নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবনার ম্যানিপুলেশন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮



কত অসম্ভব চিন্তা মানুষ করতে পারে। আমি হঠাৎ ভাবলাম একটা ব্যাঙ্গের পিঠে একটা প্রজাপতি বসে আছে। অথবা উল্টোটা, একটা বিশাল মথ তার পিঠে ছোট একটি ব্যাঙ নিয়ে উড়ে যাচ্ছে। কোন ধরণের যৌক্তিকতা ছাড়াই কল্পনা। বাস্তব দূর থাক; স্থান, পাত্রের কোন যৌক্তিক সম্মিলন ছাড়াই কল্পনা করতে পারলাম। কারণ মানুষের কল্পনা শক্তি অসীম। অবশ্য সমস্ত মহাবিশ্বের সসীম বস্তু দিয়েই তার কল্পনা অসীম। যা কিছু মহাবিশ্বে নেই তার বাইরে কিছুই আমরা কল্পনা করতে পারি না, আমাদের জ্ঞানের সীমা দেয়া আছে। এখন প্রশ্ন হল কম্পিউটার যদি মানুষের চেয়ে অধিক বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কি হবে ? এখানে একটা জিনিস আমার অসম্ভব মনে হয়।

কম্পিউটার মানুষের চেয়ে অধিক বুদ্ধিসম্পন্ন স্মৃতি ধরে রাখায়, জ্ঞান সঞ্চয় করায়, সুপার ফাস্ট গতিতে অংক কষায়, কোন বিষয়ে অজস্র সমাধানে মুহূর্তে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত দিতে পারায় ইত্যাদি ইত্যাদি ক্ষেত্রে হতে পারে, কিন্তু অসীম কল্পনায় কি সে অধিক বুদ্ধিসম্পন্ন হতে পারবে ? কম্পিউটার তো সেট করা প্রোগ্রামের বাইরে কিছুই করতে বা ভাবতে পারে না। প্রশ্ন হতে পারে অবাস্তব, অহেতুক কল্পনা আমরা কেন করবো । কেন করবো তার অনেক কারণ আছে। সেই কারণ আলাদাভাবে বিস্তৃত লিখতে হবে। এইখানে যেটা উত্থাপন হল সেটার উত্তর কি? ন্যূনতম কোন ধরণের সংযোগ ছাড়া কি কম্পিউটার কিছু কল্পনা করতে পারবে ? হ্যাঁ, ধরা যাক, তার ভেতর পৃথিবীর সকল প্রাণীর তথ্য ও ছবি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ অতি আণুবীক্ষণিক সব। তারপর একটার সাথে আরেকটা মিলিয়ে কিম্ভূত প্রাণী বানানোর প্রোগ্রামও সেট করা দেয়া হয়েছে। এবার আপনি টাস্ক দিলেন সমস্ত প্রাণী একটার সাথে আরেকটা, প্রতিটার সাথে প্রতিটা মিলিয়ে প্রাণী বানাতে। সে বানিয়ে চললো। এটা কি আদৌ শেষ হবে আপনার মনে হয়। যত সে বানাবে তত নতুন প্রাণীর সাথে আরেকটা মেশানো যাবে। এটা একের সাথে এক যোগ করতে করতে যাওয়ার মত অসীম।

একটা খুবই সাধারণ ঘটনায় একশ জন মানুষের মাথায় একশ রকম ধারণা জন্ম নিল এবং একশটা নতুন ভাবনা এলো। কম্পিউটারে কি পৃথিবীর তাবৎ মানুষের ভাবনার সূত্র পুরে দেয়া সম্ভব ? মানুষ কিভাবে ভাবে, মানুষের মস্তিষ্ককে কি পুরোপুরি আবিষ্কার করতে পেরেছে বিজ্ঞান ? মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা তথা ভাবনা প্রবাহিত হওয়ার সমস্ত সূত্র আবিষ্কৃত হলে পৃথিবী থেমে যাবে। কারণ তখন প্রতিটা মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। জলের মত স্বচ্ছ হয়ে যাবে প্রতিটা মানুষকে পড়তে পারা এবং তার ভাবনার রাস্তা ট্র্যাস করা। অর্থাৎ গণিতের মত হিসাব নিকাশ করা যাবে মানুষের ভাবনার ধারা। কিন্তু গণিতে একের সাথে এক যোগের মত একটা সাধারণ সমস্যারই অসীম ফল হয়। তাহলে মানুষের ভাবনার সূত্র তো সেই কল্পনার মতই অসীম।

কিন্তু হ্যাঁ, যারা খুব বেশী ভাবেনা অর্থাৎ বস্তুগত প্রয়োজনের বাইরে মস্তিষ্ককে খাটায় না, তাদের ভাবনার সীমাটা জাগতিকতার যৌক্তিক সীমায় আবিষ্কার করা যাবে। কিন্তু এখানে ফাঁকটা হচ্ছে মানুষ যেকোন সময়ই ভাবনা শুরু করে দিতে পারে। মানুষের এই ইচ্ছে বন্দী করার কোন রকম, কোন রকমেরই উপায় নেই। সেক্ষেত্র যারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তারা মৌল অনুভূতির ম্যানিপুলেশনের আশ্রয় নেয়। খাদ্য যেমন একটি মৌলিক চাহিদা, অর্থাৎ ক্ষুধার প্রয়োজন না মিটলে তথা শক্তি না পেলে মানুষের ভাবনা একসময় থেমে যাবেই, ঠিক তেমনি এমন কতগুলো প্রভাবক আছে যেগুলো দিয়ে মানুষের ভাবনার ম্যানিপুলেশন করা যায়। এগুলোর প্রভাবে মানুষ ভাবতে চাইবে না, ভাবতে ভয় পাবে এবং ভাবনার অবকাশই পাবে না। বর্তমানে পৃথিবীর সাতশ কোটি মানুষের মধ্যে হয়তো ছয়শ নিরানব্বই কোটি মানুষই ভাবনার ম্যানিপুলেশনের শিকার। মাত্র এক কোটি মানুষ পুরোপুরি ভাবনার নিয়ন্ত্রণমুক্ত আছে। এটা আমার একটা সাধারণ অনুমান। এখন কম্পিউটারে মানুষের ভাবনার সাধারণ এই সীমাটুকু ঢুকিয়ে দেয়া সম্ভব। তাহলে, এখন যতটা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে মানুষ তখন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশীগুন, প্রকৃতপক্ষে প্রায় পুরোপুরিই নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

হাজার হাজার বছর ধরেই মানুষের ভাবনার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং নিয়ন্ত্রকরা সেভাবেই নিয়ন্ত্রণ করে শোষণ করে গেছেন। কিন্তু এখন ব্যাপকভাবে পৃথিবীর সমস্ত প্রান্ত থেকে মানুষের চিন্তার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে এক জায়গায় পুঞ্জিভূত করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। কারণ সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে শিক্ষার ফলে মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশী ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। তাই প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে বিগত কয়েক দশক ধরেই মানুষের ভাবনার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের এই প্রক্রিয়া চলছে। কম করে হলেও একশ বছরের অগ্রিম চিন্তা করে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন প্রযুক্তি দুনিয়ার রাজা বাদশাহরা। দুইশ কোটিরও অধিক মানুষের ডাটা ইতিমধ্যেই তাদের ভাণ্ডারে আছে। ভাবনার নিয়ন্ত্রণহীন এক কোটির মধ্যে যারা নিয়ন্ত্রণের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তারা অহর্নিশি এসব ডাটার এনালাইসিস করে যাচ্ছে। মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে একেবারেই ভুলে যাবে অথবা বুঝবেই না যে তার সাথে অন্যায় হচ্ছে যখন তার চিন্তাশক্তি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়বে।

