নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুভব একটি শক্তি

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৫



ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ছাড়া অর্থহীনভাবে কিছু ভালোবাসা চলতে থাকে। ভালোবাসায় অনুভূতির স্বচ্ছতা ভিন্ন আর কি অর্থ থাকতে পারে সেটাও একটা ভাবার বিষয়। কি কি ঘটলে অর্থপূর্ণ মনে হবে সেটা একটা জটিল প্রশ্ন। সময়ের কুলে অসংখ্য; নিদেনপক্ষে কিছু ঘটনা থাকতেই হবে? পারস্পরিক আদান-প্রদান, হতে পারে সেটা বস্তুগত, জীবন দাবী, সময় দাবী, স্পর্শজাত যা শক্তির প্রবাহ ঘটায় চেতনে-অবচেতনে। এমন কিছু হলেই কি অর্থপূর্ণ বলা যাবে ? একটা বিশাল কল্পনা আনন্দের স্ফুরণ ঘটায় চিত্তে। অনুভবের সাগরে দোলা দেয়। শক্তির প্রবাহ বটেই; নয়তো ভাবনা এবং অনুভব গতিশীল হত না। কিন্তু তাতে বস্তুজগতে কোন ক্রিয়াটি ঘটে? সেটি কি পরোক্ষ? বোধহয়। কারণ চিত্তে আনন্দ থাকলে বাহিরের কাজ শান্তি নিয়ে করা যায়। কিন্তু বাহিরের কাজটি যদি প্রচণ্ড রকমের অপছন্দের, গ্লানির বা ক্লিশে হয় ? তাহলে সেটি চিত্তের ওই শক্তিটাকেও রূপান্তর করতে থাকে, যার মানে হল ভেতরের শক্তি ক্ষয়। বিজ্ঞানের সাথে এই শক্তিকে মেলানো যাবে না। কারণ বিজ্ঞান পরীক্ষালব্ধ মানতুল্য ক্লাসিফায়েড অনুভূতি চেনে। যেমনঃ ঠাণ্ডা, গরম, মিষ্টি, তেতো ইত্যাদি। কিন্তু সঙ্গম শেষে বীর্য স্খলনের সুখানুভূতির কোন ক্লাসিফায়েড সংজ্ঞা তার কাছে নেই। ক্রিয়াকারীই বোঝে সেই অনুভূতি কেমন।



অনুভূতি প্রকাশের তাড়নায় এই বিষয় নিয়ে কবিতা, গল্প, গান, নাচ, চিত্র, ভাস্কর্য, সিনেমা ইত্যাদি শিল্পের যে মাধ্যমই কেউ বেছে নিক না কেন, বিজ্ঞানের কাছে তার কোন ভিত্তি নেই। কারণ বস্তুগত মানতুল্য বিষয় ছাড়া বাকি সব কিছু বিজ্ঞান অস্বীকার করে। বিজ্ঞান বলে ভালোবাসা হল শারীরিক আকর্ষণ, দেহের চাহিদা। মনের লাগান বলতে অযৌক্তিক কিছু এখানে নেই। প্রশ্ন হল, সেই শারীরিক আকর্ষণের ফলে রতিক্রিয়া যে ঘটে, সেটার বীর্য বস্তুগত হলেও অনুভূতির কোন মানতুল্য ব্যাখ্যা দেবে বিজ্ঞান? মানুষে মানুষে মিথস্ক্রিয়া এবং মমতা অনুভূতির কোন সংজ্ঞা বিজ্ঞান দিতে পারে না। মনোবিজ্ঞান এটা নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু সেই কাজ বিস্তর ঘোলাটে। এই উদাহরণটাকে বাজে মনে করলে, যদি মাতৃস্নেহের উদাহরণ দেই। মায়ের ভালোবাসা কোন বস্তুগত জিনিস ? কি তার নিরেট যুক্তি ? নাড়ি ছেড়া ধন! তো এই নাড়ি ছেড়ার ফলে কি সঞ্চালিত হয়, তা কি দেখা যায় ? শরীরে ঘটা বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া ? এই ক্রিয়া-বিক্রিয়ার প্রভাবক কি? জন্মদাত্রীর নাহয় শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তাই তিনি মমতা অনুভব করেন, কিন্তু জন্ম না দিয়েও বড় করার সূত্রে যিনি মা হন তিনি কোন বিক্রিয়ার ফলে স্নেহ-মমতা অনুভব করেন!?



