নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।
সেদিন সন্ধ্যায় এক বন্ধুর সাথে একটি দোকানে চা খেতে বসেছিলাম। এলাকার দোকান আর মূলত পায়ে হাঁটার রাস্তা তাই দুয়েকটা রিকশা ছাড়া আর কিছু নেই। দোকানের বাইরে একটি বেঞ্চে বসে খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা ছেলে কুকুর একটা মেয়ে কুকুরকে জোর করছে। মেয়ে কুকুরটি পিছলে সরে যাচ্ছে। ছেলে কুকুরটি জবরদস্তি করাতে মেয়ে কুকুরটি রাস্তায় কাত হয়ে পড়ে গেলো। পড়ে গিয়েই সে ছেলে কুকুরটির দিকে তাকিয়ে রাগে ঘেউ ঘেউ করে উঠলো। এসময় আরেকটি ছেলে কুকুর এসে মেয়ে কুকুরটির পাশে দাঁড়ালো।এবার ১ম ছেলে কুকুরটি ২য়টির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চলে গেলো। মেয়ে কুকুরটি তখনো কাত হয়ে শোয়া। চোখেমুখে স্পষ্ট বিরক্তি নিয়ে সে ছেলে কুকুরটির চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। ২য় ছেলে কুকুরটি এবার মেয়ে কুকুরটির মাথায় তার ঠোঁট ছোঁয়াল এবং কয়েকবার নাক ঘষল। যেন তাকে চুমু দিয়ে সান্ত্বনা দিলো। মেয়ে কুকুরটি এরপর উঠে দাঁড়ালো এবং চলে গেলো। চা খাওয়া অর্ধেক থামিয়ে দিয়ে আমি ঘটনাটি দেখছিলাম। ২য় কুকুরের এই স্ট্যান্ড এবং মাথায় চুমু দিয়ে সান্ত্বনা দেয়াটা ছিল ভীষণ চিত্তাকর্ষক এবং আমার জন্য অভূতপূর্ব একটি দৃশ্য। কুকুররা মোটেই ঘৃণিত নয়। এমন কত ঘটনাই হয়তো আমাদের চারপাশে ঘটে, কিন্তু আমরা শুধু নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এমনকি এই সারমেয় প্রাণীটির মধ্যেও সুন্দরের বদলে শুধু কুৎসিতটাই দেখতে পাই।
ঘটনাটি গেল রোজার সময়ের। লিখেছিলাম তখনই এবং ফেসবুকে দিয়েছিলাম।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩২
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: একদম! আমিও ঠিক একইভাবেই বিমোহিত হয়েছিলাম ভাই । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ!!
চমৎকার অভিজ্ঞতা
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৩
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অভিজ্ঞতাটা আসলেই খুব চমৎকার ছিল আপা। একপ্রকার অবিশ্বাস্যও ! আমার সাথের বন্ধুটি বলেছিল, তোমার চোখেই এগুলো পড়ে বেশি
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কুকুরদের বাপ-মায়ের পরিচয় থাকে না বলেই তারা এমন হয়। মানুষদের বাপ-মায়ের পরিচয় থাকে, সমাজে প্রভাব থাকে বলেই মানুষের ছেলেরা জোর করে মানুষদের মেয়েকে নষ্ট করে এবং তাদের বাবা-মা-চাচা-মামা-খালু-জ্যাঠারা মেয়েটার চরিত্রে কালি লাগিয়ে ব্যাপারটাকে বৈধতা দিতে বা হালকা করতে চেষ্টা করে। এদিক দিয়ে মানুষদের সমাজের চেয়ে কুকুরদের সমাজ উন্নত।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩০
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভালো বলেছেন। এমন একটা প্রাণীও প্রকৃতি প্রদত্ত প্রবৃত্তির ন্যায় অন্যায় বোঝে, প্রতিবাদ করতে জানে, বিপদে এগিয়ে আসে। আর মানুষ হয়ে মানুষের বাচ্চারাই মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। ধন্যবাদ আপনাকে তাৎপর্যপূর্ণ একটি মন্তব্য করার জন্য।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
পশুপাখি বলে হয়তো আমরা এ বিষয়গুলো তেমন খেয়াল করি না। আপনি মনযোগ দিয়ে দেখায় হয়তো চোখে ধরা পড়েছে। ওরা তো আমাদের মতোই প্রকৃতির অংশ। ভালমন্দ, আবেগ অনুভুতি হয়তো আমাদের মতো তাদেরও আছে।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৫
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ওরা আমাদের মতই প্রকৃতির অংশ, আবেগ অনুভূতি তাদেরও আছে। পার্থক্য হল সত্যকে মিথ্যে বানানোর মত কুচক্রী প্রবৃত্তি ওদের নেই। ধন্যবাদ কাওসার ভাই
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫
সিগন্যাস বলেছেন: এটাকে ছোটগল্প হিসেবে ধরে নিলাম
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০১
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এটা সত্য ঘটনা সিগন্যাস। লেখার ধরণ ছোট গল্প ধরলে ১০০ভাগ সত্যি ছোট গল্প হিসেবে ধরতে হবে।
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: প্রানী জগতকে বুঝা চারটেখানি কথা নয়।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আসলেই চারটেখানি কথা নয়। বিচিত্র বৈশিষ্ট্য আছে প্রাণীদের। যত গভীরতর অনুসন্ধানে যাবেন ততই আশ্চর্য হবেন। আমি সামান্য পড়েই ভীষণ বিমোহিত হয়েছি।
৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: কুকুরের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি!
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০২
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হুম
৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লাগলো আপু,
শুভেচ্ছা নিয়েন।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: যেকোন জায়গায় প্রাণীদের দিকে একটু মনোযোগ দিয়ে তাকালেই আমরা হয়তো এমন আরও অনেক অদ্ভুত এবং ভালোলাগার মত কিছু দেখতে পাবো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পদাতিক ভাই, ভালো থাকুন।
৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
কিশোর মাইনু বলেছেন: বাহ।।।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকে
১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
ঋতো আহমেদ বলেছেন: খেয়াল করলে অনেক অবাক করা ঘটনা দেখা যায়। কিন্তু একটা ব্যপার,, ছবিতে কুকুর ছয়টা আর গল্পে চরিত্র তিনটার
২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০০
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ, ঋতো আহমেদ। একদম ঠিক, খেয়াল করলে অনেক অবাক ঘটনা দেখা যায়। এই ছবিতো সেই ককুরগুলোর নয়। এটা গুগোল থেকে নিয়েছি। তখন সন্ধ্যা ছিল আর আমার কাছে ছবি তোলার ডিভাইসও ছিল না। আমার মোবাইলটায় খুবই বাজে ছবি ওঠে ।
অ টঃ- আমার 'প্রিয় ব্লগারগণ' কবিতায় আপনার নামেও কিছু নিবেদন ছিল। পড়ার অনুরোধ রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৫
রাকু হাসান বলেছেন: বাহ! অভূতপূর্ব পুকুরদের মাঝেও সহানুভূতি দেখে বিমোহিত আমি ।