নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্র আন্দোলন- যেন না হয় প্রহসন

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৭



বাচ্চাদের আন্দোলন কি থেমেছে ? সব কি শান্ত হয়ে গেছে ? না হলেও, দ্রুতই হবে। বাচ্চা বলছি কেন, ওরা তো বড়দের চেয়েও অনেক বড়। পুলিশের লাইসেন্স চেক করে, মন্ত্রীর গাড়ি ফিরিয়ে দেয়, চোখ উঁচিয়ে দৃঢ় চিত্তে বলতে পারে, ‘আপনি ভুল পথে এসেছেন’- তাঁদের মত ক্ষমতাবান আর কে হতে পেরেছে এই দেশে ! আমার দৃঢ় বিশ্বাস; তোফায়েল আহমেদ না হয়ে যদি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ওই পথ দিয়ে যেতো তাহলেও এই টগবগে নব সূর্যরা তাঁর গাড়ি আটকে দিতো। বলতো, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে কিছুতেই আইন ভাঙতে পারেন না, আইন সবার জন্য সমান’। আজ পর্যন্ত আর কোন ঘটনায় কি মনে হয়েছে এতটা দুঃসাহস দেখাতে পারবে কেউ ! ওরা পেরেছে, কারণ, এই বয়সটাই এমন যেখানে কোন পিছুটান নেই, ভীরুতার স্থান নেই, নোংরা রাজনীতি নেই। অন্যায়ে তুখোড় প্রতিবাদী সাহসে ভরপুর সব প্রাণ। আবেগী এই বয়সটার সবচেয়ে বড় শক্তি হল জীবন উদ্দীপনা। এই উদ্দীপনায় পৃথিবীর সব কিছুকেই ওরা খুব সিরিয়াস ভাবে নেয় এবং হতাশার সামান্যতম চিহ্ন এই বয়সে থাকে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের এই বয়সী সৈনিক বেছে নেয়ার কারণও ছিল এই যে, হিটলার খুব ভালোভাবেই জানতো এই বয়সটাই হচ্ছে মানুষের উদ্দীপনার সর্বোত্তম বয়স এবং সেই বয়স যখন তাদেরকে দিয়ে যে কোন কিছুই করানো সম্ভব একেবারে নির্ভয়ে, নির্ভারে।

যাইহোক, এখানে কোন হিটলার বা অন্য কেউ নেই। কিশোর ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলন করেছে। তাদের সহপাঠীদের মৃত্যু তাদের সাহস জলে ঢেউ তুলেছে এবং সমস্ত জল ও ঢেউ মিলে সাগরের মত ফুঁসে উঠেছে। আমি গত দুদিন ধরে শুধু পড়েই যাচ্ছি পড়েই যাচ্ছি আর ছবি দেখে যাচ্ছি এই সোনার টুকরো ছেলেদের। কিন্তু টের পাচ্ছি এই সোনাকে এখন তামা, পিতল হয়ে একেবারে কাঁদামাটি বানানোর পাঁয়তারা চলছে। সব দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাস শুধুই কথার কথা, একটা কিছুই হবে না প্রকৃতপক্ষে। কারণ, যেই দাবী সেগুলোর একটাও নতুন নয়, সবই আইনে আগে থেকেই আছে এবং প্রয়োগ নেই একটারও। একটা দাবী নিয়ে ছাত্ররা আন্দোলন করে আদায় করলে সেটাই খুব কাজের হত এবং ইতিহাস সৃষ্টি করতো। তা হল, মন্ত্রী শাহজাহান খানের পদত্যাগ। যা এর আগে কেউ এদেশে করতে পারে নি। এটা ঘটলে সবাই বুঝতো ছাত্র আন্দোলনের শক্তিটা কি এবং কি তার দূর্বার গতি। একটা উদাহরণে বাকি সব মন্ত্রীরা সতর্ক হয়ে যেতো। গদি থেকে পড়ে যাবার ভয়ে বাকি সবাই একটু হলেও তাদের দায়িত্বে সচেতনতা বাড়াতো।

নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাওয়া হচ্ছে তাদের ন্যায্য অধিকার। বাস মালিকের ও চালকের শাস্তি হচ্ছে তাদের নিশ্চিত প্রাপ্য বিচার। আন্দোলনের সম্পূরক ফল হিসেবে এসব এমনিতেই ঘটতো। কিন্তু দাবী আদায় হওয়া উচিত ছিল একমাত্র সেটা, তাহলেই এই আন্দোলনকে সফল বলা যেত। এই যে মৃত্যুর পরেও রক্ত ঝরলো, আন্দোলনে আহত হল বাচ্চারা তারা শুধু কিছু মুখের বুলি নিয়েই ফিরে যাবে, এটা কি প্রহসন নয় ? কোমলমতি কিশোরদের সাহসশক্তি দূর্বার কিন্তু তাদের বোধ তো তাদের বয়সোপযোগী, তাই এই ঠুলী পড়ানোটা তারা বুঝতে পারছে না। পুলিশকে ফুল দিয়ে প্রতিবাদ অথবা গালিগালাজের স্লোগান তুলে প্রতিবাদ যেটাই হোক, এই বুদ্ধিগুলো নিশ্চিতভাবেই পুরোপুরি ছাত্রদের মাথা থেকে আসেনি। তাদের পেছনে বড়রা আছেন। স্থানভেদে হয় কোন শিক্ষক বা অন্য কেউ। সবাই তাদেরকে সাপোর্ট এবং বাহবা দিচ্ছে। সকল মাধ্যমে প্রায় সবাই কথা বলছেন। এই বড়রা তো পারতেন, ছাত্রদের দিয়ে প্রহসনের দাবী না তুলে সত্যিকারের একটা দাবী আদায় করে আন্দোলনটা সফল করতে। এই একটা বিরাট আন্দোলনে ঠিক একই সময়ে ঘটা আরও কিছু ভীষণ স্পর্শকাতর ইস্যু আড়ালে চাপা পড়ে গেছে। যেমন, মধুপুরে এক আদিবাসী শিশুর উপর পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা। তাহলে ওই সকল বিচারের দাবীও তো এই আন্দোলনের সাথে মিশে গেছে। এই আন্দোলনের দাবী হওয়া উচিত ছিল আরও বহুগুণ শক্তিশালী এবং ফলাফল হওয়া উচিত পদত্যাগের মত নিশ্চিত, স্পষ্ট দৃশ্যমান।

যেকোন দেশেই ছাত্রশক্তি হল একাডেমিকভাবে অটোম্যাটিক তৈরি হওয়া সবচেয়ে বড় মানব শক্তি। পেশী শক্তি হিসেবে বিবেচনা করলে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় অর্গানাইজড শক্তি। আমাদের দেশে রাজনীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এই শক্তি প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত কিন্তু স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অবস্থায় মোটেই তা নয়। এটি পুরোপুরি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ছাত্রদের প্রাণের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে কলঙ্কিত এবং ব্যর্থ হতে দেখা বড়দের জন্য তীব্র লজ্জা ও ব্যর্থতা বই কিছু নয়।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৫

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই!

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পাঠ করে মন্তব্যে সহমত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, মামুন ভাই।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৪

সনেট কবি বলেছেন: সব আন্দোলনেই সরকার অবশেষে জল ঢেলে দিচ্ছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই কিশোর ছাত্রদের পেছনে বড়রা যারা আছে, তারা কেন নির্লজ্জের মত বোকার মত চুপ করে আছে ?