যদি বলা হয় বিজ্ঞানীরা এবং যুক্তিবাদীরা আবেগ তাড়িত হয় না, তাঁদের মায়া-ভালবাসা, কষ্ট এসব অনুভূতি নেই, তাহলে তাঁদের জন্য রতিক্রিয়ার সেই বীর্য স্খলন মুহূর্তের সুখানুভূতির প্রশ্ন রইলো। যদি বলে, এটা প্রাকৃতিক চাহিদা। হলই বা। কোন অনুভূতি ছাড়াই স্বপ্ন দোষে সেই চাহিদা মিটতে পারতো। কিন্তু স্বপ্নেও সে অনুভূতি প্রাপ্ত হয়।যদি বলে, প্রকৃতি বংশ বিস্তারের প্রয়োজনে এই ব্যাবস্থা করেছে, তাহলে নিশ্চিতই প্রকৃতির একটা শক্তি আছে। এসব তর্ক ছেড়ে দিলেও, তাঁরা কি অনুভূতি যে হয়েছে অর্থাৎ অদৃশ্য হলেও অনুভূতির উপস্থিতিটা অস্বীকার করতে পারবে ! বলা বাহুল্য, মস্তিষ্কের সব কার্য-প্রণালী বিজ্ঞান জানে না। গবেষণা চলছে, একদিন জানা যাবে কেন মানুষ মায়া-ভালবাসা অনুভব করে, কেন রাগ-ঘৃণা অনুভব করে, কেন কল্পনা করতে ভালোবাসে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সেটা যেদিন ঘটবে সেদিন পুরো পৃথিবী স্থবির হয়ে পড়বে। এর কারণ বিভিন্ন প্রকার মানব অনুভবই এই পৃথিবীর বিশাল কর্মযজ্ঞের চালিকাশক্তি। এক একটা অনুভব থেকেই প্রতিটা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছে। মানুষ যদি জেনে যায় ‘ভালো লাগছে না’ এই অনুভূতির কারণ মস্তিষ্কের কোন রাসায়নিক পদার্থ বা বিক্রিয়া বা হরমোন তাহলে আক্রান্তরা বাড়ির পাশের ফার্মেসী থেকে সেটার এন্টিডোট কিনে এনে খাবে। সন্তান মারা গেলে কষ্ট না হওয়ার জন্য মা-বাবারা কষ্টের বিপরীত ওষুধ এনে খাবে। অমানানসই কারো প্রেমে পড়লে অভিভাবকরা প্রেমানুভূতি কাটানোর কেমিক্যাল এনে খাইয়ে দেবেন। যে লিপ্সা বা কু-অনুভুতি থেকে পৃথিবীতে যুদ্ধগুলো হয় সেই লিপ্সা কাটানোর বিপরীত রাসায়নিক পদার্থের প্রয়োগ যুদ্ধগুলো বন্ধ করে দেবে। লিপ্সা বন্ধ হয়ে গেলে শোষিতরাও আর শোষিত হবে না। ভয়ঙ্কর পুরুষ অনুভূতির বিপরীত ড্রাগের প্রয়োগে পুরুষরা নারীদেরকে ভীষণ সম্মান করবে। আক্ষরিক অর্থেই সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে!!!



