নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমলা রাণীর সাগর দীঘি - ফটোব্লগ

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:০৩



লোক কাহিনীটি এরকম- বানিয়াচং-এর পদ্মনাত রাজা বিয়ে করে প্রাসাদে তুলেছিলেন তরফ অঞ্চলের রাজকুমারী কমলাবতীকে। রূপবতী ও গুণবতী রাণীর প্রশংসায় কিছুদিনের মধ্যেই পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে প্রজারা। রাণীর ঘরে এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়ার পর পরই একদিন রাজা স্বপ্নে দেখেন- কে যেন তাকে একটা বড় দীঘি খনন করার আদেশ করছে। রাজা পরপর তিন রাত একই স্বপ্ন দেখে অবশেষে গন্ডমালীকে আদেশ দিলেন একটি বড় দীঘি খননের। তখন সাগরের মতো বিশাল এক দীঘি খনন করা হয়, তাই এর নাম হয় সাগর দীঘি । এদিকে রাজার হিংসুটে ছোট বোন কেউকা গন্ডমালীকে অর্থের লোভ দেখিয়ে দিঘির প্রথম কোপ রাণী কমলাবতীর নামে উঠাতে রাজী করায়। এক সময় দীঘি খননের কাজ শেষ হলে দীঘিতে পানি উঠছেনা দেখে রাজা দুশ্চিন্তায় পড়েন। রাজা এবার স্বপ্নে দেখলেন- এ দীঘিতে কমলাবতী আত্মদান করলেই কেবল তাতে পানি উঠবে। এটা কেউ মেনে না নিলেও প্রজাদের পানির চাহিদার কথা চিন্তা করে রাণী কমলাবতী নিজেই সিদ্ধান্ত নেন- তিনি আত্মাহুতি দেবেন এবং সত্যি সত্যিই একদিন সুসজ্জিত হয়ে রাণী দিঘিতে নেমে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। রাণী যতো এগোন ততো পানি বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে এক সময় রাণী কমলাবতীর পুরো শরীরই পানির মধ্যে তলিয়ে যায়। আত্মদানের এ অসামান্য কাহিনীর ওপর ভিত্তি করেই সাগর দীঘিকে অনেকে কমলা রাণীর দীঘি নামেও অবহিত করেন।



দীঘির মাঝামাঝি স্থানে দাড়িয়ে দুইদিকের দুটি ছবি । কথিত আছে দীঘির দৈর্ঘ ২ কিলোমিটার আর প্রস্থ্য ১ কিলোমিটার । বাস্তবে বর্তমানে ইহা আরো অনেক ছোট ।







জলকেলিরত শিশুরা.......









এতদুর থেকে গেলাম সাগরের পানির একটু পরশ না বুলিয়ে কি চলে আসা যায় ?





এক প্রান্ত থেকে তোলা আরো কয়েকটি ছবি ।







সব শেষে পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের একটি কবিতা, কবি এই দীঘি দেখতে গিয়ে কবিতাখানি লিখেছিলেন ।

--------------------------------------------------------------------

কমলা রাণীর দীঘি ছিল এইখানে,

ছোট ঢেউগুলি গলাগলি ধরি ছুটিত তটের পানে।

আধেক কলসী জলেতে ডুবায়ে পল্লী-বধূর দল,

কমলা রাণীর কাহিনী স্মরিতে আঁখি হত ছল ছল।

আজ সেই দীঘি শুকায়েছে, এর কর্দমাক্ত বুকে,

কঠিন পায়ের আঘাত হানিয়া গরুগুলি ঘাস টুকে।

জলহীন এই শুষ্ক দেশের তৃষিত জনের তরে।

কোন সে নৃপের পরাণ উঠিল করুণার জলে ভরে।

সে করুণা ধারা মাটির পাত্রে ভরিয়া দেখার তরে,

সাগর দীঘির মহা কল্পনা জাগিল মনের ঘরে।



লক্ষ কোদালী হইল পাগল, কঠিন মাটিরে খুঁড়ি,

উঠিল না হায় কল-জল-ধারা গহন পাতাল ফুঁড়ি।

দাও, জল দাও, কাঁদে শিশু মার শুষ্ক কন্ঠ ধরি,

ঘরে ঘরে কাঁদে শূন্য কলসী বাতাসে বক্ষ ভরি।

লক্ষ কোদালী আরো জোরে চলে, কঠিন মাটির থেকে,

শুষ্ক বালুর ধূলি উড়ে বায় উপহাস যেন হেঁকে।



কোথায় রয়েছে ভাট ব্রাক্ষণ, কোথায় গণক দল,

জলদী করিয়া গুনে দেখ কেন দীঘিতে ওঠে না জল?

