নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি দিগন্তের ওপারে যাবো বলে ছুটতে থাকি। কিন্তু যতো ছুটে যাই, দিগন্ত আরো বিস্তৃত হতে থাকে। আমি ধাঁধাঁয় পড়ে যাই...

সাবরিনা নেওয়াজ

https://www.facebook.com/profile.php?id=100004622567277

সাবরিনা নেওয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতি- আপনার শিউলি লতা

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮



বিধান বাবু বাড়ি ফিরেই দরজায় খিল দিয়ে ঝিম মেরে বসে আছেন। সুধা সন্ধ্যা অব্দি কড়া নেড়ে শেষমেষ হাল ছেড়ে ঠাকুর ঘরে চলে গিয়েছে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালতে। খুট করে ও ঘর থেকে দরজা খোলার আওয়াজ এলো। সুধা তড়িঘড়ি করে খাবার থালা নিয়ে ছুটে গেল। বিধান বাবু সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে ছাতাটা নিয়ে বাইরে চলে গেলেন।
প্রচন্ড বৃষ্টি বাইরে। আজ পড়াতে না গেলেও হতো। কিন্তু মেয়েটাকে আজ কিছু কড়া কথা না বললেই নয়।

বিধান বাবুর বয়স ৪০ এর কোঠায়। মাথায় কাঁচা-পাকা চুল, রোগা শরীরে সাদামাটা চেহারায় বোকা বোকা হাসি। তিনি 'নয়ারহাট সরকারি হাইস্কুলের' বাংলার শিক্ষক। স্ত্রী সুধারানীকে নিয়ে এই মফস্বলে বাস করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এখন শেষকালে এসে যদি কোনো কেলেঙ্কারি ঘটে, তার দায় বইতে পারা সহজ হবে না। এই চিন্তায় তার শুকনা মুখখানি যেন আরো শুকিয়ে গেছে। কোনো সন্তান-সন্ততি নেই এই দম্পতির। একটি ছেলে হয়েছিল বিয়ের বছর তিনেক পরে। মাস ছয়েকের মাথায় বিধাতা তাকেও ডেকে নিলেন। তবু স্ত্রীকে বিধান বাবু বড় ভালোবাসেন। সুধা তেমনি এক মেয়ে, আঠারো বছর তারা এক সাথে ঘর করছে। অথচ এমন খুব কম রাতই কেটেছে, সুধা স্বামীর কোলের কাছে কুন্ডলী পাকিয়ে শোয় নি। তবে গত রাতে স্বামী-স্ত্রীতে এক দফা কথা কাটাকাটি হয়েছিল। কথাসূত্রেই সুধা কিছু কটু কথা শুনিয়ে দিয়েছিল স্বামীকে। সেই ক্ষোভে সকালেও বিধান বাবু স্কুলে গেলেন খালি মুখে, দুপুরেও বাড়ি ফিরে সেই সন্ধ্যা পর্যন্ত খিল এটে বসে রইলেন। ঝগড়ার বিষয়বস্তু ছিল একটি চিরকুট। লেখা ছিল,

"স্যার বাবু, আমার শরীরটা ভালো না। আমার বিশ্বাস আপনি আর একবার ছুঁয়ে দিলেই সুস্থ হয়ে যাবো।"
ইতি,
আপনার শিউলি লতা

