নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শিক্ষক জীবনের আনন্দ-বেদনার গল্প

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০১


১ বছরের উপর মালিবাগের টিউশনিটা করিয়েছি। বাসা বদল করার কারণে কয়েকমাস হলো বাদ দিয়েছি। মহাখালী থেকে মালিবাগ গিয়ে পড়ানো সম্ভব হয় না। লিঙ্করোড হয়ে গেলে যাওয়া-আসায় ২ ঘণ্টা পার। সাতরাস্তা-মগবাজার হয়ে গেলে যানজট। মাঝেমধ্যে যেতেই ২ ঘণ্টা! আবার পড়ানো ২ ঘন্টা৷বেতন দেয় মাত্র ৪ হাজার টাকা। পোষায় না, তাই বাদ দিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।

হঠাৎ টিউশনি বাদ দিতে চাওয়ায় বাচ্চাদের মা অবাক হয়েছিলেন। আমি তো হুটহাট টিউশনি বাদ দেওয়ার মতো লোক না। আমি উনাকে বলতে পারছিলাম না, এত অল্প টাকায় চলছে না আমার। আমাকে অন্য রাস্তা দেখতে হবে, উপার্জন বাড়াতে হবে। যদিও উনি জানতেন আমি বাসা বদল করেছি। আসা-যাওয়ার খরচ আছে। সময়ও যায় অনেক।

যখন ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছিল, তখন সব বলতেই হলো। আমি কেন ২ ঘণ্টার উপর পড়াই, সেটাও বললাম। কিছু টাকা বাড়িয়ে দিলে হয়তো মালিবাগেই থাকা যেত। এখন তো উপায় নেই। উনি বললেন, 'আগে জানালে ভালো হতো।'

প্রতিটা মানুষের কাছেই সময় খুব মূল্যবান। একজন গৃহশিক্ষক যখন বেশি সময় পড়ান, তার প্রত্যাশা থাকেই কিছু টাকা বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো। সেটা হয়তো সরাসরি বলা যায় না। এমন হতো তারা অভাবী। সেক্ষেত্রে টাকা বাড়ানো নিয়ে জোরাজোরি নেই। বাচ্চারা ভালো স্কুলে পড়ছে। আরও টিউশনি খরচ চলছে। সংসারের সব খরচ চলছে অথচ বেগার খাটানো শুধু নির্দিষ্ট একজনকে!

সেটাও কথা না। সবসময় যে টাকার জন্যই পড়াই, তাও না। মনের টানেও পড়াই। বহুদিনের অভ্যাস তো। মায়া পড়ে গেছে। এখনও মনে হয়, বড় অঙ্কের টাকার চাকরি পেলেও টিউশনি করাব অথবা ভালো স্কুল পেলে শিক্ষকতা করব।

মনের টানেই পড়াই আর যে কারণেই পড়াই। আমাকেও তো খেতে হয়, পরতে হয়, পরিবারের কথা ভাবতে হয়। নিজের দুঃখের কথা বাদ। ভালোবাসার টানে পড়ালেও দিনশেষে তো পরিবারের কথা ভাবতে হয়। সবই বলে এলাম আসার সময়। এটাও বলে এলাম, শিক্ষক পেতে সমস্যা হলে জানাবেন। উনি জানাবেন বলে মনে হলো না। কারণ, উনি কিছু টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন। আমি রাজি হইনি।

মাসখানেক পর যখন বাচ্চাদের দেখতে গেলাম, উনি জানালেন শিক্ষক রেখেছেন। পড়ালেখা ভালোই চলছে। তবে আমার মতো ৬-৭ দিন পড়ান না সপ্তাহে। ৫ দিন পড়ান। গুনে গুনে ২ ঘন্টা করে।

বললাম, 'সবাই তো আর আমার মতো বোকাসোকা না!'