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৭

রাকু হাসান বলেছেন: এগুলো নতুন দেখলাম , খুব ই ভাল লাগলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল । এঁরাই পরিবর্তন আনতে পারে , স্বপ্ন দেখালো আমায় । এত সাহস কেউ দেখাতে পারে নি , সাব্বাস ।গর্ব হচ্ছে ..আজ নজরুল বেঁচে থাকতো যদি ! ছোটরা শিক্ষাদিল আমাদের ,সেই সাথে একটি কড়া বার্তা ও দিল ,যা দরকার ছিল খুব । এ প্রজন্মের প্রতি নেতিবাচক ধারণা ছিল আমার ,সেটার জবাব টা ঠিক মত পেলাম ,তাতে এতটুকু খারাপ লাগে নি । আমার স্বপ্ন টা আরও বড় হয়ে গেল । এগুলো নতুন দেখলাম , খুব ই ভাল লাগলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল । এঁরাই পরিবর্তন আনতে পারে , স্বপ্ন দেখালো আমায় । এত সাহস কেউ দেখাতে পারে নি , সাব্বাস ।গর্ব হচ্ছে ..আজ নজরুল বেঁচে থাকতো যদি ! ছোটরা শিক্ষাদিল আমাদের ,সেই সাথে একটি কড়া বার্তা ও দিল ,যা দরকার ছিল খুব । এ প্রজন্মের প্রতি নেতিবাচক ধারণা ছিল আমার ,সেটার জবাব টা ঠিক মত পেলাম ,তাতে এতটুকু খারাপ লাগে নি । আমার স্বপ্ন টা আরও বড় হয়ে গেল । প্রিয় নজরুল শুকান্ত এসে দেখো ,ঠিক তোমার তোমাদের চাওয়া প্রজন্ম টা ।



এমন অনেক কিছু খুঁজে পাবে এ আন্দোলনে । মনটা ভরে যায় ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই সোনার টুকরো ছেলেগুলো আমাদের দেশের গর্ব। এঁরাই ভবিষ্যৎ। কিন্তু যদি এই আন্দোলন একটি মিথ্যে প্রহসনের আন্দোলন হয়ে যায় তবে সেই পুরনো হতাশাই তো আবার গ্রাস করবে জাতিকে। ছবিটা মন ভরানোর মতই।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


যে কোন আন্দোলনের একটা সুনিদৃষ্ট লক্ষ্য চাই। এখানে সব উদ্দেশ্যহীন আর বিশৃংখল আন্দোলন হচ্ছে। রাস্তা আটকানো কোন প্রতিবাদ নয়।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সবকিছু স্বাভাবিক রেখে আন্দোলন হয় না। আন্দোলনের মানেই হল জনজীবনের স্বাভাবিক গতি থেকে যাওয়া। ছাত্ররা সহপাঠীর নির্মম মৃত্যুতে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই প্রাণের তাগিদে বিচারের দাবী নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলো। যেহেতু একাডেমিক তাই বিপুল সংখ্যায় বেরিয়ে আসাতে একটি বৃহৎ শক্তি হিসেবে রাজপথ দখল করেছে তারা। কিন্তু তাদের বুদ্ধি এবং বোধগম্যতা তো অবশ্যই পরিপক্ক নয়। তাই সুযোগ্য বড়দের নেতৃত্ব প্রয়োজন ছিল। সেটা না হওয়াতেই এমন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যহীন হয়ে গেছে এটা। উদ্দেশ্য বলছে দাবী পূরণ। অথচ দাবীর বিষয়গুলোই আদতে আন্দোলনের দাবী হওয়ার মত নয়। এসব তো এখনই আছে। আর সুযোগ্য নেতৃত্ব না থাকাতে বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বিশৃংখল মনে হচ্ছে।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: হরিণ আপু,
লেখার মধ্যে দু-তিনটা প্যারা করো তো....

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: তোমার কথা শুনে প্যারা করে দিলাম ভাইয়ু :)

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাচ্চারা। সুযোগ সন্ধানীরা ঢুকে পড়ার আগেই বাসায় ফিরে যাও।
যাতে আবার ফিরে আসতে পার। তোমাদের এরপরও দরকার আছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বাসায় তো ওরা ফিরে যাবেই। কিন্তু একসঙ্গে বের হয়ে আসাটা একটা বিরাট ব্যাপার ছিল। সুযোগ সন্ধানীরা বাচ্চাদের সরলতাকেও ছাড়ে না X( । আর যারা বোঝে তারা কাজে লাগাতে জানে না, কিংবা কেন কাজে লাগাতে পারে না কে জানে /:)

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


যে আন্দোলনের লক্ষ্য নেই সে আন্দোলন মূল্যহীন।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আন্দোলনটা মূল্যহীনের দিকেই যাচ্ছে। কিন্তু এই বৃহৎ শক্তিকে কাজে লাগানো যেত। এই দেশে এমন শক্তি পাওয়া দূর্বার।

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ....
সুকান্তদার কবিতাটা মনে আছে??