চিঠিখানি সুধাকে দিয়ে গেছে ছোট্ট শাকুর; শিউলির ছোট ভাই। শিউলি এবার দশম শ্রেণীতে। ওইটুকুন মেয়ের এই ধরনের কথার কি মানে থাকতে পারে সেই ভেবে সুধা সেদিনকার সব কাজ-কর্ম চুলায় দিল। স্বামীকে সে অবিশ্বাস কখনোই করে না। কিন্তু পুরুষকে কি ভরসা! একে তো তার ছেলেপুলে নাই। তাই বলে কি শেষমেষ মুসলমানের মেয়ের সাথে? না না, এমন কাজ তার স্বামী কখনোই করবে না। সে ব্রাহ্মণের ছেলে। জাত-গোত কি তবে ওই টুকুন মেয়ের কাছে বিলিয়ে দিতে পারে? তাদের নিজের মেয়ে থাকলেও তো এতো দিনে এমন ডাগরই থাকতো। সেদিন পুরো ভোর-সন্ধ্যা সাত-পাঁচ ভেবে কোনো দিশা বের করতে পারলো না সুধা। শেষটায় রাত্রে শুতে গিয়ে স্বামীকে একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ করতে লাগলো। কিন্তু বিধান বাবু তেমন গা দেখালেন না এ ব্যাপারে। ঠিকঠাক উত্তর না পেয়ে সুধার মনের খুঁতখুঁতে ভাব যেন আরো বহুগুণ বেড়ে গেল। সেই থেকেই গোলযোগ।
এখন আবার এই ঝড়-বাদলার মধ্যে ওই মেয়েটিকে পড়াতে চলে গেল না খেয়ে। এতো টান সেই মেয়ের প্রতি? নাহ্ সুধা আর ভাবতেই পারছে না!
.
বিধান বাবু শিউলিকে আজ কি কি বলবেন, সব মাথায় সাজিয়ে নিতে লাগলেন। রাস্তায় পানি জমে গেছে এরই মধ্যে। কাদায়-পানিতে মাখামাখি অবস্থা তার। সেইদিকে তার মোটেই খেয়াল নেই। নানান রাজ্যের ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে তার মাথায়। এমন একটা অদ্ভুত চিঠি শিউলি কেন পাঠালো তাকে? কি বোঝাতে চেয়েছে সে? এমনও তো হতে পারে, অন্য কাউকে দিতে বলেছিল হয়তো, শাকুর ভুলে তার বাড়িতে দিয়ে গেছে। শুধু শুধুই হয়তো ভাবছেন তিনি। তার মত আধবুড়ো লোকের প্রতি শিউলির আর কি-বা মনোভাব থাকতে পারে!!
ছাতাটা বন্ধ করে দরজায় কড়া নাড়লেন তিনি। কাকভেজা হয়ে গেছেন একদম। ভেতর থেকে গামছা হাতে দরজা খুলে দিল শিউলি। শিউলির গায়ের রঙটা অস্বাভাবিক ফর্সা হওয়ায় সৌন্দর্যটা ঠিক ধরা পরে না, কিন্তু মেয়েটার চোখে মেঘমুক্ত আকাশে তারার দীপ্তি। বিধান বাবু জোর করে শিউলির চোখ থেকে নিজের চোখটা সরিয়ে নিলেন। গামছাটা নিয়ে গা-টা মুছে টেবিলের ওপাশের চেয়ারে গিয়ে বসলেন। শিউলি এক কাপ চা এনে টেবিলের উপর রেখে বিধান বাবুর মুখোমুখি বসলো। বিধান বাবুর মুখ স্বাভাবিকের থেকে অনেক গম্ভীর আজ। অথচ শিউলি মাথা নত করে মুখ টিপে হাসছে।
বিধান বাবু চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়ে বললেন, "তুমি এটা কেন করলে শিউলি লতা? চিঠিটা কাকে দিতে চেয়েছিলে?"

শিউলি এতোক্ষণে চোখ তুললো। ফিক করে হেসে দিয়ে বললো, "আপনাকেই স্যার বাবু।"

অপ্রস্তুত হলেন বিধান বাবু "তুমি লিখেছো তোমার শরীর খারাপ। তোমাকে দেখে তো অসুস্থ মনে হচ্ছে না"।

