নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিন্নপত্র

আশরাফুল ইসলাম রাসেল

প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি(সম্মান) কলেজ, হবিগঞ্জ(নিয়োগ আছে দুই বছর ধরে। তদবিরের অভাবে কাজ নেই, ভাতাও নেই। গভর্নিং বডির সভাপতির সাথে দেখা করার জন্য অধ্যক্ষ পরামর্শ দিলেও এ ব্যাপারে আমি অদক্ষ) )। সম্মান শ্রেণির শিক্ষক আমরা একবেলা খাই- শিরোনামে ইত্তেফাক-এ একটি লেখা প্রকাশ করায় প্রভাষকের(সৈয়দ সঈদ উদ্দীন কলেজ, মাধবপুর, হবিগঞ্জ) দায়িত্ব হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত।

আশরাফুল ইসলাম রাসেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষনে মুগ্ধ জাতি কান্নায় বধির

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

বছর ;শষে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে ধর্ষনের মাটা অংকের চিত্র না থাকলে আমাদের যেন মানায়ইনা । সব কিছুতে যখন বেশী বেশী চাই তখন ধর্ষনের ঘটনায় পিছিয়ে থাকবে কেন? এই ধারাবাহিকতার শিকার সোহাগী জামান তনু। ধর্ষনঅপচেষ্টার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে এক কিশোরী। ধর্ষন করতে না পেরেও জেল হওয়ায় আরো বেশী হিংস্র হয়ে উঠে অপচেষ্টাকারী ওই যুবক। তাই, জেল থেকে বেরিয়েই ধর্ষন এবং হত্যাকান্ড ঘটায় যুবকটি। এভাবে, ধর্ষনের সংবাদ ছাড়া সংবাদ পত্রের পাতা অপূর্ণ থাকে । ধর্ষন এখন নিত্যনৈমিত্তিক। অভিভাবক,শিক্ষক,প্রশাসন ও সমাজ কেকউই পারছেনা এই বিকৃতি ও অধঃপতন ঠেকাতে। উল্টো মাদ্রাসার হুজুর বিদ্যালয়ের-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও মাঝে মাঝে জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষন প্রচেষ্?ায়। ঢাকার এক বিখ্যাত স্কুলের শিক্ষক পরিমল জাতিকে একটি ধর্ষনোপখ্যান উপহার দিয়েছেন। জেল জরিমানা সালিশ ক্ষতিপূরণ প্রদান ইত্যাদি নিয়মিত হলেও সামাজিক ও নৈতিক নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্?া করা সম্ভব হচ্ছেনা। ধর্ষন এর ঘটনা আমাদের সামাজিক সামষ্টিক ভাবমূর্তি স্পষ্ট করে দিয়ে এটাই বুঝাতে চায় যে , উন্নত রুচি ও সুশীলমনস্কতা যদি শিক্ষা ও সামাজিকতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হয় তাহলে আমরা অবশ্যই এর উল্টো দিকে যাচ্ছি অথবা জাতি হিসাবে আমরা এখনো যাত্রা শুরু করতে পারেনি। কিছু আধুনিক আধুনিক ও বিদেশী শব্দ আমাদের মোহগ্রস্থ করে রেখেছে । আমরা দূর্বোধ্য শব্দ শুনেই আত্মহারা, যেযমন ঃ আই.সি.