উনি হেসে বললেন, 'আপনি বোকাসোকা কে বলল? মানুষ হিসেবে অত্যাধিক সৎ আপনি৷ আমার বোন থাকলে বিয়ে দিতাম।'

আমি বললাম, 'এমন গরিব ছেলের কাছে কেউ মেয়ে/বোন বিয়ে দেওয়ার কথা না।'

আমি চলে আসার পর উনি অনেকদিনই ফোন দিয়েছেন। আমি যেন বাসায় যাই। সময় সুযোগ হয় না৷তাছাড়া সঙ্কোচও লাগত। মানুষ আসলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে জানে না। উনি যখন বারবার যেতে বলতেন; এ প্রবাদটা মনে পড়ত শুধু।

এমন ব্যাপার মুগদার মাধ্যমিকে পড়ুয়া মেয়েটার ক্ষেত্রেও ঘটেছে। কয়েকমাস পড়িয়েছি। মালিবাগ থেকে পড়াতে যেতাম। সারা মাস পড়িয়ে পেতাম ২ হাজার টাকা। বাস ভাড়া চলে যেত ৫০০। আসলে এত অভাব ছিল, না পড়িয়ে উপায়ও ছিল না৷আরেকটা কোচিংয়ে পড়িয়ে তো সারা মাসে ৬ হাজার পেতাম। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে কোচিং করিয়ে মাস শেষে ৬ হাজার। ভাবা যায়?

মুগদার মেয়েটা এ+ পেয়েছিল; এ কথা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছিল। অবশ্য ফল পাওয়ার আগেও সে মেসেজ দিত। আমি তো মন খারাপ করে যোগাযোগ রাখিনি অনেকদিন। কারণ, আমার কাছে মনে হতো অন্য শিক্ষকদের তুলনায় আমি খুব অবহেলিত। মাঝেমধ্যে বাসায় গিয়ে ফেরতও আসতে হয়েছে। একদিন অন্য শিক্ষক এসেছেন, অন্যদিন বেড়াতে যাবে। এসব কাণ্ড ঘটছিল। আমাকে আগে থেকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করত না।

একদিন হঠাৎ মেসেজ পেয়ে অবাক হয়েছিলাম। জিগ্যেস করেছিলাম, 'আমার কথা এখনও মনে আছে?' সে বলেছিল, 'আপনার মতো শিক্ষক হয় না। মানুষ হিসেবেও আপনি অসাধারণ।' ব্যাপারটা আমি জানতাম না অবশ্য। শহুরে আধুনিক আবার ভালো একজন ছাত্রী যখন এমন প্রশংসা করেছে, তাহলে সত্যিও হতে পারে।

যাক সে কথা। সেদিন হঠাৎ ফোন দিল মালিবাগের ছাত্রীর বাসা থেকে। গেলাম, পড়ালামও ঘণ্টা ২। পিচ্চি মেয়েটা, যাকে একদিন মেরেছিলাম, সে পড়তে বসল।

যে মেয়েকে তেরোমাস পড়িয়ে স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ শেখাতে পারিনি, এবিসিডি শেখাতে পারিনি, এক-দুই শেখাতে পারিনি; সে এখন সব পারে। লিখতে দিলাম, সব লিখল।

অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি। দেখি, তার গালে লাল একটা দাগ। 'কীসের দাগ, আন্টি?' তার ৪র্থ পড়ুয়া বোন বলল, 'স্যার, তার দাঁত পড়েছে।' আমি বললাম, 'সত্যি নাকি?' সে বলে, 'জ্বি৷ স্যার।' আমি বলি, 'আন্টি আপনি তো আমার মায়ের বয়সি। এত পড়ালেখা কেমনে পারেন?'

ওর মা বলে, 'ওই যে একদিন মারলেন। এরপর থেকে তো পড়ত প্রতিদিন। তাছাড়া আপনি যেভাবে শিখিয়ে গেছেন, সেভাবেই পড়ছে। আমি দেখাই।'

এখনকার শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলাম। উনি বললেন, 'বাদ দিয়েছি।'

বাচ্চাদের বাবার সাথে দেখা হয়েছিল রাস্তায়। উনি বলেছিলেন নতুন টিচার তেমন পড়াতে পারেন না, তাই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাচ্চার মাকে বললাম, 'নতুন টিচার রাখেননি?' উনি বললেন, 'একমাসের জন্য আর কী টিচার রাখব? আপনি যদি সময় দেন সপ্তাহে একদিন ভালো হতো।'