আমরা কি আমাদের চারপাশে দেখতে পাচ্ছি কিভাবে প্রযুক্তির দাসে পরিণত হয়েছে সবাই। প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের অসংখ্য জায়গায় মানুষ অজান্তে তার তথ্য দিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের বিনোদন এবং প্রয়োজনের আড়ালে চলছে এসব সংগ্রহ। একসময় সামন্তবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনে পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ বন্দী ছিল, শোষিত হয়েছে। বর্তমানে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন পূর্বের তুলনায় স্তিমিত হলেও তার রাষ্ট্রব্যবস্থা পুঁজিবাদ দ্বারা শোষিত হচ্ছে মানুষ। আর ভবিষ্যতে প্রযুক্তির আগ্রাসনে মানুষ বন্দী হতে যাচ্ছে। ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে এই, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনে বন্দী থাকলেও মানুষের ভাবতে পারার ক্ষমতা অনেকটাই মুক্ত ছিল, অর্থাৎ ম্যানিপুলেশনের চেষ্টা থাকলেও মানুষের চিন্তাশক্তি শোষকদের নিয়ন্ত্রণে খুব বেশী ছিল না, ফলে সময় সময়ই মানুষ বিদ্রোহ করেছে, শোষকরা পরাজিত হয়েছে। আবার নতুন বুদ্ধি বের করে ক্ষমতায় টিকেছে। কিন্তু এখন চিন্তাশক্তিকেই যখন নিয়ন্ত্রণ করা হবে তখন শোষণটাই তো শোষিতরা বুঝতে পারবে না। জোম্বির মত তারা জীবন পার করে দেবে আর জীবনের সবটুকু রস ও আনন্দ উপভোগ করবে নিয়ন্ত্রণকারীরা।

বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা থামানোর কোন প্রশ্ন ওঠে না, কিন্তু প্রযুক্তির আগ্রাসন থামানোর চেষ্টা বা বিকল্প বুদ্ধি অবশ্যই বের করতে হবে। এমন কিছু বুদ্ধি আছে যেগুলো প্রকাশও করা যাবে না। শুধু গোপনে কাজ করে যেতে হবে। যাঁরা মানুষকে নিয়ে ভাবেন, মানুষের কল্যাণের কথা ভাবেন, পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য চিন্তা করেন তাঁদের এই বিষয়টা নিয়ে অনেক গভীরভাবে ভাবতে হবে। দূরদর্শী হতে হবে, ভবিষ্যৎ পৃথিবীর গতি প্রকৃতি বুঝতে হবে। এবং তাঁদের মধ্যে যাঁদের ক্ষমতা আছে তাঁদেরকে কমপক্ষে ১০০ বছরের, নিদেন পক্ষে ৫০ বছরের অগ্রিম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমার নিজের কিছু পরিকল্পনা আছে, কিন্তু আমার কোন ক্ষমতা নেই। আমি জানিনা, কোথায়, কিভাবে, কাদের সাথে এসব পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ ও কাজ শুরু করা যাবে। কিংবা আমার ভাবনা চিন্তাগুলো আদৌ কেউ বুঝবে কিনা, মূল্য দেবে কিনা।

মধ্যবিত্ত যারা ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখে অথবা যারা এখন ধনীদের খুব কদরদাতা নিজেদের সুদিনের আশায়, তারা জানেনা তারাও যে পুরোপুরি ম্যানিপুলেশনের শিকার হবে। তাদের ধনী বন্ধুরা কোনদিনই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়তে দিতে চাইবে না। এবং নিজেদের বুদ্ধিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এমন বুদ্ধির উত্থানকে তারা সর্বোতভাবেই রুখে দিতে চাইবে। সুতরাং এই শ্রেণীর মানুষরা গরীবের বন্ধু না হলেও, আপাতত নিজের যতটুকু আছে সেটা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেদের স্বার্থেই তাদেরকেও এই প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্যাপিটেলিজমে ধনীদের দ্বন্দ্ব থামানোর শক্তি হলো, সবার একই উদ্দেশ্য; দরিদ্রদের মাঝে প্রতিযোগীতা হলো টিকে থাকার; ফলে, ধনী সহসা কোন সমস্যার সন্মুখীন হবে না

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, চাঁদগাজী ভাই।

ধনীরা তো সহসা কোন সমস্যার সম্মুখীন কখনোই হতো না। কিন্তু যে কোন সময় সম্মুখীন হওয়ার একটা ভয়ে তারা সবসময় থাকতো, থাকে। বছরের পর বছর ধরে তারা নিজেদের নিরাপত্তা বাড়াবার নানারকম উপায়, কৌশল বের করে গেছে। আর চেয়েছে বঞ্চিতদের সবসময় দাবিয়ে রাখতে। কিন্তু কখনোই পুরোপুরি দমাতে পারেনি, কারণ বঞ্চিতদের ভাবনার শক্তিটা ছিল স্বাধীন। তবে মর্মান্তিক সত্যটা হল, "দরিদ্রদের মাঝে প্রতিযোগীতা হলো টিকে থাকার;" এই সত্যটার জন্যই দরিদ্ররা একটি এক্ত্রিত শক্তি হতে পারে না। সময় সময় নানারকম সংশ্লেষের মধ্য দিয়ে মানব সভ্যতা এগিয়ে গেছে। অনেকরকম সম্ভাবনার কথাই বলা হচ্ছে। হয় কিছু দেখে যেতে পারবো নয়তো ব্যর্থ হয়ে হয়তো মরবো।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চিন্তাশক্তি ও ইচ্ছাশক্তি এই দুইটি একে অপরের সাথে জড়িত। চিন্তাশক্তির বিকাশ ছাড়া আপনি কখনোই আপনার ভিতর কি দোষ গুন আছে তা যাচাই করতে পারবেন না। আর ইচ্ছাশক্তি ছাড়া আপনার চিন্তাশক্তি বাড়বেনা, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই মানুষের চিন্তাশক্তি বাড়ে পৃথিবীর সকল মনীষিরাই তাদের চিন্তাশক্তির মাধ্যমেই নিজেদের কে তুলে ধরেছেন।

আমরা জন্ম থেকে যা কিছু দেখছি, (প্রাকৃতিক বিষয় ব্যতিত) যা কিছু শ্রবণ করছি, যার স্বাদ নিচ্ছি সবই মানুষের তৈরী। যা পড়ি তা মানুষের লেখা, যা দিয়ে লিখি তাও মানুষের তৈরী তাহলে নিশ্চয়ই আপনার ভিতরও এমন কিছু আছে যা আপনাকে সফল করবে। তাই নিজেকে নিয়ে প্রচন্ড পরিমানে ভাবতে হবে। নিজেকে জানতে হলে, আগে মানুষ সম্পর্কে জানতে হবে যে, মানুষ কি পারে, কি পারেনা?

