নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালি মুসলমান কর্তৃক প্রতিভার অবমূল্যায়ন

১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

সম্প্রতি বিখ্যাত মুষ্ঠিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী প্রয়াত হয়েছেন । তাঁর মৃত্যুতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশের মানুষও শোকাহত হয়েছেন । পথে-ঘাটে, ফেসবুক-ব্লগে সর্বত্রই তাঁকে নিয়ে বিস্তর অালাপ-আলোচনা হলো । এত এত আলোচনার রহস্য কী? তিনি মুষ্ঠিযোদ্ধা ছিলেন এ কারণ শুধু? নাকি অন্য কোন কারণ আছে? সম্প্রতি মনোহর আইচ নামের একজন বিখ্যাত বডি বিল্ডারও তো মারা গেছেন, কই তাঁকে নিয়ে তো এত শোকগাথা রচিত হয়নি! মোহাম্মদ আলী খৃষ্ট ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । এজন্য আমেরিকা তাঁকে ফেলে দেয়নি (অবশ্য ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করায় তাঁর পদক কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো) । তিনি যদি বাংলাদেশে জন্মাতেন, ইসলাম ধর্ম ছেড়ে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করতেন; তাহলে কী হতো? এত এত আলাপ-অালোচনা হতো? লোকজন এত শ্রদ্ধা জানাতো (জনৈক মুক্তিযোদ্ধা ইসলামধর্ম ত্যাগ করে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়; এই ইতিহাস কিন্তু বিস্মৃত হয়ে যায়নি ।)? কেবলমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই কি আলীর প্রশস্তি গাওয়া হচ্ছে? এতে করে কি তাঁর যোগ্যতাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছেনা?
সারাজীবনই অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন কবি নজরুল । ধর্মীয় গোঁড়ামির উর্ধ্বে উঠে গিয়েছিলেন তিনি । স্বাধীনতার পর তাঁকে এদেশে নিয়ে আসা হলো, জাতীয় কবি ঘোষণা করা হলো । আজন্ম দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত কবির অভাব দূর হলো বটে, কিন্তু সাথে জুটলো ইসলামী কবির তকমা । পরবর্তী সরকারগুলোর সময় নজরুল পুুরোপুরি ইসলামি কবি । মজার ব্যাপার হচ্ছে নজরুলের শ্যামা সঙ্গীতই ইসলামিক গজলের চেয়ে অনেক বেশি, অন্যান্য লেখা তো আছেই । যারা তাকে একসময় কাফের আখ্যা দিয়েছিলো, তাঁর বিরুদ্ধে ফতুয়া দিয়েছিলো; ইসলামী কবি হিসেবে তারাই জোর প্রচারণা চালালো ।
একজন মানুষকে মূল্যায়ন করতে হয় তার কাজ দিয়ে, ব্যক্তিজীবন নিয়ে নয় । মোহাম্মদ আলী কোন ধর্মের ছিলেন, নজরুল কোন ধর্মের ছিলেন; এসব বিষয় বিবেচনা করা মানে তাঁদের প্রতি অবিচার করা, তাঁদের হেয় করা ।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সেলুকাস বাঙালি মুসলমান

১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সত্যিই!

২| ১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

কল্লোল পথিক বলেছেন:



যতার্থই বলেছেন,
শত ভাগ সহমত।
এমনকি ইদানীং অপরাধীদের কেও ধর্মের পরিচয়ে মুল্যায়ন করা হচ্ছে।

১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ব্যাপারগুলো সত্যিই দুঃখজনক!

৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


" (অবশ্য ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করায় তাঁর পদক কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো, তিনি জেলও খেটেছিলেন) । "

-আলী কখনো জেলে যাননি।

১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওকে । ঠিক করে নিচ্ছি ।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

মোস্তফা ভাই বলেছেন: আলীকে সবাই বক্সার হিসাবে চিনে। মূর্খরাই "আলী মুসলমান, আলী মুসলমান" বলে চিল্লায়। জীবনের শেষ ভাগে তিনি সুফীজমের দিকে ঝুকেছিলেন যা কিনা প্রথাগত ইসলাম থেকে ভিন্ন।

১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মূর্খরাই "আলী মুসলমান, আলী মুসলমান" বলে চিল্লায়।

৫| ১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: ধর্ম।খুবই স্পর্শকাতর বিষয়।

১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তা তো বটেই ।

৬| ১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: কথায় আছে, যারা জীবনে লড়তে ভয় পায় তারাই দরজার খিল এঁটে দিয়ে ধর্মের বুলি আওড়ায়! আমাদের বর্তমান সমাজ হয়ে গেছে অনেকটা সেই রকম! তারা ভুলে যায় যে, নাম মানুষকে কখনো বড় করে না, মানুষই নামকে বড় করে!

