নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বই পড়তে ও অন্যদের সাথে বই শেয়ার করতে ভালোবাসি। আমার ব্লগ:\nhttp://bangla-pdf-books.blogspot.com

রুহুল আমিন সোহেল

আমি বই পড়তে ও অন্যদের সাথে বই শেয়ার করতে ভালোবাসি। আমার ব্লগ:http://bangla-pdf-books.blogspot.com

রুহুল আমিন সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে গল্পের শেষ নেই - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭



‘যে গল্পের শেষ নেই’ ভারতীয় লেখক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি অন্ত্যন্ত মূল্যবান বই। বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে অতি সহজবোধ্য ভাষায় বিশদ আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে। লেখক একটি ছোট্ট শিশুকে গল্প বলার মধ্য দিয়ে বইটি শুরু করেন। শিশুটি সত্য গল্প শুনতে চায়, যে গল্পের কোন শেষ নেই কিন্তু সেই গল্পে কোন ফাঁকি থাকবে না। তিনি ভাবলেন এরকম গল্প হতে পারে শুধুমাত্র মানুষের গল্প।

গল্পটার ভিত্তি বিজ্ঞানসম্মত বস্তুবাদী ইতিহাস। লৌকিক-দৈবিক, উচিত-অনুচিত, বিজ্ঞান-অপবিজ্ঞান, সৃষ্টি-ধ্বংস সমস্ত কিছুর পেছনেই আমরা কেবল মানুষকে, মানুষ আর প্রকৃতির দ্বন্দ্বকেই দেখতে পাই। প্রকৃতির বুকে মানুষের সেই উদ্ভব, বিবর্তন আর বিকাশের কথা সঠিকভাবে না বুঝলে, মানুষকে নিয়ে কোন কথা বলার জোর থাকে না সবসময়। কাজেই, সহজভাবে, যথাসম্ভব পরিপূর্ণভাবে এসব বুঝার তাগিদ আমাদের বরাবরই ছিল।

প্রাক মানুষ, মানুষ, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতি ইত্যাকার বিষয় নিয়ে বিস্তর মোটা মোটা কেতাব লেখা হয়েছে। রয়েছে অনেক মূল্যবান রেফারেন্স বই কিংবা এনসাইক্লোপেডিয়া। কিন্তু এগুলো থেকে মানুষের কথা ঠিক যেন মন প্রাণ দিয়ে বুঝা যায় না। হয়তো মুখস্থ করা যায় কিন্তু মন ভরে না যেন সাধারণ সহজ-বুদ্ধি পাঠকদের। পাঠকদের অতৃপ্তিকে মেটানোর জন্যই দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এর ‘যে গল্পের শেষ নেই’ বইটি। ঠিক যেন পাঠকরা যা চাইছিল তাই বলেছেন দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বইটিতে। একেবারে গল্প বলার মতো অনাবিল স্বাচ্ছন্দ্যময় প্রাঞ্জল কথা কাহিনীতে ভরা। একটুও প্রাচীনত্ব, একটুও জড়ার লক্ষণ নেই। শুধুই মানুষের কথা বইটির প্রতিটি পাতায়। হোক না তা বহু বছর আগের লেখা, কথাগুলো তো আজও সত্যি।

এই বই সম্পর্কে জনপ্রিয় লেখক মানিক বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন-
“‘যে গল্পের শেষ নেই’ ... ... আমি নিজেই শুধু বিশেষ মনোযোগ দিয়ে পড়িনি – ছেলেদের এবং সাধারণ মানুষদের পড়াচ্ছি। তারা কি বুঝে কতখানি বুঝে কিভাবে বুঝে যাচাই করার জন্য। কঠিন কথা, একেবারে অজানা কথা সহজ করে বুঝিয়ে বলা বা লেখার চেয়ে কঠিন কাজ জগতে কমই আছে। বৈজ্ঞানিকদের জন্য বিজ্ঞানের বই লেখার সময় জানা থাকে তারা কতটা বুঝেন না বুঝেন, তাদের বুদ্ধি আর চেতনা কি ধরণের, -কিন্তু অজ্ঞদের বেলায় পড়তে হয় মুস্কিলে। তাদের মগজে কি আছে আর কি নেই-যা আছে তার স্বরূপ কি-এসব আন্দাজ করা কঠিন। অথচ শুধু এটুকু আন্দাজ করলেই চলে না। প্রতিনিয়ত তাদের মগজটা কি দিয়ে কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তা জানলেও চলে না। ... ...”

বইটির ডাউনলোড লিঙ্কঃ Click This Link

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার অন্যতম প্রিয় লেখক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়| তার বইগুলো ভাবায় নতুন করে, জানিয়ে দেয় অনেক কিছু| একজন শিশু কিংবা কিশোর তার বই পড়লে প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাস আর সংস্কারকে প্রশ্ন করার সাহস পাবে|
অফ টপিকের প্রশ্ন, আপনারা যে বইগুলো স্ক্যান করে আপ করে দিচ্ছেন, কপিরাইটের তোয়াক্কা না করেই, এটা কতটা ঠিক?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

রুহুল আমিন সোহেল বলেছেন: আমি নিজে কোন বই স্ক্যান করি না। ইতিমধ্যে স্ক্যান করা বইগুলো শুধু শেয়ার করি। আমিও নতুন বই স্ক্যান করার বিপক্ষে। তবে পুরনো দুস্প্রাপ্য বইগুলো স্ক্যান হতে পারে সংরক্ষণের জন্য।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বইটি পড়া হয়নি, সময় করে পড়তে হবে।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: স্ক্যান করার বিপক্ষে আবার শেয়ারও করছেন, আপনি নিজেকে কন্ট্রাডিক্ট করছেন না? তাছাড়া এ বইটার হার্ডকপি বাজারে পাওয়া যায়, সহজেই|

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: বইটা পড়তে হবে, অনেক ধন্যবাদ পোস্টের জন্য ।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

রুহুল আমিন সোহেল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

রুহুল আমিন সোহেল বলেছেন: যাদের কিনে পড়ার সামর্থ নেই তারা পিডিএফ পড়বে। আপনি কিনে পড়ুন।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

সুমন কর বলেছেন: পড়া হয়নি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.