবহৃত হত সাদা চক যা এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে সাদা বোর্ডে কালো মার্কার কলম ও কালো বোর্ডে সাদা মার্কার কলম। কি-বোর্ডে সাদা-কালো অক্ষর বাটন নব প্রযুক্তির অবদান। Believes in the ultimate potential of Human Mind……

*কালজয়ী* › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্বাত্বিক পদার্থবিজ্ঞান (Theoretical Physics) এবং ইউরেনিয়াম মৌলঃ পারমাণবিক বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি, মেডিক্যাল গবেষণা ও শক্তিশালী মারণাস্ত্রের উপাদান...... ৩

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৩

ইউরেনিয়াম খনিঃ বাংলাদেশ ও ভারত

বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম ফজলে কিবরিয়া দাবি করেছেন সিলেট ও মৌলভিবাজারে ইউরেনিয়াম খনি পাওয়া গেছে। পাচশত পিপিএম ইউরেনিয়াম সিলেট ও মৌলভিবাজারের খনিতে পাওয়া গেছে। এছাড়া পার্শবর্তি দেশ ভারতের মেঘালয়ায় (বাংলাদেশের উত্তর সীমান্ত) বিপুল পরিমান ইউরেনিয়াম খনি পাওয়া গেছে।





ভারতীয় ঝারখন্ড রাজ্যের পুরবী সিংভুম জেলার জাদুগুদা গ্রামে অবস্থিত ইউরেনিয়াম খনিকে বলা হয় জাদুগুদা খনি। এটি ১৯৫১ সালে আবিস্কৃত ভারতের প্রথম ইউরেনিয়াম খনি যা চালু হয় ১৯৬৭ সালে। জাদুগুদা খনি থেকে ভারতের পারমাণবিক চুল্লীর জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ২৫% কাঁচামাল, পদার্থ উৎপাদন করে।

ইউরেনিয়ামঃ পারমাণবিক বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি, মেডিক্যাল গবেষণা ও শক্তিশালী মারণাস্ত্রের উপাদান

ইউরেনিয়াম হচ্ছে পেরিওডিক টেবিলে ৯২ তম উপাদান যা পৃথিবীতে পাওয়া অন্যতম ভারী প্রাকৃতিক উপাদান। এটি শক্তির অফুরন্ত উৎস হিসেবে পরিচিত। ইউরেনিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা ৯২ এবং পারমাণবিক ভর ২৩৮.০২৮৯১। পৃথিবীতে পাওয়া ইউরেনিয়ামের ৯৯.৩% ভাগ হচ্ছে ইউরেনিয়াম-২৩৮ যা খুব উর্বর। বাকি ০.৭% হচ্ছে ইউরেনিয়াম-২৩৫ ফিশাইল জ্বালানি।





ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় উর্বর অংশ থেকে ইউরেনিয়াম-২৩৫ বা ইউরেনিয়াম-২৩৮ উৎপন্ন হয় প্লুটোনিয়ামের ফিশাইল আইসোটোপ এর মধ্য দিয়ে। ইউরেনিয়াম ভাল মানের পারমাণবিক জ্বালানি তৈরি করে এবং পারমাণবিক চুল্লীর প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইউরেনিয়াম প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ উতপাদনে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ইতিবাচক বৈশ্বিক উদ্ভাবনে মেডিক্যাল ও শৈল্পিক সেক্টরে ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। ইউরেনিয়াম আইসোটোপের নিঃশেষ থেকে রেডিওআইসোটোপ সংগ্রহ করা হয়। ওষুধবিজ্ঞানে রোগ নির্নয় ও গবেষণায় পশ্চিমা বিশ্ব নিউক্লিয়ার ওষুধের উপকারিতা প্রত্যক্ষ করেছে। রেডিওএকটিভ উপাদান আমেরিসিয়াম ধুম্র খুঁজে বের করার কাজ করে।



পারমাণবিক অস্ত্র ও জ্বালানীর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে জ্বালানীর গ্রেডের মান। পারমাণবিক চুল্লীর জন্য ইউরেনিয়াম-২৩৫ ৫% সমৃদ্ধ করতে হয়। কিন্তু বোমা তৈরি করার জন্য ৯০% পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে হয়। যুদ্ধে ব্যবহৃত পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক বোমার নাম “লিটল বয়” যা ম্যানহাটান প্রজেক্টে তৈরি হয় ও হিরোশিমায় প্রয়োগ করা হয়। এখানে দুটি সাব-ক্রিটিক্যাল ইউরেনিয়াম-২৩৫ ব্যবহৃত হয় যা অনিয়ন্ত্রণযোগ্য পারমাণবিক চেইন বিক্রিয়ার জন্ম দেয় এবং 13000 টন TNT শক্তি নির্গত করে। দ্বিতীয়টির নাম “ফ্যাটম্যান” যা উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ প্লুটোনিয়াম থেকে তৈরি করা হয় এবং 20 000 টন TNT পরিমান শক্তি নির্গত করে।

পারমাণবিক চুল্লীর গুরুত্বপূর্ন নকশাঃ

পারমাণবিক চুল্লীর গুরুত্বপূর্ন অংশ নির্মানের জন্য ত্বাত্বিক জ্ঞান প্রয়োজন। সমন্বয়ক, বিষ এবং জ্বালানির মধ্যে জটিল সম্পর্ক নিউট্রন নিয়ন্ত্রণ করে। পারমানু বিজ্ঞানী চুল্লী থেকে নির্গত শক্তি ও তাপমাত্রার পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। চুল্লীর ত্বাত্বিক ও মৌলিক নীতিমালা থেকে জটিল সব প্রপঞ্চসমূহ বের হয়।

পারমাণবিক বিক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ কি সম্ভব???

পারমাণবিক বিক্রিয়ার চুল্লীর নির্মান মুলত নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের (Nuclear Physics) মূলনীতির উপর ভিত্তি করে। পারমাণবিক চুল্লী ইউরেনিয়াম জ্বালানীর মধ্যে ফিশন বিক্রিয়া চালু করে যা নিউট্রনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষ নিয়ন্ত্রণ করে। বিক্রিয়া শক্তি নির্গত করে তাপের মাধ্যমে যা বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে শক্তি উৎপন্ন হয় তার চেয়ে বহুগুন উৎপন্ন হয় পারমাণবিক বিক্রিয়ায়। আদৌ কি এই পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব??

কোন ধরনের পরিস্থিতিতে পারমাণবিক ফিশন বিক্রিয়া ঘটে??