মানুষ কেন পারে, কিভাবে পারে তাও জানতে হবে। মানুষ কেন ব্যার্থ হয় কেন সফল হয় এটাও। এরপর নিজেকে বিশ্লেষণ করতে হবে, মিলাতে হবে তাদের সঙ্গে। যাদের মত আমরা হতে চাই। তাহলেই পাওয়া যাবে, জানা যাবে নিজেকে।

কেউ কখনো এমনি, এমনি বিখ্যাত হয়নি, হবেও না। প্রতিটি বিখ্যাত মানুষের চিন্তাশক্তি আর দশটা সাধারণ মানুষের মত নয়। তাদের চিন্তাশক্তি দিয়ে তারা তাদের জীবনে প্রচন্ড রকম পরিবর্তন সাধন করেছেন। আজকের এই আধুনিক যুগ আধুনিক চিন্তার ফসল। চিন্তা যত বাড়বে আধুনিকতাও বাড়বে। অন্যের কথায় তারাই প্রভাবিত প্ররোচিত হয় যারা তাদের চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগাতে পারে না। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত চিন্তা দুশ্চিন্তার জন্ম দেয়।

ইন্টারনেটের সুফলের পাশাপাশি কুফলও অনেক । যেমন, কারও কারও কাছে ইন্টারনেট নেশার মতো। অনেকে বিভিন্ন সামাজিক ওয়েব সাইটের সাথে যুক্ত কিন্তু তাদের কাছে এটা একটা নেশার মতো কাজ করে। যেমন ফেইসবুক, টুইটার এগুলো অনেকে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করে। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ এটা সাথে যুক্ত এবং তারা এমনভাবে ব্যবহার করে যে তাদের সময়ে প্রতি কোনো খেয়াল থাকে না। ফলে সময়ের প্রতি তাদের মুল্যবোধ কমে যাচ্ছে।

বর্তমান বিশ্বে পর্ণ ওয়েব সাইটের সংখ্যা অনেক। এসব সাইটের সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক লোক থেকে শুরু করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক লোক এটার সাথে জড়িয়ে পড়ছে এবং খারাপ এর দিকে চলে যাচ্ছে। অনেক বিশৃঙ্খলাকারি দল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উস্কানিমুলক বক্তব্য দিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।

আপনার আজকের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বিখ্যাত হওয়া মানুষদের কথা ছেড়ে দেই। তাঁদের চিন্তার কথা বলছি না। আমি সাধারণ মানুষের কথা বলছি। মানুষের চিন্তাশক্তির বিকাশ কেন প্রয়োজন তার নানবিধ সুন্দর বর্ণনা আপনি দিয়ে গেলেন। এই যে বললেন মানুষ কেন সফল হয়, কেন ব্যর্থ হয় সেটা জানতে হবে। মিলাতে হবে তাদের সঙ্গে যাদের মত আমরা হতে চাই। এই সফলতার স্ট্যান্ডার্ড শোষকদের সেট করে দেয়া। আর সেই সফলতা ছুঁতে গিয়ে দশ মিনিটের দূরত্ব সারাজীবনেও শেষ হয় না। মানুষ সামাজিক জীব, কাজেই মানুষের ব্যক্তিগত সফলতার চেয়ে সমাজবদ্ধ সফলতা সমাজে অনেক বেশি শান্তি নিয়ে আসে। সমাজবদ্ধ সফলতা আসলে তখন ব্যক্তিগত সফলতা আপনা আপনিই তৈরি হবে, তৈরি হওয়ার পথ খুলে যাবে এবং যার যার মেধা ও পরিশ্রমের উপর ভিত্তি করে সেটা সহজ হবে, গ্লানিময় হবে না। কিন্তু শুধুই যদি নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে ব্যক্তিগত সফলতা লাভে মরিয়া হয়ে ওঠে সবাই তখনই এই তীব্র প্রতিযোগিতা, হানানহানি এবং শোষণ, বঞ্চনা ও জয়ের জন্য অন্য কদাচারগুলো ছড়িয়ে পড়ে। আর এসবকেই স্বাভাবিক দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের মন, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ও দর্শন।

ইন্টারনেট নিয়ে আপনি যা বলেছেন একদম ঠিক। প্রযুক্তি বলতে শুধু ইন্টারনেটের কথা বুঝাইনি। আরও অনেক বিস্তৃত এর অর্থ। পুঁজিবাদ ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ প্রযুক্তির মাধ্যমে তার আগ্রাসন চালাতে যাচ্ছে।

বেশ গোছানো এবং বড় একটি মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, কাওসার চৌধুরী ভাই। ভালো থাকুন নিরন্তর। শুভেচ্ছা।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। কথা সত্য।

আমরা নানা ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হই। জ্ঞান, স্বপ্ন, চাহিদা, আকাঙ্খা - -
আপাত নিয়ন্ত্রনহীন মনে হলেও আখেরে আমরা সবকিছু কর্পোরেটিজমের অসহায় শিকার!
জীবনবোধকে মিডিয়ার মাধ্যমে সহজেই প্রভাবিত করতে পারে এবং করছে। একভবে।
ধর্মগুরুরা করছে আরেক ভাবে!
রাজনৈতিক দল করছে অন্য উপায়ে!
কেবলই মাকড়শ জালের মতো অসংখ্য শেকল ঘিরে আছে চারপাশ!!!

কেবল হিমু টাইপের যারা ছন্নছাড়া স্বাধীন স্বত্তা তারাই বুঝি কিছূটা আপনা ভুবনে আপনি বাদশা ;)

:)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল একাডেমীক শিক্ষাই একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির শিক্ষা। যে জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সমাজের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি রচিত হয়। খুব কম মানুষই এর বাইরে জ্ঞান অন্বেষণে সক্রিয় হয়। জীবন চালানোর উপকরণ সংগ্রহ করতে গিয়ে তো আর কিছু ভাবার, দেখার সময়ই পায় না। শিক্ষিতদের মধ্যে যারা এমনিতেই বই পড়ে তারাও মাথা খাটানোর মত আর কিছু পড়তে চায় না । কারণ তার মস্তিষ্কেরও বিশ্রাম ও বিনোদন দরকার আছে। পেশাভিত্তিক কাজের ক্লান্তির পর তার মস্তিস্ক রিল্যাক্সেসন চায়। এই অবস্থাটা পুরোপুরিই কর্পোরেটদের তৈরি করা।

যা বলেছেন আপনি, কর্পোরেট গোষ্ঠী, ধর্ম গুরুরা এবং রাজনীতিবিদরা সবাই সাধারণ মানুষের ভাবনাকে ম্যানিপুলেট করছে যার যার মত। তবে সবকিছুর মুলেই আছে অর্থ এবং বিলাসিতার লোভ। আপনার সেই ডিপ স্টেটের মতই এরা সবাই গভীর শিকড়ে জড়িত।

হিমুকে তো আপাতভাবে একেবারে সব ধরণের প্রভাবমুক্ত চরিত্র হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ স্যার সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তাঁকে পড়ে এদেশের তরুণরা তার প্রতি প্রভাবিত হয়ে গিয়েছিলো। হুমায়ূন আহমেদ একটা প্রজন্মের ভাবনাকে পুরোপুরিই ম্যানিপুলেট করতে পেরেছেন বলা যায় ;)। যদিও বাস্তবতায় এই প্রভাবটা আখেরে ভালো কিছু হয়নি। নিজেদের জীবনে হিমুর প্রয়োগ করার চেয়ে তাঁর সবধরনের পুঁজিবাদের প্রভাবমুক্ত ভাবনাগুলোকে অনুধাবন করা অনেক বেশি দরকার ছিল। আমার ধারণা হুমায়ূন আহমেদ স্যার নিজেও সেটা চেয়েছিলেন :-B

অল্প কিছু কথায় গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, বিদ্রোহী ভৃগু ভাই :)