টি, ডিজিটাল। তবে,এখন পর্যন্ত শব্দ গুলোর অর্থ, মানে ও প্রয়োগ দেখা যায় না, যতটা প্রয়োগ ধর্ষন ও দূর্নীতির। হুজুগ অন্ধবিশ্বাস ও অশিক্ষা এখনো ও আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করছে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে সমাজ। প্রানঘাত্রী সংক্রামকে আমরা সংক্রমিত। ধর্ষণের শিকার শুধুমাত্র ঐ শিশুটি-তরুনীটি-মহিলাটি নয়, ধর্ষণের শিকার হচ্ছে পূরো সমাজ । আমরা শরীর নির্ভর জাগতিক জীবন যাপন করি বলে ঐসব ধর্ষণের ঘটনা আমাদের মনে প্রযোজনমত অনুভূতি সৃষ্টি করেনা । তাই, আমরা নিজের শরীর বুঝি সামাজিক শরীর বুঝিনা। এতে অনিরাপদ হয়ে উ?ে জীবন। ফলে, অন্যান্য অপরাধ ও পশুবৃত্তি ছড়িয়ে পড়ছে, ব্যক্তি ধর্ষণ বেড়েই চলছে । অপূর্ণ শিক্ষা সামাজিক বিচ্যুতির মূলে প্রধান নিয়ামক হিসাবে কাজ করছে। দশ বছর ধরে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পাশ করে যাচ্ছে । সৃজনশীল শিক্ষা পদ্বতি চালু হলেও বন্ধ হয়ে গেছে মৌলিক সৃজনশীলতার চর্চা । মফস্বলের স্কুল কলেজগুলোতে খেলাধুলা, নাটক, কম্পিউটার ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব বিতর্ক সভা, সাহিত্য সভা, সঙ্গীত চর্চা ইত্যাদির মত পা?্যক্রম বহির্ভূত অথচ সর্বাগ্রে জরুরী বিয়যগুলো অপরিচিত থাকছে । চি?ি, আবেদনপত্র, মানপত্র, নোটিশ ইত্যাদি বিষয় পরীক্ষা পাশের জন্য জরুরী ভিত্তিতে মূখস্থ করলেও বাস্তব প্রয়োজনের সময় এগুলো প্রয়োগে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ন অপারগ, †যমন: জীবন বৃত্তান্ত ইংরেজীতে লিখে দিলেও †বশীরভাগ †ক্ষত্রেই মুখে বলতে পারে না, কি লিখেছে তাও জানেনা। †মাট কথা, সনদে ভাল ফলাফলের স্বীকৃতি থাকলেও অধিকাংশ †ক্ষত্রে অন্তঃসারশূন্যতা আমাদের নিরাশ করছে । উদাহরন হিসাবে বলা যায়, বিগত ১০ বছরে উচ্চ মাধ্যমিক, †কান কোন †ক্ষত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করা শিক্ষার্থ†দর ৬০ ভাগ নিজের সম্পর্কে তথ্যাবলী লিখতে ও বলতে পারেনা । অবিশ্বাস্য হলেও সত্য †য, স্নাতক সম্পন্ন করা ব্যক্তি নিজের নামও লিখতে পারেনা । †দখাদেখি করে লিখতে গিয়ে অন্যের পিত্মাাতার নাম ও †রাল নম্বরও লিখে †দয় ।###গবেষণায় †দখা †গছে, স্কুল কলেজের বিভিন্ন আবেদনপত্র শিক্ষার্থী নিজেরা লিখেনা বলে নিজের সম্পর্কে তথ্য দিতেও তারা ব্যর্থ। শিক্ষাঙ্গনগুলোও অকার্যকর, টাকা দিয়ে অশিক্ষা কিনছে সবাই । ফলে, †মাট জনসংখ্যার অর্ধেকের †বশী তরুন সুশিক্ষা-মননশীলতা-সৃজনশীলতা-রুচিশীলতা অর্জনে পিছিয়ে থাকছে। অন্যদিকে, সর্বত্র †পাঁছে †গছে অল্পমূল্যের †বশী সুযোগ পাওনা †মাবাইল †ফান। অপূর্ন শিক্ষায় তথাকথিত আধুনিকতার খàড়ে পড়ে অন্ধকারে পা বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি, ঘরেঘরে চলছে ষ্টার জলসা জি বাংলা ষ্টার উৎসব, বাজারে বাজারে কম্পিউটার ভর্তি নীল ছবি ও নগ্নকামনা, শিক্ষাবোর্ড ভর্তি সনদের স্তুুপ, বিপনী বিতান দখল করা বিশ্ববিদ্যালয় আর মিথ্যা অহংকার আমাদের †?লে দিচ্ছে অন্ধকারে, প্রজন্ম হয়ে উ?