পোস্টে ভাল লাগা ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্যও । ভালো থাকুন সবসময় ।

৭| ১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

নীলপরি বলেছেন: একজন মানুষকে মূল্যায়ন করতে হয় তার কাজ দিয়ে, ব্যক্তিজীবন নিয়ে নয় ।

খুব অল্প কথায় খুব সঠিক বিশ্লেষন করেছেন । ভালো লাগলো । ++

১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন, নীলপরি! শুভ কামনা!

৮| ১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রথম এবং শেষ কথা আলী একজন মুষ্টিযোদ্ধা । ধর্মীয় কারণে মুসলিমরা তাঁকে নিয়ে একটু গর্ব করতেই পারে , এতে দোষের কিছু দেখিনা ।

১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যে কাজের জন্য তিনি বিখ্যাত, সেই কাজের চেয়ে ধর্মীয় পরিচয়টাকে বড় করে দেখা কিন্তু তাঁর কাজকেই অবমূল্যায়ন করা ।

৯| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: যারা জীবনে লড়তে ভয় পায় তারাই দরজার খিল এঁটে দিয়ে ধর্মের বুলি আওড়ায়! আর অলিক কল্পনায় বিভোর থাকে কোন অলৌকিক শক্তি হয়ত সমস্যা দূর করে দিবে তরা সফলতা অর্জন করবে।
অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন মুসলিম হবার পর আলীর শক্তি অনেক বেড়ে গেছে। :-P

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন মুসলিম হবার পর আলীর শক্তি অনেক বেড়ে গেছে।" মাইরালা!

১০| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: আপনার কথাগুলো যুক্তিযুক্ত। তবে আমি একটূ ভিন্ন দৃষ্টিতে বাস্তবতার নিরিখেই দেখি, এবং এই আচরণকে স্বাভাবিক মনে হয়।

আপনার পরিবারের বা নিকটাত্মীয়ের কেউ ভালো চাকরী পেলে, উরস্কার পেলে বা ভালো রেজাল্ট করলে আপনার যে আনন্দ হবে, তা আপনার অচেনা কেউ করলে হবে না। সেইভাবে এক ধর্মের মানুষেরা নিজেদের ধর্মের কারও অর্জনকে নিজের অর্জন এবং নিজ বিশ্বাসের জন্য গৌরবের মনে করে। এটাই স্বাভাবিক আচরণ। এমন কারণেই মুরালির ৫ উইকেটের চেয়ে মুস্তাফিজের পাঁচ উইকেট লাভ করতে দেখা যেকোনো বাঙ্গালীর জন্য আনন্দের। অথবা একজন মুসলিম নোবেল পেলে তা সকল মুসলিম রাস্ট্রে হেডলাইন হবে তবে অন্য দেশ তেমন গুরুত্ব দিতে নাও পারে। তারা হয়তো পোপের বানী বা দালাই লামা নিয়ে মেতে থাকলো।

এতে প্রতিভার অবমাননার কিছু দেখিনা আমি, বরং এটাই মানুষের সহজতার প্রবৃত্তি, স্বাভাবিক আচরণ।

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার কাছে সংকির্ন মানসিকতা মনে হয় ।

১১| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

প্রামানিক বলেছেন: একজন মানুষকে মূল্যায়ন করতে হয় তার কাজ দিয়ে, ব্যক্তিজীবন নিয়ে নয় ।

