নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলেটা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চেয়েছিল----

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৩



আমাকে ভদ্র হতে বলোনা

বলছো এত অলস আমি হলাম কি করে?
তান্ডবের আগুনতো ঠিকই জ্বলে ভেতরে !
সেটা কি কোন কম্ম নয় ?
লন্ডভন্ড খেলায় কি কম শক্তি ক্ষয় ?
আমি উদ্যানের গাছ হয়ে যাবো।
পাপিয়ার পিহুতে পাড়া মাতাবো।
শুধু আমায় ভদ্র হতে বলোনা।

একেকটি নিসঙ্গ রাতে আমি
নিস্তব্ধতার কড়ি গুণেছি।
সভ্য ভাষার প্রত্যয়ে ব্যস্ত শব্দজাল বুনেছি।
তবু সুধীজন আমি হতে পারিনি।
আমি চাই না হতে ক্ষমতাময়ী পর্বত,
কঠিনতম তক্ষশীলা।
দূর্ভেদ্য নগরীতে আমার নির্বুদ্ধিতাই প্রাণের লীলা।

সহস্র যোজন পাড়ি দিয়ে তোমরা আজ ঊর্ধ্বাকাশে,
জ্ঞানীর আসনে।
কিন্তু আমার যে মাটির পুতুলই শ্রেষ্ঠ লাগে
মন আস্বাদনে।
তোমরা আমার কেড়ে নিতে চাও সব সঞ্চয়।
আলসে কুঁড়ের বেঁচে থাকাটাই হয় ভয় !
আমি জবাব দিবো জবান খুলে গেলে।
তার আগে বলো, তোমরা কোথায় কি পেলে ?
এইটুকুই তো ছিলো আমার চাওয়া,
স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বাদ পাওয়া।

বিঃদ্রঃ- বলা হচ্ছে যে ছেলেটা আত্মহত্যা করেছে, সেই মুশফিক মাহবুব ছিল মানসিক রোগী !! কি ভয়ঙ্কর আশ্চর্যের ব্যাপার ! একজন মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষ এমন স্ট্যাটাস দিতে পারে ! তার বন্ধু বান্ধবরা বলেছে, মুশফিক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল না, সে ভীষণ হাসিখুশি ছিল, কখনো তার কোন সমস্যা আছে বলেও মনে হয়নি। এছাড়া তার বিগত স্ট্যাটাসগুলো দেখলেও বোঝা যায় সে কতটা জয়ফুল মাইন্ডের ছিল। এমন নয় যে স্ট্যাটাসগুলো অনেক আগের। একেবারে রিসেন্ট স্ট্যাটাসেই দেখা যায় সে ফান লাভার ছিল। এমন ছেলে কি করে মানসিকভাবে অসুস্থ হয় ?! তার ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায় জীবনের প্রতি কতটা আগ্রহী ছিল সে। আবার আরও আশ্চর্যের ব্যাপার এই ছেলেটা 'শহীদ রমিজ উদ্দিন হাইস্কুল'র প্রাক্তন ছাত্র ছিল, যে স্কুল-কলেজেরই দুই ছাত্রছাত্রী সম্প্রতি নিহত হয়েছিল সড়ক দুর্ঘটনায়। আর যার ফলে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসে কাঁপিয়ে দিয়েছিল সরকারকে। আমার কেমন রহস্যজনক মনে হচ্ছে ব্যাপারটা। শুধুই কাকতাল মানতে চাইছে না মন। বিষয়টার জোর অনুসন্ধান করা দরকার বলে মনে হচ্ছে।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৩

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
মুগ্ধতা কবিতায়য় ++

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে মুগ্ধতা প্রকাশের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, স্রাঞ্জি সে। এমন বেদনাদায়ক ঘটনা যেন আমাদের দেখতে না হয়।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: হতভাগা ছেলেটা। হয়তো খুব ইমোশনাল ছিল, হয়তো ওর মনে হচ্ছিল ওর হাত বাঁধা, পা বাঁধা, মুখ বাঁধা। তাই হয়তো সে মুক্তি পেতে চেয়েছিল...........

