নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে আলোচিত/সমালোচিত কবিতা

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কয়েকমাস আগে আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে নেওয়া এই লেখাটা । সে নিয়েছিলো তার এক ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে । আজকে শেয়ার দিচ্ছি । আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন । নিচে মূল লেখক এর নাম দেওয়া আছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে আলোচিত কবিতাটা একটা রহস্যময় কবিতা। চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে এ কবিতা আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। কবির নাম সবাই জানে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে কবিতার নামটা প্রায় কেউ-ই জানে না। কবিতার নামই যেখানে কেউ জানে না, সেখানে কবিতাটা জানার প্রশ্নই আসে না।
এই কবিতা ব্যাপকভাবে আলোচিত তার কাব্য মূল্যের জন্য নয়। এর মূল তাৎপর্য রাজনৈতিক। স্বাধীন বাংলাদেশে কবিতা লিখে নির্বাসিত হবার দূর্ভাগ্য এই কবিতার কারণে তার জনকেরই হয়েছিল। একটা ধর্ম নিরপেক্ষ দেশের মোল্লাতন্ত্রের হাতে নিক্ষেপিত হবার সেটাই প্রথম পদক্ষেপ। এ কারণেও এর গুরুত্ব অপরিসীম সকলের কাছে। সেই এক পদক্ষেপ থেকে আজ আমরা কোন চোরাবালিতে নিক্ষেপিত হয়েছি, সে সকলেরই জানা কথা।
এই কবির নাম দাউদ হায়দার। ১৯৭৪ সালে অল্পবয়েসী এক তরুণ তিনি। এই বছরের শুরুর দিকে একটা কবিতা লেখেন তারুণ্যের প্রবল উচ্ছ্বাসে। নাম ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’। ২৪শে ফেব্রুয়ারি সেটা ছাপা হয়ে যায় দৈনিক সংবাদে।
কবিতার মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে মোল্লাদের প্রবল রোষানলে পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, পরবর্তীতে সরকারী সহযোগিতাতেই তিনি কোলকাতায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। দেশে থাকলে মোল্লাদের রোষ থেকে তাঁকে বাঁচাতে পারবে না বলে শেখ মুজিবের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে কারাগার থেকে বের করে নিয়ে কোলকাতাগামী প্লেনে তুলে দেয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাঁর আবাস হয় জার্মানি। আজ, এতো বছর পরেও কবি দাউদ হায়দার দেশে যেতে পারেন না। হয়ে আছেন চির-নির্বাসিত একজন।
এ প্রসঙ্গে নোনাগন্ধী নামে একজন তাঁর “উপমহাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদঃ কিছু বৈঠকী গল্পগুজব”- এ লিখেছেনঃ
"১৯৭৩ সালের শেষ নাগাদ দাউদ হায়দার ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নয় কালো বন্যায়’ নামে একটি কবিতা লেখেন। কবিতাতে তিনি বুদ্ধ, যীশু ও মোহাম্মদকে ভণ্ডামি ও রাজনীতি করার জন্য সমালোচনা করেন। এরপর ‘ঢাকা কলেজ’-এর এক শিক্ষক ‘ধর্মানুভূতি’তে আঘাত হানার দায়ে তাঁর নামে আদালতে মামলা ঠুকে দেন। এবং কী আশ্চর্য! ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের প্রথম সরকার তাঁকে ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, ওই বছর ২০ মে তাকে মুক্তি দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে সরাসরি কোলকাতাগামী একটি বিমানে তুলে দেয়া হয়। ওই বিমানে একমাত্র যাত্রী ছিলেন দাউদ হায়দার। তিনি কোলকাতায় নেমে দেখতে পান তার কাছে টাকা বলতে আছে মাত্র ৬০ পয়সা। ১৯৭৭ সালে নবায়ন করতে গেলে কোলকাতা উপদূতাবাস তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করে নেয়। বস্তুত তখন থেকে তিনি হয়ে যান দেশহীন মানুষ, যেমন তিনি জার্মানিতে আছেন আজও। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস তাকে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ পাস সংগ্রহ করে দেন। সেটিই তার পরিচয় এখন।"