পারমাণবিক ফিশন বিক্রিয়ায় পরমানু যখন নিউট্রন এর দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং অসংখ্য ফিশন অংশে পরিণত হয় ও মুক্ত নিউট্রন উৎপন্ন করে তখন প্রচুর পরিমানে তাপ উৎপন্ন হয়। ফিশন খন্ড দ্রুতগতিসম্পন্ন হয় এবং কিনেটিক এনার্জি ফিশন খণ্ডগুলোকে সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তিতে পরিণত করে। ফিশনের মধ্যে দুই ধরনের আইসোটোপ থাকে- ইউরেনিয়াম-২৩৫ ও ইউরেনিয়াম-২৩৮। বেশীরভাগ পারমাণবিক চুল্লী ইউরেনিয়াম-২৩৫ ও ইউরেনিয়াম-২৩৮ ব্যবহার করে। অদৃঢ় পরিস্থিতি আইসোটোপকে ফিশনে অন্তর্ভুক্ত করে উচ্চ অ্যাটমিক ভরের মাধ্যমে।



অ্যাটমিক ভর বাড়লে ফিশন বাড়ে। সঠিক পরিস্থিতিতে নিউক্লিয়াস ফিশাইল অতিরিক্ত নিউট্রন শোষণ করে। পারমাণবিক চুল্লী ফিশন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি মুক্ত নিউট্রনও নিয়ন্ত্রণ করে। ইউরেনিয়াম যে নিউট্রন শোষণ করে তা কিনেটিক শক্তির(ইউরেনিয়ামের পরমানু কনার সাথে সম্পর্কিত) উপর নির্ভর করে। ইউরেনিয়াম-২৩৮ ফিশন নিউট্রনের সাথে সম্পর্কিত যা উচ্চমাত্রার শক্তির সাথে সম্পর্কিত। ইউরেনিয়াম-২৩৫ ফিশন থার্মাল নিউট্রনের সাথে সম্পর্কিত যা কিনেটিক শক্তির সমপরিমাণ শক্তিসম্পন্ন। ফিশন বিক্রিয়া হবে যদি নিউট্রনের উপস্থিতির সংখ্যা উচ্চমাত্রার হয়।

চেইন বিক্রিয়া কি???

পারমাণবিক চেইন বিক্রিয়া শুরু হয় যখন একটি পারমাণবিক বিক্রিয়ার কারণে এক বা ততোধিক পারমাণবিক বিক্রিয়া শুরু হয় যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলমান বিক্রিয়া সংঘটিত করতে থাকে। পারমাণবিক চেইন বিক্রিয়া কয়েক মিলিয়নগুন বেশি পরিমান শক্তি উৎপন্ন করে রাসায়নিক বিক্রিয়ার তুলনায়।




চুল্লী কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য ফিশন দৃঢ়ভাবে সংঘটিত হতে হবে বাইরের উদ্দীপক ছাড়াই। এই ধরনের ভারসাম্যকে বলা হয় ক্রিটিকালিটি বা সমালোচনা। চুল্লী ত্রুটিপূর্ন যখন নিউট্রনের সংখ্যা কেন্দ্রে স্থির থাকে। একে বলা হয় নিউট্রন ফ্লাক্স (Nutron Flux)।





এই সমালোচনা ভারসাম্যের দ্বারা সংজ্ঞায়িত যা পারমাণবিক শক্তি চুল্লিকে বিভিন্ন পর্যায়ে কার্যকরভাবে চালু রাখে। চেইন বিক্রিয়া মাত্র অল্প কয়েকটি পরীক্ষা করেছে যেখানে পারমাণবিক বোমা বানানোর উদ্দেশ্য ছিল মুখ্য। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উচ্চমাত্রার চেইন বিক্রিয়ার প্রয়োজন হয় না।

আন্তর্জাতিক চুক্তি ও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার-নিয়ন্ত্রণঃ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারমাণবিক শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সাক্ষর হয়েছে ২০১৭ সালের এপ্রিলে। এই চুক্তির আওতায় Bangladesh's Ministry of Science and Technology এবং India's Department of Atomic Energy (DAE) এর মধ্যে পারমাণবিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ ১৯৮২ সালে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশনের অধীনে পারমাণবিক অস্ত্-বিস্তার রোধ চুক্তিতে সাক্ষর করে এবং ২০০১ সাল থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কার্যক্রম চালু করেছে।

বাংলাদেশে পারমাণবিক শক্তি ও পরিকল্পনাঃ

দেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভরতা কমাতে পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে 59 terawatt hours (TWh) বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস হতে 48 TWh ও তেল হতে 10 TWh। বাৎসরিক বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ছে ৭% এবং সক্ষমতা মাত্র 10.9 GWe ।

গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২.৭ মিলিয়ন বাংলাদেশীকে বিদ্যুতের আওতায় আনার উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। এজন্য ২০১০ সালে হালনাগাদ ও ২০১৬ সালে দীর্ঘমেয়াদী মাস্টার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে 23 GWe, ২০৩০ সালের মধ্যে 40 GWe এবং ২০৪১ সালের মধ্যে 60 GWe সক্ষমতা অর্জন। বিদ্যুতের অন্যান্য উৎসের সাথে পারমাণবিক ক্ষেত্র থেকে বিদ্যুৎ অর্জন ও জাতীয় গ্রীডে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম পারমাণবিক অবদান প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ 7 GWe পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করবে।

প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ’র দাম ও রাশিয়ার প্রাপ্য ঋণ পরিশোধঃ

প্রস্তাবিত রূপপুর পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দুইটি পর্যায়ে ২৪০০ megawatt বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখান থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ৩.৫ টাকা। যেখানে ভারতের কুন্দাকুলাম পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র’র ইউনিট ১ ও ২ এর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ৩.৫ ও ৪। যদিও এই পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে নাগরিকমহলে নানা বিতর্ক বিদ্যমান।

দেশের প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক ও টিভি প্রতিবেদন......



দেশ এখন ১৮ বিলিয়ন বৈদেশিক ঋণের ভারে জর্জরিত। এভাবে চলতে থাকলে পাঁচ বছরে তা ৩০ বিলিয়নে পৌঁছবে। রাশিয়ার ঋণের টাকা এর সাথে যোগ হলে তা ৪৩ বিলিয়নে পৌঁছবে। ১০ বছর ক্রেডিটে মোট ২৮ বছরে রাশিয়ার ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা রয়েছে। এই ঋণ কোন বিশেষ সুবিধা বা বানিজ্যিক কোনটাই নয়। স্বভাবতই ঋণ পরিশোধের অর্থ বিদ্যুৎ বিক্রি ও জনগনের করের থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে শোধ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

আক্রমণের মুখে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের ভঙ্গুরতাঃ

পারমাণবিক চুল্লী বিগত ৩দশক সামরিক সঙ্ঘর্ষ, বিমান হামলা, দখল ও ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে।

 সেপ্টেম্বর ১৯৮০, ইরান ইরাকের আল-তুওয়াইথা পারমাণবিক কেন্দ্রে অপারেশন স্কর্চ সোর্ড এর অংশ হিসেবে বিমান হামলা চালায়।
 জুন ১৯৮০, ইস্রায়েলি বিমান থেকে ইরাকের অসিরাক পারমাণবিক গবেষনাকেন্দ্রে অপারেশন অপেরার অংশ হিসেবে হামলা চালায়।
 ১৯৮৪-৮৭ সালের মধ্যে ইরাক ইরানের বুশেহর পারমাণবিক প্লান্টে ৬বার হামলা চালায়।
 ১৯৯১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের পরমানু কেন্দ্রে ৩ বার হামলা চালায়।
 ১৯৯১ সালে ইরাক ইসরায়েলের ডিমনা পারমাণবিক শক্তি প্লান্টে স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়
 সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে, ইসরায়েল নির্মিতব্য সিরিয়ান চুল্লিতে হামলা চালায়।

চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনাঃ

১৯৮৬ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ট্রাজিক পারমাণবিক দুর্ঘটনা যা চেরনোবিল বিপর্যয় নামে পরিচিত। উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা অঞ্চল ছেড়ে চলে যায়। চেরনোবিল শহর ইউক্রেনে অবস্থিত। বিস্ফোরণ ও আগুন বৃহৎ পরিমান রেডিওএকটিভ দূষণ বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে যা পশ্চিম ইউএসএসআর ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। এটি সবচেয়ে নিকৃষ্ট পারমাণবিক দুর্ঘটনা যা শুধু ২টি ছিল (অন্যটি ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিপর্যয়)। এখানে ৫ লাখ কর্মী ও ১৮ বিলিয়ন রুবল ব্যয় হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষকেরা প্রাথমিকভাবে ৫৭ সরাসরি মৃত্যুর কথা জানায়। UNSCEAR ২০০৫ সাল নাগাদ ৪০০০ অতিরিক্ত ক্যান্সার মৃত্যুর কথা জানায়। রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশ চেরনোবিল দুর্ঘটনার স্বাথ্য ব্যয় বহন করছে।



ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক দুর্ঘটনাঃ

ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয় শক্তিকেন্দ্রের ১৮ মাইলের মধ্যে থাকা সবাইকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়। ২০১১ সালে ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার পর দেশের ৫৪টি পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালেও এটি ছিল উচ্চমাত্রায় রেডিওএকটিভ যেখানে ১লাখ ৬০ হাজার অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে। যদিও রাশিয়া ও জাপানকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম উন্নত শিল্প এলাকা। স্বল্প বিদ্যুতের কারণে অ্যাটমিক কোর, প্রকৌশলীর প্রয়োজন হয় ঠান্ডা পানির যাতে রেডিওএকটিভ বাষ্প নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি ক্রমাগত বিস্ফোরণের জন্ম দেয় চুল্লীর চারপাশে যাতে প্রায় ২ লাখ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়। দক্ষিণে প্রায় ১৩৫ মাইল (২১০ কিলোমিটার) ৩০ মিলিয়ন মানুষ তেজস্ক্রিয়তার কবলে পড়ে। ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার অন্তর্ভুক্ত ২৭ দেশে নিরাপত্তা পরীক্ষা শুরু করে। ফুকুশিমার ঘটনা পারমাণবিক শিল্পকে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে ও বিশ্বাসযোগ্যতায় প্রশ্ন তোলে।







সামরিক পারমাণবিক প্লান্টে সংঘটিত দুর্ঘটনাঃ

1. ৭ জুন, ১৯৬০ – প্রাচীন মিসর, নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র
2. ১৩ অক্টোবর, ১৯৬০- ব্যারেন্ট সাগর, আর্কটিক মহাসাগর, ইউনাইটেড সোভিয়েত সোশালিস্ট রিপাবলিক
3. ৩ জানুয়ারি, ১৯৬১ – জাতীয় চুল্লী পরীক্ষা ষ্টেশন, ইদাহ, যুক্তরাষ্ট্র
4. ২৪ জানুয়ারি, ১৯৬১ – সেমর জন্সন বিমান ঘাঁটি, উত্তর ক্যারোলিনা
5. ১৪ মার্চ, ১৯৬১ - ১৯৬১ ইউবা শহর ক্যালিফোর্নিয়া
6. ৪ জুলাই, ১৯৬১ – নরওয়ের উপকূল
7. ১ মে, ১৯৬২ – সাহারা মরুভূমি, ফ্রেন্স আলজেরিয়া (বর্তমান আলজেরিয়া)
8. ২২ মে, ১৯৬২ – চিকো, ক্যালিয়াফর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র






9. ১০ এপ্রিল, ১৯৬৩ – কেপ কোড, ম্যাসাসুসেটস
10. ১৩ জানুয়ারি, ১৯৬৪ – সালিসবুরি, পেন্সিল্ভ্যানিয়া এবং ফ্রস্টবার্গ, ম্যারিল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র
11. ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৪ – এলসঅর্থ এএফবি, দক্ষিন ডাকোটা
12. ৮ ডিসেম্বর, ১৯৬৪ – ব্যাংকার হিলস বিমান ঘাঁটি, ইন্ডিয়ানা, যুক্তরাষ্ট্র
13. জানুয়ারি, ১৯৬৫ – লিভারমোর, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
14. ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৫ – ১৯৬৫ ফিলিপাইন সাগর এ- ৪ দুর্ঘটনা
15. ১৭ জানুয়ারি, ১৯৬৬ – আইকেন, দক্ষিন ক্যারোলিনা
16. ২৭ আগস্ট, ১৯৬৮ – সেভেরভিন্সক, রাশিয়া (সাবেক ইউএসএসআর)
17. ১১ মে, ১৯৬৯ – রকি ফ্লাট প্ল্যান্ট, গোল্ডেন, কলোরাডো
18. ২২ মে, ১৯৬৮ – ৭৪০ কিলোমিটার (৪০০ এনএমআই) দক্ষিন পশ্চিম আজোরস, রোটা, স্পেন থেকে নরফোক, ভার্জিনিয়া, ইউএসএ

পারমাণবিক প্রযুক্তি, গবেষণা ও অস্ত্র বা বিস্ফোরক নির্মানঃ

ফিশন অস্ত্রঃ

ফিউশন বিক্রিয়া থেকে বিস্ফোরিত ফলাফল কে বলা হয় অ্যাটমিক বোমা / অ্যাটম বোমা সংক্ষেপে যা A-bombs নামে পরিচিত। ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম এর পারমাণবিক চেইন বিক্রিয়া ফিশিয়ন প্রক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে। একটা ফিশিয়ন বোমার ওজন 500,000 tons পর্যন্ত হতে পারে। ফিশিয়ন পন্য উচ্চমাত্রায় রেডিওএকটিভ যা ইথার বা রেডিওএক্টিভ দূষণের সৃষ্টি করতে পারে। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য সর্বদা যে ফিশাইল বস্তু ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে ইউরেনিয়াম-২৩৫ এবং প্লুটোনিয়াম-২৩৯। সবচেয়ে কম ব্যবহৃত হয় ইউরেনিয়াম-২৩৩। পারমাণবিক বিস্ফোরক তৈরিতে নেপ্টোনিয়াম-২৩৭ এবং কিছু আমেরিসিয়ামের আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়।

ফিউশন অস্ত্রঃ

পারমাণবিক অস্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় শক্তি উৎপন্ন হয় পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়ায়। এই ধরনের ফিউশন অস্ত্রকে বলা হয় শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র বা হাইড্রোজেন বোমা যা সংক্ষেপে H-bombs নামে পরিচিত। এটি হাইড্রোজেনের আইসোটোপের (ডিউটেরিয়াম এবং ট্রিটিয়াম) মধ্যে ফিউশন বিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। ফিশন বিক্রিয়া ফিউশন বিক্রিয়ার সৃষ্টি করে যা পুনরায় ফিশন বিক্রিয়ার জন্ম দেয়। শুধুমাত্র ৬ টি দেশ- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, চায়না, ফ্রান্স এবং ভারত – পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে ভারত প্রায় অনেকগুলো ধাপের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে যা বিতর্কিত। উত্তর কোরিয়া ফিউশন অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। বর্তমানে যে পারমাণবিক অস্ত্রগুলো মোতায়েন আছে এর সবগুলোই থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র। কারন থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র অধিক কার্যকর।