কবিতা লিখেছেন চঞ্চলা হরিণী। +++++++++

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: খুবই কষ্টদায়ক এই মৃত্যু। শিউরে উঠতে হয় যে আমাদের চারপাশে কখন কোন আপনজনের এমন পরিণতি হয়। হ্যাঁ, ছেলেটি অনেক বেশি ইমোশনাল ছিল বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু কেন সেও 'শহীদ রমিজ উদ্দিন হাইস্কুল'রই প্রাক্তন ছাত্র ছিল বিষয়টা ভাবাচ্ছে আমায়।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার কবিতা লিখেছেন চঞ্চলা হরিণী।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, করুণাধারা আপা। শুভেচ্ছা নেবেন। ভালো থাকুন নিরন্তর।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: পাক হানাদার স্টাইলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ছাত্র ছাত্রিদের। আর আমরা বড়রা মুখে তালা লাগিয়ে বসে আছি নিশ্চুপ।কতটা মর্মান্তিক ব্যথা অন্তরে বাহিরে সহ্য করছে এই প্রজন্মের তরুনেরা , ভাবা যায়!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমি কোন ভাষা পাচ্ছিনা বলার। কেন অনিয়মের বিরুদ্ধে বলা এই ছেলেটাও 'শহীদ রমিজ উদ্দিন হাইস্কুল'রই প্রাক্তন ছাত্র ছিল !?বিষয়টা নিয়ে কত যে ভীতিকর চিন্তা মাথায় আসছে। মনে হচ্ছে জোর অনুসন্ধান দরকার এই ছেলেটার আত্মহত্যার পেছনের রহস্য জানার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ঢাবিয়ান ভাই।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: মন ছুঁয়ে যাওয়া কবিতা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মন ছুঁয়ে যাওয়া কষ্টের এমন আত্মহত্যা মেনে নেয়া। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। শুভেচ্ছা।

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫১

রাকু হাসান বলেছেন: বাহ বাহ , পাপিয়ার পিহুতে পাড়া মাতাবো ,
তোমরা আবার কেড়ঁড়ে নিতে চাও সব সঞ্চয়,
আসলে কুঁড়ের বেঁচে থাকাটাই হয় ভয় ।
বেশি ভাল লাাগা লাইনগুলো ।

স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাওয়া টা কি অপরাধ হয়ে যাচ্ছে অামাদের দিন দিন !!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাওয়া টা কি অপরাধ হয়ে যাচ্ছে অামাদের দিন দিন !!" অত্যন্ত নির্মম এবং কঠিন এই সত্যটাই হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করা দরকার দলমত নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশীর। কখনো যেন এমন দুশ্চিন্তা তোমার উপর না ছায়। অনেক ভালো থেকো ভাই আমার। শুভকামনা করি সবসময়।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বাধীনতা! তুমি কি কেবলই ক্ষমতার মসনদ?
স্বাধীনতা তুমি কি কেবলই স্বৈরাচারের ভোগ্যা?
স্বাধীনতা তুমি কি কেবলই স্বপ্ন?
স্বাধীনতা তুমি কি বিনা বিচারে আটক?
স্বাধীনতা তুমি কি জেল, জুলুম, গুম?

স্বাধীনতা তোমার স্বপ্নে ক্লান্ত হতে হতে
বাকরুদ্ধতার জ্বালায় জ্বলতে জ্বলতে
বাধ্যতামূলক নপুংষক আনুগত্য অস্বীকার করে
তোমায় খুঁজতে আজ আত্মঘাতি- টগবগে যুবক!!!!

স্বাধীনতা তুমি কি এখনো লুকিয়ে রবে??
এই আত্মদানেও কি তোমার চেতনানুভুতি জাগ্রত হয়না?
ত্রিশ লক্ষ আত্মদানে এয়েছিলে তুমি
আবারো কি আত্মদান চাও?
তিন লাখ না তিন মিলিয়ন??

রক্তস্নানে বুঝি খুব সূখ তোমার?

