নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুর্শিদ কুলি খান এর কন্যা আজিমুন্নেছার জীবন্ত সমাধি

০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৪


বাংলার প্রথম নবাব মুর্শিদ কুলি খান এর কন্যা ছিলেন আজিমুন্নেছা বেগম। জনশ্রুতি রয়েছ, কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় নবাবি হেকিম দৈনিক একটি মানবশিশুর কলিজা দিয়ে ওষুধ তৈরি করে দিতেন। অসুখ সেরে গেলেও তিনি মানবশিশুর কলিজায় নেশাগ্রস্ত হয়ে গোপনে নিয়মিত ভাবে শিশুদের কলিজা খেতে থাকেন। এই ঘটনা মুর্শিদকুলি খাঁ জানতে পেরে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার নির্দেশ দেন। মুর্শিদাবাদ ঘুরতে গিয়ে টাঙ্গার (এক ঘোড়া চালিত গাড়ি) চালকের কাছে এমন মিথ শুনে সত্যিই চমৎকৃত হয়েছিলাম। একতলা পাকা মঞ্চের উপর মসজিদে উঠার সিড়ির নিচে আজিমুন্নেসার সমাধি। মঞ্চের উপরিভাগে বাম পাশে একটা দেয়াল ছাড়া মসজিদের আর কোন চিহ্ন বর্তমানে নাই। কথিত আছে সাধারণ মানুষের পদধূলিতে তার শিশু হত্যার পাপ মোচনের জন্য মসজিদে উঠার সিড়ির নিচে তাকে জীবন্ত সমাহিত করা হয়।


(২) মুর্শিদাবাদের সরু রাজপথ ধরে টাঙ্গায় চড়ে মহিমাপুর এলাকায় এলে দেখা মিলবে আজিমুন্নেসা বেগমের সমাধি।


(৩) রাজপথ ঘেষা দুইফুট উঁচু দেয়ালে লোহার গ্রীল তারপর তিন শতাধিক বছরের পুরোনো গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে হয় আজিমুন্নেসা বেগমের সমাধিতে।


(৪) লোহার গ্রীলের ভেতরে প্রবেশ করার পরই ডানে এমন বেশ কয়েকটি সাইনবোর্ড রয়েছে।


(৫) অতঃপর ভেতরে এমন সুসজ্জিত বাগান পেরিয়ে সামনে কয়েকটি সিড়ি ধরে উঠে যেতে হয় একতলা পাকা মঞ্চের উপর, যেখানে কোন এক কালে মসজিদ ছিল এবং এখন অস্তিত্বহীন।


(৬) এই সিড়ির শেষ ল্যান্ডিং এর নিচেই রয়েছে সেই সমাধি।


(৭/৮) সিড়ির নিচে হলেও বেশ প্রসস্ত কক্ষ রয়েছে এখানে, সমাধীর দুই দিক থেকে তোলা দুটি ছবি।



(৯) পাকা মঞ্চের উপরে উঠার পর দেখা যায় ঘুরে দেখার জন্য ওখানে রয়েছে সুন্দর রাস্তা এবং চারিদিকে পাতা বাহার ও নানা ফুল গাছের সুসজ্জিত অবস্থান, আর সামনের ডান কোনে একটা প্রাচিন স্থাপত্য, যা হয়তো মসজিদটার শেষ চিহ্ন হিসাবে এখনো দন্ডায়মান।


(১০/১১) দুই দিক থেকে তোলা মসজিদের শেষ ভগ্নাংশের দুটি ছবি।



(১২/১৩) রয়েছে এমন নাম জানা অজানা নানা রকম ফুল, কোনটা থেকে আবার বেশ সুগন্ধি ছড়াচ্ছিল।



(১৪) চেনা ফুল কলাবতী।


(১৫) বেড়িয়ে আসার আগে পাকা মঞ্চের উপর থেকে মেইন গেইটের দিকের তোলা ছবি এটি।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাইজানের কল্যাণে কত অজানাকে যে জানছি !
মিথ মনে হয় মিথ ই , সাইনবোর্ডের সাথে মিলছেনা।

০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমিও তাই বলি, এমনটা সাধারণত হওয়ার কথা না, শুভেচ্ছা জানবেন লিটন ভাই।

২| ০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি গুলি সুন্দর হয়েছে। এ দেশে তো অনেক প্রাচীন নিদর্শন স্থান সংরক্ষনের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।

০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, তাই তো দেখলাম, ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। আপনার পোস্ট দেখেই ঘুরে নেই।


কলিজা খেতে থাকেন..... X((

১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মুরগীর কলিজা :D

৪| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ২:১২

প্রামানিক বলেছেন: আপনার কল্যাণে কত কি দেখলাম কত কি জানলাম যেটা ধন্যবাদ দিয়া শেষ করা যাইবো না।

১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনারে শেষ করতে কইছে কেডা? আপনার কোন পোষ্ট পাইনা ক্যান?