কত সালে এটা পড়েছিলে??;)

পুনশ্চঃ
যেসব আন্দোলনকারীর বয়স ১৮এর নীচে তাদের সাত খুন মাফ!!:P (সংবিধান অনুযায়ী ওরা শিশু, তাই)

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই কবিতা আবার মনে না থাকে ! কত সাল তা তো জরুরী নয় ভাইয়ু ;) । ওদের আমাদের সোনার টুকরো ভবিষ্যৎ। ওরা খুন করেনি বরং খুনিদের বিচারের জন্য আন্দোলন করছে। তো এখানে ওদের মাফামাফির কিছু নেই B-)

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেকদিন পর হাসান কালবৈশাখীর সাথে একমত হলাম...
বাচ্চাদের পেছন থেকে বড় ভাইরা ইন্ধন দিচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে। অভিভাবকদেরও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। রাস্তার গাড়ি ভাঙা বাচ্চাদের কাজ নয়...

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ইন্ধনটা অযোগ্যদের না হয়ে যোগ্যদের হওয়া দরকার ছিল। এখন যে বাচ্চারা বাসায় চলে যাবে,কিছুদিন পরে তারাই বড় হয়ে যাবে। এই বয়সের উদ্দাম শক্তিগুলো একত্রে এভাবে বের হয়ে আসা তো সহজে হয় না। এখন হয়েছিলো, কিন্তু শক্তি কাজে লাগলো না বলেই মনে হচ্ছে।

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আশা করছি শেষ পর্যন্ত ন্যায় বিচার নিয়ে ওরা বাসায় ফিরবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কঠিন পরিস্থিতির দিকে চলে গেছে আন্দোলন।

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ছাত্ররা মানববন্ধন করতে পারত!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: :P এই প্রজন্মের বাচ্চারা অত ধীরস্থির নয় ;)

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, পোস্টে ভাল লাগা +++ রইলো; আমার মনের কথাগুলো লেখেছেন আপনি; সড়ক-মহাসড়কে অবরোধ হোক, তা কারোরই কাম্য নয়। কিন্তু সেই অবরোধের পেছনের কারণটি আগে দূর করতে হবে। বাসচালক জাহাঙ্গীর আলম যখন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন কী কী কারণে দুর্ঘটনা হয়, তখন মন্ত্রীরা জানেন না, এ কথা কী করে বিশ্বাস করা যায়?

মনে হচ্ছে নীতিনির্ধারকেরা সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। তা না হলে ‘জাবালে নূর পরিবহন’–এর রুট পারমিট না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সেই রুটে তারা বাস পরিচালনা করে? আর রুট পারমিটের নামে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের ঘটনাও কারও অজানা নয়।

কোনো খাতে যখন অনিয়ম ও অন্যায়ই নিয়ম হয়ে যায়, সেই খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। সড়ক পরিবহনের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত, প্রতিদিন যারা হাজার হাজার যাত্রী পরিবহন করে, সেই খাতের এই বিশৃঙ্খলা দূর করতে হলে শুরুতেই অন্যায় ও অনিয়মগুলো দূর করতে হবে। কঠোর হাতে তা করতে না পারলে মৃত্যুর এ মিছিল বন্ধ করা সম্ভব হবে না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ, কাওসার ভাই। দুঃখিত, আমার নেট লাইন নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো তাই সময়মত রিপ্লাই দিতে পারিনি। "সড়ক পরিবহনের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত, প্রতিদিন যারা হাজার হাজার যাত্রী পরিবহন করে, সেই খাতের এই বিশৃঙ্খলা দূর করতে হলে শুরুতেই অন্যায় ও অনিয়মগুলো দূর করতে হবে। কঠোর হাতে তা করতে না পারলে মৃত্যুর এ মিছিল বন্ধ করা সম্ভব হবে না" শেষের এই কথাগুলো খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। বাচ্চারা সেজন্যই আন্দোলনে নেমেছে। দেখা যাক কি হয়।

