নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।
শৈশবের অবধারিত ছুটির দিনগুলোতে একটি নদী থাকতো। বয়ে চলা নদীর মাঝে একটা সরল বাঁক থাকতো। বাঁকের সেকি হাসি ঠাট্টা ছিল ! কখনো গোত্তা খাওয়া ঘুড়ির মত মাঝ পুকুরে ঝাপ, কখনো বা নিজেই বিলের সাপ। এসব চারণে আমার ডানা জুড়ায় না কখনো। শক্ত স্বাবলম্বীর মত ভেসে বেড়ায়। উড়ন্ত চোখে দুটি ফণীমনসা দেখতাম বট গাছের মগডালে। ওখানে তাদের জন্মাবার কথা নয়। নিজড় মায়ার অনুরণন। উন্নাসিক চাওয়ায় অবহেলার যৌবন প্রাপ্তি। কষ্ট হত কি কখনো ? ভেবে দেখিনি। তাহলে নিশ্চয়ই হত না। কিন্তু উপেনের জন্য খুব কষ্ট হত আমার। ওইটুকুন বয়সে কেঁদে রাত ভাসিয়েছি। এরপর আরও কত রাত কেঁদেছি ! এই তো সেদিনও ভাইকে শোনাতে গিয়ে গলা ধরে এসেছিল। আশৈশব চিন্তা ভালবেসেছি। আমৃত্যু তাকে চাই। পাখিদের অধিকার হারানো থেকে বানরের অধিকার হারানোর শোক কোন অংশেই কম ছিল না। তবু সবাই উড়তেই ভালোবাসে। আমার শৈশবের সফেদ আকাশে আমিও সেটা ভালবাসতাম। কিন্তু এখন বিবর্ণ যৌবন। মুহূর্তের বোধ অনেক পরিণত ভীতির জন্ম দিয়েছে। যে জন্ম নতুন শিশুর জন্ম ভয় পায়। অশ্লীলতার কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আগে দূরত্বের ব্যবধান ঘোচানো দরকার। শৈশবের সেই মিষ্টি গন্ধটি কই এখন!? কোথায় তার সুরভিত, মুকুলিত ফুল বাগান,ফল বাগান? ছাপ্পান্ন হৃদয়ে তিন বাহানার কড়িকাঠ চঞ্চল গুণতে শেখায়। নামতা পড়ি অ, আ চন্দনের ধূপ। অথচ তখন এত কিম্ভূতে ও কিছুতেও কিছুতেই হারাতো না বাল্যের সেই সারল্য। আমি অনড় প্রতীক্ষায় থাকতাম সেই স্রোতস্বিনী বাঁকের। কি দারুণ! কি দারুণ ! আজো লাগে শিহরণ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার মন্তব্য পেলাম। ভীষণ ভালো লাগছে। 'আমৃত্যু সেই শৈশবকে খুঁজে খুঁজে মরন নাগালে চলে আসে' খুব কষ্টদায়ক সত্য। মেনে নিতে হয়। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো আহমেদ জী এস ভাই।
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !!
কি চমৎকার বহতা লেখা
মুগ্ধতা !!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই প্রথম আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক সম্মানিত বোধ করছি মনিরা আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনার জন্য।
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: চমৎকার লেখা
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০১
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, সত্যপথিক শাইয়্যান। ছবির শিশুটির মতই শৈশব ছুঁয়ে থাকুক আমাদের। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শৈশব সহজ সুন্দর। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর। ভালো থাকুন, শুভকামনা।
৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
রাকু হাসান বলেছেন: হুম তোমার শৈশব ছিল দূরন্ত ,আমার তেমন ই । মিস করা হয় ,ছোট্ট ই থাকতাম ।
আমি তো প্রথম পাতায়
সেখানে তো মিষ্টি খেলে চকলেট দিতে আসলাম
হুম তোমার শৈশব ছিল দূরন্ত ,আমার তেমন ই । মিস করা হয় ,ছোট্ট ই থাকতাম ।
আমি তো প্রথম পাতায়
সেখানে তো মিষ্টি খেলে চকলেট দিতে আসলাম
হুম তোমার শৈশব ছিল দূরন্ত ,আমার তেমন ই । মিস করা হয় ,ছোট্ট ই থাকতাম ।
আমি তো প্রথম পাতায়
সেখানে তো মিষ্টি খেলে চকলেট দিতে আসলাম
হুম তোমার শৈশব ছিল দূরন্ত ,আমার তেমন ই । মিস করা হয় ,ছোট্ট ই থাকতাম ।
আমি তো প্রথম পাতায়
সেখানে তো মিষ্টি খেলে চকলেট দিতে আসলাম
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আরি অনেক অনেক অভিনন্দন তোমাকে। দেখেছো ম্যাজিক, জাস্ট আমার কাছে বললে প্রথম পাতায় আসার পোকার কথা, আর অমনি কাজও হয়ে গেলো ।
চকলেট আমার খুব খুব প্রিয়। বিশেষ করে এই চকলেট তো উফ ! জিভ জলে ভরপুর হয়ে গেলো ।
বিশাল ধন্যবাদ তোমাকে ।
৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০১
রাকু হাসান বলেছেন: হাহা... ....এখন থেকে তোমাকেই ধরিয়ে দিব নতুন কেউ যখন বলবে ।বলবো চঞ্চল হরিণী আপুর ব্লগবাড়িতে কমেন্ট করলে তাড়াতাড়ি সেফ হয়ে যাবেন ।
‘‘চকলেট আমার খুব খুব প্রিয়। বিশেষ করে এই চকলেট তো উফ ! জিভ জলে ভরপুর হয়ে গেলো’’ তাই বলে একলাই
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩১
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আহা! ধরিয়ে দিও। আমার মন্তব্য বাড়তে থাকবে ।
কিন্তু যে সেফ হতে চাইবে তাকে কিন্তু যোগ্যতা দিয়েই আসতে হবে । ম্যাজিক সবার বেলায় কাজ করবে না ।
একলা কেন, তুমি পাঠাইছো, তুমি কি আর না খাইয়া পাঠাইছো । আচ্ছা না খাইলে, এখান থেইকা কিছু খাইয়া নাও ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,
দিন যায় , নদীও বয়ে যায় । বয়ে যেতে যেতে নদীর বাঁকে পলি জমে , শরীরেও জমে বয়সের ছাপ ! শৈশবের সফেদ আকাশ বয়সের ছানি পড়া চোখে ধুসর মনে হয় । আমৃত্যু সেই শৈশবকে খুঁজে খুঁজে মরন নাগালে চলে আসে অথচ ফেলে আসা নানা রঙের দিনগুলো মগডালে বসে পা দোলায় শুধু ..........
বেশ জটিল মুক্তগদ্য লিখে ফেলেছেন ।