যুবকেরা সব বিলিন হবার আগে এসো
উত্তঙ্গ জোয়ার জলে নেচে নেচে
নইলে অর্থব দূর্নিতবাজ, স্বৈরাচার রক্ষিতা হয়ে থেকো
ঘৃনায় নাক কুঁচকাবে তোমার নাম শুনে

স্বাধীনতা তুমি এসো
যুবকের রক্তনদী পেরিয়ে
সকল ত্যাগের ভেলায় চড়ে
সকল দীর্ঘশ্বাসে আগুন জ্বেলে
স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ নিয়ে।


১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কি দুর্ধর্ষ একেকটি বাক্য লিখেছেন, বিদ্রোহী ভৃগু ভাই। স্যালুট।

কার আদর্শে কোন চেতনায় চলছে এই দেশ !! 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে ** মার্কিন রাষ্ট্রতত্ত্ববিদ লেখক হেনরি ডেভিড থরোর(Henry David Thoreau) ১৮৪৯ সনে লেখা বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিভিল ডিসওবিডিয়েন্স’(Civil Disobedience) থেকে উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৭ লিখেছিলেন...... মনে রেখ থরোর কথা,

“Under a government which imprisons any unjustly, the place for a just man is also a prison.”

মনে হচ্ছে আবার একটা রক্তনদী পাড়ি দিতেই হবে এই দেশের যুবকদের।

অনেক অনেক ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছেলেটা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চেয়েছিল---
এইটাই আসল কথা। বাকি যা দেখছি পড়ছি সব মিথ্যা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কত যে কষ্টের এই আসল কথাটা এইভাবে উপলব্ধি করা ! মানুষ হয়ে এতটা অসহায়ত্ব মেনে নেয়া !! মানুষ পর্যায়ে নেই এই দেশে কেউ।
শুভেচ্ছা নেবেন। অন্যায়ের সাথে আপোষময় হয়ে নিজেকেই ব্যঙ্গ করে যেন বলছি এই কথা। এই অসহায়ত্ব না মেনে নিলে যেন মৃত্যুই মুক্তি।

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার আজকের কবিতাটা পড়ে, ১৯৪৫ এর ২১ নভেম্বর ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলি চালানোয় নিহত হওয়া শহিদ রামেশ্বরকো নিয়ে নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর লেখা কবিতাটি মনে পড়লো। কয়েকটি লাইন,

হে অশ্বারোহি! বাঁধ ভেঙে গেছে, শোনো প্লাবনের ডাক শোনো ;
শিরায় শিরায় মহাপ্রলয়ের ডাক শোনো।
এখনো অবশ আলো ভেসে আসে বাঁকা চাঁদের ,
দুশো বছরের লাঞ্ছনা আর মায়া - ফাঁদের
মহাপ্রলয়ের শঙ্খ শুনেছ, তোমার শঙ্কা নাই কোনো -
হে অশ্বারোহি! বাঁধ ভেঙে গেছে, শোনো প্লাবনের ডাক শোনো ।

হে অশ্বারোহি ! জোয়ার এসেছে যৌবন - ঢালা তাজা প্রাণের ;
বহ্নি দীপ্ত তাজা প্রাণের ।
সুদৃঢ় চাবুকে কালো ভেড়াদের হানো আঘাত -
হিমে আড়ষ্ট মূর্ছা - আতুর ঘুমের রাত ,
এরি মাঝে তুমি কেড়ে নিয়ে এসো কাঁচা প্রভাত
তৃতীয় নয়নে পথ চিনে নাও, হুংকার তোলো জয়গানের -
হে অশ্বারোহি ! জোয়ার এসেছে যৌবন ঢালা তাজা প্রাণের।


শুভকামনা জানবেন।



১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কেঁপে উঠলো যেন আমার ভেতরে।

"সুদৃঢ় চাবুকে কালো ভেড়াদের হানো আঘাত -
হিমে আড়ষ্ট মূর্ছা - আতুর ঘুমের রাত ",

বিবেকের চাবুক জাগ্রত হোক সবার।

"এরি মাঝে তুমি কেড়ে নিয়ে এসো কাঁচা প্রভাত
তৃতীয় নয়নে পথ চিনে নাও, হুংকার তোলো জয়গানের - "