'একদিন পড়িয়ে কী এমন হবে?' আমি বলি। 'যতটুকু হয়।' রাজি হই অবশ্য। এতদিন পড়িয়েছি; একটা দরদ আছে না? টাকা-পয়সা লাগবে না বলি৷বাচ্চার বাপ বিরক্ত হন। 'বিনে পয়সায় পড়াবেন কেন?' আমি বলি, '৪ সপ্তাহে আর কত দেবেন?' আচ্ছা, মন চাইলে দিক। জীবনে তো কম মাগনা পড়াইনি৷একটু সচেতন হওয়াও দরকার আছে।

ছবি: ইন্টারনেট

আরও পড়ুন: ১) বেলা, অবেলা ও কালবেলাঃ টিউশন
২) ছিল মর্মবেদনা ঘন অন্ধকারেঃ কোচিং এর গল্প
৩) গাজীপুর শাইনিং পাথ হাইস্কুলে অতিবাহিত করা যৌবনের উত্তাল সাড়ে ছয়মাস একদিন
৪) আমি ধর্ষক নই, প্রেমিক হইতে পারি বড়জোর
৫) মোহভঙ্গ

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১০

মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: জীবনের গল্পগুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১০

শায়মা বলেছেন: স্কুলের পড়া তার উপর প্রাইভেট টিউটর আমি নিজেও এই গোঁদের উপর বিষফোঁড়া কখনও আমার লাইফে পছন্দ করিনি। এখনও মনে করি প্রাইভেট টিউশনের আসলে কোনো দরকারই নেই যদি স্কুল আর বাবামায়েরা একটু সচেতন হয়।

বিশেষ করে এস এস সি এর আগে তো নয়ই!!! :(

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আসলে বড় স্কুলগুলোতে ক্লাসভর্তি বাচ্চা কাচ্চাবাচ্চা। শিক্ষকেরা ভালোভাবে সামলাতে পারেন না। বাড়িতেই সব ঠিকঠাক করতে হয়। সব অভিভাবক তো অতটা দক্ষ না। তাই বাধ্য হয়ে গৃহশিক্ষক রাখতে হয়।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি এখনো পর্যন্ত কোন টিউশনি করি নি । তাই কোন অভিজ্ঞতা নেই।
কখনো কোন ছাত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন অথবা ছাত্রী কি আপনার প্রেমে পড়েছিল ?

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল ২-৩ জন।

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শায়মা বলেছেন: স্কুলের পড়া তার উপর প্রাইভেট টিউটর আমি নিজেও এই গোঁদের উপর বিষফোঁড়া কখনও আমার লাইফে পছন্দ করিনি। এখনও মনে করি প্রাইভেট টিউশনের আসলে কোনো দরকারই নেই যদি স্কুল আর বাবামায়েরা একটু সচেতন হয়।

বিশেষ করে এস এস সি এর আগে তো নয়ই!!! :(


সবাই তো আপনার মত মেধাবী না।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাচ্চাদের ওপর চাপ পড়ে যায়। উনি বাচ্চাদের মনস্তত্ব ভালো বোঝেন।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


টিউশনী /কোচিং এগুলো কোন পেশা নয় এবং এগুলো থাকাও উচিত নয়।
দেশে ছাত্রছাত্রীদের জন্য পার্টটাইম কাজের সুযোগ থাকা উচিত।
সেটা যে কোন ধরনের কাজ হতে পারে।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যেকোনো কাজ জুটানোও কঠিন। চেনাজানা থাকতে হয়। এমনকি অনেক কোচিংয়েও সিভি দিলে ডাকে না, স্কুল-কলেজের চাকরি পরীক্ষায় প্রার্থী থাকে অনেক।

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

শায়মা বলেছেন: ৪. ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২০০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শায়মা বলেছেন: স্কুলের পড়া তার উপর প্রাইভেট টিউটর আমি নিজেও এই গোঁদের উপর বিষফোঁড়া কখনও আমার লাইফে পছন্দ করিনি। এখনও মনে করি প্রাইভেট টিউশনের আসলে কোনো দরকারই নেই যদি স্কুল আর বাবামায়েরা একটু সচেতন হয়।