এগুলো ঘটলে কি পৃথিবীতে আসলে আর কোন কাজের অবকাশ থাকবে? বোঝাই যাচ্ছে মস্তিষ্কের এই অংশগুলোর তথা মানবানুভূতির রহস্যের বৈজ্ঞানিক কারণ উদ্ধার পৃথিবীর জন্য কতটা ভয়াবহ একটি ব্যাপার। এবং আমার দৃষ্টিতে প্রকৃতপক্ষে অবাস্তব বিষয়। আর সেই সময়ও কি অনুভূতি কোনদিন দেখা যাবে? বাতাস দেখা যায় না, কিন্তু তার অনু পরমাণু আছে, যন্ত্রের সাহায্যে সেগুলো দেখা যায়। মানুষের কষ্ট এবং মায়া অনুভূতির কি অনু পরমাণু আছে যা যন্ত্রে দেখা যাবে ? আর দেখা গেলে সেটা ওই উপরোক্ত অবস্থার মতই হবে। শক্তি দেখা যায় না, কণা বা তরঙ্গ আকারে প্রবাহিত হয়। প্যাকেট আকারে হয় সেটাও বলা হচ্ছে। সকল জীবের বেঁচে থাকার জন্য শক্তি প্রয়োজন। নানাভাবে শক্তির রূপান্তর হচ্ছে অহর্নিশি। চারটি মৌলিক বল বিজ্ঞান ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমার মনে হয় মানব অনুভূতিও সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধরণের মৌলিক বল। যে বল থেকে উৎপন্ন শক্তির তাড়নাতেই পৃথিবী জুড়ে এত কর্মচঞ্চলতা। কবিরা, শিল্পীরা মোটকথা সৃজনশীল মানুষেরা যে শক্তির তাড়নাতেই জীবনভর অস্থিরতায় ভোগেন। তাঁরা কাজের মাধ্যমে শক্তির রূপান্তর ঘটানোর প্রয়াস পান। তাঁদের বাদ দিলে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ক্রমাগত সুখদুঃখের বৃত্ত, অকারণ অসংখ্য কার্যকলাপ, কারো কারো ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী ‘ভালো না লাগার’ খপ্পরে পড়ে থাকা এসব কিছুই ঘটে সেই অনুভব শক্তির রুপান্তরের প্রয়োজনে। মানুষ বাদে অন্য প্রাণীতেও এই বল তথা এই অনুভব শক্তি অবশ্যই আছে।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৫

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এরকম আপত্তিকর ছবি দিয়ে পোস্ট করা কি ঠিক হল?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: নাহ! এই দেশের বর্তমান উন্নয়নে এটা আপত্তিকর মনে হচ্ছে না আমার কাছে। তাছাড়া এর চেয়ে আপত্তিকর ছবি এখানে অন্য ব্লগেই দেখলাম যে।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: কি বলেন? এগুলো আপত্তিকর না হলে তাহলে কোনগুলা হবে?? :-&

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


অনেক দিন পড়ে এলেন। সুস্বাগতম! লেখাটি বেশ উচ্চমানের! ভাল লেগেছে! প্রিয়তে রইল!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমি অভিভূত ভ্রমরের ডানা। এই মুহূর্তে ভালোবেসে ফেললাম আপনাকে। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


মানুষের অনুভব ব্যক্তিবিশেষে প্রায়শ বৈচিত্র্যময়। পানি ভর্তিগ্লাস অর্ধেক আর পান বিহীন অর্ধেক গ্লাস থিউরী দিয়ে এটা বোঝা যায়। তবে আমি কিছু লেখায় পাভলভ থিউরি দেখি। পাতে দেওয়ার আগেই ছুটে আসি। দু চার লাইন পড়েই বুঝে গেছি এ অনুভব যথেষ্ট শক্তিশালী! আপনার কল্পনাবলের প্রশংসা করি সুপ্রিয় ব্লগার! আপনার মতই মানব অনুভবের শক্তিকে আমিও মৌলিক বলেই মনে করি! বিষয়টি যদিও অপ্রমাণিত তবুও তা ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানের উপর সপে দিলাম!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "আপনার মতই মানব অনুভবের শক্তিকে আমিও মৌলিক বলেই মনে করি! বিষয়টি যদিও অপ্রমাণিত তবুও তা ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানের উপর সপে দিলাম!" এই একটিমাত্র বাক্যেই লেখার যত শান্তি আমি পেয়ে গেলাম। শক্তিও পেয়ে গেলাম। অনুভব তুমি মহান। আর বন্ধু তুমি অনুভব সঞ্চারের উজ্জ্বল দিগন্ত, মসৃণ হাতিয়ার!

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো লাগলো মনে হলো অন্যরকম একটু।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেশপ্রেমিক বন্ধু। শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: লেখাটি বিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানের দারুন বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ । আপনার সংবেদনশীল মনের তারিফ করতেই হয় ।
ঐ কাজল
কালো চোখ
আদি কবির
আদি রসের
যেন দুটি শ্লোক- একটি রবীন্দ্র পঙতি

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: 'ও পাখি ময়না
কথা কেন কয়না' এটি ভুল প্রমাণিত করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক কৃতজ্ঞ সুহৃদ। ভালো থাকুন সবসময় । আহ্বান থাকলো ব্লগে।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:২৭

রাকু হাসান বলেছেন: এত বুঝি না X(( ,তোমার এই লেখা মাথার উপর দিয়ে গিয়ে মাথা টাক করে দিল ;)

