নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রগতি

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫




একদিন আমি রবিবাবুর জঠরে ফুল হয়েছিলাম।
আমাকে প্রসব করার জন্য তিনি কেঁদেছিলেন , ব্যথায় কোঁকিয়েছিলেন।
জন্ম নিয়ে হাসিমুখে তাঁকে বলেছিলাম, ' স্লামালিকুম '।
তিনি হকচকিয়ে গিয়ে বলেছিলেন 'ভালবাসি '।
এরপর আমি নজরুলের কাছে যাই।
তাঁর চুল থেকে কিছু গোছা চাইতেই
তিনি গালি দিয়েছিলেন 'লালচুলো হারামজাদা' ।
হাসিমুখে চুল তুলে নিয়ে বলেছিলাম, ' চললাম দ্বিজেন্দ্রের বাড়ি '।
লাল রায়ের বাড়ি গিয়ে ওঁর মাকে ‘মা’ বলে ডেকেছিলাম।
বলেছিলাম 'প্রসব যন্ত্রণায় কাতর ছেলের শুশ্রূষা প্রয়োজন'।
ভালোবেসে তিনি আমাকে দুটো টকটকে লাল জামা দিয়েছিলেন।
অতঃপর এসব নিয়ে আমি হরিষপুর, হরিদাসপুর ও হরিশঙ্কর গিয়েছিলাম।
খবর পেয়ে মহারাজা হরি সিং তাঁর ত্রিশঙ্কু নাচিয়েছিলেন ।
ভুল হলে মার্জনা চেয়ে তাঁর পায়ের কাছে বসে পড়েছিলাম।
কাশ্মীরের কন্যাদের খোঁজখবর চেয়েছিলাম তাঁর কাছে।
বলেছিলাম, একদল মানুষের প্রসবের জন্য নিরাপদ আশ্রয় চাই।
শুধু আমার চোখের দিকে তাকিয়েই;
বিশাল সেই সাম্রাজ্যের সকল ফুল পেড়ে এনে
তিনি আমায় উপঢৌকন সাজিয়ে দিয়েছিলেন ।
চূড়ায় বসিয়ে দিয়েছিলেন রাজমনি।
সেখান থেকে আমি গিয়েছিলাম সুসজ্জিত সংগ্রামে সাতচল্লিশে।
এবং তার কিছু পরেই পৃথিবী পেয়েছে নতুন মানচিত্র।

এই সমস্ত পরিভ্রমণে আমি ছিলাম সূর্যের সন্তান,
অগণিত হাহাকার,
কুসুম পেরোবার এক নবযাত্রী।

এবার এই দ্বিখণ্ডিত ভূখণ্ডের উপর্যপুরি জবাব নিয়ে
আমি ফিরে যাব প্রান্তিক সীমানায়।
আমি আবার ‘আরও’ ফিরবো।
এবার লালন।
বলবো, চলুন যেখান থেকে এসেছি সেখানেই ফিরে যাই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: মোটামোটি।

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর :)

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনার চিন্তারাজ্য অনেক বিশাল! অভিনব আধুনিক কবিতা! ব্লগে এমন কবিতা খুবই কম আসে! সত্যি কবিতাটি না পড়ে ভুল হয়েছে। পাঠকদের উচিত আরো মনোযোগী হয়ে পাঠ করা! আমি কবিতার বই বের করলে আপনার সাথেই করতে চাইব বন্ধু!

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমি জানতাম, নিশ্চিত ছিলাম আপনি অবশ্যই অনুধাবন করতে পারবেন। বন্ধু কি সাধে বানিয়েছি :>
কিন্তু দেখুন এই ব্লগে ছবি দেখে নাকি নাম পড়ে মানুষ আগ্রহী হয়নি কে জানে। আমার এই কবিতাটি কলকাতার একটি পত্রিকায় পূজা সংখ্যায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আমার মন্তব্য আমাকে ছুঁয়ে গেলো।

আপনার এমন একটা চাওয়া প্রকাশ করে আমাকে অসম্ভব সম্মানিত করলেন। আমিও খুব তীব্রভাবেই এই প্রত্যাশা রাখছি প্রিয় বন্ধু :`>

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ!! আমার পড়া আপনার কবিতাগুলোর মাঝে এটাই সেরা; আমি এমন কবিতা পছন্দ করি৷

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, কাওসার ভাই, ব্লগে ঘুরে পুরনো এই লেখাটি পড়ার জন্য। আমার অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। খুব আপ্লুত হলাম। উৎসাহ পেলাম ভীষণ। অনেক ভালো থাকুন। আপনার মঙ্গল কামনা করি সর্বদা।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। দ্রোহের সুঘ্রাণ সুষ্পষ্ট।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অপ্রত্যাশিত এই মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো, সেলিম ভাই। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়। অফুরন্ত শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.