বিশেষ করে এস এস সি এর আগে তো নয়ই!!! :(

সবাই তো আপনার মত মেধাবী না।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৪০

লেখক বলেছেন: বাচ্চাদের ওপর চাপ পড়ে যায়। উনি বাচ্চাদের মনস্তত্ব ভালো বোঝেন



সাধু ভাইয়ু বেঁজায় ভালো :)
ডার্ক ভাইয়ু পাজী X((
আমায় নিয়ে মারলো খোঁচা X(
ডাকছি এবার ( শূন্যস্থান পূর্ণ কলো :) )

বুঝবে মজা তারপরেতে
করিবেক হায় হায়
জিগাসিবে নিজের মনে
বেলতলাতে ঠিক কতবার যায়!




১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তবে আপনি মেধাবী; এটা কিন্তু অনস্বীকার্য।

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একজন সাইকোলজিস্ট আপনার এ পোস্ট পড়ে আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনেক ভালো কিছু তথ্য বের করবেন। আমিও বের করেছি, কিন্তু খুলে কিছু বলবো না, শুধু এ টুকু বলবো - আপনি 'অসাধারণ'।

ক্লাস ফাইভ-সিক্স-সেভেন পর্যন্ত আমি ছেলেমেয়েদের নিজেই পড়িয়েছি, তবে ওরা সবসময় টিউটরের কাছে পড়েছে, মেয়েটা খুবই লক্ষ্মী, কখনো পড়ালেখায় ফাঁকি দেয় নি এবং দিনের পড়া দিনেই শেষ না করে সে ঘুমাতো না। এরকম মেয়ে আমি ১০০টা পালতে পারতাম, যা এখন প্রায়শ আমি বলে থাকি। কিন্তু ছেলে ২টা নিয়া খুবই সমস্যায় আছি। একা একা তো পড়েই না, টিউটরকে ফোন করে বলে দেয় না আসার জন্য। সপ্তাহে ৪দিন দেড় ঘণ্টা করে পড়ানোর কথা, কিন্তু দেখা গেলো সারা মাসেই ৩/৪দিন মাত্র পড়িয়েছে। প্রাইভেট টিউশনির জন্য একটা নীতি মানা উচিত সব অভিভাবকের - পুরা টাকা দিয়ে দেয়া।

টিউটরদের জন্য এখন ভালো সিস্টেম আছে। মোবাইলে মেসেজ পাই গৃহশিক্ষকের ব্যাপারে। আপনি এখনো টিউশনি করাতে চাইতে তাদের কাছে আপনার নাম নিবন্ধন করাতে পারেন।

ভালো টিউটর পাওয়া আসলে ভাগ্যের ব্যাপার, সন্তানদের টিউটর খুঁজতে যেয়ে আমার এ অভিজ্ঞতা।

আমি অনেক ছাত্রকে দেখেছি, ক্লাস টাইমে বাসা থেকে বের হয়ে কলেজে না এসে সারাদিন আবাহনীর মাঠে খেলেছে, কিংবা খেপের খেলা খেলতে গেছে, এরপর একটানা ৩/৪/৫ টা কোচিং ক্লাস করে রাত ১০/১১টায় বাসায় ফিরেছে। এ তথ্য বের হতো অভিভাবক দিবসে, কিংবা হাজিরা খাতায় অ্যাবসেন্স দেখে অভিভাবকদের ডাকা হলে। কোচিং বিজনেস কিংবা প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করার জন্য অনেক চিঠিপত্র আছে, কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে তা বন্ধ হয় নি। বন্ধ না হওয়ার জন্য পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে। কোচিং বাণিজ্যের কারণে অনেক ছাত্র ক্লাসেই আসে না, যে উদাহরণ উপরে দিলাম। একজন অভিভাবক হিসাবে বুঝি, সন্তানদের জন্য টিউশনির টাকা যোগাড় করা কত কষ্টের। সন্তানরা যখন টিউশনির বেনিফিট না নিয়ে ফাঁকি দেয়, তখন সেই কষ্ট বহুগুণ বেড়ে যায়।