"ওরে নবীন ওরে আমার কাঁচা, আধমরাদের ঘাই মেরে তুই বাঁচা" হুংকার উঠবে তরুণদের।

"হে অশ্বারোহি ! জোয়ার এসেছে যৌবন ঢালা তাজা প্রাণের।"

আমরা জানি না কার কার যাবে কিন্তু নিশ্চিত মনে হচ্ছে আরও কিছু তাজা প্রাণের বলিদান দিতে হবে এই জাতিকে।

এমন একটা কবিতা শেয়ার করার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ নেবেন, পদাতিক ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮

প্রথম বাংলা বলেছেন: আসলে কিছুই বলার নাই,,, । আমরা সবাই স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি। যখন তারা রাস্তায় ছিলো আমরা বাহবা দিয়েছি । বলেছি তোমরাই পাড়বে, তোমরাই বাংলাদেম। আর যখন গণ ভিতি সৃষ্টি করার জন্য তাদের রাতের আাঁধারে দিনের দুপুরে ধরেনিয়ে যাচ্ছে। তখন আমরা আমাদের নিজের বাচাতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সতর্কতা অবলম্বন করছি ।
আমি আমার ফেইসবুকের যখনি কোন পোষ্ট দিচ্ছি তখনি বিভিন্ন মহলথেকে আমাকে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন অকারন ঝামেলায় না পড়ি।

আমি বলি যদি আমি একা পোষ্ট দেই তাহলেতো আমি অকারণ ঝামেলাতে পড়বই। কিন্তো যদি আমরা সবাই পোষ্ট দেই তাহলে সরকার কয়জনরে ধরবে। আমরাতো খারাপ কিছু বলছিনা বা করছিনা। খালি বলছি এই কোমল মতি ছাত্রদে অকারনে গ্রেপ্তার না করে তাদের আন্দোলন কালিন ছোট ছোট অপরাধ ক্ষমা করে দিয়ে মুক্তি দেয়া হোক। আমরাতো যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের মুক্তি চাচ্ছিনা। অথচ যারা ছাত্রদের উপর হামলা করেছে তাদের কিছু কেনো করা হচেছনা, কেবল এই কথাটি বলতে চেষ্টা করছি। এটিও যদি বলতে না পারি তাহলে বোঝব সব শেষ, তখনতো আর বাচতের পারা যাবেনা, আত্মহত্যাই করতে হবে তাইনা।
তবে এই পথে না গিয়ে আমাদর রুখে দাড়ানো উচিত। ছাত্রনাতো আর সরকার বদলের কথা বলেনি, সরকার পতনের ডাকও দেয়নি। সরকারের বিরোদ্ধে একটা প্লেকার্ডও ব্যবহার করেনি। বা সরকারকে অবৈধও বলেনি।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "আমি বলি যদি আমি একা পোষ্ট দেই তাহলেতো আমি অকারণ ঝামেলাতে পড়বই। কিন্তো যদি আমরা সবাই পোষ্ট দেই তাহলে সরকার কয়জনরে ধরবে। আমরাতো খারাপ কিছু বলছিনা বা করছিনা।" একদম ঠিক বলেছেন। সবাই একযোগে প্রতিবাদ করলে কয়জনকে ধরবে সরকার। কিন্তু এই দেশে একটা বড় সমস্যা হল একতাবদ্ধ হওয়া। সবাই শুধু নিজ নিজ স্বার্থ চিন্তা করে। এই চিন্তা যে আসলে নিজ স্বার্থের পায়েই কুড়াল মারা সেটা বুঝতে পারে না। আগা বাঁচানোর চিন্তা করে; ওদিকে গোঁড়া যে কেটে ফেলা হচ্ছে সেই খবর নাই। মানুষের উপলব্ধি আসুক এই কামনাই করে যেতে হচ্ছে অসহায়ের মত।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, প্রথম বাংলা। শুভেচ্ছা।

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: @পদাতিক চৌধুরি ,নিজ দেশের মানুষদের আজ বড় অচেনা মনে হয়। আপনি ভীন দেশের একজন হয়েও যেভাবে আমাদের পাশে দাড়ান, মনটা আদ্র হয়ে যায়। জলে ভরে যায় দুচোখ।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ানভাই,