৫| ১০ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৪৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগছে ভাই এই ঐতিহাসিক প্রাচীনতম স্থাপত্য দেখতে পেয়ে। খুব সুন্দর ছবি গুলো তুলেছেন।

শুভকামনা । শুভ সকাল

১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা নয়ন ভাই, ব্লগ তো চলতেই চায়না, কেম্নে কি?

৬| ১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:০৭

পৌষ বলেছেন: দারুণ পোস্ট। ছবিগুলো খুব সুন্দর

১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ পৌষ, ভালো থাকুন, সব সময়।

৭| ১০ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কি সুন্দর ছবি, কতইনা অজানা তথ্য! ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১০ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ সুজন ভাই, মুর্শিদাবাদে গিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত হয়েছি, মনে হয়েছে যেন আমার চতুর্দিকে, পায়ের তলায় শুধু ইতিহাস আর ইতিহাস।

৮| ১০ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ছবি আর বর্ননায় ।

১০ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সুন্দর করার চেষ্টা তো সব সময়ই থাকে ভাই, কিন্তু সাধ্য আর কতটুকু? ধন্যবাদ।

৯| ১০ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

পুলহ বলেছেন: পিতার কবরটা কি অন্য কোথাও? অন্য কোন প্রবেশ সোপানের নীচে? (সাইনবোর্ডের লেখা অনুযায়ী)
ভালো আছেন ভাই আশা রাখি !
শুভকামনা জানবেন সব সময়।

১০ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জ্বী ভাই ভালো আছি, মুর্শিদকুলি খানের কবরটা ঐতিহাসিক কাটরা মসজিদের সোপানের নিচে, যা নির্মিত হয়েছিল ১৭২৩ খৃিষ্টাব্দে।

১০| ১০ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার কল্যাণে কত অজানাকে যে জানছি ! অনেক ধন্যবাদ ভাই।
মিথ শুনে শরীরে পশম কিছুটা দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো।

পোস্টে প্লাস + বরাবরের মতোই দারুন পোস্ট

সার্ভারে অনেক স্লো কোনো লেখাই পড়তে পারছি না!

১০ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আলো ভাই, অজানা এমন ইতিহাসগুলো হাতে ছুয়ে দেখতে আমার ভীষণ ভালোলাগে, সার্ভার সমস্যায় মেজাজ খারাপ আছে :D

১১| ১১ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৩৬

এম এ কাশেম বলেছেন: ঘুরাঘুরি বন্ধ করে সংসারে মন দেন।

ছবি গুলি কবিতার মতোন।

শুভেচ্ছা কামাল ভাই।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সংসারে মন দিতে মনে চায় না, কি করি বলেন তো কাশেম ভাই? আপনি আছেন কেমন?

১২| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অজানা ইতিহাস ও বাংলার নবাবী আমলে মুর্শিদাবাদের তথ্যচিত্র তুলে ধরার জন্য । ছবি ও বিবরণে অনেক কিছু জানা গেল । সামুর স্লো গতি থাকার জন্য এসে দেখতে বিলম্ব হল ।
ছবি দেখলাম অআর বিবরণ পাঠ করলাম খুব মনযোগ দিয়ে । অআপনার মুর্শিদাবাদ দেখার বিষয়াবলী দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলাম ।