তবে যতটুকু বুঝেছি ,ব্যাখ্যা ,বিশ্লেষণ খুব সুন্দর ,মনে হচ্ছে তুমি অনেক ভাবুক ।

প্রথম পাতার পোকা খাচ্ছে খুব আমায় :-< ।দু মাস চারদিনে এই কমেন্ট নিয়ে ৮০৭ টি কমেন্ট করলাম ,মানে অনন্ত ৮০০ লেখা টি পড়েছি । ব্লগটি ৫ টি পোস্টে ৬৫০ বার দেখা হয়েছে । জানি কিছূ সমস্যা আমার আছে টেকনিক্যাল বা মৌলিক সেগুলো সমাধান করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমি ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পোকা খাওয়ারই কথা। আর কিছুদিন দেখো। ১০০০ কমেন্টের পরেও সেফ না হলে মডুর কাছে সুন্দর করে রিকোয়েস্ট করবে। তখন নিশ্চয়ই হয়ে যাবে আশা করি।

তুমি যে ব্লগবাড়ি ঘুরে এই লেখাটা বের করে পড়েছ, সেজন্য আমার অনেক ভালো লাগছে রাকু হাসান :) । ছোট ভাইটা আমার একদিন ঠিক বুঝবে। আর সেদিনই মাথা ভর্তি চুল গজিয়ে যাবে ;)

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আপনার চিন্তাশক্তি আমাকে অবাক করে! আবার পড়লাম সেই সাথে নতুন একটা জিনিস মাথায় এল। মাতৃস্নেহ নাকি একটা বায়োলজিক্যাল বিষয়। যতদূর জানি, মায়ের কিছু কোষ নাকি শিশুর দেহে প্রবেশ করে। ফলে মায়ের স্নেহ সন্তানের প্রতি কাজ করে। এটা কি ঠিক?

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মাতা-পিতার ডিএনএ দিয়েই তো সন্তান। কাজেই বায়োলজিক্যাল ইফেক্ট থাকবে, স্বাভাবিক। নানা ধরণের রাসায়নিক ক্রিয়া মায়ের ভেতর ঘটে। কিন্তু স্নেহ বা মমতা পুরোপুরি বস্তুগত আদান প্রদানের ফলে ঘটে না। এটা শক্তির মত যা স্পষ্টত আছে, কিন্তু দেখা যায় না। যে কারণেই নাড়ি ছেঁড়া ধন ছাড়াও যে অন্য শিশুর প্রতি একজন নারী মাতৃস্নেহ অনুভব করেন সেটার উদাহরণ দিয়েছি। পাখি প্রিয় বা বিভিন্ন প্রাণী প্রিয় তো কত মানুষ আছে, কি সেটা ? সেখানে তো জৈব ক্রিয়ার কোন কিছুই ঘটে না। আবার দেখুন না, এই ব্লগেই একে অপরকে তীব্র ঘৃণা করার অনেক মানুষ আছে, এই যে ঘৃণা মানুষের একটা অনুভূতি সেটা কি ? এখানে তো দৃশ্যমান প্রমাণ করা যায় এমন কিছু নেই। শুধু কিছু লেখা পড়েই এই প্রতিক্রিয়া হয়, তার মানে পড়ার সাথে সাথে কিছু একটা সঞ্চার হয় পাঠকের ভেতর যা তার মননে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এই প্রতিক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়েই ভায়োলেন্স টাইপ ঘটনাগুলো ঘটে। আবার ধরুন, আপনাকে আমি দেখিনি, আমাকে আপনি দেখেননি, কিন্তু মনে হচ্ছে না একটা সংযোগ আমাদের মধ্যে আছে ;) । কোনদিন না দেখে শুধু চিঠি পড়ে পড়ে প্রেমে আপ্লুত হওয়ারও তো অনেক ঘটনা আছে। মোট কথা হল, মানুষের অনুভূতিজাত ক্রিয়াকর্ম যার লক্ষণ স্পষ্টতই অবিনশ্বর শক্তির ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ধর্মের মত। এই বিষয়টা নিয়েই একদিন আরও বিস্তারিত গবেষণা হবে বলে বিশ্বাস করি। সেদিন প্রমাণ হলে আমার নাম থাকবে কিনা তা অবশ্য জানি না :P । আপনি আবার এসে মন্তব্য করাতে আমার যে কি ভালো লাগলো। এই পোস্ট কম পাঠক পেয়েছে আসলে।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪২