আকাশ হইতে গুণিয়া দেখিও শত-তারা আঁখি দিয়া,

পাতালে গুণিও বাসকি-ফণার মণি-দীপ জ্বালাইয়া।

ঈশানে গুণিও ঈশানী গলের নর-মুন্ডের সনে,

দক্ষিনে গুনো, শাহ মান্দার যেথা সুন্দর বনে।

আকাশ গণিল, পাতাল গণিল, গলিল দশটি দিক,

দীঘিতে কেন যে জল ওঠেনাক বলিতে নারিল ঠিক।



নিশির শয়নে জোড়মন্দিরে স্বপন দেখিছে রাণী,

কে যেন আসিয়া শুনাইল তারে বড় নিদারুণ বানী;

সাগর দীঘিতে তুমি যদি রাণী! দিতে পার প্রাণদান,

পাতল হইতে শত ধারা-মেলি জাগিবে জলের বান।

স্বপন দেখিয়া জাগিল যে রাণী, পূর্বের গগন-গায়,

রক্ত লেপিয়া দাঁড়াইল রবি সুদূরের কিনারায়।

শোন শোন ওহে পরাণের পতি ছাড় গো আমার মায়া,

উড়ে চলে যায় আকাশের পাখি পড়ে রয় শুধু ছায়া।



পেটরা খুলিয়া তুলে নিল রাণী অষ্ট অলঙ্কার,

রাসমন্ডল শাড়ীর লহরে দেহটি জড়াল তার।

কৌটা খুলিয়া সিঁদুর তুলিয়া পরিল কপাল ভরি,

দুর্গা প্রতিমা সাজিল বুঝি বা দশমীর বাঁশী স্মরি।

ধীরে ধীরে রাণী দাঁড়াইল আসি সাগর দীঘির মাঝে,

লক্ষ লক্ষ কাঁদে নরনারী শুকনো তটের কাছে।

পাতাল হইতে শতধারা মেলি নাচিয়া আসিল জল,

রাণীর দুখানা চরণে পড়িয়া হেসে ওঠে খল খল।

খাড়ু জলে রাণী খুলিয়া ফেলিল পায়ের নুপূর তার,

কোমর জলেতে ছিড়িল যে রাণী কোমরে চন্দ্রহার।

বুক-জলে রাণী কন্ঠে হইতে গজমতি হার খুলে,

কোরের ছেলেটি জয়ধর কোথা দেখে রাণী আঁখি তুলে।

গলাজলে রাণী খোঁপা হতে তার ভাসাল চাঁপার ফুল।

চারিধার হতে কল-জলধারা ভরিল দীঘির কূল।

সেই ধারা সনে মিশে গেল রাণী আর আসিল না ফিরে,

লক্ষ লক্ষ কাঁদে নরনারী আকাশ বাতাস ঘিরে।

* * *

কমলা রানীর এই সেই দীঘি, কার অভিশাপে আজ,

খুলিয়া ফেলেছে অঙ্গ হইতে জল-কুমুদীর সাজ।

পাড়ে পাড়ে আজ আছাড়ি পড়ে না চঞ্চল ঢেউদল,

পল্লী-বধূর কলসীর ঘায়ে দোলে না ইহার জল।

কমলা রাণীর কাহিনী এখন নাহিক কাহারো মনে,

রাখালের বাঁশী হয় না করুণ নিশীথ উদাস বনে।

শুধু এই গাঁর নূতন বধূরে বরিয়া আনিতে ঘরে,

পল্লীবাসীরা বরণ কুলাটি রেখে যায় এর পরে।

গভীর রাত্রে সেই কুলাখানি মাথায় করিয়া নাকি,

আলেয়ার মত কে এক রূপসী হেসে ওঠে থাকি থাকি।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:১১

ডেভিড বলেছেন: ভালো লাগলো

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: :D

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:২৪

উসীমজদ্দীন বলেছেন: ++++

কেমন ছিল আমার বাংলা ; ছবি ব্লগ

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: :D

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:২৪

আব্দুল মোমেন বলেছেন: গল্প, কবিতা আর ছবি দেখিয়া ছল ছল করিয়া উঠিল আঁখি। ইহা কি ভালুকা -টাঙ্গাইলের মাঝামাঝি সাগর দিঘি ?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ইহা হবিগঞ্গের বানিয়াচং এ , ধন্যবাদ ।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:২৮

~মাইনাচ~ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বরাবরের মতো সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৩৪

শিশিরের শব্দ বলেছেন: অনেক সুন্দর ছবিগুলো.....