ভাষা বা সাহিত্য , আবেগ প্রভৃতি কী কখনও সীমানা দিয়ে বেঁধে রাখা যায়? হাসি , কান্নার ভাষা আমার আপনার কী আলাদা ? আমরা আবেগপরায়ণ। যোকোনও আবেগেই কারও না কারও অন্তর দোলা দিয়ে উঠবে। যে আবেগ মানেনা কোনও দেশকালের গন্ডি, কোনও চোখরাঙানিও ।

বাংলাভাষা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। সারা বিশ্বের বাঙালী জাতি সে যার মাধ্যমে এক্যবদ্ধ হবে, সামুর মত মুক্ত মঞ্চে। সেখানে আসুননা আমরা শুধুই অন্তর দিয়ে মিলি,যেখানে খুঁজবোনা কোনও সংকীর্ণতা, করবোনাা কোনও ভেদাভেদ।

শুভকামনা জানবেন।

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৬

বিজন রয় বলেছেন: একটি ভাল কবিতা পড়লাম।
++++

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এতগুলো প্লাস পেয়ে অনেক আপ্লুত হলাম, বিজন দা। কিন্তু যে অসহায়ত্ব থেকে এই অনুভূতির জন্ম হয় সেটা কি দূর হবে না ?? মানুষের দৃষ্টি খুলে যাক, বিবেক জাগ্রত হোক এই কথাটা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারি না।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৯

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: অসাধারণ। পোস্টে ভালোলাগা পোস্টে ভালোলাগা+++

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, মোঃ আল মামুন শাহ ভাই। পাঠ ও মন্তব্য করার জন্য অনেক কৃতজ্ঞ হলাম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কার কী হয়েছে???
মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না!!!:(

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বলা হচ্ছে যে ছেলেটা আত্মহত্যা করেছে, সেই মুশফিক মাহবুব ছিল মানসিক রোগী !! কি ভয়ঙ্কর আশ্চর্যের ব্যাপার ! একজন মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষ এমন স্ট্যাটাস দিতে পারে ! তার বন্ধু বান্ধবরা বলেছে, মুশফিক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল না, সে ভীষণ হাসিখুশি ছিল, কখনো তার কোন সমস্যা আছে বলেও মনে হয়নি। এছাড়া তার বিগত স্ট্যাটাসগুলো দেখলেও বোঝা যায় সে কতটা জয়ফুল মাইন্ডের ছিল। এমন নয় যে স্ট্যাটাসগুলো অনেক আগের। একেবারে রিসেন্ট স্ট্যাটাসেই দেখা যায় সে ফান লাভার ছিল। এমন ছেলে কি করে মানসিকভাবে অসুস্থ হয় ?! তার ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায় জীবনের প্রতি কতটা আগ্রহী ছিল সে। আবার আরও আশ্চর্যের ব্যাপার এই ছেলেটা 'শহীদ রমিজ উদ্দিন হাইস্কুল'র প্রাক্তন ছাত্র ছিল, যে স্কুল-কলেজেরই দুই ছাত্রছাত্রী সম্প্রতি নিহত হয়েছিল সড়ক দুর্ঘটনায়। আর যার ফলে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসে কাঁপিয়ে দিয়েছিল সরকারকে। আমার কেমন রহস্যজনক মনে হচ্ছে ব্যাপারটা। শুধুই কাকতাল মানতে চাইছে না মন। বিষয়টার জোর অনুসন্ধান করা দরকার বলে মনে হচ্ছে। এবার দেখুন তো মাথায় কিছু ঢোকে কিনা। নইলে দৈত্যকে বের করে জিজ্ঞেস করুন তো রহস্যটা কি, আলাউদ্দিন ভাই।

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা আপু ,

পুরোটা আমি দিতে পারিনি। কবিতাটি বেশ বড়। তবে বাকি অংশগুলিতেও একই কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে।


শুভরাত্রি।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, পদাতিক ভাই। অসাধারণ একটি কবিতা এটি।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ানভাই,

