নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিন্নপত্র

আশরাফুল ইসলাম রাসেল

প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি(সম্মান) কলেজ, হবিগঞ্জ(নিয়োগ আছে দুই বছর ধরে। তদবিরের অভাবে কাজ নেই, ভাতাও নেই। গভর্নিং বডির সভাপতির সাথে দেখা করার জন্য অধ্যক্ষ পরামর্শ দিলেও এ ব্যাপারে আমি অদক্ষ) )। সম্মান শ্রেণির শিক্ষক আমরা একবেলা খাই- শিরোনামে ইত্তেফাক-এ একটি লেখা প্রকাশ করায় প্রভাষকের(সৈয়দ সঈদ উদ্দীন কলেজ, মাধবপুর, হবিগঞ্জ) দায়িত্ব হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত।

আশরাফুল ইসলাম রাসেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

[ংন]সম্মান শ্রেণির শিক্ষক! আমরা এখন ঘাস খাই[/ংন]

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

“সম্মান শ্রেণির শিক্ষক, আমরা এক বেলা খাই” শিরোনামে আমার একটি পত্র দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার চিঠিপত্র বিভাগে প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ লেখাটি প্রকাশিত হবার দিন, হবিগঞ্জের সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সভা ডেকে আমাকে প্রভাষক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। কোন সতর্কতা বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে উক্ত কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান শাখার প্রভাষক পদ থেকে বরখাস্ত করে একবেলা খাবারের পথটিও বন্ধ করে দেন। আমাকে দেয়া অব্যাহতি পত্রে পত্র-পত্রিকায় লেখাকে একমাত্র অপরাধ বলে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়। মূলত উচ্চশিক্ষা ও গবেষনা করার উদ্দেশ্যেই শিক্ষকতার পেশাকে বেছে নিয়েছিলাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সাথে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের পরিচিতি ও সাক্ষাৎকারের দিন কলেজের লাইব্রেরী ও নতুন সেমিনার কক্ষ দেখে, বেতন-ভাতা যাই হোক একটি লাইব্রেরী পাওয়া সবচেয়ে জরুরী মনে করে উক্ত কলেজে যোগদান করি। ক্লাস শুরু হবার পর দেখা যায় সেমিনার কক্ষ ফাকা, বই-আসবাবপত্র শূন্য ও লাইব্রেরী তালাবদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন দলের সাথে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বৈঠকে সরকারী বিধি মোতাবেক বেতন-ভাতা পরিশোধ করার শর্ত দেয়া হয় এবং কলেজ কর্তৃক শর্ত পূরনের অঙ্গীকারনামাও দাখিল করা হয়। কিন্তু সম্মান শ্রেণির শিক্ষকদের দেয়া হত প্রতিশ্রুত বেতন-ভাতার অর্ধেক। উক্ত কলেজ হতে অব্যাহতি প্রাপ্তির দুই বছর আবার ডাক আসে শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি (সম্মান) কলেজ থেকে। এখানে অনার্স কোর্সের জন্য সৃষ্ট পদে নিয়োগ পাই। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সম্মান শ্রেণি খোলার অনুমোদন পাওয়ার শর্তমোতাবেক প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ১৮ ডিসেম্বর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ ও যোগদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য, যথাসময়ে নিয়োগপত্র আমার নিকট না পৌঁছায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করে উক্ত পদে যোগ দিতে আমাকে অনুরোধ করেন। ক্লাস শুরু হওয়ার দিন থেকে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহনের আহবান জানানো হবে বলে যোগদানকৃত প্রভাষকদের জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। যথারীতি সম্মান শ্রেণির ক্লাস শুরু হবার পর দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটার পর আমি কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করি। বিভিন্নভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষের প্রতারনার বিষয়টি বুঝতে পারি। অধ্যক্ষ জানান, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার অংশগ্রহনকারী সকলকে যোগদান করানো হয় এবং পরীক্ষার অর্জিত ফলাফলের মেধাক্রমে পর্যায়ক্রমে সকলকে শিক্ষকতার সুযোগ দেয়া হবে। এ বছর দুইজন প্রভাষককে শ্রেণি কার্যক্রমে যুক্ত করা হয় বলেও অধ্যক্ষ জানান। শর্ত পূরনের লক্ষ্যে শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ প্রতি বিষয়ে ছয় জন করে প্রভাষক নিয়োগ দেখিয়ে সম্মান কোর্স চালু করার অনুমোদন লাভ করে। সরকারী বিধি মোতাবেক পদ গুলো এমপিওভূক্ত না হওয়া পর্যন্ত কলেজ ফান্ড থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের অঙ্গীকারও প্রদান করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুমোদন পাওয়ার পর কলেজের বিভিন্ন বিষয়ের স্থায়ী শিক্ষকদের দিয়ে সম্মান শ্রেনির কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানান অধ্যক্ষ। এদিকে, চাকুরী আছে বেতন-ভাতা নেই- এমন অবস্থায় জীবন যাপন করা কতটা দূর্বিসহ তা বলা বাহুল্য। এছাড়াও, নিয়োগ পরীক্ষার নামে আমাদের নিকট থেকে গৃহিত ব্যাংক-ড্রাফট, নিয়োগ পরীক্ষার খরচ যোগাড় করার জন্য দূর্ভোগ পোহানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর পরিস্থিতিও মোকাবেলা করতে হয়েছে। প্রভাষকদের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারনার বিষয়টি যাচাই করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারলাম, সম্মান কোর্স পরিচালনায় যোগ্যতাসম্পন্ন প্রভাষক নিয়োগের শর্ত এবং বাধ্যবাধকতা থাকা সত্বেও কলেজগুলো শর্ত লংঘন করছে বলে শতাধিক অভিযোগ কর্তৃপক্ষের নিকট জমা রয়েছে। এমতাবস্থায়, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উচ্চমাত্রার ধোঁকা খাওয়ার পাশাপাশি ঘাস ভক্ষন নিয়মিত করে নিয়েছি। তাই, এখন বলতেই পারি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান! শ্রেণির প্রভাষক, আমরা ঘাস খাই। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, গভনিং বডির সভাপতি ও সচেতন মহলের নিকট থেকে জানতে চাই- আমরা আর কতদিন ঘাস খাব?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

বিজন রয় বলেছেন: এখন কি করবেন।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

আশরাফুল ইসলাম রাসেল বলেছেন: ঘাস খেয়ে যাচ্ছি। আর কি করার আছে?

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: যা শিরনাম দিলেন না, একেবারে হৃদয় কেঁপে উঠল!"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.