পোষ্টটি দেখার সময়ে একটি বিষয়ে উপস্থাপিত তথ্যমালা ও ছবির উপরে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে বিশেষভাবে । আজিমুন্নেসার সমাধী ক্ষেত্রের কাছে স্থাপিত সাইন বোর্ডে দেখা যায় সন উল্লেখ করা হয়েছে ১৭৩৪ তার মানে তার পিতার মৃত্যুর পরবর্তী সময়কাল সেটা । সম্ভবত তার পিতার মৃত্যুর পরেই ( মুর্শীদ কুলী খানের মৃত্যু সময়কাল জুন ১৭২৭ সন ) কোন না কোন সময়ে আজিমুন্নেসার মৃত্যু হয়েছে বলে সাইন বোর্ডের তথ্য থেকে ধরে নেয়া যায় । এছাড়া বিভিন্ন তথ্য সুত্র হতেও জানা যায় নবাব মুর্শিদ কুলী খান ছিলেন খুবই ধার্মিক । সকালে প্রাতরাস গ্রহনের পর হতে দুপুর পর্যন্ত রাজকীয় কাজের ফাকে ফাকে নিয়মিত তিনি পবিত্র কোরান স্বহস্তে কপি করে লিখতেন , এবং প্রতি বছর তার স্বহস্ত লিখিত কোরানের কপি মক্কা , মদিনা , নাজাফ সহ বিভিন্ন মসজিদে প্রেরণ করতেন । তাঁর অন্তিম ইচ্ছা অনুসারে মৃত্যুর পর তাকে ঐ মসজিদের সিড়ির নীচে সমাহিত করা হয় বলে জানা যায় , এটা তারই ইচ্ছা ছিল তার সমাধীর উপর দিয়ে মসুল্লীগন নামাজের জন্য মসজিদে গেলে তাঁদের পদধুলীতে তারঁ জী্বনের অনেক পাপ মোচনে সহায়ক হবে , একজন মানুষ কতটুকু নিরহংকারী হলে নীজের জীবনের এমন পরিনতি তাঁর জীবিত অবস্তাতেই বলে যেতে পারেন তা ভাবতেও অবাক লাগে । তাই এমন চারিত্রিক বৈশিষ্টের অধিকারী মুর্শিদ কুলী খান তাঁর কন্যাকে জিবন্ত কবর দেয়ার জন্য আদেশ দিবেন তা স্পস্ট নয় ।

বিষয়টি নিয়ে একটু অনুসন্ধানে জানা যায় মুর্শিদাবাদ.নেট নামে একটি ওয়েবসাইট ও আরো কিছু ভারতীয় ইংলিশ ওয়েব সাইটে এ ধরনের তথ্য দেখতে পাওয়া যায় যা সেখানকার টাঙ্গাওয়ালারা অনেক পর্যটকদের কাছে প্রকাশ করছে ,। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আরো একটু বেশী জানার আগ্রহ হতে জানতে গিয়ে দেখা গেল তাদের ওয়েব সাইটে পরস্পর বিরোধী আরো কিছু কথা মালাও আছে যা তুলে দেয়া হল নীচে ।
Myth has it that once Azim-un-nisa fell seriously ill and as per doctor’s prescription she used to take a medicine prepared from the liver of human child. This medicine was registered to her secretly, but even after she recovered from her sickness, she developed an addiction towards this medicine, resulting in killing quite a lot of children during that time. Once his father came to know about this, she was buried alive under this mosque, so that every person who visits this place will walk over her grave.
But according to some historian, she died in 1730A.D. 3 years after her father’s death. Once Murshid Quli Khan came to know about the killings, he sent her to Orissa (her husband Suja-ud-dullah’s house). Later when Suja-ud-dullah became nawab of Bengal, she came back to Bengal . But Suja-ud-dullah buried his wife Azim-un-nisa alive for her act .
http://murshidabad.net/history/places-topic-places-zone-three.htm
মুর্শীদাবাদ ডট নেট ও কিছু ভারতীয় ইংলিশ ব্লগ পোষ্ট ব্যতিত অন্য কোন স্বীকৃত লিটারেচারে এ ধরনের শিশুদের কলিজা হতে তৈরী ওষুধ সেবনের তথ্য এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি । ষাটের দশকের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ আবদুল করিমের এবং Robert Eric Frykenberg এর পর্যালোচনা ও সমকালীন দলিল দস্তাবেজ হতে জানা যায় বাংলা নবাবী সময়কালে জগৎ শেঠের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কারবার, যেমন ঋণগ্রহণ, ঋণ পরিশোধ, সোনারুপার ক্রয়-বিক্রয় ও অন্যান্য লেনদেন হতো প্রচুর পরিমানে । রবার্ট ওর্ম (orme) লিখেছেন যে, এ ব্যবসায়ী পরিবারটি মুগল সাম্রাজ্যে সর্বাধিক ধনবান ছিল; মুর্শিদাবাদের নবাবদের উপর এ পরিবার প্রধানের ছিল প্রচন্ড প্রভাব। পরবর্তীকালে আলীবর্দীর উত্তরাধিকারী বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা এই জগতশেড পরিবারকে বৈরী করে তোলেন। ফলে তারা তার বিরুদ্ধে ইংরেজদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং পলাশীর যুদ্ধের আগে ও পরে তাদেরকে বিপুল অর্থ দিয়ে সাহায্য সহায়তা করে। নবাবী পরিবারের বিপক্ষে বাংলার জনগনের মনকে বিষিয়ে তোলার জন্য মুর্শীদ কুলী খান হতে শুরু করে সিরাজউদ্দৌলা পর্যন্ত সময়ের নবাবী পরিবারের প্রতিটি সদস্যের নামে হেন কোন কুৎসা নাই যা তারা রটায় নাই । এটা তাদেরই তৈরী একটি প্রোপাগান্ডা বৈ কিছু নয় বলেই প্রতিভাত হয়, যা এখন জনশ্রুতি তথা মিথে পরিনত হয়ে ঘুরছে সেখানকার প্রতিটি মানুয়ের মুখে মুখে । তবে বাংলার জনগণ বিশ্বাস করে যে, জগৎ শেঠের অর্থ আর ইংরেজদের তলোয়ার সেই সাথে তাদের তৈরী মিথ্যা প্রপাগান্ডার কারনে বাংলায় মুসলিম শাসনের পতন ঘটেছে ।