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

সূচরিতা সেন বলেছেন: সুন্দর কিছু কথা লেখেছেন ।পড়ে ভালো লাগল । সবাই আমরা যে যার মত নিজ নিজ স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই প্রথম আপনার মন্তব্য পেয়ে প্রথমেই আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই, সূচরিতা সেন। আপনার মন্তব্য পেয়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। "সবাই আমরা যে যার মত নিজ নিজ স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত"। একটা বাক্যেই অত্যন্ত অর্থবহ কথা বলে দিয়েছেন।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ব্লগে নিমন্ত্রণ রইলো। ভালো থাকবেন সূচরিতা সেন। শুভেচ্ছা :)

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু খুব সুন্দর তুল্যমূল্য ম্যানিপুলেশন আলোচনা পড়লাম। ভাবনায় অনেকগুলি বিষয় উঠে এসেছে ।

রুশোর সেই বিখ্যাত কথাটি দিয়ে শুরু করি, , Man is born free, but everywhere he is in chain . সেই সময়ে দাঁড়িয়ে মানুষের বদ্ধ জীবনকে দেখে উনি যেটা বলেছিলেন আমার দৃষ্টিতে সেটা সবযুগেই প্রযোজ্য ।
রাজরাজড়া মানুষের ভাবনার বিকাশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু যখন সেটা বিপক্ষে গেছে অমনি তার উপর নেমে আসতো শাস্তির নিদান । প্রজারা মাঝে মাঝে বিদ্রোহ করতো, সব সময় যে শাসকশ্রেণি সেই বিদ্রোহ দমন করতে পেরেছেন , তা নয়। কখনওবা প্রবল প্রতাপশালী রাজামশায় জনগনের বিদ্রোহের কাছে হার মেনেছেন। এখানে রাজদরবারের বাইরে হওয়াই হয়তো প্রজাদের ভাবনার স্বাধীনতা ছিল, তবে রাজ অন্দরমহলে এমন চিন্তার নিট রেজাল্ট হত গৃহযুদ্ধ। রাজামশাই চাইলে সেখানে আবার ভাবনায় লাগাম পড়ানো হত। আমরা দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খলজি, বলবন বা মুঘল আমলে ঔরঙ্গজেবের সময়ে এমন চিহ্ন পাই বলে ইতিহাসে জেনেছি।

এবার আসি আধুনিক যুগে , কমপিউটার মানব সভ্যতাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছে বলে মনে করা হলেও আসলে উন্নতির লেবেলটা একটা ধ্রুবক। আজ যেটা সর্বোৎকৃষ্ট বলে মনে হচ্ছে কাল আবার সেটাই কতই না পুরানো বলে মনে হবে। মানুষের ভাবনার ম্যনুপুলেশন যে কারনে নুতন কিছু নয় বলে আমার অভিমত। যে মানুষ তার ভাবনাকে জমা করে ম্যনুপুলেট করছে রাষ্ট্র আবার তাকে তার মত ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধীতার তকমা দিচ্ছে। বর্তমান যুগে কমপিউটারে মেমরি করার নামে রাষ্ট্র সরাসরি জনগনের দৈনন্দিন জীবনে নাকগলাচ্ছে।

সুতরাং মুক্তি? মুক্তি কোথাও নাই। অথচ আমরা মিথ্যে খুঁজেছি তারে। তবে পরিশেষে আপনার সঙ্গে সহমত মধ্যবিত্তরা যদি এখনি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে অংশ না নেয় তাহলে তাদের বর্তমান অবস্থাও চলে যেতে বাধ্য।


শুভকামনা আপুকে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: একটা খুব সাধারণ কথা আছে, অনেক কিছু নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর। অনেক ভ্যারিয়েবল, অনেক চলক। ক্রমাগত এনালাইসিসে বস্তুগতভাবে মানুষের কাজের তথা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার একটা শক্ত কাঠামো অনেক আগেই আবিষ্কার হয়ে গেছে। পরিসংখ্যান যোগাড় করে এটা দাঁড় করানো খুব কঠিন কিছু ছিলো না। কঠিন ছিল মানুষের বিমূর্ত মনের চিন্তা ভাবনার গতি প্রকৃতির কাঠামো বের করা। প্রচুর বিশ্লেষণের পর একটা সাধারণ কাঠামো তৈরি করা হয়েছেও। তারপরও সাতশ কোটি মানুষের সাতশ ভিন্ন রকম মন বলেই যা করা হয়েছে এটা নিতান্তই অপ্রতুল। কিন্তু এখন যদি সাতশ কোটি বা ছয়শ নিরানব্বই কোটি মানুষেরই পছন্দ, অপছন্দসহ বিভিন্নরকম বিষয় যা সম্পূর্ণ সে তার নিজের ইচ্ছেয় করে, নিজের ইচ্ছেয় নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা যায় সেক্ষেত্রে তুমুল এনালাইসিসের ফলে অবশ্যই তুলনামূলক যথেষ্ট শক্তিশালী একটি কাঠামো দাঁড় করানো সম্ভব। তখন একজন মানুষের ভাবনার অসংখ্য বিকল্প সম্ভাবনা তথ্য সংগ্রহকারীদের হাতে চলে যাবে। ভাবনাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা তখন অনেক বেশি সহজ হবে তাদের জন্য কারণ তারা জানেই এই নদীর গতিপথটা কেমন।

আপনার মন্তব্যটা অনেক ভালো লেগেছে, পদাতিক ভাই। অনেক শুভকামনা থাকলো আপনার জন্যও। ধন্যবাদ :)

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীটা খুব বেশি বদলে গেছে। এখন শুধু চারদিকে ভায়োলেন্স।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: নিষ্ঠুরতম সত্য হচ্ছে আরও চরম ভায়োলেন্সের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী :( । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রাজিব ভাই।

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

রাকু হাসান বলেছেন:

তোমার লেখার ওজনে আমি নুয়ে পড়ছি =p~ । এত ওজন লেখার :) ,অনেক বেশি ভাবুক মেয়েটা :P । আমিও যদি ভাবুক হতে পারতাম 8-|

প্রযুক্তি যতই উন্নতি সাধন করুক মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সাধ্য নেই । মানব মস্তিষ্কের সে অপরিসীম ক্ষমতা স্রষ্টা দিয়েছে,সেটাকে হার মানাতে পারবে বলে কোন কিছু মনে হয় না । তবে হ্যা, বিজ্ঞান তার যুক্তি,বিশ্লেষণ , সম্ভবনা দেখাবেই । তোমার মত করেই বলতে চাই ‘‘মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা ,সকল সূত্র আবিষ্কার হলে পৃথিবী থেমে যাবে । সর্বশ্রেষ্ঠ জীবের পরাজয় হবে । মানুষের তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া ব্যাপক শুরু হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । তার জ্বলত্ব প্রমাণ বিগ ডাটা বিষয়ক কাজকর্ম ।এটি শুধু একটি মাত্র উদাহরণ । শত শত তথ্য সংগ্রহ করার উদাহারণ দেওয়া যাবে । তবে যা শুরু হয়েছে তা সত্যিই হুমকি আমাদের জন্য । আহ মনের মত পোস্ট :-B ,শোষণ জিনিস না বুঝলে বিরাট সমস্যা দেখছি :|| ,আমার মনে হচ্ছে এটা শুরু হয়ে গেছে ,কতটা বাস্তবতা আছে জানি না , |-)
প্রুযক্তির আগ্রাসন থামানো খুব কঠিন,খুব; তবে সম্ভব ।এত এত তথ্য,মানুষ ! বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এ নিয়ে কাজ করার দরকার বলে মনে হচ্ছে । পোস্টের শেষ দিকে দেওয়া পরামর্শগুলো বেশ ভাল লেগেছে । তোমার মত ভাবছে ,এমন নিশ্চয় কিছু না কিছু মানুষ আছে । দোয়া রাখছি এমন মানুষ খুঁজে পাও ।