"কপালে হাত ছুঁইয়ে দেখুন। গা গরম।" চটজলদি জবাব দিল শিউলি।

বিধান বাবু হঠাত থতমত খেয়ে গেলেন যেন। কি বলবেন কিছুই ভেবে পেলেন না। শিউলি এবার খিলখিল করে হাসছে। তীব্র চাঁপা ফুলের গন্ধে চারপাশটা যেন ভেসে যাচ্ছে। পাশের ঘর থেকে চাপা গর্জনে শিউলির মা বলে উঠলেন, "আল্লাহ মাইয়াটারে হেদায়েত দ্যাও"। বিধান বাবু কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেলেন।
এইতো কিছু দিন আগে মাথার দু পাশে কলা বিনুনী করা এই ছোট মেয়েটি হেডমাস্টারের কাছে নালিশ করে এল যে, সে ক্লাসে ভালো বুঝতে পারে না; বিধান বাবু যেন তাকে বাড়ি এসে পড়ায়। মেয়েটির পড়ার মাথা ভালো। হেডমাস্টারের কথায় বিধান বাবু তাকে পড়াতে আসেন সপ্তাহে চার দিন। সেই প্রথম দিন যখন ওকে পড়াতে আসেন, শিউলি সেদিন কচি কলা পাতা রঙের একটা শাড়ি পড়েছিল। ঠিক এভাবেই মুখ টিপে হাসছিল। বিধান বাবুর সব কিছু স্পষ্ট মনে আছে। কিন্তু এই মেয়েটির সব খুঁটিনাটি মনে রাখার কোনো প্রয়োজন ছিল কি? সে তো কেবল তার ছাত্রী। ঘরে তার সুন্দরী স্ত্রী আছে, চাহিদার সবটুকুই তো মেটায় সে। তবে কেন..

হঠাত সম্বিৎ ফিরে পেলেন বিধান বাবু। পায়ের উপর আলতো চাপ অনুভব করলেন। "শিউলি এ ঠিক নয়। তুমি চিঠিতে মিথ্যা বলেছো। আমি তোমাকে স্পর্শ করি নি। আর একবার ছুঁয়ে দেবার কথা আসলো কেন তবে?"

শিউলি কন্ঠস্বর নিচু করে উত্তর দিল, "স্পর্শ করেন নি এ কথা ঠিক। তবে স্পর্শ করতে তো আমাকে বাধা দেন নি। এই মাত্রও দিলেন না।"

"আমি বিবাহিত, গোত্রে মিল নেই। তোমার বয়স অল্প। আমি তোমায় কষ্ট দিতে পারি না। এসব অন্যায়। আমি আমার স্ত্রীকে ভালোবাসি। তার অনুগত থাকতে চাই।" বিধান বাবু মুখস্থের মত বলে গেলেন।

শিউলি একটু সামনে ঝুকে এলো, "আমাকে? আমাকে ভালোবাসেন না?"

কন্ঠ দৃঢ় করতে চাইলেন বিধান বাবু "তুমি আমার ছাত্রী, তোমার বয়স কম। এসব..."

বাঁধা দিল শিউলি, "ভালোবাসেন?"

"বাসি"-চোখ নামিয়ে নিলেন বিধান বাবু। মাথা নত করে ফেললেন। মনে হল কথাটা স্বীকার করে বড় ভুল হয়ে গেছে। নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হলো তার। তিনি কি তবে প্রতারক, সুযোগ-সন্ধানী?

"চিঠিটা আমি ইচ্ছে করেই সুধা দিদিকে দিতে বলেছি। আমার অন্যায় হয়েছে।" গলা কেঁপে উঠলো শিউলির। ছলছল চোখের তারা দুটি মুহূর্তে যেন দপ করে নিভে গেল। বিধান বাবু কি ভেবে শিউলির শীর্ণ হাত দুটো শক্ত করে নিজের মুঠোয় ধরলেন। সত্যিই প্রচন্ড জ্বর মেয়েটার গায়ে। পায়ের উপর আলতো চাপ অনুভব করলেন বিধান বাবু। বিদ্যুৎ খেলে গেল তার সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে।