ফিশন বোমা প্রাথমিক ধাপে সমৃদ্ধ ও ফিউশন ক্যাপসুল হচ্ছে মাধ্যমিক ধাপে সমৃদ্ধ মেগাটন দূরত্বের হাইড্রোজেন বোমা। বর্তমানে যে থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র মোতায়েন আছে তা দুই ধাপে নকশা করা যা পুনরায় ফিশন বিক্রিয়ায় সমৃদ্ধ করতে পারে। যেমন, Tsar Bomba of the USSR যা তিনধাপে সমৃদ্ধ ৫০ মেগাটন TNT (210 PJ) শক্তি উৎপন্ন করে। বেশিরভাগ থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র এর চেয়ে ছোট। কারন এটি বাস্তবে মহাকাশ ষ্টেশনে মিসাইল ওয়ারহেড দ্বারা সংযুক্ত।



এডওয়ার্ড টেলারকে বলা হয় হাইড্রোজেন বোমার জনক ।

নিউট্রন বোমাঃ

থার্মোনিউক্লিয়ার ডিজাইন ও থার্মোনিউক্লিয়ার জ্বালানি ইউরেনিয়াম, সীসা বা ইস্পাত এর মাধ্যমে তেজক্রিয়তার জন্ম দেয়। এতে ইউরেনিয়াম ও প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম ধাতু হ্রাস পায়। কারন থার্মোনিউক্লিয়ার বিক্রিয়া বিপুল পরিমান শক্তিশালী নিউট্রন নির্গত করে যা ফিশন বিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।



চলমান পারমাণবিক প্রকল্পঃ

ফুকুশিমায় ২০১১ সালে পারমাণবিক দুর্ঘটনার কারণে ইউরোপসহ অনেক দেশেই পারমাণবিক প্রকল্প কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া স্বত্বেও রাশিয়া, চায়না, এবং ভারত তাৎপর্যপূর্নভাবে পারমাণবিক প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রকল্পে নকশা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ।



ভারতের কুন্দাকুলাম প্রকল্পে দুটি নতুন ভিভিইআর-১০০০ পারমাণবিক চুল্লির জন্য ব্যয় USD 1,300/kWe থেকে বেড়ে USD 3,000/kWe হয়েছে।



ইউরেনিয়াম দূষণঃ

ইউরেনিয়াম আকরিক হতে ইউরেনিয়াম আইসোটোপ (৯৯,২৮% আকরিক হচ্ছে বর্জ্য) পারমাণবিক প্লান্টে ব্যবহৃত হয়। এর নাম প্রধানত ইউরেনিয়াম-২৩৫ এবং বাকি পরিত্যক্ত অংশে ইউরেনিয়াম-২৩৬ এবং ইউরেনিয়াম- ২৩৮ থাকে। দূষণের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের দূষণ হচ্ছে ইউরেনিয়াম দূষণ।



মানব স্বাস্থ্যের উপর পারমাণবিক বিস্ফোরণের প্রভাবঃ

নিম্ন মাত্রার রেডিওএকটিভ নির্গমন এবং সিরিয়াস অসুস্থতার মধ্যে সম্পর্ক আছে – এ সংক্রান্ত অসংখ্য গবেষণা আছে। ১৯৬০ সালে ডাঃ উরসুলা ফ্রাঙ্কলিন (কানাডিয়ান পদার্থ প্রকৌশলী এবং মানবাধিকার আইনজীবী) (৫১) বাচ্চাদের দাঁতের স্ট্রনিয়াম ৯০ মাত্রার দিকে লক্ষ করেন। তিনি বাচ্চাদের দাঁতে স্ট্রোনিয়ামের মাত্রা ও লিউকেমিয়া বৃদ্ধির সম্পর্ক খুঁজে পান। বাচ্চাদের দাঁতে ৯০ মাত্রার স্ট্রোরিয়াম মাত্রা এবং শৈশবের অসুস্থতার সম্পর্ক আছে। ১৯৭৯ সালে তিন মাইল পারমাণবিক দুর্ঘটনার কারণে শৈশবে বাচ্চাদের কান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয়।

পারমাণবিক চেইন বিক্রিয়া তাৎপর্যপুর্ন পরিবেশ বিপর্যয়ের সাথে সম্পর্কিত। ইউরেনিয়াম সর্বদা শক্তিশালী এসিড এর সাথে সযুক্ত। হিরোশিমায় পারমাণবিক বিস্ফোরণের কারণে ১০ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু দূষণের শিকার হয়। বায়ুমন্ডলে দূষণ, খাদ্যশৃংখলে ব্যাঘাত সঙ্ঘটিত হয়।

প্রাথমিক ধাপঃ প্রথম ১-৯ সপ্তাহ – ৯০% ভাগ থার্মাল দ্বারা আক্রান্ত এবং ১০% মাত্রাতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তা প্রকাশ পায়।

মাধ্যমিক ধাপঃ ১০-১২ সপ্তাহ- লৌহ তেজস্ক্রিয়তা মধ্যম মাত্রার প্রানঘাতী – LD50

সর্বশেষ ধাপঃ ১৩-২০ সপ্তাহ- টিকে থাকার মত কিছু পরিবেশ তৈরি হয়।

বিলম্বিত ধাপঃ ২০+ সপ্তাহ – অসংখ্য জটিলতা বেশিরভাগই থার্মাল ও মেকানিক্যাল প্রভাবের সাথে সম্পর্কিত।

বাইরে প্রকাশঃ ব্যক্তি পারমাণবিক বিস্ফোরণ এর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পরিস্থিতিতে উপনীত হতে থাকে।

পারমাণবিক নিরাপত্তা বিবেচনা গ্রহন করা হয় বিভিন্ন পরিস্থিতিতেঃ

 পারমাণবিক ফিশন শক্তি ব্যবহৃত হয় পারমাণবিক শক্তিষ্টেশনে এবং পরমানু শক্তি চালিত সাবমেরিনে
 পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে
 ফিশিয়নযোগ্য জ্বালানি যেমন ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম এবং নির্যাস, স্টোরেজ এবং ব্যবহৃত রেডিওএকটিভ পদার্থ মেডিক্যাল, রোগ নির্নয়, কিছু প্রজেক্টের ব্যাটারি তৈরিতে এবং গবেষণা উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
 পারমাণবিক বর্জ্য, পারমাণবিক পদার্থের রেডিওএকটিভ বর্জ্য
 পারমাণবিক ফিউশন শক্তি, দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রযুক্তি