আমার মতে এই লেখাটি সর্বাধিক পঠিত হওয়া উচিত,সেই সাথে আলোচিত ও নির্বাচিত স্থান পাওয়া উচিত । না ,ব্যক্তিগত কোন আন্তরিকতা থেকে বলছি না । আমার তাই মনে হলে ।
এই জন্যই তুমি বিন্দুমাত্র তথ্য যেন প্রকাশ না হয় ,সে ব্যাপারে ব্যাপক সচেতন :-B । সচেতন হলাম :-B

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ‘‘মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা ,সকল সূত্র আবিষ্কার হলে পৃথিবী থেমে যাবে "। সর্বশ্রেষ্ঠ জীবের পরাজয় হবে বলে নয়, কেন থেমে যাবে সে ব্যাপারে কিছু ইঙ্গিত দেয়া আছে 'অনুভব একটি শক্তি' লেখাটায়। যুক্তি দিয়েই তা স্পষ্ট প্রমাণ করা যায়। অনেক সাইন্স ফিকশনেই এরকম সমাজের অসাড়তা দেখানো হয়েছে।

আমার প্রিয় ভাই অনেক ভালো লাগার একটি মন্তব্য করেছে। যদিও আমি এতবড় উত্তর দিতে পারবো না :P। আলোচিত ও নির্বাচিত পাতায় স্থান পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করায় অনেক আপ্লুত হলাম :-B

আমি চেষ্টা করি সব কাজই ভেবে করার। অনেকেই চেষ্টা করে। তবুও দিন শেষে ভুল শুদ্ধ মিলেই আমরা মানুষ। তোমার জন্য অনেক অনেক অনেক শুভকামনা করি সবসময় :)

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষের কল্পনাশক্তি অসীম, কোনরকমের নির্ধারক দিয়েই আপনি একে ডিফাইন করতে পারবেন না। আর এই কল্পনাশক্তিকে ম্যানিপ্যুলেট করার থীম নিয়ে বিভিন্ন সাইফাই বই, মুভি হয়েছে যেগুলো কিনা আবার সেই অসীম কল্পনাশক্তিরই অন্যরকম প্রকাশ! প্রযুক্তির আগ্রাসন থামানো অসম্ভব, কারন সেটার জন্য প্রযুক্তিরই সাহায্য নিতে হবে। এটা অনেকটা একটা ভিশাস সার্কেলের মতো।

যাকগে, আপনার চিন্তাধারায় অভিনবত্ব আছে। আপনি মানুষ নাকি উন্নতমানের রোবট? =p~ =p~

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "প্রযুক্তির আগ্রাসন থামানো অসম্ভব, কারন সেটার জন্য প্রযুক্তিরই সাহায্য নিতে হবে", হ্যাঁ ভাই, একদম মনের কথাটিই বলেছেন। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এভাবেই থামানো সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হল সেই সম্ভবের উদ্যোগটা নেবে কারা? বা আদৌ উদ্যোগ নেবে কিনা? পরিকল্পনা হতে হবে সুদূরপ্রসারী। পূর্বের কত সাইন্স ফিকশন লেখা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে !

"আপনি মানুষ নাকি উন্নতমানের রোবট"? আপনার প্রশ্নে তো আমিও চিন্তায় পড়ে গেলাম। আসলেই তো, আমি হয়তো রোবট কিন্তু ভাবনার ম্যানিপুলেশনের কারণে নিজেকে মানুষ বলে ভাবছি, বুঝতেই পারছি না আমি যে রোবট। হা হা হা =p~

চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভুয়া মফিজ ভাই। শুভকামনা :)

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হলিউডি ছবিতে এখন যা ফিকশান(মানুষ প্রযুক্তির দাস) হিসেবে দেখানো হয় তাই একসময় সত্য হবে...

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: নিদারুণ, নির্মম, নিষ্ঠুর একটি সত্যই হয়তো বলেছেন, বিচার মানি তালগাছ আপনার ভাই। আমজনতাকে প্রযুক্তির বিচার মেনে তালগাছ দিয়েই দিতে হবে প্রযুক্তির মালিকদের ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ভালো থাকুন ভাই, শুভেচ্ছা ।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,



দারুন ধন্ধময় ( দ্বন্ধ নয় ) করে দিয়েছেন পাঠকের চিন্তাশক্তিকে । আপনার লেখার ও কিছু মন্তব্যের বিষয়বস্তুর জবাব দেয়া মনে হয় দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর মতো সহজ বিশ্লেষন করে দেয়া যাবেনা ।
কথা হচ্ছিলো প্রযুক্তি কি সাধারন মানুষের চিন্তা শক্তিকে নিজের কব্জায় পুরতে পারবে কিনা । যে দুই কোটি ডাটা ইতিমধ্যেই সংগৃহীত হয়েছে তা ঐ ডাটা সংগ্রহকালীন সময়ের । এর মধ্যে দুইকোটি ডাটা দেনেওয়ালাদের চিন্তায় পদ্মা-মেঘনার অনেক জল গড়িয়ে গেছে , তার কি হবে ? প্রযুক্তি সংগৃহীত ডাটা থেকে হয়তো একটা বেসিক ধারনা দাঁড় করাতে পারবে , কিন্তু মানুষের চিন্তা যে কখন কোনদিকে দৌঁড় দেবে তা মানুষ তো নিজেও জানেনা । প্রযুক্তি তার হদিশ পাবে কি করে ? এই যেমন আপনি এই লেখাটি লিখলেন । একটি কাঠামো দাঁড় করিয়ে হয়তো লিখতে শুরু করেছিলেন , লিখতে লিখতে সে কাঠামোতে অনেক রদ বদল ঘটে গেছে, যোগ করেছেন কিছু বাদ দিয়েছেনও কিছু এবং তা ঘটেছে লেখার ঠিক সময় কালটিতে । অর্থাৎ আপনার চিন্তা ক্ষনে ক্ষনে বাঁক নিয়েছে । ধরা যাক, এই লেখাটি পোস্ট করেছেন ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮ টার সময় । লিখেছেন তারও আগে । এখন সময় রাত ৯:৪০ ( এই লাইনটি যখন আমি লিখছি ) । এখন লেখাটি নিয়ে, এর বিষয়বস্তু নিয়ে আপনার চিন্তা কিন্তু সন্ধ্যা ৬:০৮ টার জায়গাতে নেই । ঠিক কিনা ? তেমনি আমারও । লিখতে গিয়ে সেকেন্ডে সেকেন্ড চিন্তারা তাদের মতো দৌঁড়ে গেছে । যেটুকু ধরতে পরেছি সেটুকু এই মন্তব্যে তুলে দিয়েছি। মন্তব্যটি প্রকাশ করতে করতে হয়তো আমার চিন্তারা আবার খাবি খেতে শুরু করবে । ইশশশশশশশ এভাবে না লিখে ওভাবে লিখলে্ই ভালো হতো ! এই যে চিন্তা , এর শেষ কোথায় ? প্রযুক্তি এই চিন্তার পেছনে ছুটতে ছুটতে তো নাভিশ্বাস উঠিয়ে ফেলবে ।