চাঙ্কু বলেছেন: আমি ঠিক জানি না আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কি!! মানুষের অনুভূতির ধরন, মাত্রা আর ডাইভারসিটি নিয়ে প্রচুর স্টাডি হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। যদি পড়তে চান, আমি কিছু পেপার/জার্নাল বের করতে পারব। রোমান্টিক ভালোবাসার ক্ষেত্রে Dr. Helen Fisher এর ৩টা ক্যাটাগরি (lust, attraction, and attachment) অনেক বিখ্যাত কিন্তু এগুলো ভালোবাসাকে কেমিক্যাল পারস্পেক্টিভ থেকে ব্যাখ্যা করা ছাড়া আর অন্য কিছুর ব্যাখ্যা করে না অবশ্য ব্যাখ্যা করাটা অনেকটা বেসম্বভ।

তবে আমার কাছে বিজ্ঞান আর কিছু না...জাস্ট ফ্যাক্টসফুল ইনফো আনাল্যসিস আর ইনফোগুলোকে প্রুভ করা। পৃথিবীতে বিজ্ঞান এখনো অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করতে পারে না কারন আনাল্যসিস করার জন্য আমরা এখনো সেই ফ্যাক্টসগুলো বের করতে পারি নাই তবে একদিন হবে হয়ত...মেবি ২০৫০? ;)
আর মানুষের অনুভূতির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনের চেয়ে আমি অনুভূতিগুলোকে অনুধাবন করতে চাই, বিজ্ঞান যেই ব্যাখ্যাই দিক না কেন!

এইটা সায়েন্টিক কমিউনিটির ডিসকাশনের জন্য খুব ভালো একটা টপিক হতে পারে তবে ব্লগে মনে হয় না! খুব ব্যতিক্রম একটা টপিক নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। অনেক বন্যবাদ।

ওরে খাইছেরে!! কি খটমট কথা বলে ফেলছি!! আপনারে মাইনাস।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বিজ্ঞান আমার প্রিয় বিষয়। বিশেষ করে পদার্থ বিজ্ঞান আমার অত্যন্ত প্রিয় বিষয়। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক, আমি স্নাতক পর্যায়ে মৌলিক কোন বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পারিনি। "মানুষের অনুভূতির ধরন, মাত্রা আর ডাইভারসিটি নিয়ে প্রচুর স্টাডি হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে"। আমি বিচ্ছিন্নভাবে পড়েছি অনেক লেখা বিভিন্ন জার্নালে, বইতে। হেলেন ফিসার এর বইটা পড়িনি কিন্তু এর সারকথা মোটামুটি জানি। কেমিক্যাল পারস্পেক্টিভ থেকে ব্যাখ্যা করা বলেই এর বাইরের বিষয়গুলো নিয়ে আমি পোস্টে লিখেছি। আমি বেশি পড়েছি মনোবিজ্ঞান এর বই। যেটাকে আসলে বিজ্ঞান বলা হলেও প্রকৃত বিজ্ঞানের মত যার বেশিরভাগটাই প্রমাণ করা যায় না।

আরে ২০৫০ বেশি বাকি নাই। আপনি তো জানেন, একটা থিউরিতে এখন খুব কাজ চলছে এবং বলা হইতেছে যে ২০৪৫ সালে মানুষ অমরত্ব পেতে যাচ্ছে, তো সেইটা আগে দেইখেন তারপর ২০৫০ এ যাইয়েন ;) । মানুষের অনুভূতিগুলো তো অনুধাবনের জন্যই। মানুষ না চাইলেও অনুভূতির অনুভব হবেই। অনুধাবন না করে শুধু এর ব্যাখ্যা করবে এআই যারা তারা।

"এইটা সায়েন্টিক কমিউনিটির ডিসকাশনের জন্য খুব ভালো একটা টপিক হতে পারে তবে ব্লগে মনে হয় না! " এইটা একটা মনের কথা বলেছেন। কিন্তু আমার তো এমন কমিউনিটির সাথে যোগ নাই, আর ব্লগ ছাড়া লেখার কোন জায়গাও পাই নাই :( । ভাবছিলাম অন্তত ব্লগে কিছুটা আলোচনা পাবো। পাই নাই :(

আপনি এই পোস্ট পড়েছেন বলে আমি অনেক অনেক আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ, চাঙ্কু ভাই। খুব খুশী হয়েছি আপনার এই মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে। যেন একটু উৎসব বোধ হচ্ছে !:#P । অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং বিরাট শুভকামনা :)