অধিক সুদৃঢ় নিরাপত্তা মানঃ

ম্যাথেও বান (সাবেক মার্কিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতি উপদেষ্টা) এবং হেইননেন (আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশনের সাবেক ডেপুটি পরিচালক) অনুযায়ী অধিক সুদৃঢ় নিরাপত্তা মান প্রয়োজন এবং ৬ ধরনের প্রধান এলাকা নির্ধারন করা হয় উন্নয়নের জন্য।

 নকশার উর্ধেব পরিচালকের পরিকল্পনা থাকতে হবে ঘটনার জন্য।
 সন্ত্রাসীদের অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে পারমাণবিক সুবিধার সুরক্ষার জন্য অধিক সুদৃঢ় মান নিশ্চিত করা
 শক্তিশালী আন্তর্জাতিক জরুরী প্রতিক্রিয়া
 আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা
 কার্যকর নিয়ন্ত্রনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা

উপকূলীয় পারমাণবিক সাইট অবশ্যই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঝড়, বন্যা এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক দ্বিপায়ন থেকে রক্ষা করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পারমাণবিক প্রযুক্তিঃ

২০০৩ সালে রেজিস্ট্রিকৃত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা হচ্ছে প্রায় ৭০০। প্রায় ২০০ প্রধানত বন্যার ঘটনা। অস্বাভাবিক জলবায়ু পারমাণবিক শক্তির উপর প্রভাব ফেলে যা বন্যা, খরা তৈরি করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত করে। ঝড় সরাসরি পারমাণবিক সঞ্চালনের উপর প্রভাব ফেলে এবং বৈদ্যুতিক গ্রীড ক্ষতিগ্রস্থ করে। অত্যধিক ঝড় ট্রান্সমিশন লাইন ক্ষতিগ্রস্থ করে।

পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের নিরাপত্তাঃ

পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়...
• Proper radiological protection of workers and the public,
• Regular surveillance,
• Dosimetry,
• Approved standard operating and maintenance procedures,
• A well-defined waste management methodology,
• Proper well documented and periodically rehearsed emergency preparedness and
• Disaster management plans.

পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তিঃ

বিভিন্ন সম্ভাব্য পদ্ধতি ট্রিটন্মেন্ট ও পারমাণবিক বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা।

ভাণ্ডারঃ
 গভীর ভৌগলিক ব্যবস্থাপনা
 শুষ্ক পিপা স্টোরেজ
 ডুক্রেট
 সমুদ্রের তলদেশ
 সল্টক্রিট
 নিঃশেষিত জ্বালানি তল
 নিঃশেষিত পারমাণবিক জ্বালানি শিপিং পিপা (পরিবহণ)
 সিনরক
 বর্জ্য বিচ্ছিন্নকরণ প্ল্যান্ট
 গভীর বোর ব্যবস্থাপনা
 ভিট্রিফিকেশন

ট্রিটমেন্টঃ
 পারমাণবিক রূপান্তর
 পারমাণবিক পুনঃপ্রক্রিয়া

ব্লু রিবন কমিশনের সুপারিশমালাঃ

 যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ সংযুক্ত পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রাম গ্রহন করা যা আরো অধিক স্থায়ী গভীর ভৌলিক সুবিধা দেয় নিঃশেষিত জ্বালানী এবং উচ্চমাত্রার পারমাণবিক বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থপনার জন্য।
 যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সংস্থার উন্নয়ন করা প্রয়োজন যা সংযুক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবহণ, স্টোরেজ এবং পারমাণবিক বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে।
 বার্ষিক পারমাণবিক বর্জ্য ফি পরিশোধ সত্যিই প্রয়োজনীয় এবং অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে নতুন পারমাণবিক বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা সংস্থার কাছে।
 পারমাণবিক বর্জ্যের সুবিধার উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী প্রয়োজন। প্রক্রিয়া সফল হবে যদি...
অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন হয়...
ক্রমধাপ অনুযায়ী...
স্বচ্ছ...
মান...
আঞ্চলিক সম্প্রদায় কতৃক পরিচালিত হয়
 দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম প্রয়োজন NRC এবং EPA এর মধ্যে। ২টি এজেন্সি উন্নয়ন করা প্রয়োজন।
 ভূমিকা, দায়িত্ব এবং আঞ্চলিক, রাষ্ট্রীয় কতৃপক্ষ এবং উপজাতীয় সরকার অবশ্যই হবে ফেডারেল সরকার ও সরকারের অন্য ইউনিটের মধ্যে সমঝোতামূলক। রাস্ট্রের উচিৎ আক্রান্ত সম্প্রদায় ও নাগরিকের স্বার্থ ও আত্মবিশ্বাস রক্ষার জন্য সাহায্য করা।
 Nuclear Waste Technical Review Board (NWTRB) এর উচিৎ হবে মূল্যবান স্বাধীন উৎস থেকে পরামর্শ অর্জন ও পুনঃমূল্যায়ন করা।













পারমাণবিক গবেষণাগার, তেজস্ক্রিয়তা, রেডিওএকটিভ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিঃশেষিত পারমাণবিক জ্বালানিঃ নাগরিক নিরাপত্তা ও উদ্বিগ্নতা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উৎপন্ন সকল বর্জ্য রাশিয়ায় পাঠানো হবে। রাশিয়া তাদের নিজ খরচে এটা নিয়ে যাবে। পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না।

বর্তমানে পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে অন্যতম উদ্বেগের কারন হল চুল্লি থেকে নিঃশেষিত জ্বালানীর নিরাপদ ব্যবস্থাপনা। এই বস্তু বা বর্জ্য অবশ্যই বায়ুমণ্ডল থেকে আলাদা করতে হবে রেডিওঅ্যাক্টিভিটি সক্রিয় হবার আগেই।

ইউএসএ তে পারমাণবিক বর্জ্য আইন ১৯৮২ সংশোধন করা হয়েছে যেখানে নিঃশেষিত পারমাণবিক জ্বালানি ও উচ্চমাত্রার রেডিওএকটিভ বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির জন্য Department of Energy সর্বতোভাবে দায়িত্বশীল। Department of Energy নিউ মেক্সিকোর ইউক্কা পর্বত বেছে নিয়েছে পারমাণবিক বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার জন্য।

নিঃশেষিত জ্বালানির মধ্যে রয়েছে শত শত ধরনের ফিশন পন্য যেগুলোর অনেক প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না। সামগ্রিকভাবে ফুয়েল রড এতবেশি রেডিওএকটিভ যে এর আশেপাশে যেকারো জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে। একারনে তাপমাত্রা চলমান পানির প্রস্রবনের মধ্যে ১০ বছর রাখা হয় শুধুমাত্র উচ্চতাপমাত্রা কমানোর জন্য ও পরিবেশে রেডিওএকটিভ উপাদান ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার জন্য(ধারা-৪৯)। ১০ বছর পড়ে এটি শুষ্ক স্টোরেজে নেওয়া হয় যা এটি ঠাণ্ডা করতেই থাকে। তীব্র আগুনের মধ্যে উত্তপ্ত জিরকোনিয়াম ফুয়েল রড বিপুল পরিমান রেডিওএকটিভ নির্গত করে। একারনে পারমাণবিক শক্তি শিল্পের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল নিঃশেষিত জ্বালানীর স্থায়ী ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