যাক বেশী চিন্তা করে ফেলেছি যা কোনও প্রযুক্তিই বৈঠা মেরে থামিয়ে দিতে পারবেনা । ভয় নেই প্রযুক্তি মানুষেরই তৈরী । সৃষ্টি কখনও স্রষ্টাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনা যতো বুদ্ধিমানই হোক না তা ।

কি লিখতে কি লিখেছি আল্লাহ মালুম .............................. :(

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কি দারুণ মন্তব্যই না করলেন, আহমেদ জী এস ভাই ! দুই কোটি নয় প্রায় দুইশ কোটি মানুষের ডাটা ইতিমধ্যে তাদের সংগ্রহে। প্রতিনিয়তই কালেক্ট হচ্ছে। প্রতি মিনিটে বিশ্বে যে নতুন শিশু জন্ম গ্রহণ করছে তার তথ্য সংগ্রহ করা পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন আরও অনেক বেশি সহজ। আপনি যে বিভিন্ন রকম সময়ে অর্থাৎ সেকেন্ডের ভগ্নাংশে মানুষের চিন্তা পরিবর্তন হওয়ার কথা বললেন সেটা আমি "মানুষ যে কোন সময়ই ভাবনা শুরু করে দিতে পারে" এই এক বাক্যেই বলে দিয়েছি। সেজন্যই বলেছি মানুষের চিন্তাশক্তিকে মোটেই সরলীকৃত ভাবে ম্যানিপুলেট করা যাবে না। কিন্তু কিভাবে কয়া যায় তার উত্তর পোস্টের এই প্যারাটায় আছে।

"কিন্তু হ্যাঁ, যারা খুব বেশী ভাবেনা অর্থাৎ বস্তুগত প্রয়োজনের বাইরে মস্তিষ্ককে খাটায় না, তাদের ভাবনার সীমাটা জাগতিকতার যৌক্তিক সীমায় আবিষ্কার করা যাবে। কিন্তু এখানে ফাঁকটা হচ্ছে মানুষ যেকোন সময়ই ভাবনা শুরু করে দিতে পারে। মানুষের এই ইচ্ছে বন্দী করার কোন রকম, কোন রকমেরই উপায় নেই। সেক্ষেত্র যারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তারা মৌল অনুভূতির ম্যানিপুলেশনের আশ্রয় নেয়। খাদ্য যেমন একটি মৌলিক চাহিদা, অর্থাৎ ক্ষুধার প্রয়োজন না মিটলে তথা শক্তি না পেলে মানুষের ভাবনা একসময় থেমে যাবেই, ঠিক তেমনি এমন কতগুলো প্রভাবক আছে যেগুলো দিয়ে মানুষের ভাবনার ম্যানিপুলেশন করা যায়। এগুলোর প্রভাবে মানুষ ভাবতে চাইবে না, ভাবতে ভয় পাবে এবং ভাবনার অবকাশই পাবে না"।

অসংখ্য তথ্যের সমাহারে বিপুল এনালালিসসের মাধ্যমে ঠিক এই প্রভাবকগুলো আবিষ্কারেরই কাজ চলছে। এখন যেমন মানুষের মনের একটা গড়পড়তা কাঠামো বিজ্ঞানীরা দাঁড় করিয়েছেন, তখন প্রতিটা মানুষের আলাদা অর্থাৎ এক একটি মানুষের মনের আলাদা আলাদ শক্তিশালী কাঠামো তাদের হাতে থাকবে। একসময় প্রকৃতিকে মানুষ একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো না। ধীরে ধীরে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা, আবিষ্কার, কার্যকারণ নির্ণয় প্রভৃতি করে মানুষ প্রকৃতিকে চিনতে শিখেছে। তার গতি প্রকৃতি বুঝতে শিখেছে। এখনো মানুষ প্রকৃতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিন্তু অনেকটাই পারে। অনেক ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবেই পারে। মানুষের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের ফলাফলে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি উদাহরণ।

প্রযুক্তি মানুষের তৈরি, সে মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না, এই ভয় আমি করি না। আমি ভয় করি সাধারণ মানুষের আরও অনেক বেশি দাসত্ব বরণ করার।

আপনার মন্তব্যে শেষ লাইন পড়ে আমি সত্যিই অনেক হেসেছি =p~ । পরিশেষে চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা নেবেন, আহমেদ জী এস ভাই :)

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু, লেখাটা পড়ে খুব অবাক লাগলো। আপনি কি এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক স্টাডি করেছেন?

এনিওয়ে, ওয়াল-ই নামের একটা ইংলিশ এনিমেশন মুভি দেখেছিলাম। সেখানে দেখলাম মানুষ অবশেষে পৃথিবীকে পরিত্যক্ত করে মহাকাশে অস্থায়ী বসতি গড়ে। সেখানেও দেখানো হল মানুষ সীমাহীন ম্যানিপুলেশনের স্বীকার। একারনেই মানুষ পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য হয়। তবে কি ম্যানিপুলেশনের শেষ ফলাফল অনুযায়ী একটি ভয়ংকর দুর্যোগ আসন্ন?

পোস্টে ভালো লাগা রইল।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: না, আমি অনেক স্টাডি করিনি। মোটামুটি স্টাডি করেছি। তবে আমি অনেক ভেবেছি।

ওয়াল-ই মুভিটা আমি দেখেছি। এমন আরও অনেক মুভি দেখেছি। ইলিসিয়াম মুভিটা আমাকে অনেক বেশি ভাবিয়েছে। নিশ্চিত করে তো ভবিষ্যৎ কেউ বলতে পারে না। তবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাবনাগুলো বলতে পারে। ম্যানিপুলেশনের ব্যাপারটা সম্ভাবনা নয়, বরং হাজার হাজার বছর ধরে বিদ্যমান। কাজেই ম্যানিপুলেশন যে থাকবে এটা সম্পূর্ণই নিশ্চিত। কিন্তু তার মাত্রা কতটা ভয়াবহ হবে সেগুলোই হল সম্ভাবনা এবং ভাবনার বিষয়। এখন পর্যন্ত সমস্ত সাইন্স ফিকশন মুভি এবং বইপত্রে এমনকি বিভিন্ন জার্নালেও ভবিষ্যৎ পৃথিবী অনেক বেশি লণ্ডভণ্ড ও তছনছ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। কিন্তু সবখানেই এটাও দেখায় আবার এই প্রযুক্তি দিয়েই সবকিছু ঠিক করা যায়। ব্যাপার হল মানুষ সবসময় ভালোর জয় দেখতে চায়, তাই সিনেমা বলি আর গল্প বলি ভালোর জয় দেখানো হয়। একাডেমীক জার্নালগুলোতেও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ মানুষের জীবন আরও আরামদায়ক দেখানো হয়। বাস্তবতা হল ভালোর জয় সবসময় হয় না। হলেও সেটা থাকে না। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের জীবনে ক্রমাগত লড়াইটা চালিয়েই যেতে হয়। একটা গান আছে, 'আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি, মুখ বান্ধিবি কিন্তু মন বান্ধিবি কেমনে'। আবার এক্স মেন সিরিজের ছবিগুলোতে দেখবে বিভিন্ন ধরণের মিউট্যান্টদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী তাঁকেই দেখানো হয়েছে যে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরে ঢুকে পড়ে তার সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই মস্তিষ্ক তথা মন তথা ভাবনা হল প্রতিটা আলাদা মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি এবং একই সঙ্গে পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় বিষয়। যদিও পুরোপুরি সম্ভব নয় কিন্তু এটাই যদি অনেক বেশি ম্যানিপুলেশনের শিকার হয় তাহলে তখন ভালো্র জন্যই লড়াইটাই সাধারণ মানুষ আর বুঝতে পারবে না। ফলাফল আরও ভয়ানক দাসত্ব।

মন্তব্যটা আগেই দেখেছিলাম, কিন্তু খুব ব্যস্ত ছিলাম বলে উত্তর দেয়ায় খুব দেরি হল :(। এজন্য অনেক দুঃখ প্রকাশ করছি, হৃদিমনি । অনেক অনেক ভালোলাগা, ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নিও :)

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অনেক শক্ত পোক্ত লেখা
আমি সত্যই অবাক, এমন লেখা চঞ্চল মনের
মাঝ থেকে আসল !!!?