সুন্দর কথাই বলেছেন। ধন্যবাদ

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও ।

১২| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: ধর্ম, জাতি, বর্ণ এইসব প্রীতি সবারই থাকে। এইসবকে সংকীর্ণনায় ফেলা কতটূকু ঠিক তা জানি না। হাজার ভালো খেলুক কোহলি, তাও সৌম্য অথবা তামিম আমার কাছে বেশি প্রিয়, এটা বাংলাদেশী হিসেবে আমার সহজাত ভালোবাসা। গাঙ্গুলী কথা বললেও ভালোলাগে, ইন্ডীয়ান টীমে থাকতে ওরে দেখতেও ভালোলাগতো, এইটা জাত প্রেম। আবার সাউথ আফ্রিকান টীমে আমলা অথবা ইংল্যান্ড টীমের ক্যাপ্টেন নাসেরহুসাইন হইছিল দেখে মুসলমানদের কাছে ওই টীম পছন্দ না হইলেও এই দুইজন খেলোয়াড় প্রিয় থাকে, এইটা হইলো ধর্মপ্রীতি। এইসব সংকীর্ণতা নিয়াই জীবন। আপনি আমি কেউ এর বাইরে না।

১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হাজার ভালো খেলুক কোহলি, তাও সৌম্য অথবা তামিম আমার কাছে বেশি প্রিয়, এটা বাংলাদেশী হিসেবে আমার সহজাত ভালোবাসা। গাঙ্গুলী কথা বললেও ভালোলাগে, ইন্ডীয়ান টীমে থাকতে ওরে দেখতেও ভালোলাগতো, এইটা জাত প্রেম।"
অনেকটাই সহমত অাপনার সাথে এখানে । তবে ধর্মীয় পরিচয়ের চেয়ে জাতীয়তাবাদী পরিচয়টা আমার কাছেও গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় ।

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

প্রবালরক বলেছেন: মুষ্টিযোদ্ধা অনেকে আছেন। কিন্তু মুষ্টিযুদ্ধে তার দৃষ্টিনন্দন ষ্টাইলের কারনে মার্কিন মেইনষ্ট্রীম মিডিয়াতে ক্যাসিয়াস ক্লে বা মোহাম্মদ আলী অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশী আলোচিত ছিলেন। একজন পেলে বা মেসি যেমন অন্য ফুটবলারদের গৌরবকে ছাপিয়ে উঠেন তেমনি আগে-পরের অন্য চ্যাম্পিয়নদেরকে ছাড়িয়ে গিয়ে আলী অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
পেলে, ক্লাইভ কিংবা আলীর ঝলমলে উত্থান একটু বয়স্ক প্রজন্মের মুগ্ধ স্মৃতি ।

১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যথার্থ মূল্যায়ন করেছেন । ধর্মীয় গোঁড়ামির উর্ধ্বে উঠে সুযোগ্যদের এভাবেই মূল্যায়ন করা উচিত ।

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুধু মুসলিম বলেই যে পুরোটা ঘটছে তা নয়্ তার সার্বজনীণ চেতনাটাও অলখে প্রভাবক হিসাবে কাজ করছে। তার নীতির প্রতি একনিষ্ঠতা, সত্য সন্ধান, ভিয়েতনাম ইস্যুতে দৃঢ়তা। সর্বোপরি বাঙালী জাতির প্রতিও উনার আবেগি অনুভব- কেউ যদি স্বর্গ দেখতে চাও বাংলাদেশে যাও.. সব মিলিয়েই আবেগ টা কাজ করছে।

আর ধর্ম নিয়ে রাজণীতি সেতো বহু পরানো খেল শূধু ইসলামেই নয় সকল ধর্ইেই বিরাজে।
চলমান বিজেপির হালচালই দেখুন ভারতে! ধর্মের ইমোশনাল ব্লাক মেইলে কত পটুতা দেখাচ্ছে!

ধন্যবাদ আলোচনায় :)

১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মুসলিম বলেই যে পুরোটা ঘটছে তা নয়্ তার সার্বজনীণ চেতনাটাও অলখে প্রভাবক হিসাবে কাজ করছে। তার নীতির প্রতি একনিষ্ঠতা, সত্য সন্ধান, ভিয়েতনাম ইস্যুতে দৃঢ়তা। সর্বোপরি বাঙালী জাতির প্রতিও উনার আবেগি অনুভব- কেউ যদি স্বর্গ দেখতে চাও বাংলাদেশে যাও.. সব মিলিয়েই আবেগটা কাজ করছে।" এই কথাগুলো ভালো বলেছেন । এমনটা হলে উনাকে সঠিক মূল্যায়নই করা হবে । কিন্তু ধর্মান্ধরা কি এসব ভেবেছে?