রেডিওএকটিভ তরল বর্জ্য পরিবেশের জলাধারে নিষ্কাশন করা হয়। রেডিওএকটিভ কঠিন বর্জ্য ইটের তৈরি ট্রেন্সে ব্যবস্থাপনা করা হয়। রেডিওএকটিভ বর্জ্য নিয়ন্ত্রিত হয় ১৯৮৭ সালের নিয়ম অনুযায়ী যা ইস্যু করা হয় অ্যাটমিক এনার্জী আইন ১৯৬২ অধীনে।
কানাডাতে “geologic storage” এর পরিকল্পনা করা হয়েছে যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে বর্জ্য বহনকারী কনটেইনার মাটির কোয়ার্টার মাইল গভীরে পুঁতে রাখা যাতে সহস্র বছরেও কিছু না হয়। এর কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। উচ্চমাত্রার রেডিওএকটিভ এবং বিষাক্ত পদার্থ কর্মী ও চারপাশের পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে (ধারা-৫০)। আয়ারল্যান্ড এরকম একটি প্লান্টের রেডিওএকটিভ বর্জ্য সরাসরি আইরিশ সাগরে ফেলা হয় যা পরিণত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম রেডিওএকটিভ জলাধারে(ধারা-২৫)।

সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল নিঃশেষিত জ্বালানি ও এর প্লুটোনিয়াম উপাদান এবং অস্ত্র সম্ভাবনা সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে পড়ার আশঙ্কা।

এশিয়ায় পারমাণবিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাঃ

চায়নাঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী চায়নাতে ১০ টি পারমাণবিক চুল্লি ২% বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ১৯৮৫ সাল থেকে চলমান গবেষণার ভৌগলিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইনসিদ্ধ হয় ২০০৩ সালে। গানসু প্রদেশের কাছে গোবি মরুভূমিতে উত্তর-পশ্চিম চায়নায় সাইট অনুসন্ধান চলছে। সাইট ফাইনাল হবে ২০২০ সালে ও প্রকৃতপক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ২০৫০ সালে সম্পন্ন হবে।

তাইওয়ানঃ
তাইওয়ানের পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা তাইওয়ানের দ্বীপের তাইতুং কাউন্টির অর্কিড দ্বীপের দক্ষিণে করা হয়েছে। এটি ১৯৮২ সালে নির্মান করা হয়।

ভারতঃ
ভারতে ১৬ টা পারমাণবিক চুল্লী থেকে ৩% বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। মুম্বাইয়ের পশ্চিম উপকূলে, ভারতের দক্ষিন-পূর্ব উপকুলের কালপাককামে নিঃশেষিত জ্বালানি প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাপানঃ
২০০০ সালে উচ্চমাত্রার রেডিওএকটিভ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষায়িত রেডিওএকটিভ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন প্রস্তুত করা হয়। জাপানের পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থা (NUMO) প্রতিষ্ঠিত করা হয় অর্থ, বানিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

ইউরোপে পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাঃ

বেলজিয়ামঃ
বেলজিয়ামের ৫২% বিদ্যুৎ আসে ৭টি পারমানবিক চুল্লী থেকে। বেলজিয়াম পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র উচ্চমাত্রার রেডিওএকটিভ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে গবেষণা করে যা এখনো চলমান।

ফিনল্যান্ডঃ
ফিনল্যান্ডের ২৯% শতাংশ বিদ্যুৎ আসে ৪টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। ১৯৮৭ সালে ফিনল্যান্ডে পারমাণবিক শক্তি আইন প্রণয়ন করা হয়। ১৯৯৪ সালে আইনের কিছু ধারায় সংশোধনী আনা হয় রেডিওএকটিভ বর্জ্যের আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ করার জন্য।
ফিনিশিয় সংসদ ২০০১ সালে বেডরকের ৫০০ মিটার গভীরে ভৌগলিক ভাণ্ডার গড়ে তোলে। ভান্ডারের ধারণা সুইডিশ মডেলের সাথে সদৃশপূর্ন।

ফ্রান্সঃ
ফ্রান্সের ৫৮টি পারমাণবিক চুল্লী থেকে ৭৫% বিদ্যুৎ আসে। রেডিওএকটিভ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গবেষণার জন্য ১৯৯১ সালে ১৫ বছর মেয়াদী আইন প্রণয়ন করা হয়।

জার্মানীঃ
জার্মানিতে পারমাণবিক বর্জ্য নীতি পরিবর্তনশীল। ১৯৭৪ সালে ব্রাউনশেইগ’র ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গরলেবেন এর কাছে লবনের খনিতে স্থায়ীভাবে ভৌগলিক ভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়। ২০১১ সালে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল ১৭টি রিএক্টর বন্ধ ঘোষণা করে যা ১৯৮১ সাল থেকে চালু ছিল।

নেদারল্যান্ডঃ
COVRA (Centrale Organisatie Voor Radioactief Afval) ডাচ পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্টোরেজ কোম্পানি ভ্লিসিংজেনে অবস্থিত। ২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত স্থায়ী কোন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ছিল না।

রাশিয়াঃ
রাশিয়ায় আনবিক শক্তি মন্ত্রণালয় (মিনাটম) ৩১ টি পারমাণবিক চুল্লী থেকে ১৬% বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। মিনাটম ২০০১ সালে ২৫০০০ টন রেডিওএকটিভ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করেছে। রাশিয়ার মিলিটারি উদ্দেশ্যে নিঃশেষিত জ্বালানি প্রক্রিয়াজাত করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

১৯৯১ সালে পরিবেশ রক্ষা আইন রেডিওএকটিভ পদার্থের দীর্ঘ স্টোরেজ রাখা নিষিদ্ধ করে। কিন্তু রাশিয়ান পার্লামেন্ট দীর্ঘস্থায়ী স্টোরেজ আমদানি আইন পাশ করে ও প্রেসিডেন্ট পুতিন তাতে ২০০১ সালে স্বাক্ষর করেন।

স্পেনঃ
২০১৩ সালে, স্পেনে সক্রিয় ৫টি পারমাণবিক প্ল্যান্টে ৭টি চুল্লী থেকে দেশের প্রয়োজনীয় ২১% বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।
স্পেন সরকার কেন্দ্রীয় স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা (ATC, Almacén Temporal Centralizado) নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে যা ডাচ COVRA ধারনার নিকটবর্তি। ২৯১৭ সালের শুরুর দিকে স্থায়ী উচ্চমাত্রার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা করা হয়। নিচু ও মধ্যম মাত্রার বর্জ্য এল ক্যাব্রিল এ স্টোর করে রাখা হয় কর্ডোবা রাজ্যে।

সুইডেনঃ
২০১৭ সালে সুইডেনে ১০ পারমাণবিক চুল্লী যা ৪৫% বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। সুইডিশ পারমাণবিক জ্বালানি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি (Svensk Kärnbränslehantering AB, known as SKB) ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করা হয়।

পারমাণবিক শক্তি ও সুইজারল্যান্ডঃ
সুইজারল্যান্ডের ৫টি পারমাণবিক চুল্লী ৪৩% বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সুইজারল্যান্ডে নিম্ন ও মধ্যম মানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য সুইস প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা চলছে।

