নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুন আপুর ছবি ব্লগ দেখে ছড়াটা মাথায় আসলো। অলস দুপুরে বসে লিখলাম।

২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫



প্যাঁচা কাব্য

একটা ছিল হুতুম প্যাঁচা,
নাক ছিল তার ভারী বোঁচা।
কেউ কখনো খেলে খোঁচা,
পালিয়ে গিয়ে চোখটা বাঁচা।

বন্ধু ছিল হুতুমটা,
আরেক প্যাঁচা ভুতুমটা।
এক হলে দুই প্যাঁচা,
দিনটা ভরে চ্যাঁচ্যা।

খোকা আর ছোট চাচা,
বুনেছিল শিমের মাচা।
সেথায় এক কুপোখ প্যাঁচা,
ইঁদুর পেলেই খেত কাঁচা।

বাড়ির পাশে বাঁশ কুরুলে,
বসতো কাছে এক খুঁড়ুলে।
বলতো খোকা, ওরে খুড়ুল প্যাঁচা,
কেমন করে চোখ দুটো তোর নাচা ?!

শীতসকালে খেঁজুর ডগায় উঠতো এক গাছা,
গামছাটারে মাথায় বেঁধে লুঙ্গি মেরে কাছা।
সেবার তাকে ঠোকর দিলো নিমপোখ ওই প্যাঁচা,
ভীষণ রেগে গাছি ওকে দিল এক ছেঁচা।

স্বপ্ন দেখে খোকা, বলছে তাকে প্যাঁচা,
“কি নিবি তুই, কি চাই তোর বাছা”?
আমি হলাম লক্ষ্মীমন্ত ধন লাভের প্যাঁচা,
বল এবার যা চাই তোর মন খুলে তা চা।
খোকা বলে, সত্যি তুমি সত্যি বলছ সাচা ?
প্যাঁচা বলে, হ্যাঁ রে, শুধু তুই দূরে রাখিস খাঁচা।


লক্ষ্মী প্যাঁচা

প্রেমিক জুটি ভুতুম প্যাঁচা খুঁড়ুলে প্যাঁচা

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রাকু হাসান বলেছেন: ‘চ’র সমাহার :D প্যাঁচাদের চিনে রাখলাম

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: চিনে রাখুন। প্যাঁচা দেখলে ছবি তুলুন :#) ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০১

জুন বলেছেন: আমিও নেটে এই পেচাগুলো দেখেছি চঞ্চলা হরিনী তবে কবিতা দেখিনি :)
দারুন কবিতায় মুগ্ধ পাঠকের ভালোলাগা শতবার ।
+

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার প্রশংসা এবং প্লাসে অনেক অনেক অনুপ্রাণিত হলাম জুন আপু। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য :)

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ছড়া সুন্দর হয়েছে।
হয়তো শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী পেঁচার ছবি গুলো দেখে খুশি হবেন।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। আমিও তাই আশা করি। জুন আপুর পোস্টে জেনেছি উনার প্রিয় পাখি প্যাঁচা ;)

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৩

লাবণ্য ২ বলেছেন: দারুন!

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: লাবণ্য ২ শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার ব্লগ ঘুরে আসার ইচ্ছে রাখি। ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩০

নাজিম সৌরভ বলেছেন: আল্লাহ গো, আজকে সারাদিন ব্লগে দেখি খালি পেঁচা পেঁচি । আমাদের জুন আপু পেঁচার খাঁচা খুলে দিয়েছেন । =p~ এই পাখির ভয়ে ছোটকালে ঘর হতে বের হতে পারতাম না, আর এখন ব্লগের আপুদের কারণে পেঁচাকেও আমার কাছে কিউট পাখি বলে মনে হচ্ছে ।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভাই আপনি আমি সেইম সেইম =p~ । আমিও ছোট বেলায় প্যাঁচা ভয় পেতাম। কিন্তু এখন জানি কত অদ্ভুত রকমের আর কত অসাধারণ সুন্দর প্যাঁচা আছে। চমকে যাবেন সত্যি বলছি। আমি এখানে তেমন কোন সুন্দর ছবিই দেইনি, শুধু ছড়ায় উল্লেখিত কয়েকটা দিয়েছি। আপনি নিজেই অনুসন্ধান করে দেখতে পাবেন। :)

৬| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,




দেখে জুন আপুর প্যাঁচা
এই ছড়াটি আপনি লিখলেন , হাঁচা ? #:-S
তাহলে "সুন্দর" না বলে
কি করে যায় বাঁচা ? :P

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আহাহাহা আহমেদ জী এস ভাই,
পড়ে আপনার ছড়া,
দিলাম খুশীর গড়া।
মনটা হল ভরা,
খাবো তালের বড়া।

অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

৭| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৬

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই প্রথম বোধহয় আপনার মন্তব্য পেলাম। খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা সুমন কর দাদা।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
অস্ট্রেলিয়ান প্যাঁচা

প্যাঁচা, পেঁচা, বা পেচক এক প্রকার নিশাচর শিকারী পাখি। স্ট্রিজিফর্মিস বর্গভূক্ত এই পাখিটির এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০টি প্রজাতি টিকে আছে। বেশীরভাগ প্যাঁচা ছোট ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ইঁদুর এবং কীটপতঙ্গ শিকার করে, তবে কিছু প্রজাতি মাছও ধরে। প্যাঁচা উপর থেকে ছোঁ মেরে শিকার ধরতে অভ্যস্ত। শিকার করা ও শিকার ধরে রাখতে এরা বাঁকানো ঠোঁট বা চঞ্চু এবং নখর ব্যবহার করে।

প্যাঁচার দূরবদ্ধদৃষ্টি আছে ফলে এরা চোখের কয়েক ইঞ্চির মধ্যে অবস্থিত কোন বস্তু পরিস্কারভাবে দেখতে পায় না। এরা এদের ধরা শিকারকে চঞ্চু এবং নখরে অবস্থিত বিশেষ এক ধরনের পালক দ্বারা অনুভব করতে পারে। প্যাঁচা তার মাথাকে একদিকে ১৩৫ ডিগ্রী কোণে ঘোরাতে পারে। তাই দুই দিক মিলে এদের দৃষ্টিসীমা ২৭০ ডিগ্রী। ফলে এরা নিজের কাঁধের উপর দিয়ে পেছনে দেখতে পায়।

প্যাঁচার শ্রবণশক্তি খুব প্রখর। শুধু শব্দ দ্বারা চালিত হয়ে এরা নিরেট অন্ধকারে শিকার ধরতে পারে। সামান্য মাথা ঘুরালে প্যাঁচা অনুচ্চ শব্দ যেমন ইঁদুরের শষ্যদানা চিবানোর আওয়াজও শুনতে পায়, এর কারণ হচ্ছে মাথার গড়ন রূপান্তরিত হওয়ার জন্য প্যাঁচার দুই কানে সামান্য আগে পরে শব্দ পৌঁছায়। প্যাঁচার ফেসিয়াল ডিস্ক শিকারের করা শব্দকে শ্রবনে সহায়তা করে। অনেক প্রজাতির প্যাঁচার ফেসিয়াল ডিস্ক অসমভাবে সাজানো থাকে যাতে শিকারের অবস্থান নির্ণয় করা সহজ হয়।।

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কি আমাকে নিয়ে এত কথা লিখেছিস ! তবে জেনে রাখ আমার ব্যাপারে আরও অনেক কিছু ;) হাহা। ভাই, শুরুতে প্যাঁচার যে ছবিটা দিয়েছেন আর তার পরে তথ্য উল্লেখ করেছেন মিলিয়ে মনে হল প্যাঁচাটা যেন এভাবে তাকিয়ে এই কথাই বলছে। হ্যাঁ, ভাই তথ্যগুলো উইকিতে আছে আমি পড়েছি। এও জেনেছি বাংলাদেশে প্রায় ১৫-১৭ প্রজাতির প্যাঁচা দেখতে পাওয়া যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কাওসার ভাই। শুভেচ্ছা।

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্যাঁচা কব্যে পড়ে প্যাঁচা হয়ে গেলাম। ;)

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: না ভাই, আপনি প্যাঁচা হলে কবিতা লিখবে কে ? তবে এই প্যাঁচাটা খুব কিউট, কি দারুণ হাসছে ;)
প্যাঁচা কাব্য পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:১১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনুপ্রাণিত হলাম খুব। ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই। শুভেচ্ছা :)

১১| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার পছন্দের পাখী নিয়ে কবিতা, মন্তব্য, উৎসাহ, সবই ভালো লাগছে; সভাই ভালো থাকুন।

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৫৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অবশেষে মন্তব্য পেলাম। লেখার পর থেকেই আপনার চোখে পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম 8-|। অনেক ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন। আমাদের এভাবেই উৎসাহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকুন। ধন্যবাদ।

১২| ৩০ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৮

সিগন্যাস বলেছেন: বাহ বাহ সুন্দর কবিতা।ছন্দের উপর ছন্দ গেড়ে কবিতাটাকে বেশ ভালভাবে সাজিয়েছেন।ছবিগুলোও চমৎকার।প্লাস নেন

৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্লাস দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সিগন্যাস। কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।

১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

শামচুল হক বলেছেন: ছবির সাথে ছড়া পড়ে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ

৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার মত গুণী ব্লগারের মন্তব্য পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত শামচুল হক ভাই। সম্মানিত বোধ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.