"ধর্ম নিয়ে রাজণীতি সেতো বহু পরানো খেল শূধু ইসলামেই নয় সকল ধর্ইেই বিরাজে। চলমান বিজেপির হালচালই দেখুন ভারতে! ধর্মের ইমোশনাল ব্লাক মেইলে কত পটুতা দেখাচ্ছে।" ধর্মান্ধদের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে! পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্যই ।

১৫| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল কিছু দেখলে সেটায় লেবেল মেরে নিজের দাবি করা আমাদের বুনিয়াদি অভ্যাসের মধ্যে একটি, খুব কম মানুষ এর ওপরে উঠতে পারেন।

১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সেটাই ।

১৬| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৯

একেবিশ্বাস ( আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস) বলেছেন: ধর্মীয় ভেদাভেদের রাজনীতিটা উপমহাদেশে বহু প্রাচীন। ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই মোঘল সম্রাটদের নিজেদের আপনজন মনে করে বাঙালী মুসলমানরা। উল্টো দিকে বাঙালী হিন্দুরাও ধর্মীয় কারণে শিবাজীকে নিজেদের হিরো মনে করেন।

নজরুল কোনোভাবেই ইসলামী কবি ছিলেন না। তাই তার ইসলামী করণও সমর্থন করা যায় না।
আপনার পোস্টে বাস্তবতার অনেকটা এসেছে। তবে পুরোট আসেনি। কারণ আপনি যে বিষয়টা তুলে ধরছেন তার উল্টোটা কিন্তু আপনি তুলে ধরেননি।

কোনো মুসলমান বোম মারলে সমগ্র মুসলমান জাতিকেই কিন্তু জঙ্গী হিসেবে পরিচিত করানো হচ্ছে। মুসলিমরা অন্য ধর্মবিরোধী কোনো মিছিল করলে তাদের জঙ্গি আখ্যা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা যখন ভারতকে মুসলিমমুক্ত করার কথা বলছেন। তখন কিন্তু তাকে জঙ্গী বলা হচ্ছে না। গুজরাটে যারা দাঙ্গা লাগালো, আসামে বাংলাভাষী মুসলমানদের যারা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বলছেন তাদেরকেও কেউ জঙ্গী বলছে না। গরু খাওয়া যারা হারাম ঘোষণা করছে তাদেরকেও জঙ্গী বলছে না।
কেন বলছে না জানেন?
কারণ তারা মুসলিম না। অবস্থাটা এমন দাড়িয়েছে যে, জঙ্গী ট্যাগ পাবার অন্যতম শর্ত আপনাকে মুসলিম হতে।

ইউরোপ আমেরিকাতে দাড়িওয়ালা লোকদের সন্দেহ করা হচ্ছে। আমাদের ব্লগের এক ভাই কম খরচে ভারত ভ্রমণ শিরোনামে নিয়মিত ব্লগ লিখে যাচ্ছেন। তার ভ্রমণ বৃত্তান্ত থেকে জানতে পারি মুসলিম ও বাংলাদেশী হবার কারণে তিনি লাদাখ ভ্রমণে গিয়ে কোনো হোটেলে জায়গা পাচ্ছিলেন না। এটাকে আপনি কি বলবেন?

১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কোনো মুসলমান বোম মারলে সমগ্র মুসলমান জাতিকেই কিন্তু জঙ্গী হিসেবে পরিচিত করানো হচ্ছে। মুসলিমরা অন্য ধর্মবিরোধী কোনো মিছিল করলে তাদের জঙ্গি আখ্যা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা যখন ভারতকে মুসলিমমুক্ত করার কথা বলছেন। তখন কিন্তু তাকে জঙ্গী বলা হচ্ছে না। গুজরাটে যারা দাঙ্গা লাগালো, আসামে বাংলাভাষী মুসলমানদের যারা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বলছেন তাদেরকেও কেউ জঙ্গী বলছে না। গরু খাওয়া যারা হারাম ঘোষণা করছে তাদেরকেও জঙ্গী বলছে না।
কেন বলছে না জানেন?
কারণ তারা মুসলিম না। অবস্থাটা এমন দাড়িয়েছে যে, জঙ্গী ট্যাগ পাবার অন্যতম শর্ত আপনাকে মুসলিম হতে।