যুক্তরাজ্যঃ
ব্রিটেনের ১৯টি চুল্লী থেকে ২০% বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ১৯৮২ সালে Nuclear Industry Radioactive Waste Management Executive (NIREX) প্রতিষ্ঠিত হয় দীর্ঘ পারমাণবিক বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার জন্য। ২০০৬ সালে Committee on Radioactive Waste Management (CoRWM) ভূপৃষ্ঠের ২০০-১০০০ মিটার গভীরে পরিবেশ, খাদ্য এবং গ্রামীণ বিভাগ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সুপারিশ করে।

উত্তর আমেরিকাঃ

কানাডাঃ

কানাডায় ১৮টি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র থেকে ১৬% বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। জাতীয় পারমাণবিক জ্বালানি বর্জ্য আইন কানাডিয়ান সংসদে ২০০২ সালে পাশ করানো হয়। Nuclear Waste Management Organization (NWMO) ৩ বছর ধরে গবেষণা করে কানাডিয়ানদের সাথে। ২০০৫ সালে তারা টেকনিক্যাল ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সুপারিশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রঃ
১৯৮২ সালের পারমাণবিক বর্জ্য আইন স্থায়ী ও ভূপৃষ্ঠের গভীরে উচ্চমাত্রার রেডিওএকটিভ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলে ১৯৯০ এর মধ্যভাগে। ১০৪ টি সিভিলিয়ান পারমাণবিক চুল্লী থেকে ১৯.৪% বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। ২০০৮ সাল নাগাদ ৫৬,০০০ মেট্রিক টন নিঃশেষিত জ্বালানি এবং ২,০০০ ক্যানিস্টার কঠিন প্রতিরক্ষা বর্জ্য এবং ২০৩৫ সাল নাগাদ এটা বেড়ে হবে ১১৯,০০০ মেট্রিক টন । যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে পারমাণবিক বর্জ্যের জন্য নেভাদা রাজ্যের ইউক্কা পর্বত বেছে নিয়েছে যাতে মানবিক পরিবেশের কোন ক্ষতি না হয়। ইউক্কা পর্বত ৭০,০০০ মেট্রিক টন রেডিওএকটিভ বর্জ্য বহনে সক্ষম যা ২০১৭ সালে চালু হয়। ৫ মার্চ, ২০০৯ সালে শক্তি সেক্রেটারি স্টিভেন চু সিনেটে ইউক্কা পর্বতে পারমাণবিক বর্জ্যের ডাম্পিঙের বিরোধিতা করেন। ১৯৯৯ সালে মিলিটারি পরিচালিত পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিউ মেক্সিকোর বর্জ্য বিচ্ছিন্নকরণ পাইলট প্ল্যান্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১০ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ওবামা Blue Ribbon Commission on America’s Nuclear Future (the Commission) প্রতিষ্ঠা করেন। কমিশন ৩টি সাব কমিটি করে। এগুলো হল, Reactor and Fuel Cycle Technology, Transportation and Storage, and Disposal। ২০১২ সালে কমিশন সেক্রেটারি স্টিভেন চু এর কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট করে। গবেষণার সময় কমিশন ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জাপান, রাশিয়া, সুইডেন এবং যুক্তরাজ্য সফর করে। কমিশন ৭টি সুপারিশ করে সমন্বিত কৌশল ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির।

বাংলাদেশে পারমাণবিক প্রযুক্তি, নিরাপত্তাঃ দীর্ঘমেয়াদী ভাবনা


বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মোকাবেলায় এবং দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির উত্তরোত্তর অগ্রগতি সাধনে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরের প্রযুক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন। বর্তমান রাশিয়ান ফেডারেশন বাংলাদেশের সাথে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের যে চুক্তি করেছে তাতে ভিভিইআর টাইপ রিঅ্যাক্টর পরিবারের সর্বশেষ সংস্করণ স্থাপণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রযুক্তি বাছাই এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা নির্ধারণের পর পারমাণবিক নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্যসমূহও কাস্টমাইজ করার স্বাধীনতা বাংলাদেশের রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার রূপপুরে ভিভিইআর পরিবারের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উক্ত প্রযুক্তিতে রাশিয়ান ফেডারেশন কর্তৃক উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক যেকোন পারমাণবিক নিরাপত্তামূলক বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভূক্ত থাকবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল বাধ্যবাধকতা বিবেচনায় নিয়ে এবং আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসরণ করে যথাযথ উপায়ে ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদনের মাধ্যমে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন থেকে শুরু করে রিঅ্যাক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।

পদ্মা নদীতে পানির অভাব ও বিনিয়োগ; রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ- টিভি প্রতিবেদন......



পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি দেশের দীর্ঘ মেয়াদী জাতীয় সিদ্ধান্ত থাকা প্রয়োজন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে পারমাণবিক নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, নির্বাচন করা হয়েছে বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে নিরাপদ ও সর্বাধুনিক রিঅ্যাক্টর- ভিভিইআর-১২০০ (AES 2006)।

রূপপুরে নির্মিতব্য ভিভিইআর টাইপ রিঅ্যাক্টর-এর নিম্নবর্ণিত (ছবি) পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে।




১. ফুয়েল পেলেট:
নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রথমটি হচ্ছে ফুয়েল পেলেট, যা অতি উচ্চ তাপমাত্রায় তার জ্বালানী বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে পারে। ফুয়েল পেলেট সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরী করা হয়, ফলে তেজস্ক্রি ফিশন প্রোডাক্টসমূহ পেলেটের ভেতরে অবস্থান করে।

২. ফুয়েল ক্ল্যাডিং:

ফুয়েল পেলেটগুলো জিরকোনিয়াম অ্যালয়ের তৈরী ফুয়েল ক্ল্যাডিং দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। বিশেষ কোন কারণে সামান্য পরিমাণ ফিশন প্রোডাক্ট ফুয়েল পেলেট থেকে বের হয়ে আসলেও তা এই ক্ল্যাডিং এ ভেদ করতে পারবে না।

৩. রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল:

নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের জন্য বিশেষ মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পুরু ইস্পাতের প্রেশার ভেসেল তৈরী করা হয় যা, উচ্চ তেজষ্ক্রিয় অবস্থাতেও দীর্ঘস্থায়ী হয়।

৪. প্রথম কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং:

রিইনফোর্সড কনক্রিট দিয়ে ১.২ মিটার পুরুত্বের প্রথম কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং তৈরী করা হয়, যা যেকোন পরিস্থিতিতে তেজস্ক্রিয়তা পরিবেশে ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখে।

৫. দ্বিতীয় কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং:

নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিকতর জোরদার করার জন্য আধুনিক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টগুলোতে প্রথম কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং-এর পর আরও ০.৫ মিটার পুরুত্বের আরও একটি কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিং যুক্ত করা হয় যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিমান দুর্ঘটনা ইত্যাদি থেকে প্লান্টকে সুরক্ষা করে।