দাউদ হায়দারের এই কবিতাটা বহু খুঁজেছি আমি। কোথাও পাই নি। দেশে থাকতেও পাই নি, বিদেশে এসে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়েও পাই নি। আজ সকালে তসলিমা নাসরিন এবং দাউদ হায়দারকে নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম আমি। সেটা দেখার পরে আমাকে বিস্মিত করে দিয়ে শিবব্রত নন্দী দা জানান যে, পুরো কবিতাটাই তাঁর ডায়েরিতে টোকা আছে।
এই কবিতাটা যখন ছাপা হয়, তখন তিনি বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। থাকতেন নাজমুল আহসান হলে। তখন নাজমুল আহসান হল টিনশেডের। হলের কমনরুম থেকে কবিতাটা তিনি ডায়েরিতে তুলে নেন। আজ বিয়াল্লিশ বছর পরেও সেই ডায়েরি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে তাঁর কাছে।
যে দুর্লভ জিনিস বাংলাদেশে থাকতে খুঁজে পাই নি, ইন্টারনেটে সার্চ দিয়েও বের করতে পারি নি, সেই কবিতা ঘরের পাশেই পড়ে আছে নিজের দাদার কাছে, এটা জানার পরে গা শিড়শিড় করে উঠেছিল আমার। সাথে সাথে নন্দীদাকে বলেছিলাম ডায়েরির পাতা থেকে ছবি তুলে পাঠাতে। তিনি তখনি সব পাঠিয়েছেন। ডায়েরির সেই পাতা থেকে দেখে দেখে টাইপ করেছি আমি। পরে নন্দীদাকে ফোন করে সব চেক করে নিয়েছি। তারপরেও কবিতাটাতে ভুল থাকতে পারে। সেই ভুলত্রুটির দায়দায়িত্ব আমি আমার কাঁধেই নিয়ে নিচ্ছি আমি।
আর, প্রশংসা, স্তুতি, ভালবাসা, ধন্যবাদ, সবকিছু নন্দী দাদার প্রাপ্য।
কবিতাটা বিশাল। বাংলা এবং ইংরেজি মিশ্রিত। নন্দী দার ডায়েরিতে কবিতাটা যেখানে শেষ, সেখানে লাইনের হিসাব লেখা আছে। বাংলা ৭৭ লাইন, ইংরেজি ১৬ লাইন, সর্বমোট ৯৩ লাইন। আমি টাইপ করার পর ইংরেজি লাইন নন্দী দার সাথে মিলেছে, বাংলা লাইনের সংখ্যা মেলে নি। আমার এখানে ৭৭ এর চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। কী কারণে এটা ঘটেছে, জানি না।
কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়
দাউদ হায়দার
প্রকাশকালঃ ২৪শে ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ সাল
জন্ম আমার কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নার কালো বন্যায়
ভেসে এসেছি তোমাদের এই তিলোত্তমা শহরে
কল্পিত ঈশ্বর আমার দোসর; পায়ে তার ঘুঙুর; হৃদয়ে মহৎ পূজো
চুনকামে মুখবয়ব চিত্রিত; আমি তার সঙ্গি,
যেতে চাই মহীরুহ ছায়াতলে, সহি নদীজলে; ভোরের পানে।
ঈশ্বর একান্ত সঙ্গি; জেনেছি ধূপ নেবানের ঘরে। তার পায়ে ঘুঙুর সে
আমাকে পরিয়ে পালালো, আমি উঠলাম আমি।
ভেতরেও সে বাহিরেও সে; আমার আমি হয়ে বলেছি আমি,
মরণের নক্ষত্র দোদুল্যমান কালো ঘণ্টার রাজধানীতে বর্শার মতো দিন।
রাত্রির অলীক নটী, অন্ধ দগ্ধে নাচায় ভাই; আমার বিশ্বাস ছিল
প্রতিধ্বণী নেই, তিমিরে আমার যাত্রা; দেখা হয় আলখেল্লায়
সজ্জিত মিথ্যুক বুদ্ধ; বসে আছে বোধিদ্রুমের ছায়াতলে;
যিশু আরেক ভণ্ড; মোহাম্মদ তুখোড় বদমাস; চোখে মুখে রাজনীতি,
আমি প্রত্যেকের কাছে পাঠ নিতে চাইলুম; তোমাদের চৈতন্যে যে লীলাখেলা
তার কিছু চাই এবেলা। দেখলো ঈশ্বর দেখলো আদম।
আদমের সন্তান আমি; আমার পাশে আমি?
আমি আমার জন্ম জানি না। কীভাবে জন্ম? আতুরের ঘরে কথিত
জননী ছাড়া আরে কে ছিল? আমায় বলে নি কেউ।
আমার মা শিখালো এই তোর পিতা, আমি তোর মাতা।
আমি তাই শিখেছি। যদি বলতো, মা তোর দাসী, পিতা তোর দাস;
আমি তাই মেনে নিতুম। কিংবা অন্য কিছু বললেও অস্বীকারের
উপায় ছিল না।