ইউরোপ আমেরিকাতে দাড়িওয়ালা লোকদের সন্দেহ করা হচ্ছে। আমাদের ব্লগের এক ভাই কম খরচে ভারত ভ্রমণ শিরোনামে নিয়মিত ব্লগ লিখে যাচ্ছেন। তার ভ্রমণ বৃত্তান্ত থেকে জানতে পারি মুসলিম ও বাংলাদেশী হবার কারণে তিনি লাদাখ ভ্রমণে গিয়ে কোনো হোটেলে জায়গা পাচ্ছিলেন না। এটাকে আপনি কি বলবেন।"

এই ব্যাপারগুলো সত্যিই দুঃখজনক ।

১৭| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:২২

মাগুরগিয়াসাইবারফোর্স বলেছেন: পোরে ভাল লাগল

১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ।

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:২৭

রাতমজুর বলেছেন: আসল বিষয়টা হৈল গ্লামার এবং ধর্মের সংমিশ্রন - আর এই বিষয়টায় তাবৎ বাঙালী মুসলমান এক্সপার্ট। আরো কি মুসলিম বক্সার নাই? কয় জনের মান কৈতে পারবে বাঙালী? এই মুহাম্মদ আলীর সাথে বাংলাদেশে রিং এ লড়া সেই সময় ১২ বছরের পোলাডার নাম কয়জন জানতাম আমরা মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুর পরের টিভি নিউজ না দেখলে?

ক্যাসিয়াস ক্লে একজন সেলিব্রেটি এবং কনভার্টেড মুসলিম হইয়া তার নাম মোহাম্মদ আলী ক্লে - এইটাই মিডিয়ার কারনে আমরা খাই, অন্যকেও খাওয়াই। উদাহরন, যে কারো বাসার পাশের ঝি মহিলা সারাদিন খাইটা পোলামাইয়া মানুষ করে, নামাজ ও পড়ে, তারে নিয়া কোনো মিডিয়া ইস্যু পাইবেন না, বাট সানি লিওনি কনভার্টেড হৈয়া মুসলিম হৈলে তারে নিয়া হৈচৈ পইড়া যাইবো।

১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দুর্দান্ত বলেছেন । ব্যাপারগুলো বড্ড চোখে বাঁধে ।

১৯| ১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

সম্রাট৯০ বলেছেন: নজরুল এবং আলীকে তাদের কাজ দিয়েই মুল্যায়ন করা হচ্ছে,শুধু মুসলিম নজরুল আর শুধু মুসলিম আলি হলে কেউ মনে রাখতোনা,মুসলিম হবার সুবাদে মুসলিমদের মধ্যে তাদের নিয়ে দোয়া আলোচনা হচ্ছে এটাই বেশি চোখে পড়ছে আপনার।

১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাই?

উপরের মন্তব্যটা পড়ুন ।

২০| ১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু ,



আপনার এই পোস্টের কথা যদি সবাই বুঝতো !!!!!!!!!!!!

১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বোঝেনা কেউ বোঝেনা!

২১| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

সম্রাট৯০ বলেছেন: আহমেদ জী এস- পোস্টের কথা সবাই বুঝেছে ইভেন আমিও, কিন্তু মানুষ কেন তাদের নিয়ে এত মেতেছে সেটা তিনিও বুঝেছেন কিন্তু পজেটিভ ওয়েতে বুঝেননি, আরে করুকনা একটু বাড়া বাড়ি নাচানাচি,হোকনা কিছু মাতামাতি সমস্যা কিসের, কেন সব নিয়ে বলতে হবে ধরতে হবে দোষ? কেনরে বাপ? আমাদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ নেই? সব কিছুকে কেন মাখ্খনে মাখাতে হবে আর ঢালায় সাজাতে হবে কথা ধারায়?

১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাইরে দুঃখে বলেছি!

২২| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৫১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মোহাম্মদ আলি কে শ্রদ্ধা।।
আর নজরুলের ব্যাপারে বলবো শুধু মুসলিমদের কাছেই নয় হিন্দুদের কাছেও তিনি ভাবে অস্পৃশ্য ছিলেন।। তার ভাষায় কেউ বলে যবন আর কেউ বলে কাফের!!