এই পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের কারণে মনুষ্য সৃষ্ট ঘটনা/দূর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন- শাক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ভুমিকম্প, বন্যা ইত্যাদিও প্রভাব মোকাবেলায় সক্ষম থাকবে এই পারমাণবিক চুল্লি।

এই পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ছাড়াও এই প্লান্টের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পেও প্লান্ট নিরাপদ থাকবে। এছাড়া ৫.৭ টন পর্যন্ত ওজনের বিমানের আঘাতেও এটি অক্ষত থাকবে।

সর্বশেষ প্রজন্মের অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে রিঅ্যাক্টর বিল্ডিং থেকে ৮০০ মিটারের (এক্সক্লুসিভ জোন) বাইরেই স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যাবে।

নবায়নযোগ্য শক্তি, উৎস ও বিজ্ঞানঃ পারমাণবিক অস্ত্র ও পরীক্ষা বিরোধী বিক্ষোভ এবং একবিংশ শদাব্দীতে নবতর ভাবনা


নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে বায়ু, সৌর ও জলবিদ্যুৎ। এর পাশাপাশি রয়েছে বৃষ্টি, ঢেউ, জলস্রোত, ভু-তাপ, ব্যায়ো শক্তি ও সংরক্ষিত শক্তি। নবায়নযোগ্য শক্তি হচ্ছে জ্বালানি ও শক্তি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে অন্যতম নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম।























এশিয়ায় নবায়নযোগ্য শক্তি ও উদ্ভাবনঃ

ভারতে গত ২৭ আগস্ট বিমান ভ্রমনে ব্যয় কমানোর জন্য টার্বাইন ফুয়েলের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য ব্যায়ো ফুয়েল চালিত বিমানের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এই ব্যায়ো ফুয়েল তৈরি হয় কৃষিজ অবশিষ্টাংশ, বিষমুক্ত ভোজ্যতেল এবং শিল্প ও পৌর এলাকার বর্জ থেকে।







দেহরাদুন ভিত্তিক ভারতীয় খনিজ তেল প্রতিষ্ঠান এর গবেষকরা ব্যায়ো ফুয়েলের উন্নয়নে কাজ করেছে। জাত্রফা গাছের নির্যাস থেকে ব্যায়ো ফুয়েল তৈরি করা হয়।



ছত্তিশগড় রাজ্যের প্রায় ৫০০ কৃষি পরিবার প্রাথমিকভাবে ব্যায়ো ফুয়েল রিফাইন করেছে। ইউএসএ ও অস্ট্রেলিয়ার পর ভারতে এই প্রথম ব্যায়ো ফুয়েল চালিত এয়ারক্রাফটের উদ্বোধন করা হয়।

পারমাণবিক প্রযুক্তি আবিস্কারের পর থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীব্যপী পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, আন্দোলন ও নাগরিক সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। যদিও পরমানু অস্ত্র বিরোধী বৈশ্বিক সংগঠন রয়েছে, এখনো অনেক শিল্পোন্নত দেশ পরমানু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।





বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ও জ্বালানি চাহিদা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে যদিও এর উন্নয়ন এর গতি তেমন লক্ষ্যনীয় মাত্রায় গোচর হচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সার্ক ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ের সেতুবন্ধনে দক্ষিন এশীয় সহযোগিতামূলক সংগঠন বিমসটেক সম্মেলনে সৌর বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করলেও এর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন তার শ্লথগতি লক্ষ্যনীয়।


This Writing Refers Courtesy towards Specific References (তথ্যসূত্র)………

1. Ministry of Science and Technology of Bangladesh
2. Department of Atomic Energy Commission of the India
3. Bangladesh Atomic Energy Regulatory Act, 2012
4. Alex Likhachev; Director General Rooppur Office [Rosatom (Russian State Atomic Energy Corporation) South Asia]
5. Andrey Shevlyakov; The daily star
6. International Institute Of Social And Economic Sciences (IISES)
7. Social Science Computer Review: Sage Journals
8. Journal Of Physics And Neuclear Power – IOP Science
9. Goudsmit, S. A. (November 1947). "Heisenberg on the German Uranium Project".Bulletin of the Atomic Scientists. Educational Foundation for Nuclear Science, Inc. 3 (1): 343ff. ISSN 0096-3402. Retrieved 2014-06-26.
10. Edwards, G. “Uranium: Known Facts and Hidden Dangers.” http://www.ccnr.org/salzburg.html, 1992
11. Government of India, National report to the convention on nuclear safety. A.E.R.B. website. [cited on 2007 Sep]. Available from: http://www.aerb.org.

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট; পুরোটা পড়া গেল না এজন্য প্রিয়তে রাখলাম৷সময় সুযোগে পড়ে নেব৷ পোস্টে ++++

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৪

*কালজয়ী* বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৯

নতুন বলেছেন: এতো বড় হলে বেশির ভাগ ব্লগারই লেখাটি পড়বেনা।

ছোট করে লিখুন... সবাই পড়বে...

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব কঠিন বিষয় কিচ্ছু বুঝি না।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২

ইমরান আশফাক বলেছেন: পড়লাম, কঠিন হলেও বেশ ভাল লাগলো। বাংলায় এই ধরনের পোষ্ট সহজে কোথাও খুজে পাওয়া যায় না। অনেকেরই উপকারে আসবে ব্লগে এই ধরনের পোষ্ট থাকলে। অন্তত: পারমানবিক প্রযুক্তিবিরোধী হলুদ সাংবাদিকতার প্রতিবেদনগুলি যাচাই করে নেয়া যাবে এই ধরনের পোষ্টগুলি থেকে।

আমাদের উচিৎ এই ধরনের উচ্চপ্রযুক্তির পোষ্ট আরও বেশী করে ব্লগে আসতে উৎসাহিত করা। সবার জন্য এই পোষ্ট নয় এটাও বুঝতে হবে। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে হলেও ক্রমান্বয়ে উচ্চপ্রযুক্তির কর্মকান্ডগুলি আত্নস্হ করছে এবং মানবসম্পদ ও তৈরী হচ্ছে। এটা আরও বেগবান হওয়া দরকার।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৫

*কালজয়ী* বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: আগেরটার মতোই পরিশ্রমী লেখা। বেশ।

কিছু তথ্যগত ভুল এখানেও দেখলাম। আপনি প্রথমেই পাচশত পিপিএম ইউরেনিয়াম সিলেট ও মৌলভিবাজারের খনিতে পাওয়া গেছে লিখেছেন। এখানে উল্লেখ করতে হত পাঁচশত পিপিএম (পারটস পার মিলিয়ন) লো গ্রেডের ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে। যেটি উত্তোলনের জন্য খুব একটা ভায়াবল নাও হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া-কানাডার গ্রেড প্রায় ২০,০০০ পিপিএম এর উপরে।


দেশ এখন ১৮ বিলিয়ন বৈদেশিক ঋণের ভারে জর্জরিত। -- এটা অনেক আগের তথ্য। ২০১৭ সালের ফরেন ডেট ছিল ২৮.৫৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

যাহোক শুভকামনা বিস্তারিত লেখার জন্য।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৮

*কালজয়ী* বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.