আমি আজ মধ্য যৌবনে পিতা মাতার ফারাক বুঝেছি। বুঝেছি সবই মিথ্যা
বুঝেছি কেউ কারও নয়; কেউ নয় বলেই তো বলি
একদিন সবকিছুই যাবে চলে (চলে যাবে)।
Every things passes, one day every thing will go yet
We shall not recognise each other, and indirect love
remain hesitant as the desires of life time shall roam
the winds and blue sky.
এই তো সনাতন নিয়ম; ব্যতিক্রম নেই পরিবর্তিত অজাত শত্রু আমার।
প্রেম সে কি? কোথায় থাকে? কার জরায়ু থেকে নেমে আসে?
কেউ নিঃসঙ্কোচে বলতে পারো?
বারবার আমি বেয়োগের চৈতন্যে বাহু রাখি। স্মৃতি আমার অকাল পাথর।
জীবে প্রেম? মানুষে মানুষে ভালবাসা? প্রেম অশ্রু আমার
ভোঁতা। এ্যরিষ্টোটল, প্লেটো, আমার চৈতন্যে; তাদের চৈতন্যই
আমার বিশ্বাস।
নীটসের কথাই ঠিক; ঈশ্বর মরেছে আমার শৈশবে,
অতএব সে আমায় ঘুঙুর পরিয়ে পালালে সে আজ নেই,
তার জারজ সন্তানেরা অলীকের চৌমাথায় বসে পাণ্ডুর প্রেমের কথা বলে।
লোক জমে, বাহবা দেয়; ঔষধ কেনে; ঘরে ফেরে; দেখি সব ফিকে।
আমি জনমে জনমে শূন্য গর্ভে ফিরে আসি।
নুপুর মিশ্রিত অধীর সঙ্গীতের বিরহের কাল বৈশাখীর শ্বাশতের করি না বন্দনা।
আমাতে উল্লাস আছে লগ্ন নেই; সার্থক বুদ্ধিতে বিষ্ণু দে আজ করিঃ
আমার প্রিয়; অপ্রিয় সুধীর দত্তও নয় বটে,
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এড়াতে পারেননি এ বড় দুঃখের কথা।
যুগল স্তনে যৌবন দেখা দিলে তুমি বল প্রেম স্মৃতি।
একি তোমার নিজস্ব অভিলাষ? মাঝে মাঝে রাত্রি কালে হেটে যাই;
কোথা যাই সঠিক জানি না।
পথ জানে না আমার গন্তব্য কোথায়; আমি তার কোন কেন্দ্রে গিয়ে
আশ্রয় নেবো। এমন মমতা দেখে খুঁজে ফেরে চরণ চিহ্ন; চরণ চিহ্ন
সহসা হারিয়ে যায়।
শোণিতে খেলা নেই নিস্ক্রিয় নিশ্চল।
আমি তোমায় খুঁজেছি; সীমান্তে আত্মদান করেছ কিনা জানি না,
মহাকাল আমার পদতলে। নিমীলিত চক্ষে আকাঙ্ক্ষার স্পষ্টতা।
পুরানে আমার বিস্ময়; কি করে অসাধ্য সাধন করা যেত?
আমার বন্ধুদের চেয়েও বুদ্ধিদীপ্ত? আপন বিশ্বাসে আমার কাটলো
মিথ্যা তাই বলি, প্রেম মিথ্যা, মিথ্যা, মিথ্যা।
সব কবিই একই ফুটবল নিয়ে ঘুরছেন গোল স্টেডিয়ামে, রেফারী নেই
হ্যান্ডবল, ফাউল ধরছেন কেউ? আমরা দর্শক কিছুই বুঝি না খেলা দেখি
আশা মিটে গেলেই ঘরে ফিরি। গোল করার কায়দাও মনে রাখি না।
কিন্তু সবাই তো চৌকস খেলোয়াড় বলটা কাটতে পারেন ভালো;
তবে কেন ঘুরছেন?
সহীসের ঘোড়ার সাথে জীবনানন্দের দেখা হোলো একদিন
মধ্যরাতে আমার সাথে পাল্লা দিয়ে হেরে গেলো-
মনে তার প্রেম ছিল?
মূল্যহীন মূল্যবোধের কতটুকু বিজয়?
আমি দৃষ্টির আড়ালে উচ্চরিনাঃ বলি বিশাল জনসভায়-
তিমিরে আমাদের যাত্রা; তুমি জানো না জানো কিছুই এসে যায় না
এই উড়ন চণ্ডীর, উড়নচণ্ডীরাই মহাপাগল, পাগলের কথার
দাম বিশ্ব ব্যাংকও জানে না।
সাবিত্রী তুমি কি বহ্নির কাছে নতজানু হবে? অমরত্ব হারাবে,
এসে আমার হাতে হাত রাখো; অমৃতের দিকে চোখ ফিরিও না
তোমায় সামনে বসিয়ে মন্থর করে এঁকে যাবো
সমস্ত শরীর চুল চিবুক।
এখন আকাবোকা সব শেষ
সামনে যে অন্ধকার আগামী উৎসবে আরো দ্বিগুণ হবে।
প্রতীক্ষায় লাভ নেই, আমার বক্ষে মাথা রাখো শোন আগমনী বার্তা
কালো মৃত্যুর দিন সমাগত,
তুমি শান্তির প্রেমের কথা বলো। বলেছে আদমের সন্তানেরা শান্তি কোনদিন
আসবে না, কৌতুক নয়। অন্ধ সংসারে সেই কোরে প্রেম।
পাতালে গিয়েছ কোন দিন? কিংবা আকাশ নীলিমায়?
দেখেছ এ্যাপোলো? মন্বন্তরে সেকি যায়নি ভেসে? স্বরচিত গানে
আনন্দ পাও? ইন্দ্রপাল লক্ষ কোরেছো কোনদিন?
বিজ্ঞাপন বড় সুন্দর একদিন কৃষ্টি হবে পায়রা আসবে কার ঘরে? কোন ঘরে
তোমারই স্মরণে?
তোমার মুখে ।