ভাষা বা সাহিত্য , আবেগ প্রভৃতি কী কখনও সীমানা দিয়ে বেঁধে রাখা যায়? হাসি , কান্নার ভাষা আমার আপনার কী আলাদা ? আমরা আবেগপরায়ণ। যোকোনও আবেগেই কারও না কারও অন্তর দোলা দিয়ে উঠবে। যে আবেগ মানেনা কোনও দেশকালের গন্ডি, কোনও চোখরাঙানিও ।

বাংলাভাষা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। সারা বিশ্বের বাঙালী জাতি সে যার মাধ্যমে এক্যবদ্ধ হবে, সামুর মত মুক্ত মঞ্চে। সেখানে আসুননা আমরা শুধুই অন্তর দিয়ে মিলি,যেখানে খুঁজবোনা কোনও সংকীর্ণতা, করবোনাা কোনও ভেদাভেদ।

শুভকামনা জানবেন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন,পদাতিক ভাই। আপনার এমন মানসিকতার জন্য হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জাগে।
আপনার মন্তব্যটি ঢাবিয়ান ভাইকে প্রতিমন্তব্য করে দিয়েছি।

শুভরাত্রি।

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: তোমার প্রতিউত্তর পেতে পেতে, আমি মন্তব্য পড়ে ঘটনার ঝাপসা একটা ধারণা পেয়ে গিয়েছি!!!
(আচ্ছা, উপরের বাক্যটা কি শুদ্ধ হয়েছে?)



পুনশ্চঃ
এত বড় বড় প্রতিউত্তর তোমরা করো কীভাবে? কাটখোট্টা প্রতিউত্তর করার ভয়ে আমি পোস্ট দেই না!! তার চেয়ে মন্তব্য করা ভালো, ইচ্ছেমত লেখকদের জ্বালিয়ে মারা যায়। :D

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "তোমার প্রতিউত্তর পেতে পেতে, আমি মন্তব্য পড়ে ঘটনার ঝাপসা একটা ধারণা পেয়ে গিয়েছি!!!
(আচ্ছা, উপরের বাক্যটা কি শুদ্ধ হয়েছে?)"
হ্যাঁ, ঠিক আছে বলা যায়। 'মন্তব্যসমূহ' বললে বেশি ঠিক হত। (তুমি এত সুইট করে কথা বল :> )

সত্যি বলতে আমারও প্রতিমন্তব্য দিতে খুব ক্লান্ত লাগে :-<

সুইট করে জ্বালালে তো কোন সমস্যা নাই ;) । কিন্তু জ্বালাতে জ্বালাতে আবার নিজে জ্বলে যেয়ো না :P

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মন ছুঁয়ে যাওয়া কষ্টের এমন আত্মহত্যা মেনে নেয়া। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। শুভেচ্ছা।

আমার মন্তব্যের সহজ অর্থটা মনে হয় বুঝতে পারেন নি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বুঝতে পেরেছি, রাজীব ভাই। মন ছুঁয়ে যাওয়া বলতে আপনারও খারাপ লেগেছে সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। আমি আপনার সাথে একাত্ম হয়েই প্রতিমন্তব্যে সেটা লিখেছি। আপনি খুব সরল মনে সব কথা বলেন সেটা জানি। সেজন্য আপনাকে পছন্দ করি।
অনেক অনেক ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে এলাম চঞ্চলা হরিণী, কিছু কথা বলার জন্য। আসলে আমারও প্রথমেই খটকা লেগেছিল এই ছেলেটা রমিজ উদ্দিন স্কুলের ছাত্র দেখে। দ্বিতীয় খটকা, বন্ধ ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে কেউ মারা গেলে বলা যায় সে আত্মহত্যা করেছে, ছাদ থেকে পড়ে গেলে কি করে বোঝা যায় সে আত্মহত্যা করেছে? তৃতীয় খটকা, আত্মহত্যা কি করে বোঝা গেল! সেকি সুইসাইড-নোট, বন্ধুবান্ধবের কাছে কোনো ইঙ্গিত, অথবা ফেসবুকে কোন ইঙ্গিত দিয়েছিল, সাধারণত আত্মহত্যা করার আগে সকলেই যা করে। চতুর্থ খটকা, যারা মানসিক রোগে ভোগে তারা এত গুছিয়ে লিখতে পারেনা। ওর কি মানসিক রোগ ছিল, সিজোফ্রেনিয়া, depression বাইপোলার ডিজঅর্ডার, কোনটা? কোনকিছুই উল্লেখ নেই কেন?