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৭

চাঙ্কু বলেছেন: বিজ্ঞান নিয়ে আমিও আগ্রহী তবে পদার্থ বিজ্ঞানেও আসলে আমার তেমন দখল নাই। আর আগে ব্লগে একাডেমিক ক্ষেত্রে শাইন করা প্রচুর লোক ছিল যা এখন মনে হয় নাই। Johns Hopkins এর রাগিব ভাই, MIT এর এহসান ভাই, UCL এর নিয়াজ ভাই-সহ আরও অনেকে ছিল। তখন কিছু মৌলিক বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা হত কিন্তু এখন মনে হয় না হয়।

অমরত্ব নিয়ে মলিকুলার ম্যানিপুলেশন, স্টেম সেল, জিন থেরাপিসহ আরও অনেক থিউরি আছে কিন্তু আমার মনে হয় এগুলার কোনটা আমরা জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারব! তবে এরা মনে করে সম্ভব। স্টেম সেল নিয়ে এইটা নাইলে এইটালেখাটা পড়তে পারেন।

বায়োইনফরমেটিক্স এর উপরে কোটি কোটি ডলারের গবেষনা হচ্ছে। আলোচনার জন্য কোন একটা ল্যাবে যোগ দিয়ে দেন :)

আমার অবসর সময়ের প্রিয় বন্ধু হল এই সাইটা। ভবিষ্যতের টেক নিয়ে মেলা কিছু আছে। ট্রাই করে দেখতে পারেন।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে ব্লগিং করতেছি। সরি, এইজন্য মন্তব্যটা অনেক অগোচালো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনারা অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আগে ব্লগে। আমি প্রত্যাশা করি আবার এরকম জ্ঞানী গুণী মানুষে ব্লগ ভরে উঠবে। বিভিন্ন টপিক নিয়ে যেখানে আক্ষরিকই তুমুল একাডেমিক আলোচনা করা যাবে।

আপনার দেয়া লিঙ্কগুলোয় অবশ্যই পড়বো। এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক দেয়ার এত্তগুলা ধন্যবাৎ দিলাম :)
"বায়োইনফরমেটিক্স এর উপরে কোটি কোটি ডলারের গবেষনা হচ্ছে। আলোচনার জন্য কোন একটা ল্যাবে যোগ দিয়ে দেন" আপনি কি আমাকে অনুগ্রহ করে কোন একটা ওয়ে দেখাবেন কিভাবে যোগ দিতে পারি ? B:-/

আচ্ছা, আপনি কি কাজ করেন জানতে চাই, যদি আপত্তি না থাকে ;)
মন্তব্য যথেষ্ট সোন্দর হইছে :#)

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

চাঙ্কু বলেছেন: এখনতো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই বায়োইনফরমেটিক্স ল্যাব রয়েছে যাতে প্রচুর গবেষনা হচ্ছে। পিএইচডি করেই ফেলেন :D আমার জানামতে UCLA বায়োইনফরমেটিক্স এর উপরে বেশ কিছু ভালো কাজ করেছে তবে ফান্ডিং এর ব্যপারে জানা নেই। খুব কৌতুহলী হলে আমাকে [email protected] এ একটা মেইল দিয়েন।

আর আমার এখনকার কাজ নাকি আমার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন ঠিক বুঝি নাই। কারন আমি পড়ছি এক বিষয়ে কিন্তু কাজ করি অন্য কিছু :D

ভালো থাকবেন। কিছুদিন মনে হয় আপনাকে ব্লগে দেখি নাই। ব্যস্ত নাকি?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ইয়ো ইয়ো! চাঙ্কু ব্রাদা আপনার সাথে এখন থেকে মেইলে যোগাযোগ করবো :D । আমার যে রাজ্যের প্রশ্ন মাথায় আসে এসব নিয়ে আপনাকে জ্বালাবো ;)

এখনকার কাজ জিজ্ঞেস করেছিলাম আসলে। যাক, মেইলে জানা যাবে :)

হ্যাঁ, ব্যস্ততার জন্য এখন সময় খুব কম পাচ্ছি। প্রতিদিনই ব্লগে চোখ বুলিয়ে যাই, কিন্তু লগইন করে মন্তব্য করা বা কিছু পোস্ট করার সময় পাই না। তবে যেমনই হোক ব্লগে ঝুলে হলেও লেগে থাকবো B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.