আপনার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য লগিন করেছি। পোস্ট পড়ে আমার কষ্ট লেগেছে। আমার কষ্ট লাঘবের জন্য কমেন্ট করলাম। মানুষের জীবনে কত কষ্টই না থাকে, যা অন্যরা জানে না।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মুগদার টিউশনিটা টিউশন মিডিয়ার মাধ্যমেই পাওয়া। ওদের কিছু ফি দিলে ওরা ম্যানেজ করে দেয়। তবে ঢাকা শহরে মেডিকেল-বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ভিড়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কারও স্টুডেন্ট পাওয়া কঠিন। তাও সুযোগ পেলে করব এক-দুটো।

আমার ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই সহানুভূতিশীল। আমি যে ক'জনের মন্তব্য পেতে বেশি পছন্দ করি, আপনি তাদেরই একজন। শুভেচ্ছা জানবেন।

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া একটুকরো গল্প।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আবার হঠাৎ করে লেখা :D

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: আমাদের পুরো জীবনের বাঁকে বাঁকে নানান গল্পের নোঙ্গর।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক তাই।

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমরা সবাই নিজেকে নানাভাবে উপস্থাপন করে থাকি নিজেদের ।

একেকজনের উপস্থাপন একেক রকম বৈচিত্র্যের ছাপ রেখে যায় ।

আপনারটাও কম বৈচিত্র্যের না ।

ভালো থাকবেন সাধু ভাই , কখনও অভিমানী , কখনও সমঝদার কিংবা কখনও বোকা হয়ে !!

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তবে লোকে আমাকে বোকাসোকা ভাবে মনে হয় :(

১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

স্প্যানকড বলেছেন: আমার জীবনের প্রথম ইনকাম ছিল টিউশনি ! তাও সখের বশে কিন্তু ওতে অভিজ্ঞতা কিছু প্রাপ্তি হয়েছে। তবে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভালো থাকবেন আনন্দে থাকবেন খুব।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লিখে ফেলুন। কবিতার পাশাপাশি এসব লেখা দরকার আছে।

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

শায়মা বলেছেন: ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯১

লেখক বলেছেন: তবে আপনি মেধাবী; এটা কিন্তু অনস্বীকার্য।


সব দিকেই তাইনা??? :P


চুয়াত্তর ভাইয়ু আর নির্বহন আসলেই মেধার আরও দিক উন্মোচনের ট্রাই করবে দেখো।


যে যাই করুক তোমার কমেন্টে আমি যাই আকাশ দিয়ে একটু ঘুরে ফিরে উড়ে আসি! :)

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে আপনার কাজকর্ম, পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে। সম্ভবত আপনার এ দিকটাই আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। দ্বিতীয় দিক আসে ইতিবাচক লেখালেখি।

১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: জীবনের এই টুকরো টুকরো ছবি দেখতে ভালো লাগে।

আমি একটা জিনিস দেখেছি মানুষ কিছুতেই বাসায় রাখা টিউটরকে ঠিকমতো মূল্যায়ন করতে চায় না। কেন এমন হয় জানিনা।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গৃহশিক্ষকরা মূলত নিরুপায় হয়েই টিউশনি করায়। দুর্বলতার সুযোগ নেয় অনেকেই।

১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: দিপুমনি গামছা বেধে নেমেচে, টিউশনির বারটা বাজিয়ে ছাড়বে বলেছে

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অভিভাবকগণ অত সময় দিতে পারেন না পড়ালেখায়। টিউটরদের ওপর নির্ভর করতেই হবে। স্কুলে তো সব ক্লিয়ার হয় না।

১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৯

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল! আমারও এমন একজন স্মরণীয় শিক্ষক আছেন কিন্তু কখনো শিক্ষকদের বোকা বা মার আমাকে খেতে হয়নি! টিচার আসার আগে আমার সবকিছু রেডি থাকত সবসময়!