মানসিক রোগীরা যে গুছিয়ে লিখতে পারেনা, এই কথা আমি এই পোষ্টের তিন নাম্বার প্রতিমন্তব্যে বলেছি। Click This Link

খটকা গুলো রয়ে গেল, জানি রয়েই যাবে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আজ সারাদিনে মাত্র লগইন করলাম। সেজন্য উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় দুঃখিত আপা।

আপনার প্রত্যেকটা খটকা একদম ঠিক। তার বাবা তাকে বাসার সামনে অচেতন অবস্থায় পায়। তাতে কোনভাবেই এটা প্রমাণ হয় না যে সে নিজেই লাফ দিয়েছে। সুইসাইড নোটও লেখেনি। আত্মহত্যা করার আগে মানুষ কিছুদিন চরম অস্থিরতায় ভোগে। হুট করে একদিনের সিদ্ধান্তে এটা হয় না। অথচ তার আগের দিনের স্ট্যাটাসও প্রাণের দাবী প্রকাশ করে। ঢাবির সঙ্গীত বিভাগের আমার খুব পরিচিত একজনের ইমিডিয়েট জুনিয়র ছিল সে। সে বললো তাকে দেখে কখনোই মানসিকভাবে অসুস্থ বা বিষণ্ণ মনে হয়নি। বরং সম্প্রতি ব্যবসা করার চিন্তা করছিল সে, যা নিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় আলাপ করেছিল। এই ছেলে হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নেবে তা কোনভাবেই যুক্তিতে আসে না। পরিচিত একজনের ধারণা তাকে আগেই মেরে বা আটকে রেখে কিংবা হ্যাক করে অন্য কেউ এই স্ট্যাটাস দিয়েছে, তার মৃত্যুটাকে আত্মহত্যা হিসেবে সবার ভাবার জন্য। মানুষের ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে প্রযুক্তির অনৈতিক ব্যবহারে।

আসলেই এই খটকাগুলোর হয়তো উত্তর আমরা পাবো না। কি মানে আছে আসলে এভাবে বেঁচে থাকার ।

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

বিজন রয় বলেছেন: আপনার শোকবার্তায় আবার শামিল হলাম!!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: .।.।.।। বিজন দা। কত অসহায় আমরা ! একে একে কে কখন কিভাবে সময়ের আগেই চলে যাবে অথচ কিছুই করতে পারছি না আমরা।

২১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সমাজ ও এই দেশটাকে বদলানো খুব দরকার।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কিন্তু সাহসী হতে পারছি না আমরা কেউ। সবাই বুঝছে বদলানো দরকার কিন্তু সবাই একত্র হতে পারছে না। নেতা এবং সাহস দুটোর অভাবেই এই দেশ ভুগছে।

২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

নতুন বলেছেন: ছাদ থেকে পড়ে মারা গেলে অবশ্যই প্রথমেই হত্যার কথা আসা উচিত....

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: অথচ প্রচার হয়ে গেলো আত্মহত্যা। এবং প্রচারের পক্ষে প্রমাণ ধরা হল তার ফেসবুকের স্ট্যাটাস! এটা একজন মানুষের মৃত্যুর পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়ার মত যুক্তি হতে পারে ! আমার পরিচিত একজনের ধারণা তাকে আগেই মেরে বা আটকে রেখে কিংবা হ্যাক করে অন্য কেউ এই স্ট্যাটাস দিয়েছে, তার মৃত্যুটাকে আত্মহত্যা হিসেবে সবার ভাবার জন্য। মানুষের ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে প্রযুক্তির অনৈতিক ব্যবহারে। আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে বলেও তো একটা টার্ম আছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সবাই চুপ হয়ে আছে।

২৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



শক্তিশালী কাব্য!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মাত্র দুটি শব্দে আমাকে অনেক শক্তি দিয়ে গেলেন, বন্ধু ভ্রমরের ডানা। খুব কৃতজ্ঞ হলাম। অনেক ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।

২৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরাও স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই।

অনেক সময় তদন্তের উদ্দেশ্য থাকে অবৈধতা/ইরেগুলারিটিসকে বৈধতা দেয়া বা রেগুলারাইজ করা। এ পর্যন্ত যে-সব তদন্তের কথা আমরা জানতে পেরেছি, তাতে জনগণ কতটুকু সন্তুষ্ট হতে পেরেছে?