এ পোষ্টের মন্তব্যের ঘর পর্যন্ত আসার পথে দেখলাম সহ ব্লগার শ্রদ্ধেয় গিয়াস উদ্দীন লিটন ভাই এ বিষয়ে সংসয় প্রকাশ করে ঐ সাইন বোর্ডের লিখার প্রতি আঙ্গুল তুলেছেন । ঘটনা ও রটনার প্রতি আপনিও সন্দিহান বলে প্রতি উত্তরে বলেছেন দেখে খুবই ভাল লাগল । তাই ভাবলাম বিষয়টিকে আর একটু জোড়ালু ভাবে বলে যাই । ধারনা করি আমার বিস্তারিত লেখাতে কিছুটা বিরক্তি ধরতে পারে, ভুল কিছু হলে শুধরিয়ে দিলে খুশী হব ।

জনান্তিকে বলে যাই ছবিতে দেখানো নাম না জানা অনেক ফুলের ভিতর ছবিতে দেখানো ফুটানো ( ১২/১৩) ফুলটা রংগন নামেই অভিহিত হয় বলে জানি ।

যাহোক , অনেক ধন্যবাদ একটি ঐতিহাসিক মুসলিম নবাব পরিবারের নামে রটানো জনশ্রুতির তথ্যমালা উপস্থাপন করে আমাদেরকে এর উপরে আলোচনা ও সঠিক অবস্থাটা একটু বিষদভাবে জানার বিষয়ে প্ররোচনা দেয়ার জন্য । আশা করি কলিজা খাওয়ার বিষয়ে সত্যটা একদিন বেরিয়ে আসবে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

তথ্য সুত্র :
Robert Eric Frykenberg, ( 1965) , Murshid Kuli Khan and his times by Abdul Karim , Asia and East review , The American Historical Review , April 1965 , p.884.
Abul Karim ( 1963) , Murshid Quli Khan and His Times , Asiatic Society .

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
বিষয়টা আমার জানা ছিলনা। মুর্শিদ কুলি খাঁ প্রয়াত হয়েছেন ১৭২৭ সালে তার কন্যার মৃত্যু হয়েছে ১৭৩৪ সালে। সুতরাং এই মিথ সঠিক হতে পারেনা। তবে মুর্শিদ কুলি খাঁর কবর হলো কাটরা মসজিদের সিড়ির নিচে।

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রঙ্গন ফুলের নামটা আমি জানি, তবে সাদা ফুলের নামটা অজানা, ধন্যবাদ আলী ভাই।

১৩| ১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

শায়মা বলেছেন: বাপরে! শিরোনামের পরেও লেখায় কন্যার জীবন্ত সমাধীর কথা শুনে শিউরে উঠেছিলাম! কলিজা খাপয়া মানবী! তাও শিশুর কলিজা শুনেই গা রি রি করছিলো! বিশ্বাস হচ্ছিলোনা কিছুতেই। পড়তে পড়তে দেখলাম বাবার কবরও সেখানে। যদি কন্যাকে শাস্তি দিতে বা পাপ মোচনে তাও আবার শিশু কলিজা ভক্ষনের কারণে হয় তবে বাবার কবরও সেখানে থাকবে কেনো!

