নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধারণের বেঁচে থাকাই কঠিন

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৮


উম্মে হানি নামের জনৈকা গৃহবধূ গেলেন রাজধানীর এক কাঁচাবাজারে। মাছ-মাংসের দোকান ঘুরছেন আর ভাবছেন কী কী কিনবেন। সাহস হলো না মাছ-মাংস কেনার। ৫০ টাকায় শুটকি কিনে শাক-সবজি কিনতে মনস্থির করলেন। কিন্তু সব সবজির দাম আকাশচুম্বি। কেবল কমের মধ্যে আছে পেঁপে। ১ কেজি পেঁপে, ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ, ৫০০ গ্রাম একটা পামওয়েলের বোতল কিনে বাসায় চলে এলেন।

রাতে স্বামীকে বললেন, '১৫ হাজার টাকা বেতনে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই এখন কঠিন।' স্বামী বেচারা আর কী বলবেন? এই সামান্য বেতনে স্বামী-স্ত্রী মিলে চলা যায় না, এরপর আবার গ্রামের বাড়িতে খরচা পাঠাতে হয়। প্রতিমাসে ধারদেনা লেগেই থাকে।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমদানি কমে যাওয়ায় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিসেম্বরের আগে নাকি সব স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার, তাও ডিমের দাম ৫৫ টাকা হালি। উম্মে হানি জিগ্যেস করলেন, 'সরকারের কাজটা আসলে কী? বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না কেন? এই যে পদ্মা সেতু, এই যে মেট্রোরেল - মানুষ যদি খেতে না পারে এসব দিয়ে কী হবে? সবার আগে তো মানুষকে খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে।'

স্বামী বেচারা নিরব দর্শক।



সামনে নির্বাচন। রাজপথ গরম। কে ক্ষমতায় যাবে, তা নিয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছে রাজনীতিকেরা। দেশ-বিদেশে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়েছে। ছিঁচকে চোরও এখন বড় নেতা। পথেঘাটে বিলবোর্ড। ব্যবসায়ীরা সংসদ দখল করেছেন। রাজনীতির ওপর তো আর ব্যবসা নেই।

সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে। কাকে রেখে কাকে বিশ্বাস করবে? নির্বাচনের আগে যে নেতা কদমবুসি করে যায়, নির্বাচন শেষে সে জমিদার। কোনো কাজে গিয়ে একশো দিন ঘুরেও কাজ উদ্ধার করা যায় না। যেন রোগ সারলে ডাক্তার ব্যাটা শালা

কোনোমতে নির্বাচিত হয়ে গেলে সরকারের বরাদ্দ নিজের মনে করে গিলে ফেলা। নির্বাচনি খরচ সুদে-আসলে তোলা। বিপদজনক মনে হলে বিদেশে অর্থ পাচার। ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়ানো। দেশ ভালো না বলে জাহির।



নেতা মসজিদ-মাদ্রাসায় দান-খয়রাত করেন প্রচুর। গরিব-দুঃখীদের সাহায্য-সহযোগিতা করেন। হজ্জ করে এসেছেন। নামের আগে হাজী টাইটেল। খুব ভালো লোক হিসেবে স্বীকৃত। যদিও চরিত্র নিয়ে কানাঘুষা আছে। কারও মনে প্রশ্ন নেই উনি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন কীভাবে।

ভাত ছিটালে যেমন কাকের অভাব হয় না, তেমনি নেতারও গুণগ্রাহীর অভাব নেই। নেতা জনপ্রিয়তা ধরে রাখার কৌশলও ভালো জানেন। এসব ফকির-মিসকিনদের দু'পয়সা দিয়ে কেনা যায়; এটা উনি বুঝতে পারেন।


সাক্ষরতার হার বেড়েছে। তবে এখনও শিক্ষিতদের বৃহদাংশ নারীর উচ্চ শিক্ষার বিরুদ্ধে। তারা চাকরি করলে নাক সিটকায়। ঘরে-বাইরে কোথাও তাদের নিরাপত্তা নেই। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী-বিরোধীদলীয় নেত্রী-স্পিকার যেখানে নারী, সেখানে নারীকে এখনও মানুষ হিসেবে দেখতে না পারা আসলেই অভাবিত।


ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। হামলা-প্রতি হামলায় মানুষ মরছে। কাঁদছে মানবতা। একপক্ষ ইসরায়েলকে মদদ দিচ্ছে আরেকপক্ষ ফিলিস্তিনকে। সমস্যার যেন সমাধান নেই। জিইয়ে আছে যুদ্ধ।

এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে পৃথিবী দু'ভাগে বিভক্ত। ভুক্তভোগীরা ছাড়া যুদ্ধের ভয়াবহতা কে উপলব্ধি করতে পারে? অনেকের কাছে সেসব কেবলই সিনেমা! স্থিরচিত্র-ভিডিও দেখে শিহরিত হওয়া ছাড়া আর কার্যকারিতা নেই।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: কঠিন বাস্তব!

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুঁ।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আসেন, এগুলি নিয়ে কম কম ভাবি। অন্য কিছু নিয়ে বেশী বেশী ভাবি!

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কই?