এসব বাদ দিয়ে প্রেমসাহিত্য রচনায় মনোযোগী হোন।

শুভেচ্ছা রইল।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আচ্ছা আত্মহত্যার বেলাতেও তো অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়। তদন্ত হয়। আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অপরাধীকে শনাক্ত করা হয় এবং বিধি মোতাবেক শাস্তি দেয়া হয়। তাহলে এক্ষেত্রে এসব কিছু না মানা হলে তো আইন ভঙ্গ করা হবে।

আমি তো আছি অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন। প্রেমানুভূতি যখন আসবে তখন সেটা নিয়ে লিখবো। জোর করে মনোযোগী হলে তো অনুভূতির সাথে প্রতারণা করা হবে।

ভালো থাকুন, সোনাবীজ ভাই। শুভেচ্ছা।

২৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫২

মিথী_মারজান বলেছেন: স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাওয়াটা এদেশে এখন অন্যতম অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে শুরু করেছে।
মুশফিক অবশ্যই মানসিকভাবে অসুস্হ্ ছিলো আপু, ঠিক একই অসুস্হতায় আমরাও ভুগছি।
চলমান ঘটনাগুলোয় এখনো অভ্যস্ত হতে পারছিনা আমরা, দোষটাতো একভাবে আমাদেরই।:(
মুশফিক আমাদের বিবেকের আরেক নাম আপু।
ওকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা সেটা আর জেনেও লাভ নেই।
শুধু জানি আমাদের বিবেক আমাদের ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।:(

চমৎকার একটা কবিতা!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "মুশফিক অবশ্যই মানসিকভাবে অসুস্হ্ ছিলো আপু, ঠিক একই অসুস্হতায় আমরাও ভুগছি।
চলমান ঘটনাগুলোয় এখনো অভ্যস্ত হতে পারছিনা আমরা, দোষটাতো একভাবে আমাদেরই।:(
মুশফিক আমাদের বিবেকের আরেক নাম আপু"। খুব স্পর্শকাতর কথা বলেছেন। আমরাও অসুস্থতায় ভুগছি, চলমান ঘটনাগুলোয় অভ্যস্ত হতে পারছি না। কিন্তু আমরা তো তবুও চলছি, বেঁচে আছি। আপোষ করাটাই তো অভ্যস্ততা । টিকে থাকার চেষ্টাটা আদিম। মানুষের প্রাণান্তকর চেষ্টা থাকে টিকে থাকার। ধরা যাক, মুশফিক এই চেষ্টাটা করতে পারেনি। কিন্তু তার এটা যে আত্মহত্যা সেটাই তো সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ হয় না। যুক্তিতে আসে না।
বিবেক আমাদের ছেড়ে যেতে বাধ্য হবে কেন, আমরা নিজেরাই বিবেককে দূরে ঠেলে দিয়েছি অথবা ঘুম পাড়িয়ে রেখেছি। আমরা মানে মানুষ চাইলেই পারে তার বিবেককে জাগ্রত করতে। প্রয়োজন শুধু সততা এবং সাহস। কিন্তু কষ্টদায়ক নির্মম সত্য হচ্ছে সে দুটোরই অভাব দেখা যাচ্ছে আমাদের মধ্যে। অন্তত এদেশের বড়দের মধ্যে। তাই এখন ছোটদের উপরই আশা করতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

এই প্রথম আপনার মন্তব্য পেয়েছি, সেজন্য অনেক ভালো লেগেছে আপু। কবিতার প্রশংসা এবং লাইক দেয়াতে অনেক আপ্লুত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন, মিথী- মারজান আপু। ভালো থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.