লেখা কৃতজ্ঞতাঃ ফরিদ আহমেদ

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কৈ আলোচিত!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: (!)

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দাউদ হায়দারের নির্বাসনের ঘটনা পর্যন্ত জানা ছিল। পরে জার্মানিতে গুন্টার গ্রাস কর্তৃক তার পুনর্বাসনের তথ্য জানা ছিল না।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বড্ড অভাগা এক কবি! চার দশক ধরে নির্বাসিত!

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: যিশু আরেক ভণ্ড; মোহাম্মদ তুখোড় বদমাস; চোখে মুখে রাজনীতি,,

উপরের কথাগুলোর জন্যই তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। জেলের কয়েদীরা যখন জানতে পারল যে সে ইসলাম বিরোধী কবিতা লিখেছে তখন জেলের কয়েদীরাও তার উপর ক্ষেপে যায়, তখন বাধ্য হয়ে সরকার ভারতে পাঠিয়ে দেয়। এটা ৭৮ সালে কলেজ লাইফে শুনেছিলাম। কবিতাটিও আমার সংগ্রহে ছিল কিন্ত পরবর্তীতে পাতাটি কোথায় হারিয়ে গেছে বলতে পারি না।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি উনাকে কবিতা লেখার জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে । কবিতার বইয়ের নাম শুনেছি, কিন্তু কবিতাটা পড়া হয়নি কখনো । হঠাৎ সেদিন ফেসবুকে খুঁজে পেলাম ।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪১

নীলপরি বলেছেন: এই বিষয়ে কোনো আইডিয়া ছিল না । আপনার লেখা পড়ে জানলাম । এনার লেখা কখন পড়িনি ।

আপনি নিজে কোনো বিশ্লেষণ দিলেন না যে ! শেয়ার করলেন কেনো ? সাহিত্য গুনের জন্য ? নাকি ইস্যুর জন্য ? বিষয়ের উপরে কিন্তু পক্ষে বা বিপক্ষেও অনেক কিছুই বলা যায় । আর যে লেখিকার নাম এখানে দেখলাম তাঁর লেখা দু একটা পড়েছি । কিন্তু আমার মাথার উপর দিয়ে গেছে ।

শুভকামনা ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হ্যাঁ, পক্ষে-বিপক্ষে অনেককিছুই বলা যায় । আমি সেদিকে যাইনি শুধু উনার পরিণতি আর কবিতাটা সম্পর্কেই জানাতে চেয়েছি ।
মাথার উপর দিয়ে গেছে? কারণ কী?