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আর নজরুলের ব্যাপারে বলবো শুধু মুসলিমদের কাছেই নয় হিন্দুদের কাছেও তিনি ভাবে অস্পৃশ্য ছিলেন।। তার ভাষায় কেউ বলে যবন আর কেউ বলে কাফের!!" হুম । কেউই তাঁকে আপন করে নেয়নি অথচ আজ ..

২৩| ১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিশ্বনন্দিত হেভী ওয়েট চ্যাম্পিয়ন বক্সার হওয়া ছাড়াও মোহাম্মদ আলী অনেক মানবিক গুণের অধিকারী ছিলেন। বিশ্ব এখন জানতে পারছে, আলী ব্যক্তি জীবনে একজন অত্যন্ত দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। তিনি লোকচক্ষুর অগোচরে আর্থিক দূুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে দান করে যেতেন। তিনি তেমন উচ্চশিক্ষিত ছিলেন না, কিন্তু তার অনেক কথাকে কোটেবল কোটস্ হিসেবে উদ্ধৃত করা হয়ে থাকে। এমন একজন বক্সারের চিরপ্রয়াণে মানুষ তাকে একজন ভালো বক্সারের সাথে সাথে একজন ভালো মানুষ হিসেবেও স্মরণ করেছে।
বিশ্ব মিডিয়ার প্রভাবে জঙ্গীবাদ আর মুসলিম গোঁড়ামি নিয়ে কথা বলা তো আজকাল সুশীল হবার বা জাতে ওঠার প্রথম সোপান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্ধ গোঁড়ামি এবং জাত্যাভিমান যে ধর্মের বা সম্প্রদায়েরই হোক না কেন, তা ঘৃণ্য, নিন্দনীয় ও পরিত্যাজ্য। আজকাল আমরা কথায় কথায় মুসলিম ধর্মান্ধতা বা গোঁড়ামির কথা বলে থাকি। কিন্তু হিন্দু বা খৃষ্ট ধর্মের গোঁড়ামিও যে কতটা অমানবিক এবং মারাত্মক হতে পারে, তা জানতে তো খুব বেশী দূরের ইতিহাস ঘাটতে হয় না। অথচ তাদের গোঁড়ামি নিয়ে দেশী কিংবা বিদেশী মিডিয়াতে টু শব্দটিও নেই।
মনোহর আইচ নামের একজন বিখ্যাত বডি বিল্ডারও তো মারা গেছেন, কই তাঁকে নিয়ে তো এত শোকগাথা রচিত হয়নি - মোহাম্মদ আলীর সাথে মনোহর আইচের এই তুলনাটা মনে হচ্ছে সঠিক হয় নি। জানিনা, একজন বডি বিল্ডার হিসেবে মনোহর আইচকে দেশের বা বিশ্বের কয়জন চিনে।
কেবলমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই কি আলীর প্রশস্তি গাওয়া হচ্ছে? - নিশ্চয়ই তা নয়। আমরা পঁচিশে বৈশাখে কিংবা বাইশে শ্রাবণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যথেষ্ট প্রশস্তি গাই। ধর্ম আমাদেরকে এ থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনা। আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস, কবি জীবনানন্দ দাশ এরও অনেক প্রশস্তি গাই, তাদেরকে ভক্তি শ্রদ্ধা করি তাদের প্রতিভা এবং অবদানের জন্য। কাজেই কথায় কথায় শুধু একটি ধর্মবিশ্বাসীদের কিংবা সম্প্রদায়ের গোঁড়ামি অন্বেষণের মানসিকতা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। তবে বারাবাড়ি সব সম্প্রদায়েই আছে। সবারটাই সমভাবে নিন্দনীয়।
এ পোস্টের শিরোনামটিতেই বরং আমি সংকীর্ণতা দেখতে পাচ্ছি। অসংকীর্ণ মনোভাব নিয়ে ভাবলে শিরোনামটা অন্যরকম হতে পারতো।

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পোড়াচোখে শুধু খারাপ কিছুই দেখি! কী করবো বলুন? আলী সম্পর্কে যা বললেন, এমন মূল্যায়ন সবাই করলে তো ভালোই! আমার চোখে তেমনটা পড়েনি । ধর্মীয় পরিচয়টাকে সবাই অগ্রাধিকার দিয়েছে- এমনটাই চোখে পড়েছে!

"তবে বাড়াবাড়ি সব সম্প্রদায়েই আছে। সবারটাই সমভাবে নিন্দনীয়!" যথার্থই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.