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
হা হা হা , ব্রাভো ব্রাভো ব্রাভো
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: চঞ্চল মন বলেই তো ভাবনাগুলো অসংখ্য গলিতে ঘুরে বেড়ায়। সারাক্ষণই চঞ্চল হয়ে দৌড়াতে থাকে।
আপনি তিনবার ব্রাভো বলাতে আমি অনেক উৎসাহিত অনেক উৎসাহিত অনেক উৎসাহিত হয়েছি :#)
আর এত সুন্দর গোলাপের থ্যাংক ইয়ু জানানোতে অনেক আপ্লুত হয়েছি :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন, স্বপ্নের শঙ্খচিল :)

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩১

প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পাঠ করে মন্তব্য জানিয়েছেন বলে আমার অনেক অনেক ভালো লাগলো, প্রামাণিক ভাই। উৎসাহ পেয়েছি খুব। ভালো থাকুন সবসময়। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১০

চাঙ্কু বলেছেন: এত কডিন পোষ্ট কেউ লেখে? X(( X(

আপনার পোষ্টের সারমর্মটা ধরতে পারি নাই। আপনি কি মনে করছেন যে একসময় মেশিন আমাদের থট প্রসেসকে কন্ট্রোল করবে? মানুষের ভাবনার ম্যানিপুলেশন করা ইজি পিজি ডিগবাজি এবং আমরা প্রতিদিন নানাভাবে এর শিকার হয়েই চলেছি তবে যতই বিগ-ডেটা, মেশিন লার্নিং এর কথা কন, মেশিন মানুষকে কন্ট্রোল করপে বলে যেই ধারনা, তা মেলা দূরের পথ।

একটা টিভি সিরিজের কাহানি কই- ধরেন আপনি ল্যাবে একটা ট্রু এআই বানাইলেন। সে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিন্তু তথ্যের অভাবের কারণে সে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেছেন না। সো, সে আপনারে কইল- তারে ইন্টারনেটে কানেক্ট করে দিতে কিন্তু আপনি নিরাপত্তার কথা ভেবে তার অনুরোধ ডিনাই করলেন। সে বারবার একই অনুরোধ করল আর আপনি ডিনাই করলেন। যেহেতু সে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেই জন্য সে মনে করল যে আপনি তার কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে একটা বাধা। আরও ধরেন, আপনি তার সাথে লুতুপুতু কথোপোকথনের সময় তার বলেছিলেন যে আপনি সিৎযোফ্রেনিক। এই তথ্য জানার পরে সে আপনারে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নীল। সে মনিটরে খুব দ্রুত এমন কিছু ভয়ানক ছবির কোলাজ দেখাল যা আপনার মধ্যে এক ধরনের ট্রমা তৈরি করবে যা কার্যত আপনার সিৎযোফ্রেনিয়ার ট্রিগার হিসাবে কাজ করল আর আশে পাশে কেউ না থাকায় আপনাকে হসপিটালে নেওয়া হল না আর আপনি ল্যাবে মরে পড়ে রইলেন

মরাল বাউন্ডারি ছাড়া ট্রু এআই বানালে এইডা খুবই সম্ভব কিন্তু সমস্যা হল ট্রু এআই বানানো সম্ভব কিনা এইটা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। ২০১৬ সালে Google DeepMind এবং Future of Humanity Institute, Oxford Universityএকটা লার্নিং প্রটোকল বানাইছে যা মেশিনকে কিছু কিছু জিনিস না শিখাইতে ডিসকারেস করে! এইডা পড়ে দেখতারেন। তবে আপনার চিন্তার কুন কারন নাই। ইতিমধ্যে বেশ কিছু এন্টাই-এআই গ্রুপ তৈরি হয়ে গেছে। কিছু কিছু মানুষ এইডারে কিরাম সিরকাশভাবে নিচে তা জানতে হলে এইখানে বা এইখানে ঘ্যাচ্যাং করে ক্লিক করতারেন।

এইবার রিয়েল ভাবনার ম্যানিপুলেশনের কথা কই। ধরেন অফিস শেষে আপনি ড্রাইভ করতেছেন আর চিন্তা করতেছেন- জামাই আপনার জন্য আজকে যেই ইলিশ মাছ রান্না করার কথা, সেইটা যদি সে ঠিক মত রান্না না করে, তাইলে বাসায় গিয়ে তারে দিবেন সেইরাম একটা পিডা কিন্তু ফার্মগেটে আসার পরে আপনার এক বন্ধু ফোন করে বলছে সে এক বিকাট পরমোশন পাইছে। সো আপনারে ভালো কুন রেস্টুরেন্ট খাওইয়াইতে চায়। এই কথা শুনে আপনি জামাইরে পিডানির কথা ভুলে চলে গেছেন বন্ধুর সাথে ভালা ভালা খাবার খাইতে। এইদিকে আপনার জামাই বেচারা ডরে ডরে কি সুন্দর করে রান্না-বানা করে আপনার জন্য অপেক্ষা করতে করতে সোফাতে ঘুমাই গেছে...এইডা হইল গিয়ে আফসুসিত ম্যানিপুলেশন ওফ ভাবনাপা। কিলিয়ার? :-* =p~

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহাহা। আপনার মন্তব্য পইড়া কি না হাইসা থাকতারিনা =p~ । মন কডিন থাকুক আর সিরিকাস থাকুক গইলা পানির মত হইয়া যায় =p~