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমদানি নির্ভরতা আমাদের কমাতে হবে। অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতার কারণে এখন ডলারের দাম আকাশচুম্বী। আবার ব্যাংকগুলিও সুযোগ নিচ্ছে। ওদেরও কারসাজি আছে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পিছনে। সরকার চাইলে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতো। কিন্তু এটার মধ্যেও স্বার্থ আছে। ফড়িয়াদের
কারসাজীর কারণে শাকশব্জি, মাছ, মাংসের দাম বাড়ছে। সরকারের অযোগ্যতার কারণে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

যুদ্ধগুলির মূল কারণ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার ইচ্ছা। এছাড়া ক্ষমতা প্রদর্শন, অস্ত্র বিক্রি এগুলিও কারণ। উন্নত বিশ্বের সাধারণ মানুষ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তখন যুদ্ধ কমে যাবে। ইতিমধ্যে উন্নত দেশের সাধারণ জনগণ কিছুটা বুঝতে পাড়ছে অর্থনৈতিক কষ্ট।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এদেশের ব্যবসায়ীরা অসৎ। এরা সর্বাবস্থায়ই বাজার অস্থিতিশীল রাখতে চায়। নাছ-মাংস, দুধ-ডিম, শাক-সবজি এগুলো আমাদের দেশে পর্যাপ্ত থাকলেও দাম বাড়তে থাকে। সরকার এসব সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে না। কয়েকদিন আগে পুলিশের মহাপরিচালক বললেন এসব নিয়ন্ত্রণ পুলিশই করতে পারে। কেন করে না কে জানে?

আমেরিকা-ইসরায়েলের লোকজনও যুদ্ধবিরোধী। এরাও বুঝে এসব যুদ্ধ-বিগ্রহ অহেতুক দুর্ভোগের কারণ। নিজেদের ক্ষমতা জাহিরের ব্যর্থ প্রচেষ্টা।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩

বনজোসনা বলেছেন: সত্যিই খুবই ভয়াবহ অবস্থা।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সমাধান দেখা যাচ্ছে না।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আরো অনেক অনেক বেশী তরিতরকারী উৎপাদন করলে, সেগুলোদাম কমার সম্ভাবনা কি রকম?

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তরি-তরকারি বেশি উৎপাদন করলেও শহুরে লোকদের বেশি দামেই কিনতে হয়। গ্রাম থেকে কম পয়সায় কিনে এসে পাইকারেরা বেশি দামে বিক্রি করে। একটা কুচক্রী মহল বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগে আপনার, আমার মতো সাধারণ আছেন দু-চারজন। বেশির ভাগ ব্লগারই অসাধারণ। তাদের এসব নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেকে চুপেচাপে সহ্য করে যায়।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: জিনিষ পত্রের দাম বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে আছে। একলাখ লোকের তিনদিনের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিএনপি-জামাত। ওদের লোকগুলোও মোটা-তাজা। জ্বীন-ভুতের বাজারে ওরা কেনা-কাটা করে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিএনপি-জামায়াত বড় বড় লোকদের দল। তাদের টাকা-পয়সা আগে থেকেই ছিল।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: তরি-তরকারি বেশি উৎপাদন করলেও শহুরে লোকদের বেশি দামেই কিনতে হয়। গ্রাম থেকে কম পয়সায় কিনে এসে পাইকারেরা বেশি দামে বিক্রি করে। একটা কুচক্রী মহল বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।

-আপনার চাকুরী হয়েছে; এখন তো "পায়ের নীচে মাটি আছে"; গ্রাম থেকে কিছু এনে বিক্রয় করতে পারবেন?

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার চাকুরি হয়েছে; এখন তো "পায়ের নিচে মাটি আছে"; গ্রাম থেকে কিছু এনে বিক্রয় করতে পারবেন? লোকবল দরকার, মূলধনও দরকার। পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুরু করতে পারি। যদিও আপনার ড্রাইভিং শেখার প্রস্তাবটা আমার জন্য বেশি সহজ হয়।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: " ... পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুরু করতে পারি। যদিও আপনার ড্রাইভিং শেখার প্রস্তাবটা আমার জন্য বেশি সহজ হয়। "
-ড্রাইভিং জানা থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুম।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর সকল নিকৃষ্ট শক্তির সঙ্গে জায়নবাদীদের আতাত খুঁজে পাবেন।মুসলমানদের মধ্যে যারা গা-ড়-ল গনহ-ত্যাকারী তাদের বন্ধু ইসরায়েল।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওরা বেনিয়া জাতি।

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমার এখনো বিশ্বাস সরকার সঠিকভাবে ভাবলে মানুষকে সম্পদ মনে করলে, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করলে, দেশের দ্রব্যমূল্য সহ অনেক কিছুই সরকারের অনুকূলে চলে আসবে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সরকার আরও শক্তভাবে কাজ না করলে কোনোকিছুই ঠিক হবে না। দেখা যায় সর্ষেতেই ভূত।

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:১৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটায় নিদারুন সত্য প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে।

তবে কিছু মন্তব্য পড়ে অবাক হলাম। যেমন নিচের এই মন্তব্যটা। একমাত্র ঘুষখোর/ চোর সরকারী কর্মজীবী আর রাজনৈতিক ব্যাক্তি ছাড়া এই ধরণের কথা কারো বলার কথা নয়।

"বাউন্ডেলে বলেছেন: জিনিষ পত্রের দাম বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে আছে।"

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আসলে যাদের উপার্জন কম, তারা ছাড়া এই বাস্তবতা অন্যদের বোঝারও কথা না।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: দেশে জিনিষপত্রের দাম অনেক বেশী।

ঢাকাতে প্রাইভেট কার, বা মোটরসাইকেল চালাতে জানলেও আপনার এক্সটা যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। বর্তমানে টিকে থাকার জন্য মূল কাজের পাশাপাশি একাধিক ইনকামের সোর্স থাকলে চলতে সুবিদা হয়।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বর্তমানে টিকে থাকার জন্য মূল কাজের পাশাপাশি একাধিক ইনকামের সোর্স থাকলে চলতে সুবিধা হয়। সহমত।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা না ফিরলে দেশের অবস্থা সামনে আরো খারাপ হবে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মগের মুল্লুকের মতো অবস্থা। জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়লেও মনে হয় দেখার কেউ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.