ছে ধর্ষনোন্মুখ। শিশু-কিশোরদের †য সময়ে একটা সুশীল আশ্রয় দরকার †সখানে আশ্রয় নিয়ে আসে অডিওভিডিওভিত্তিক অশ্লীলতা। মানসিকতার বিকাশের বদলে বিকৃতি ঘটছে। শিক্ষাহীন সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা পড়ালেখাকে †ছলেখেলায় পরিনত করেছে, আর অন্য হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে অফুরন্ত মনোরঞ্জনের হাতিয়ার এমপিফোর-ফাইভ। নিজের †মধা ও বুদ্ধি দিয়ে কিছু করতে হয়না, সব তৈরী থাকে, শুধু সময় ও মনোযোগ দিতে হয়। সময়- †য সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ তা বুঝতে †দয়ার সময় পর্যন্ত †নই। শিক্ষার্থীরা †যমন অনাগ্রহী শিক্ষকরাও †তমন উদাসীন। সময় †দয়ার মত সময় কারো নেই। তাই, †কউ শুনতে পায়না ধর্ষিতার আহাজারী যতক্ষন না নিজের গায়ে আচড় লাগে। ধর্ষনের ঘটনা প্রায়ই ধামাচাপা দিয়ে রাখার †চষ্টা করা হয়। ধর্ষক যদি নড়াচড়া করার সুযোগ পান তাহলে সহজেই কমিয়ে ফেলতে পারে নিজের অপরাধ। প্রায়ই, সালিশের মাধ্যমে নগদ ক্ষতিপূরন প্রদান করার মাধ্যমে ফিরিয়ে †দয়া হয় ধর্ষিতার চিৎকারের মূল্য। এভাবে জিইয়ে রাখা হয় আরেকটি ঘটনাকে। কর্মমূখী ও প্রায়োগিক শিক্ষার অভাব ও উদ্দেশ্যহীনতায় চারদিক বয়োঃপ্রাপ্ত কিন্তু বখাটে । অযোগ্যতাজনিত কর্মহীনতা শক্তি †যাগাচ্ছে অধঃপতনে । অনিয়ন্ত্রিত শারিরীক জীবন লাঞ্ছিত করছে মানবিকতাকে, উত্যক্ত করছে, খামছে ধরছে ধর্ষণ অভিপ্রায়ে । ধর্ষিত হচ্ছে আমাদের †সানাফলা উর্বর মাটি ও সময় । নিরীহ, সৎ ও †সবাপরায়ন কিন্তু সাহসী জাতি হিসাবে আমাদের সভ্যতাও কলঙ্কিত হচ্ছে ধর্ষকের কাছে। অথচ, আমরা অপরাধে †চাখ বন্ধ করে নিজের পালাবার পথ খুঁজি, মানুষের আর্ত-চিৎকার ও আহবানে বধির হয়ে থাকি। ###মানসিক অপ্রকৃতস্থতা মানুষ মাত্রই স্বাভাবিক কিন্তু এই অসুস্থতা জাতীয় ব্যাধিতে পরিণত হওয়া অশালীন ও আশংকাজনক । সুশীল মনেবৃত্তি, আইনও রীতিনীতিতে শ্রদ্বাশীল শিক্ষিত ব্যক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করার বিপরীতে অদ্ভুত এক সামাজিকতায় ভর করে আমরা তৈরী করছি ক্রুর নৃশংস ছাত্রনেতা, ভাড়াটে খুনী, ঘুষখোর-দূর্নীতিধার্মিক চাকুরীজীবি, ভন্ড রাজনীতিক আর লম্পট ধর্ষক । জীবনের মহত্বম লক্ষ্য নির্ধারন করতে এবং করে দিতে আমাদের সমাজ আজও ব্যর্থ তাই, সমাজকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছেনা । এখানে সচেতন ব্যক্তিমাত্রই নিঃসঙ্গ । চলমান পরিস্থিতি, সচেতন ব্যক্তিকে বিরক্ত করে এমনকি হত্যাও করতে পারে । যেন, অশ্লীলতার রাজ্যে শ্লীলতা কামনা করাও অন্যায়। তাই, জাতি হিসাবে আত্মগেŠরব রক্ষার্থে সর্বাগ্রে প্রয়োজন তনু ধর্ষণের বিচার ও অন্ধকারাচ্ছন্ন মনোবৃত্তিকে প্রতিহত করা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.