অনেক সুন্দর লিখেছেন, ভালো লাগলো

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সম্ভবত আপনি শান্তশিষ্ট মেয়ে ছিলেন। এমন কিছু শিক্ষার্থী আমারও ছিল। গাজীপুরে একটা ক্লাসের সব মেয়ে ভদ্র ছিল। পড়ালেখায়ও ভালো ছিল।

১৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছোট বাচ্চাকে মারা ঠিক হয় নাই। পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেয়ার পরে আপনার থাকা উচিত ছিল। তবে ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবক আপনাকে পছন্দ করে এটা বোঝা গেল। একজন অভিভাবক নিজের বোন থাকলে আপনার সাথে বিয়ে দিতেন বলেছেন। এটা অনেক বড় চারিত্রিক সনদ।

আপনি শিক্ষতার আধুনিক স্টাইলগুলি রপ্ত করে ফেলেন। কারণ আধুনিক যুগের অনেক শিক্ষকের টাকা পয়সার অভাব নাই। আপনার দুর্বল দিকগুলি সনাক্ত করার চেষ্টা করেন।

শায়মা আপুর গুণগুলি সম্পর্কে সবাই আমরা জানি ব্লগে। ওনার কিছু মানবিক গুণ আছে। যেটা হয়তো তেমন আলোচিত হয় না। যেমন;

১। সামাজিক দায়িত্ববোধ আছে
২। আন্তরিক
৩। সংবেদনশীল
৪। আবেগ আছে
৫। সৎ
৬। মিশুক
৭। সহানুভূতিশীল
৮। সৌজন্য বোধ

আরও কিছু গুণ আছে। আর দোষ তেমন দেখি না। রাগ একটু বেশী মনে হয়।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোটামুটি ৬ বছর টিচিংয়ে ছিলাম। এর মধ্যে ১০-১২ টা প্রতিষ্ঠানে পড়িয়েছি। দেখেছি সব প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়ে একরকম নয়। শুধু কোয়ালিটির কথা বলছি না, বলছি আচার-আচরণের কথা। মানে বোঝাচ্ছি, সবসময় কোমল হয়ে থাকলে বা বুঝিয়ে কাজ হয় না। মাঝেমধ্যে রূঢ়ও হতে হয়। যদিও আমি কখনও রূঢ় হতে চাইনি, মাঝেমধ্যে বাধ্য হয়ে হতে হয়েছে।

বদভ্যাস বলেন আর দুর্বল দিক বলেন, সেটা হঠাৎ রেগে যাওয়া। এটা মনে হয় পারিপার্শ্বিক বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অনেক সময় হয়েছে। এ ব্যাপারটা থেকে উত্তরণ করার চেষ্টা করছি, উন্নতি হচ্ছেও মনে হয়।

১৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা আপুর এতো প্রশংসা করলাম, ওনাকে ডেকে এনে একটু দেখান। নইলে বিশ্বাস করবে না। :)

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যদ্দুর জানি, উনি অভিজাত এলাকায় পড়ান। উনি নিজেও অবশ্য অভিজাত ;)। আর অভিজাত এলাকার ছেলেমেয়েরা এত দুষ্টু হয় না। সামলানো সম্ভব। অবশ্য উনি চাইল্ড সাইকোলজি বোঝেন; সেজন্য সব ধরনের ছেলেমেয়েকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন হয়তো।

১৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমারো এমন বেশ কয়েকটা অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই ৯৬,৯৭,৯৮ আহা টিউশনি করে চলতে হতো! একবার এক ছাত্রীর মা কলা আর বিষ্কিট নাস্তা দিলে কলাটা কালো দেখে বলেছিলাম ছাত্রীকে, তুমরা কি এমন পঁচা কলা খাও? এরপরেই টিউশনী নেই হয়ে গেল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমাকে একবার এক জায়গায় দিল শক্ত টোস্ট বিস্কুট। এমন শক্ত যে দাঁত ভেঙে যাওয়ার জোগাড়।

১৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:০০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখা পড়ে পুরোনো কিছু কথা মনে পড়লো। আশা করছি ব্লগ আকারে লিখে পোস্ট করবো। ধন্যবাদ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লিখে ফেলুন। লিখলে স্বস্তি লাগে।