ওই সব দিনগুলোতে চাঁপা ফুলের মিষ্টি গন্ধটা বিধান বাবু শিউলি কাছে থাকলেই পেতেন। এখনো মাঝে মাঝে সুধাকে আদর করবার সময় শিউলিকে মনে পড়ে যায়। ষোল-সতের বছর বয়সী এক তরুণী গামছা হাতে দাড়িয়ে আছে, রোগা মতন মুখে চোখ দুটো জ্বলছে, ডান পাশের বিনুনীটা পিঠের উপর ঠেলে দিয়ে মুখ টিপে হাসছে। শীর্ণকায় ফ্যাকাশে বর্ণের সরল সেই মেয়েটিকে মাথা থেকে দূর করবার তীব্র প্রচেষ্টা থেকেই মস্তিষ্কের নিউরনে নিউরনে তখন চাঁপা ফুলের গন্ধটা আরো প্রকট হতে থাকে। সঙ্গম ছেড়ে উঠে বসেন বিধান বাবু। সুধা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে হাতড়ে দিয়াশলাইটা খুঁজে দেয়। বিধান বাবু সিগারেট জ্বালেন জানালার কাছে গিয়ে।
নয়ারহাট ছেড়ে এসেছেন বহু দিন হল। এই নতুন শহরের স্বল্প ভাড়ার ছোট্ট ঘরটিতে জানালা অনেক বড়। জানালা দিয়ে রাতের তারাগুলো দেখতে বড় ভালো লাগে, শিউলির চোখের তারার মতন জ্বলজ্বল করে ওরা, হয়তো শিউলি ওদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। পেটের ভারে পেছন দিকে হেলে পড়া শিউলি লতা এই জানালাটি ধরে দাড়িয়ে থাকতে খুব ভালোবাসতো।
আচমকা শিশুর কান্নার শব্দে ভাবনায় ছেঁদ পড়লো বিধান বাবুর। তিনি কন্যার নাম রেখেছেন 'চাঁপা'। অবিকল শিউলির মত দেখতে চৌদ্দ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে বুকে জড়িয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে সুধারাণী....

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কল্লোল পথিক বলেছেন:






বাহ!চমৎকার লিখেছেন।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাবরিনা নেওয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সাবরিনা নেওয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

পাশে থাকুন।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: ভালো লাগা রইলো!

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সাবরিনা নেওয়াজ বলেছেন: ভালো লাগা ভালোবাসি। ধন্যবাদ
ভালো থাকুন।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

লীন প্রহেলিকা বলেছেন: দারুণ গল্প। সাধুবাদ জানাচ্ছি আপনার প্রচেষ্টাকে।

''নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা,
নাহি তত্ত্ব, নাহি উপদেশ-
অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়ে হইল না শেষ।''


আপনার এই ছোটগল্পকে আলোকপাত করতে গিয়ে যদি উপরোক্ত পঙ্ক্তিগুলোর দিকে একটিবার তাকানো হয় তাহলে নির্দ্বিধায় বলা যায় এটি একটি স্বার্থক সৃষ্টি আপনার। চমত্কার বর্ণনার ছটা আর সাবলীল উপস্থাপনার মাঝ দিয়ে অবগাহন করিয়ে পাঠককে নিয়ে গিয়েছেন তৃপ্ততার শিখরে।

বিধান বাবুর সব কিছু স্পষ্ট মনে আছে। কিন্তু এই মেয়েটির সব খুঁটিনাটি মনে রাখার কোনো প্রয়োজন ছিল কি?

একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে কোটেড অংশটুকু আমার কাছে বেশ গুরত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। গুরত্বপূর্ণ এজন্যে বললাম কারণ এই বাক্যটি গল্পের কাহিনীকে ছুঁড়ে দিয়েছে দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সাসপেন্স বা অনিশ্চয়তা মাঝে। গল্পের প্রারম্ভে বিধান বাবু চরিত্রটিকে আমাদের জানাশুনা কিংবা আগাম বলে দেয়া যায় এমন মনে হলেও স্টিরিওটাইপড বা ছাঁচে ঢালা এই চরিত্রটিকে নূতনভাবে সামনে এনে দাঁড় করিয়েছেন শুধু কোটেড বাক্যটির মাধম্যে। সত্যি প্রশংসা পাওয়ার দাবী রাখেন। আরো একটি বিষয় যেটি আকর্ষণ করেছে তা হলো দুটো কালের সমন্বয় ঘটানোর মাঝে কিছুটা দিল খোলাভাবে উপস্থাপণ করা।

ওই সব দিনগুলোতে চাঁপা ফুলের মিষ্টি গন্ধটা বিধান বাবু শিউলি কাছে থাকলেই পেতেন। এখনো মাঝে মাঝে সুধাকে আদর করবার সময় শিউলিকে মনে পড়ে যায়।

লাইনটি দারুণ। নদীর মাঝখানে না গেলে জলের উপর থেকে গভীরতা অনুভব করা কঠিন তেমনি সম্পর্কের জটিলতাগুলোও নিবিড় সম্পর্কে না জড়ালে টের পাওয়া যায় না।

তবে শেষ দিকে এসে মনে হলো, লেখক মনে হয় লেখার খেই হারিয়ে ফেলেছেন নতুবা গোছানোর ক্ষেত্রে অসেচতন ছিলেন। যেমনটি অসেচেতন ছিলেন শিরোনাম নির্বাচনে। হোক ছোটগল্প একটি খণ্ডিত অংশ তবে ছোট জানালা দিয়ে বিশাল আকাশটা দেখার মতোই।

সর্বোপরি এ এক দারুণ প্রচেষ্টা আপনার। কথাটার কতটুকু গুরত্ব দিবেন জানি না, তবে প্লট, বিন্যাস, সংলাপ, শব্দ প্রক্ষেপণ, চরিত্রের নাটকীয়তা সীমিত বোধ কেমন হলে তাকে একটি আদর্শ ছোটগল্প বলা হয় আপনার এই প্রথম প্রচেষ্টা থেকে আজকালের গল্পকারদের ধারণা নেয়া উচিত।

চর্চা চালু রাখবেন আশা রাখি। শুভকামনা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

সাবরিনা নেওয়াজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্যে। মাটি দিয়ে যেভাবে খেলনা গড়া হয় তেমনি এক খেলা সাহিত্যে। নিজের মনে খেলছিলাম কখন যে সেটা ছোটগল্পের রূপ নিল, ঠাওর করতে পারি নি। খেলায় একটা কিছু সৃষ্টি করতে পারাই আনন্দ। এ কথা ঠিক যে ফোনে টাইপ করতে করতে একটা পর্যায়ে সত্যিই লেখার খেই হারিয়ে ফেলি, বিরক্তি ধরে যায়। তখন খেলা ভেঙে দিতে ইচ্ছে করে। আর স্রষ্টা মাত্রেই স্বেচ্ছাচারী।
আপনার বিশ্লেষণী মন্তব্যে সত্যিই উৎসাহ পাই। ভালো থাকুন।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:


পাঠক আটকে যাবে। অনেক অনেক ভালো হয়েছে। চরিত্রের সাথে কাহিনী বিন্যাস মিলেমিশে এক অনবদ্য গল্প।

৪নং মন্তব্যে +

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

সাবরিনা নেওয়াজ বলেছেন: পাশে পাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।


ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ গল্প ভাল লাগার শতভাগ রইল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

সাবরিনা নেওয়াজ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বেশ সাবলীল বর্ণনা।একটি সার্থক ছোট গল্প পড়ে ফেললাম।কাহিনীতে তেমন নতুনত্ব নেই ঠিক তবে গল্প খবই ভালো লেগেছে বর্ণনা আর সুন্দর সাবলীল উপস্হাপনার ফলে।লিখতে থাকুন আপুনি...
৪ নং কমেন্টেও+

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.