নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কঙ্কালসার

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০২

কঙ্কালসার

পথ চলতে চলতে ভাবছিলাম
এ কেমন দিশা !
নাহয় খেয়েছে দুটো ডালিম,
তা বলেই এমন মারের নিশা !
আমার অপাংক্তেয় উলুধ্বনি,
ওরা পায়নি খুঁজে ডুমুররাজকে।
অন্তিম ছায়াগুলো অবিরাম নেচেছে।
দখিন দ্বীপের হাওয়ায় তা যেচেছে।
সাথে এনেছে সুললিত ঘ্রাণ,
পোড়া মাংস থেকে ঝোল মাংসের দান।
লালায়িত সন্ধ্যায় দমবন্ধ পোশাকটা
খুলে যেতে চাইছে শরীর থেকে।
বেমালুম বেআব্রু বেশে; বেহিসেবী বেড়াবো,
বেদখলে যাওয়া বিচ্ছিন্ন বদ্বীপে।
আয় খুকি আয়, তোকে আদর করি।
দুটি গান শোনাই কাকাতুয়ার।
তোর ভুখা পেটে অন্ন দিতে না পারি,
শূন্য মনে ছিটিয়ে দেব ফুল।
ভাসিয়ে গাঙের দুকূল,
নামাবো বৃষ্টি তুমুল।
চল খেলি আয়না-ছলাৎ
শাপলা দীঘির জলে।
ফের দুঘ্রাণ করবি সপাট
মায়া দিদির কোলে।
আয়রে খুকি আয়,
মনিবুবুর বাড়ির ছাদে যাই।
পাষাণ দেশের বুক ছেঁদানো কায়
মোরা সাম্যের গান গাই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৪

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বাহ বেশ লিখেছেন

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: দারুন লিখেছেন

শুভ ব্লগিং

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিবেন।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:১৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
কিছু কিছু জায়গায় টাইপো সমস্যা রয়েছে। তবে, কবিতাটা বেশ!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হচ্ছে, কবিতাটি পড়ে এর মর্মার্থ আমি ধরতে পারিনি। তবে এ ক'টি পংক্তি ভাল লেগেছেঃ
আয় খুকি আয়, তোকে আদর করি।
দুটি গান শোনাই কাকাতুয়ার।
তোর ভুখা পেটে অন্ন দিতে না পারি,
শুন্য মনে ছিটিয়ে দেব ফুল।
ভাসিয়ে গাঙের দুকূল,
নামাবো বৃষ্টি তুমুল।
--
টাইপোঃ অপাঙ্তেয়< অপাংক্তেয় হবে।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমাদের অক্ষমতায় আমরা রাস্তাঘাটে অনেক ক্ষুধার্ত মানুষ দেখেও কিছুই করতে পারিনা। যারা সক্ষম তাদের কথা আলাদা। যারা নিজেরাই টানাপড়েনে থাকে তাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হয়না। রাস্তায় কঙ্কালসার এক শিশুকে খাওয়ার জন্য মার খেতে দেখে, নিরুপায় সামনে হেঁটে দোকান থেকে কাবাব পোড়া গন্ধ আবার ঘরে ফিরে আরেক ঘর থেকে ভেসে আসা মাংসের ঝোলের গন্ধ পাই। কিছু বলতে না পারার কষ্টটা অপাংক্তেয় উলুধ্বনি হয়ে যায়। সমাধান দিতে পারে এমন কোন ডুমুরের রাজার দেখা পায়না। অনুভূতিটা নির্দিষ্ট সময়ের অন্তিম পর্যন্ত দুলতে থাকে হাওয়ায় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ছেড়ে। দমবন্ধ হয়ে আসা এই পরিস্থিতিতে সব মেকি আবরণ খুলে ফেলে জনবিচ্ছিন্ন কোথাও নিরুদ্দেশ হতে ইচ্ছে হয়। শেষমেশ এই ভেবে মনকে সান্ত্বনা দেয়া, আমি কিছু করতে না পারি, খেতে দিতে না পারি কিন্তু শিশুটিকে একটু আদর করতে পারি, তার মনকে কিছুটা আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করতে পারি, তার সাথে খেলায় মাততে পারি। মনিবুবুর (কাল্পনিক)মত সক্ষম দয়ালু একজনের আশ্রয়ে গিয়ে সাম্যের বানী প্রচার করি।

দেরীতে হলেও কবিতাটি পাঠ করে মন্তব্য জানিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। কতটুকু বোঝাতে পেরেছি জানিনা, চেষ্টা করলাম তাই প্রতিমন্তব্যের আশায় থাকছি। ওই লাইনগুলো আমার নিজেরও খুব পছন্দ। ভালো থাকবেন, অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ এ ব্যাখ্যাটুকুর জন্য। তবে ব্যাখ্যাটা আলাদা মন্তব্য হিসেবে না দিয়ে আমার মন্তব্যের উত্তর হিসেবে দিলে ভাল হতো।
ব্যাখ্যার সাথে এবারে কবিতার ভাব মেলাতে পারলাম এবং এজন্য তৃপ্ত বোধ করছি।
আমার দুই একটা কবিতায়ও আপনার মন্তব্যের প্রত্যাশা করছি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। প্রতি মন্তব্য দিতে গিয়েই ভুল করে মন্তব্যের ঘরে চেপে দিয়েছি। পরে আর ঠিক করা হয়নি, দুঃখিত সেজন্য। হ্যাঁ অবশ্যই আমিও আপনার কবিতাগুলো পড়বো এবং যথাসম্ভব মন্তব্য করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৪

রাকু হাসান বলেছেন: আমার কাছে ‘‘তোর ভুখা পেটে অন্ন দিতে না পারি,
শুন্য মনে ছিটিয়ে দেব ফুল।’’ এটাবেশি ভাল লেগেছে :-B । অবহেলিতদের নিয়ে লেখা , আরও পাঠ ও মন্তব্য হওয়ার কথা ছিল । :-<
ছোটদের প্রতি অনেক ভালবাসা তোমার,তাদের নিয়ে ছড়াও লিখ । বাহ

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আসলে প্রথম দফায় আমি অন্যদের ঘরে গিয়ে মন্তব্য কম করতাম। আমি কেন জানি সামুতে একদম রেজিস্ট্রেশন করার দিন থেকেই সাফ ছিলাম B:-/ । তাই অন্যদের পোস্টে গিয়ে মন্তব্য করে করে যে আগে নিজের পরিচিত বাড়াতে হয় সেটা বুঝি নাই। আর আমার পোস্টে মন্তব্যের জবাবেও একটু কাঠখোট্টা ছিলাম। তাই পাঠ এবং মন্তব্য অনেক কম পেয়েছি। সময়ও এখনকার মত দিতে পারিনি। এখন তো দিন রাত ব্লগেই বসে আছি।
তুমি আমাকে ভালোবাসো দেখে আমার ব্লগ ঘুরে ঘুরে পড়ছো 8-| । ধীরে ধীরে যদি আর কারও ইচ্ছে হয় তাঁরাও হয়তো পড়বেন।
ছোটদের প্রতি সত্যিই আমার অনেক ভালোবাসা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.