২০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:২৭

শার্দূল ২২ বলেছেন: কলেজ জীবনে ছোট ভাইকে পড়িয়েছি কিছু, সময় । কিন্তু ছোট ভাই আমাকে একদম ভয় পেতনা। পড়তে বসলে মিটমিট করে হাসতো। আমি যে শিক্ষকের অভিনয় করছি সেটা সে ধরতে পারতো। বলতো ভাইয়ার তোমার এই অভিনয় ভালো হচ্ছেনা। বাসায় আমি একদম ছেলে মানুষ।আপুর ছেলে মেয়েদের সাথে আমার দুষ্টমি দেখে আপু বলে বসতো কোনটা আমার ছেলে আর কোনটা আমার ভাই মিলাতে পারিনা, সারা সময় সবার সাথে খোঁচাখুচি করা বড় ভাই হুট করে টিচার বনে বসে আছে সে মানতেই পারতোনা। একদিন তাকে জড়ায় ধরে বললাম শুধু ২ ঘন্টার জন্য আমাকে যেন একটু ভয় করে। সে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি করে বলে ওক চেষ্টা করবো।

আপনার সহজ সরল নিঃষ্পাপ কথা গুলো আমাকে ছুঁয়ে দিলো।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমি অবশ্য দুষ্টুমি করিনি কখনও। অন্তত কিশোর বয়সের পর থেকে তো নয়ই। তাই আমাকে সমীহ করে চলত সবাই। এসএসসি পরীক্ষার পর আমার ভাইবোনদেরও পড়িয়েছি। এমনকি কলেজে উঠে ক্লাসমেটদের ইংলিশ পড়িয়েছি।

২১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:




মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমারো এমন বেশ কয়েকটা অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই ৯৬,৯৭,৯৮ আহা টিউশনি করে চলতে হতো! একবার এক ছাত্রীর মা কলা আর বিষ্কিট নাস্তা দিলে কলাটা কালো দেখে বলেছিলাম ছাত্রীকে, তুমরা কি এমন পঁচা কলা খাও? এরপরেই টিউশনী নেই হয়ে গেল।

একেতো পঁচা কলা দিয়েছে, তার ওপর বলাতে চাকরি নট, নির্মম!!!!

তবে মাহমুদ ভালো করেছে, বলে আসছে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: টিউশনি করালে বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়! পঁচা-বাসি খাবারও দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

২২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:




মানুষ হিসেবে অত্যাধিক সৎ আপনি৷ আমার বোন থাকলে বিয়ে দিতাম।'

সত্যিই পছন্দ করতেন।

'আপনার মতো শিক্ষক হয় না। মানুষ হিসেবেও আপনি অসাধারণ।

কমপ্লিমেন্ট থেকে মনে হচ্ছে রূপক আসলেই একজন ভালো শিক্ষক।

পিচ্চি মেয়েটা, যাকে একদিন মেরেছিলাম,

বাচ্চাদের মারা এটা কিন্তু ঠিক না।
যদিও মা বলেছে সেদিন থেকে পড়তো বলে ভালো শিখেছে, তারপরও না মেরে বুঝিয়ে বলতে হবে।


১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাচ্চাটাকে ১৩ মাস পড়ানোর পর যা অগ্রগতি, পরবর্তী একমাসে তারচেয়ে বেশি অগ্রগতি। এত বোঝানো এত আদর দেখে একসময় ওর মা ওর বাবার কাছে বলে বসেছিল, স্যার তো আদর করেই কূল পান না।

২৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৯

মারুফ তারেক বলেছেন: আপনি শব্দনীড় ব্লগেও লিখতেন, চার কিংবা পাঁচ বছর আগে! গেল চার বছর সামুতে আসিনি তেমন, শব্দনীড় বন্ধ হয়ে গেছে৷ আপনাকে দেখে চিনতে পেরেছি, ভালো লাগলো দেখে। শুভকামনা জানবেন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হ্যাঁ। কিছুদিন লিখেছিলাম। ওই ব্লগটা জমে উঠতে পারেনি।

২৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

শায়মা বলেছেন: স্কুলের পড়া তার উপর প্রাইভেট টিউটর আমি নিজেও এই গোঁদের উপর বিষফোঁড়া কখনও আমার লাইফে পছন্দ করিনি। এখনও মনে করি প্রাইভেট টিউশনের আসলে কোনো দরকারই নেই যদি স্কুল আর বাবামায়েরা একটু সচেতন হয়। বিশেষ করে এস এস সি এর আগে তো নয়ই!!! :(

অবজেকশন, মাননীয় স্পিকার! এখন দেশের কোন স্কুলেই পড়াশোনা কিংবা পড়ালেখা কোনটাই হয় না। স্কুলে নাম তোলা হয় বার্ষিক পরীক্ষা কিংবা বোর্ড কর্তৃক আয়েজিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া। বাকি সব পড়ালেখা করাতে হয় কোচিং থেকে। বড়ই আশ্চর্যজকন বিষয় এই যে, স্কুলের সেই কোচিং করান সেই স্কুলেরই বিজ্ঞ ও সম্মানিত শিক্ষকগণই। সাইনপোর্ডের ভাষায় যাদেরকে বলা হয় "স্যার"। যেমন রহিম স্যার, করিম স্যার, আবুল স্যার, মফিজ স্যার ইত্যাদি।

আমার জীবনের একটি অত্যন্ত গোপন কথা মাননীয় স্পিকার এই মহাসুযোগে ফাঁস করে দিচ্ছি। আমি দোহার উপজেলার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে এস এসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। কিন্তু ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত আমার কোন ব্যক্তিগত ওস্তাদ ছিলেন। যা কিছু শিখেছিলাম তা বলতে গেলে একদম নিজের প্রচেষ্টায়।

অবশ্য এখানে আমার পিতৃদেবের অর্থনৈতিক স্টেটাসও একটি বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল। উনি সংসার চালাতেন "দিন আনি দিন খাই" পদ্ধতিতে ।
আফসোস!

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমারও তেমন প্রাইভেট পড়ার সুযোগ হয়নি, অভাব ছিল অনেক। হয়তো এক-দুই মাস গণিত পড়েছি।

২৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার গৃহশিক্ষকদের কথা মনে পড়েছিল গত রাতে। ভাবছি একদিন তাদের নিয়ে লিখবো।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মনে পড়লে হুটহাট লিখে ফেলাই ভালো। সময় নিয়ে হয় না। আমার এই লেখাটাও হুটহাট লেখা।

২৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমি শিক্ষক হলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভালো হতো।
আপনার আজকের লেখাটা ভালো হয়েছে। মানুষের জীবনের গল্প গুলোই আসল গল্প।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার জানাশোনা থাকার কথা। ঢাকার কোনো স্কুলে ঢুকে যেতে পারেন। তবে আমার ধারণা আপনি ছেলেমেয়েদের সামলাতে পারবেন না। এখনকার ছেলেমেয়েরা বেশ দুষ্টু। স্কুলে পড়ানোর চেয়ে বেশি জরুরি ছেলেমেয়েদের নিয়ন্ত্রণে রাখা।

২৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

মোগল সম্রাট বলেছেন:

খুলনায় এক সময় টিউশিনি করতাম। চিত্রালী বাজারে সামনে। তিন ভাইকে একসাথে। ২০০১/২০০২ সালের দিকে। সেই সব ছাত্র-ছাত্রীরা এখন সবাই সংসারী । গত বছর হঠাৎ এক ছাত্র কল দিয়ে জানালো সে দক্ষিন কোরিয়ায় আছে। আমার মোবাইল নম্বর কষ্ট করে কালেক্ট করে ফোন দিয়েছে আমার খোজ খবর নেয়ার জন্য। অবাক হলাম তারা আমাকে এখনো যত্ন করে মনে রেখেছে।

আপনার লেখা পড়ে সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। প্রায় দেড় দেড় তিন কিলো পায়ে হেটে পড়াতে যেতাম।

শুভকামনা নিরন্তর।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ছাত্রছাত্রীরা মনে রাখলে নিজের মধ্যে একটা আত্মতৃপ্তি কাজ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.