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, খুব একটা ভালো না হলে ও আমার চেষ্টা ছিল ।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৪৪

বলাক০৪ বলেছেন: +

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: :)

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৪১

ঈষাম বলেছেন: দারুণ!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

জলঝিরি বলেছেন: সুন্দর :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: :)

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

জলঝিরি বলেছেন: সুন্দর :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: থ্যাঙ্কু

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:০০

নিরন্তর পথচলা বলেছেন: ++++

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: :D

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:১২

রামন বলেছেন:
মনে পরে কমলা রানীর দীঘির কাহিনী অবলম্বনে এ দেশে একটি ছায়াছবি নির্মান করা হয়েছিল। রাজ্জাক ও কবরী অভিনীত এই ছবিটি ৭২ সালে মুক্তি পাওয়ার বেশ কয়েক বছর পর ছবিটি দেখেছিলাম। তবে এখানে আপনার বর্ণিত কাহিনীর সাথে ছবির কাহিনীর বেশ অমিল দেখতে পেলাম। ছবিতে কমলা রানীর সতীত্ব পরীক্ষার জন্য তাকে পানিশুন্য এই দীঘিতে নামানো হয়, বলা হয় রানী যদি অপয়া ও অসতী না হন তাহলে এই পানিশুন্য দীঘিতে নামলে পানি আসবে। আসলে রানী চরিত্রহীনা ছিলেন না, ষড়যন্ত্র করে তাকে এই অপবাদ দেয়া হয়। যাহোক কিছুক্ষণ পর দীঘির মাঝখানে রানী যেখানে দাড়িয়ে ছিলেন সেখানকার মাটি ভেদ করে পানি উঠতে থাকে, এভাবে পানি উঠতে উঠতে রানীর হাটু তলিয়ে যায় । এ সময়ে দীঘির আশপাশে উপস্থিত গণ্যমান্যরা রানীর সতীত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে উপরে আসতে বলেন এবং রানী বিজয়িনীর বেশে ধীরে ধীরে পাড়ে উঠে আসেন :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: লোক কথাগুলো বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে, ধন্যবাদ ।

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৫০

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: দারুণ! +++++++++

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ২:২১

মুনসী১৬১২ বলেছেন: কবি জসিম উদ্দীনের কবিতায় পুরো মাটির ঘ্রাণ লেগে থাকে-- পোস্ট প্লাস

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৬:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬

এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: ভাল লাগলো।

১২ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: B-)

১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪২

মামুন রশিদ বলেছেন: সত্যি বলতে কি, আমি আবেগাপ্লুত । পল্লী কবি সাগর দিঘী নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন । বেশি বলছিনা ভাই, আপনার ছবিগুলি যথেস্ট কাব্যময় । ময়মনসিংহ গীতিকার 'দেওয়ানা মদিনা" উপাখ্যান এই বানিয়াচং এর মদিনা বিবি আর দেওয়ান বাড়ি নিয়ে লিখা । আর কমলাবতী'র গল্প অনেক জায়গায় অনেক ভাবে এসেছে । 'মীথ' বা উপাখ্যান এমনি, মানুষের মুখে মুখে তা সতত পরিবর্তন হয়ে নতুন নতুন গল্পের জন্ম দেয় । অনেক ঐতিহাসিক বানিয়াচংকে নৌ দূর্গ গ্রাম বলেছেন, সাগর দিঘী ছিল তার কেন্দ্র । প্রাচীন রাজবাড়ি সাগর দিঘীর পশ্চিম পাড়ে ছিল, এখন যেখানে দাড়াগুটি আর এল,আর হাই স্কুল । পরবর্তিতে উনাদের এক নৃপতি ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত হলে এই রাজবাড়ি পতিত হয়, এবং দেওয়ান দিঘীর পাড়ে নতুন রাজবাড়ি নির্মিত হয়, যার অবশিস্টাংশ এখনও বিদ্যমান । দেওয়ান বাড়ির আনোয়ার খাঁ ছিলেন বাংলার বিখ্যাত বারো ভূইয়াদের অন্যতম, মীর্জা নাথানের 'বাহারিস্থান-ই-গায়েবি' বইতে মুসা খাঁ'র একজন একনিস্ট বন্ধু এবং মুঘলদের বিরুদ্ধে উনার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে ।

যা্ই হোক ভাই, আবেগাপ্লুত মানুষ হিসাবে একটু শিবের গীত গেয়ে নিলাম । আর হ্যাঁ, এই দিঘীর পশ্চিম পাড়ে আমার বাড়ি, তাই এই দিঘী নি্যে আমি একটু বেশীই গৌরব বোধ করি ।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নিজের এলাকা নিয়া দেশ নিয়া গৌরব করাটাই গৌরবের, ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

হাসান রাজু বলেছেন: এর এক পারে নিশ্চয়ই একটা সরকারি হাই স্কুল খেয়াল করেছেন সেখানে ক্লাস সেভেন থেকে নাইন পর্যন্ত পড়েছি আমি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কয়েকটা স্কুলই তো দেখেছিলাম ওখানে, কোনটার কথা বলছেন কে জানে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.