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৩

জেন রসি বলেছেন: তাও ভালো চাপাতির কোপ খেয়ে নিহত হন নাই। কবি দাউদ হায়দার সম্পর্কে জানতাম। খুব অবিচার করা হয়েছে ওনার সাথে। মানবিক বোধের চাইতে তত্ত্ব বড় হইলে যা হয় আরকি!

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কাঠ মোল্লাদের দৌরাত্ম্য সবসময়ই ছিলো । এই শেষ বয়সেও বিদেশ-বিভূইয়ে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে হচ্ছে! কী অমোঘ পরিণতি!

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

অশ্রুকারিগর বলেছেন: এইটা বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত কবিতা ?!

কেম্নে কি ?

এটা তো বাংলাদেশের সবচেয়ে বিতর্কিত কবিতার কাতারে পড়তে পারে, কবিতাটা পড়ে এবং সাথের ইতিহাস দেখে যা মনে হলো।

তাহলে তো রিসেন্ট প্রথম আলো সাহিত্য পুরষ্কার পাওয়া সাইয়েদ জামিলের কবিতাগুলোও ইতিহাসে একদিন আলোচিত কবিতার কাতারে যাবে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এটা কোন কথা কইলেন? কই লিভারপুল আর কই ফকিরাপুল!

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৪

অশ্রুকারিগর বলেছেন: এইটাই। আলোচিত আর বিতর্কিত সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।

এওয়ার্ড বিতর্কিতরাও পায়, আলোচিতরাও পায়।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এটা অবশ্য ভালো বলেছেন । তবে দুজনের মানদন্ড কি এক?

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

অশ্রুকারিগর বলেছেন: এ ব্যাপারে কবি সাহিত্যিকরা ভালো বলতে পারবে। আমি হুমায়ুনীয় বাজার কাটতি সাহিত্যের পাঠক।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ও আচ্ছা!

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

নীলপরি বলেছেন: আরে , আমার সীমাবদ্ধতার কারনে কানেক্ট করতে পারিনি । অনেকটা অশ্রুকারিগরের সাথে একমত ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বুঝলাম ।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

র‍্যাশ বলেছেন: স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্ম ভিত্তিক পলিটিক্যাল ষ্ট্যান্সের প্রথম স্বীকার কবি দাউদ হায়দার। কবিতাটি সংগ্রহে ছিল না, শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন ।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: জন্মই আমার আজন্ম পাপ ; এই লাইনেই ৭৪ মাত , মোল্লারা মিছিল বের করল , ভাবলাম কি লিখেছিল যে জেল হয়ে জার্মান ? আজ কবিতাখানা পড়লাম । বেশ কিছু বিষয় , ভাবনা, অনুভুতি এড়ানোর নয় । দাউদ শক্তি চট্টোপাধ্যায়দের ধারা অনুসরন করেছিলেন। কবিতাটা এই প্রথম পড়ছি । ৭৪ সালেই দেশ টালমাটাল , আমার ডায়রিতে লেখা আছে অনেক দুঃস্বপ্নের গাঁথা । এতো তাড়াতাড়ি দেশ ফুসে উঠবে ভাবিনি । অন্যায় হয়েছে বলে দাউদ সাহস করে লিখেছিলেন বাকিরা স্তব্ধ । ঠিক চলমান দিনগুলোর মত । এখন টারবেন চাপাতি তখন অপরিচিত ভীতিকর পিতা । কিন্তু ওই লাইনটা গেল কই ?

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আরও লাইন আছে নাকি, বাপু?

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: কবিতাটি আমার কাছে তেমন চমৎকার মনে হচ্ছে না, ঐ পঙক্তি কয়টি ছাড়া আলোচনা হওয়ার মত তেমন রশদ ও নেই কবিতাটিতে। সমবেদনা তার পরিণতির, প্রশংসা তার সাহসের; কবিতার নয়।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেককে গভীর কিছু ভাবনার খোরাক যুগিয়েছে!

১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

কল্লোল পথিক বলেছেন:




দাউদ হায়দারের নির্বাসনের ঘটনা পর্যন্ত জানা ছিল।
পরে আর কিছু জানা নেই।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাঁকে নিয়ে তেমন আলোচনাও হয়না । অদ্ভূত!

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি জানতাম, "জন্মই আমার আজন্ম পাপ" দাউদ হায়দার এর সবচেয়ে বিতর্কিত কবিতা। এ কবিতাটা সম্পর্কে জানা ছিলনা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.