নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আভ্যন্তরীণ আদিম পশুত্বের নিয়ন্ত্রনে সদা সচেষ্ট মানুষ আমিও আর সবার মত।
এমনকি এক মিনিটের জন্যও ফেইসবুক বন্ধের চিন্তা স্টুপিডিটি, দায়িত্বহীনতা কিংবা রাষ্ট্রীয় হীনমন্যতা ছাড়া আর কিছু নয়। যে পড়ালেখা করার সে পড়ালেখা করবেই। আর ফাঁকিবাজরা ফেইসবুক, স্কাইফ, হোয়াটস আপ ইত্যাদি না থাকার সময়েও ছিলো এবং এসব বন্ধ করে দিলেও থাকবে। উদোর পিন্ডি বুদোর গাঁড়ে না চাপানো উচিত। বরং উচিত প্রশ্নপত্রফাঁস রোধে কঠোর হওয়া কিংবা পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা এবং সেকেলে গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতির গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসা, শ্রেনীকক্ষকে অধিক কার্যকর করা,নিয়মিত কাউন্সেলিং,টিচার-প্যারেন্ট কনফারেন্স করা ইত্যাদি। ফেইসবুকের সুবাদেই কয়কদিন আগে জানলাম এবং সচিত্র দেখলাম একজন প্রধানশিক্ষক বা অধ্যক্ষ সব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেলফোনগুলো কেড়ে নিয়ে হাতুড়িপেটা করছেন। আমি অবাক হলাম ঐ শ্রদ্ধাভাজন কোটপরা শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা আর মূর্খতা দেখে। উনি স্কুলটাইমে ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পারতেন, কঠোর হতে পারতেন আরো অনেক উপায়ে। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যবান ফোনগুলো এভাবে হাতুড়িপেটায় ধ্বংশ করতে পারেন না। কেমন যেন বিধ্বংসী উম্মাদনা। যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা তেমন শিক্ষক। হয়তো একদেশে বাংলা মিডিয়াম-ইংলিশ মিডিয়াম-সরকারী মাদ্রাসা- খারেজী-উলামা মাদ্রাসার মতো হরেকরকম মৌলিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন সাংঘর্ষিক আদর্শিক মেন্টালিটির প্রজন্ম সৃষ্টিই এর কারন। এই সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় স্কাইফ, হোয়াটস আপ ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছিল অযৌক্তিক অযুহাতে। পরে থলের বিড়াল বেরিয়ে গেলে জানা গেল অবৈধ ভিওআইপি কারবারীদের সুবিধা দেয়ার জন্যই ওসব করা হয়েছিল। আমাদের প্রিয় বিরোধী দলীয় দেশনেত্রীও ক্ষমতা থাকা কালিন সময়ে কিছু দেশীয় গবেটের পরামর্শে ফ্রী আন্তদেশীয় সাবমেরিন কেবল সংযোগের সুযোগ না নিয়ে দেশকে ইন্টারনেট সেবা বন্চিত করেছিলেন। করেছিলেন গুগল, ইয়াহু, ইউটিউব ইত্যাদির সেবা বঞ্চিত। হয়তো তিনি এখনো জানেনা উনার গবু পরামর্শ দাতাদের কারনে দেশের কত বিশাল ক্ষতি হয়েছে, কত পেছনে ফেলে রেখেছেন এই জাতিকে তুলনামূলক ভাবে। আর আমদের এখনকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীতো একবার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নিমিত্তে অফিস-আদালতে কোট-টাই নিষিদ্ধ করে বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট হাসির খোরাক যুগিয়েছ্লেন। এবার মনে হচ্ছে উনি এবং উনার আতেল পরামর্শকদের উদ্ধত খড়গ ফেইসবুকের মত বৈপ্লবিক সোস্যাল মিডিয়ার উপর। দেশে নেই গনতন্ত্র, নেই ন্যায়-নীতি-সুবিচার। সেই সাথে আস্তে আস্তে একসময় থাকবেনা ফেইসবুকও। বাহ! জাতিকে কি দারুন অন্ধ গোলাম আর কুয়োর ব্যাঙ বানিয়ে রাখার নতুন নতুন মাত্রা। লুটপাট-দুর্নীতি-অবিচার-অত্যাচার-মাস্তানীর আর নষ্ট-ভ্রষ্ট ছাত্ররাজনীতির বিষাক্ত চাষাবাদে দেশ যে তলিয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারে কোন ভুমিকা নেই রাষ্ট্রযন্ত্রের। দোষ এখন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসীদের সাথে দেশের চব্বিশ ঘন্টার সেতুবন্ধন, স্বাধীন মতপ্রকাশের একমাত্র মাধ্যম ফেইসবুকের। সবই ভন্ডামী।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:০৫
ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: ফেইসবুকের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষ কানেক্টেড। এটা বৈশ্বিক বা গ্লোবাল মিডিয়া। এর জন্য দিনরাতের প্রশ্ন অবান্তর। আপনাকে প্রায়ই প্রগ্রেসিভ মনে হয়। তবে এই মন্তব্য মোটেও প্রগ্রেসিভ নয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ রাতে জীবজন্তুও রেস্ট নেয়।আর সম্ভবত বিয়ের প্রচলন কৃত্রিম; প্রাকৃতিক নয়। তবে আমি এই সুন্দর প্রথার সমর্থক। ধন্যবাদ।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের বাচ্চারা রাত জেগে ফেইসবুকে ফটো দেখছে, কথা বলছে, ছবি দিচ্ছে, ঘুরঘুর করছে, এদের স্বাভাবিক জীবনের উপর চাপ পড়ছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬
ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: আসলে দে আর এনজয়িং ফেইসবুক । আর যে জিনিস উপভোগ্য তা কিভাবে স্বাভাবিক জীবনের উপর চাপ ফেলছ। বরং ফেইসবুক-টুইটার এসব এখন পার্ট অব লাইফ। সমস্যা হলো কোন জিনিসে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি। সেটা সেলফোন,টিভি,সিনেমা,মিউজিক,ধুমপান,মদপান,আড্ডা ,গাড়ী-বাড়ী, টাকা-পয়সা সব কিছুতেই হতে পারে। বাচ্চা-কাচ্চারাদের স্টুডেন্ট লাইফের ব্যাঘাত ঘটে প্যারেন্টসের উদাসিনতায়। বরং শিশুর সঠিক বিকাশে কার্যকরী ভুমিকা পালনের জন্য বাপ-মাদের উচিত বিয়ের পর পরই প্যারেন্টিং কোর্স করে নেয়া।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০৩
পৌষ বলেছেন: আমার মতে বন্ধ রাখাই ভাল।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১০
ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: আপনার মত আর সরকারের অযৌক্তিক ইচ্ছা বা সিদ্ধান্ত মিলে মিশে একাকার হয়ে গেল। তবে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৫
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: উন্নত বিশ্বের মাবাবারাও এখন ফ্রি ওয়াই নিয়ে নানাবিধ সমস্যার মধ্যে আছে। তারপরেও উন্নত বিশ্বে শিক্ষিতের হার বেশি হওয়ায় মাবাবারা কম্পুিটার প্রশিক্ষিত হওয়ায় ছেলেমেয়েদের ট্র্যাকিং করতে পারছে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রচুর মাবাবা এখনও কম্পিয়টার ইউজ জানে না, তবে তাদের ছেলেমেয়েরা জানে। এই অবস্থায় ছেলেমেয়েরা অনলাইনে কি করছে না করছে, তা সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞাত মা বাবারা। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা এইটার সুযোগ নিচ্ছে।জড়িয়ে পড়ছে জঙ্গীবাদ থেকে শুরু করে আরো নানা ধরনের অপকর্মে। আর এই জাতীয় খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে মধ্যরাত।সরকার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েও কেন পিছিয়ে গেলেন বোধগম্য হল না।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৫
ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: বুঝলাম... আপনার মতে কম্পিউটার,ইন্টারনেট,ওয়াইফাই,ফেইসবুক আগমনের পর থেকেই রাতের বেলায় জঙ্গীবাদ সহ সব ধরনের অপকর্মের শুরু। আর ওয়াইফাই সমস্যায় হাবুডুবু খাওয়া উন্নত বিশ্ব ওয়াইফাই থেকে মুক্তির ব্যবস্থা হিসেবে উল্টো অফিস-আদালত-হসপিটাল,বাস-ট্রেন স্টেশন, এয়ারপোর্ট, শপিংমল,পার্ক ইত্যাদি সহ ক্রমে সিটির বিভিন্ন জোনে ফ্রী ওয়াইফাই চালু করছে। কি যে বলেন !!! তবুও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাতে মানুষ রেস্ট নেয়, বউ এর সাথে ঘুমায়; আপনি বিয়ে না করে থাকলে বিয়ে করে ফেলেন।