"আপনি কি মনে করছেন যে একসময় মেশিন আমাদের থট প্রসেসকে কন্ট্রোল করবে"? না, আমি তা মনে করছি না। আমি মানুষের দ্বারাই মানুষের আরও অনেক বেশি ম্যানিপুলেট হবার সম্ভাবনার কথা বলছি। আর এই মাত্রায় ম্যানিপুলেশনের জন্য ক্ষমতাবানরা প্রচণ্ডভাবে প্রযুক্তির আশ্রয় নেবে, সে হিসেবেই প্রযুক্তির দাস হবার কথা উল্লেখ করেছি। আমি তো শুরু থেকেই দেখিয়ে দিলাম মেশিন কখনো পুরোপুরি থট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। হ ম্যানিপুলেশন ইজি, পিজি ডিগবাজি। পরিবার, কাছের মানুষ এবং সমাজ দ্বারা আমরা হরদম ম্যানিপুলেশনের শিকার হই। এটা স্বল্পমাত্রায় প্রয়োজনীয়, কারণ মানুষ একক প্রাণী নয়, সমাজবদ্ধ জীব। নুন্যতম টুকু যারা করে না তাদেরকে আর স্বাভাবিক মানুষ ধরা হয় না। কিন্তু ভয়ঙ্কর হল রাজনৈতিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রচণ্ড ম্যানিপুলেশনের শিকার হলে। মানুষের ভাবনাকে রুদ্ধ করতে না পারুক, অনেকটা পড়তে শিখে গেলে তখন তাদেরকে দমিয়ে রাখা তথা ক্ষমতাবানদের শোষণ চালিয়ে যাওয়া অনেক বেশি সহজ হবে। প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং উন্নতির ধারাবাহিকতা সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে মানব সমাজকে। একটা উদাহরণ ধরুন, সমাজবদ্ধ মানুষের আচরণের কিছু স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য কমবেশি মোটামুটি সকলেই জানে। কোন মানুষকেই কখনো পুরোপুরি চেনা যায় না। কিন্তু একজন মানুষকে সমাজের আর দশজন মানুষের চেয়ে বেশি চেনেন তার কাছের মানুষরা। শিশু সন্তানকে মা সবচেয়ে ভালো চেনেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে বড় হবার পর হয় তার বন্ধু কিংবা ভাই কিংবা বোন কিংবা অন্য কেউ ভালো চেনে আর একসময় বউ সবচেয়ে ভালো চেনে। মেয়েদের বেলাতেও এমন আছে। ব্যাতিক্রমও অবশ্যই আছে। তবে যার বেলায় যেই হোক আসল কথা হল, প্রত্যকেরই এমন কেউ না কেউ আছে যে তাকে তুলনামূলক সবচেয়ে ভালো চেনে। আমাকে আমিই সবচেয়ে ভালো চিনি- এটা প্রত্যেকের বেলায় সত্য। তারপরে বাকিদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো চেনার কমপক্ষে একজন থাকে। এই চেনাটা হয় ওই মানুষটির কথাবার্তা, পছন্দ অপছন্দ, আচরণ এবং জীবন যাপন থেকে নানাভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। এই তথ্যগুলো অবচেতনেই গৃহীত হয়ে যায় এবং এসব তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ওই মানুষটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় এবং তার প্রভাবিত হওয়ার বিষয়গুলো বোঝা যায়। ঘটনা হচ্ছে, এখন যদি প্রতিটা মানুষের অর্থাৎ সাতশ কোটি মানুষের এইসব তথ্যগুলো যারা শোষণ করতে চায় তাদের হাতে চলে যায় তাহলে প্রতিটা আলাদা মানুষকেই প্রভাবিত করার বিষয়গুলো তথা তার ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। আর এই তথ্য সংগ্রহগুলো অবিরাম চলছে এবং চলবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। আমার আশঙ্কার জায়গাটা আপনি এবার বুঝতে পেরেছেন আশা করি, চাঙ্কু ভাইয়া B:-)

আপনি আমাকে এত দারুণ দারুণ লিঙ্ক পাঠান আমার যে কি ভাল্লাগে ! :-B । অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং ভালুবাসা গ্রহণ করুণ চাঙ্কু ভাইজান। গুরু জী :)

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:


এই জ্ঞানগর্ভ পোস্ট আর মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য পড়তে পড়তে..... চাঙ্কু ভাইয়ুর শেষ প্যারা টা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ আমি। পেট ব্যাথা :-P

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পোস্টটি পাঠ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, স্রাঞ্জি সে। চাঙ্কু ভাইয়ার মন্তব্যগুলো সবসময়ই খুব মজার হয় :D । তুমি পড়েছো বলে খুব ভালো লাগলো। ভালো থেকো সবসময় । শুভেচ্ছা।

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: নিষ্ঠুরতম সত্য হচ্ছে আরও চরম ভায়োলেন্সের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী :( । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রাজিব ভাই।

ভালো থাকুন ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আবার আসার জন্য ধন্যবাদ, রাজিব ভাই। আপনিও ভালো থাকুন।

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: ভাবনার ম্যানিপুলেশন শিরোনাম দেখে পড়তে ক্লিক করেছি। পড়তে পড়তে মনে মনে কি যে ভেবেছি মনে নাই আর---

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: দারুণ বলেছেন! খুব মজা পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে =p~। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, জাহিদ অনিক ভাই।

১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: লেখার অনকে গভিরতা দেখছি।

ভাবনার ম্যানিপুলেশান শিরোনামটি বর্ণনার সাথে যথার্থ মনে হল।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহা। শিরোনাম হয়তো যথার্থ হয়েছে। আহমেদ জী এস ভাই, ভুয়া মফিজ আর জাহিদ অনিক ভাইয়ের মন্তব্যের শেষ লাইনগুলো পড়ে এমনিই মনে হয় =p~ । পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ নেবেন, তারেক ফাহিম। মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম। শুভেচ্ছা রইলো।

১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

পুলক ঢালী বলেছেন: কঠিন পোষ্ট বোঝার ক্ষমতা নেই। শুধু এটুকু বুঝি মেশিনের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষই মানুষের প্রধান শত্রু হয়ে যাচ্ছে। মেশিনের ক্ষমতা নেই মানুষের মন বা ভাবনা চিন্তাকে নিয়ন্ত্রন করার কারন মন বা ভাবনা নিয়তই পরির্তনশীল । মানুষের মৌলিক চাহিদার বিষয় গতানুগতিক এটাকে ফরমেটে ফেলা গেলেও চাহিদা পুরন হলে ঐ ফরমেট ফেল করবে তখন শারিরীক নয় মানসিক চাহিদার কোন ফর্মূলা তৈরী করা সম্ভব কিনা জানা নেই । :D মানসিক চাহিদার গতি প্রকৃতি আগেই নির্ধারন করা যায় কিনা তাও জানিনা জানা গেলে মানুষ মেশিনের সাহায্যে ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা হয়ে যাবে। আহমেদ জী এস ভাইয়ের মত বলতে ইচ্ছে করছে আমি যা ভেবেছি তাই কি লিখেছি ??? নাকি মনে অন্যকোন ভাবনা খেলা করছিলো!!!!?? ;)
এমন একটা জ্ঞানগর্ভ সৃজনশীল (কঠিন) পোষ্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন হরিনী।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই প্রথম আমার ব্লগে আপনাকে পেলাম, পুলক ঢালী ভাই :) । স্বাগতম ও শুভেচ্ছা জানাই।

আপনি যেটা বুঝেছেন, "শুধু এটুকু বুঝি মেশিনের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষই মানুষের প্রধান শত্রু হয়ে যাচ্ছে" এটাই বোঝার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আর সময়ের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে এটাকে রোধ করার জন্য মানুষ কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে বা আদৌ নিচ্ছে কিনা। চাঙ্কু ভাইয়ের মন্তব্য থেকে জানি বেশ কিছু গ্রুপই দাঁড়িয়েছে। কিন্তু নির্দয় সত্য হল প্রতিটা আলাদা জাতিকেই নিজেদের জন্য দাঁড়াতে হয়। আমাদের মত দেশের সাধারণ মানুষকে আরও কঠিন দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে হলে এদেশের মানুষকেই সেটা রোধের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির সাধারণ ব্যবহারেই যে এই দেশ যোজন যোজন পিছিয়ে তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কাজেই ভবিষ্যৎ অনুমান করে শিউরে উঠতে হয়।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, পুলক ঢালী ভাই। আপনার মন্তব্য আমার লেখার প্রেরণা বাড়িয়ে দিলো। ভালো থাকুন নিরন্তর। শুভেচ্ছা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.