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: যখন কারো নিজের জীবনের নিরাপত্তা থাকেনা, যখন কারো চোখের সামনে ভাই হারায় বন্ধু হারায়, কাছের কোন প্রিয় মানুষকে হারায় তখন মানুষের সাধারন সৌজন্যবোধ টুকুও বিকারগ্রস্থ হয়ে পরে তাই আমি মনে করি ভাষা গুলো যদিও খারাপ তারপরও পজিটিভ দৃষ্টি ভঙ্গিতে দেখা উচিত

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। এই আন্দোলন এখন ব্যাক্তিগত কষ্ট ছাড়িয়ে অনেক বড় পর্যায়ে চলে গেছে। যে কোন পরিস্থিতিতে ছাত্রদের পক্ষে থাকতে হবে আমাদের।

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী,



"এনকারেজিং" একটা লেখা ।
এসব আন্দোলন হঠাৎ করেই, স্বতঃস্ফুর্ত ভাবেই হয় । পরিনতি নিশ্চিত করে কেউ আন্দোলন করেনা । কোনও আন্দোলনই বিফলে যায়না , কোনও না কোনও একটা মেসেজ দিয়েই যায় ।
কোমলমতি শিশুদের এই আন্দোলন এই মেসেজটাই দিয়ে গেছে --আপনারা বড়রা , যারা প্রতিদিন আমাদের নসিহত করেছেন সাহসী হওয়ার জন্যে অথচ যে সাহসের কাজটি আপনারা নিজেরাই করে দেখাতে পারেননি একবারের জন্যেও , থেকেছেন মাথা গুঁজে ; আমরা তা করে দেখিয়েছি , মাথা উঁচু করেই । ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস ভাই। আপনিও খুব এনকারেজিং একটি মন্তব্য করেছেন। আমি দুঃখিত যে, নেট সমস্যায় সময়মত উত্তর দিতে পারিনি। ছাত্রদের দেয়া একদম সঠিক মেসেজটাই ধরেছেন। এখন তো এই আন্দোলন গম্ভীর পরিস্থিতির দিকে গেছে। আমি কামনা করি বাচ্চাদের খুব বেশী ক্ষতি সাধন না করে সরকার দ্রুত একটি স্পষ্ট দৃশ্যমান উদাহরণ সৃষ্টির মত ফলাফল তাঁদের দিক।

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার এ পোস্ট। + +
কোটা সংস্কার এর জন্য আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতির প্রহসন এবং তাদের করুণ পরিণতির কথা ভেবে স্কুল কলেজে পড়া এসব কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের সম্ভাব্য পরিণতির কথা চিন্তা করতেও মনে নানা শঙ্কা জেগে উঠছে। তবে ওরা ইতোমধ্যে যে সাফল্য অর্জন করেছে এবং বুড়োদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সৎসাহসের কাছে অসৎ শক্তি
কিভাবে পরাভূত হয় এবং পিছটান দেয়, সেজন্য তাদেরকে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং সকল পিতামাতা ও অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, তাদের এ দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে তাদেরকে পরিচালিত করতে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, খায়রুল আহসান ভাই। আপনার এই মন্তব্যটি অনেক সুন্দর এবং সমীহ জাগানো। আমি দুঃখিত যে, নেট সমস্যার কারণে সময়মত উত্তর দিতে পারিনি। পরিস্থিতি অনেক গম্ভীর দিকে চলে গেছে। বাচ্চাদের নিয়ে শঙ্কাটা তীব্রতর হয়েছে। এই সাহসী বাচ্চাদের প্রতি অন্তর থেকে ভালোবাসা এবং যে কোন পরিস্থিতিতে তাদের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করি।

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ন্যায়নিষ্ঠ আন্দোলন বিফল হয়না। বাচ্ছারা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বাচ্চাদের অনেক রক্তও ঝরলো সে জন্য। আরও কি কি ঘটবে আশঙ্কা হচ্ছে খুব। তবে হ্যাঁ, এই সাহসী বাচ্চারা ভয় পেয়ে পিছু হটে যায়নি। বরং দ্বিগুণ সাহসে এগিয়েছে। সকল বড়দের টুপি খুলে তাঁদের অভিবাদন জানানো উচিত। একটু দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত, লিটন ভাই। আমার নেট লাইন পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.