সংশয় কিছুটা কাটলো ডঃ এম এ আলী ভাইয়ার তথ্যে! আমার ধারনা এটাই সঠিক! আর সঠিক না হলেও আমি এটাই মানবো। আমি ঐ টাঙ্গাওয়ালার চাইতে ডঃ এম এ আলী ভাইয়াকেই বিশ্বাস করি! আর এই রকম নিষ্ঠুর মানবী কোথাও কস্মীনকালেও ছিলো ভাবতে চাইনা।

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সংশয় কিছুটা কাটলো ডঃ এম এ আলী ভাইয়ার তথ্যে! আমার ধারনা এটাই সঠিক! আর সঠিক না হলেও আমি এটাই মানবো।.........তবে আমি এখন এটা সত্যিই বিশ্বাস করিনা আজিমুন্নেছার ব্যাপারে এসব কিছু ঘটেছিল, ধন্যবাদ আপু।

১৪| ১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

শায়মা বলেছেন: বিশ্বাস করো না ভাইয়া । টাঙ্গাওয়ালা তার টুরিস্টদেরকে মনে হয় আরও এট্রাক্ট করতে এসব বলে !

১২ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুধু তাই নয়, সুযোগ পেলে ওরা টুরিষ্টদের কিছুটা ঠকানোরও চেষ্টা করে থাকে। আমাদেরকে কিছু কম দেখিয়েই পুরো টাকা নিয়ে গিয়েছে ব্যাটা টাঙ্গাওয়ালা।

১৫| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:১৩

হাসান রাজু বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। ধন্যবাদ।
আর ডঃ এম এ আলীর মন্তব্য, তথ্য সমৃদ্ধ ও সত্যের প্রকাশ। উনাকেও অশেষ ধন্যবাদ খাটাখাটনি করে এমন সত্য উদঘাটন করে সবার জন্য উপস্থাপনের জন্য। আর এই সবের জন্য দায়ী আপনার এই অসামান্য পোস্ট। খুব ভালো থাকবেন।

১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজু ভাই, ইতিহাস এবং মিথগুলো সব সময় আমাকে টানে, তাই তো ছুটে যাওয়া।

১৬| ১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সমৃদ্ধ হল সময়টুকু!

১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ডানা

১৭| ১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আজিমুন্নেছার জীবন্ত সমাধি বিষয়ে প্রচলিত গল্পটি আমার কাছে নেহাত কল্পনা ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। মানুষ বাড়াবাড়ি ধরণের গল্পকথা বানিয়ে প্রচার করতে ভালোবাসে। আজকের এই আধুনিক সমাজেও এই প্রবণতা বহাল তবিয়তে বিদ্যমান।

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটা মানুষের বাড়াবাড়ি ধরণের গল্পকথা ডঃ এম আলী ভাই আগেই প্রমাণ করে দিয়েছেন, নতুন কোন প্রমাণ আপনার কাছে থাকলে পেশ করতে পারেন B-)

১৮| ১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সংসারে মন দিতে মনে চায় না, কি করি বলেন তো কাশেম ভাই?


কাশেম ভাই আর কী করবেন? আপনার ওষুধ আমার কাছে। আর একটা বিয়ে করালেই সংসারে অটোমেটিক মন বসে যাবে। বড় পক্ষ যখন বলবে ঘরে আদা রসুন নাই আর ছোট পক্ষ বলবে একটা নতুন বিছানার চাদর নিয়ে আসো, তখন মন না বসে উড়ে ক্যামনে তাই দেখবো। হে হে হে। বিয়ের মতো দাওয়াই আর নাই। =p~

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এক সংসারেই অনেক সুখে আছি, ডাবল সংসার হলে ডাবল সুখ হবে, মন্দ কি! ;)

১৯| ১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এক সংসারেই অনেক সুখে আছি, ডাবল সংসার হলে ডাবল সুখ হবে, মন্দ কি! ;)


দুই তিনডা সংসারের কর্তাদের লগে কিছুদিন উঠা বসা করেন, তারপর ফাইনাল ডিসিশন। দেশে মাইয়ার অভাব নাই।

১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হূম, গেয়ানী লুকদের আদেশ শিরোধার্য্য B-)

২০| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

মোশাররফ হোসেন সৈকত বলেছেন: ভালো লাগ্লো

১২ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ সৈকত ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.