নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় কষ্টের ছোট ঝর্ণা "মাংসন সাইতার"

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬


মাংসন সাইতার বা মাসংন ঝর্ণাটা বান্দরবানের রোয়াংছড়ির রোনিন পাড়ায় অবস্থিত। রোয়াংছড়ি থেকে পাইক্ষ্যাং পাড়া হয়ে রোনিন পাড়া ৬ ঘন্টার মতো পাহাড়ি পথ। আর রোনিন পাড়া থেকে মাংসন সাইতার যেতে আরো এক ঘন্টার দুর্গম পথ। আর আমি সব সময়ই বলি দূর্গমতাই এ্যডভেঞ্চারের ভালো রসদ। তবে অসময়ে যাওয়ার কারণে এই ঝর্ণাটার যৌবন দেখা হয়নি। ঝর্ণায় পানি ছিল নিতান্তই কম, তবে এ্যডভেঞ্চারে কিন্তু কোন কমতি ছিল না। তবে এই ছোট ঝর্ণাটা দেখতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল বলেই তো বললাম, "বড় কষ্টের ছোট ঝর্ণা"। তো আসুন দেখে আসি মাংসন সাইতার নামক ঝর্ণাটি।


(২) রোনিন পাড়া থেকে যখন আমরা মাংসন সাইতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই তখন গ্রামের আকাশে ছিল ঘন কাল মেঘ।


(৩) পাড়া থেকে বেড়িয়েই এমন চিক সর্পিল পথ ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে চলে গেছে মাংসন সাইতারের দিকে।


(৪) যাওয়ার পথে এমন আরো কিছু পাহাড়ি গ্রাম পড়বে পথে।


(৫/৬) বাড়িগুলো থেকে উৎসুক হয়ে কেউ কেউ আমাদের দেখছিল।



(৭/৮) কিছু বাড়িঘর একেবারে ছবির মতোই সুন্দর।



(৯/১০) এক সময় আমাদের নেমে যেতে হয় এমন পথে। পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো দেখতে এমন সব পথের বিকল্প সাধারণত থাকে না।



(১১) এক সময় দেখলাম পানি থেকে উঁকি দিচ্ছে এমন চমৎকার সৌন্দর্য্য।


(১২/১৩) তারপর আমাদের ট্রেইল ও নেমে এল পানিতে। ভীষণ ভয়ে ভয়ে ছিলাম এই সময়টা।



(১৪) কিছু পথ ছিল অতি ঝুঁকি পূর্ণ।


(১৫) তবে ঝর্ণাটা দেখে অত্যন্ত চমৎকার মনে হয়েছিল, আর আফসোসটা থেকেই গেল পানি দেখতে না পারার।


(১৬) তিন দিক দিয়ে পাহাড় ঘেরা অত্যন্ত চমৎকার ভাবে অনেক উঁচু থেকে পানি লাফিয়ে পড়ছিল নিচের কালো পাথবে, অতপর গড়িয়ে নেমে যাচ্ছিল জলাশয়ে। আর সেই জলাশয়ের পানি নেমে যাচ্ছিল এমটা ক্ষুদে পাহাড়ি নদীর সৃষ্টি করে। মানে আমরা যে পথে এসেছিলাম এবং ফিরে যাবো।


(১৭) ফিরে এসে ক্লান্তি দূর করতে এমন পাহাড়ি রসালো আনারসের বিকল্প কোথায়?


(১৮) অন্য দিকে রাতের খাবার তৈরীর সুবাস তো ক্ষিদেটাকে বাড়িয়েই চলছিল।

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:
আহ ! যা বৃষ্টি হচ্ছে গতকাল থেকে, ঢাকার ঐ মাথায় একটা বড় পাইপ লাগিয়ে দিলে ঢাকাই একটা ঝর্না হয়ে যাবে।

১ম হইছি !! চা দেন !

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বৃষ্টিতে চুলার আগুন নিভে গেছে, এখন চা কোথায় পাই?? :-B

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

পাহাড়ি জলে উকি দেয়া সাপ দেখে তো ভয় লেগে গেল ! সাপ খুব ভয় পাই। বাঘের থেকেও বেশি এমনকি বউ এর থেকেও।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমনকি বউ এর থেকেও। .................খিক খিক খিক, কানে কানে কই, কাউকে কইবেন্না যেন, আমিও তাই =p~

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:
পাহাড়ি বাড়িগুলো থেকে রমণীরা আপনাদের উকি দিয়ে দেখছিল; তাদের চোখের ভাষা পড়েছনে তো ! B-)

যেন বলতেছে,- আমারে নিবা মাঝি লগে?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, ঠিক ধরেছেন, ঐ সময় আপনার মতো কুবের মাঝির দরকার ছিল ওখানে ;)

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:


লেখক বলেছেন: বৃষ্টিতে চুলার আগুন নিভে গেছে, এখন চা কোথায় পাই?? :-B


ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল হক জামিন দিলো না আর সাদা মন ভাই আমায় চা দিল না !! :( :(

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
লিকার চা হলে চলবে তো? B-)

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

জাহিদ অনিক বলেছেন:


আমার আজীবন মনে থাকবে সাদামন ভাই, জীবনে ১ম আপনার কাছে চা চাইছিলাম!!!!!!!!!!!!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
নেন এইবার গাভীর দুধের চা দিলাম :)

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:


গাভীর দুধের চায়ে লেবু দেখা যায় !

তবুও পেলাম তো ! তাই ভাল !

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চায়ের সাথে লেবু মাগ্না, খেয়ে ফেলেন কথা বলে :-B

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

বিষাদ সময় বলেছেন: কামাল ভাই বড় কষ্টে ছোট ঝর্ণা "মাংসন সাইতার" দেখে, আর আল্লাহর কি রহমত, আমি আরামে শুইয়া শুইয়া লেপুতে "মাংসন সাইতার" দেখি। :)

ছবিগুলো সত্যি চমৎকার।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সবার সময় তো আর ভাই আপনার মতো বিষাদে কাটেনা, কি আর করা? B-)

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: জাহিদ অনিকতো তাড়াতাড়িই পৌঁছে গেলো ওখানে | তার ক্লান্তি কম | ওকে চা পরে দিলেও চলবে | এম এতো ঘুরে আসলাম আমাকে আগে দেন চা | রাতের খাবার দাবারের ব্যবস্থাও লাগবে করতে | শুরুথেকে ভালোই লাগছিলো ছোট ঝর্ণা "মাংসন সাইতার" কিন্তু ভয় খেয়ে গেলাম আপনার ওই কালো শঙ্খিনী দেখে | তাড়াতাড়ি চা দিতেই হবে এখন |

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জাহিদ ভাই সব চা খেয়ে নিয়েছে, আপনাকে এখন কোথ্থেকে চা দিবো ভাবছি :( সুন্দর নাম দিয়েছেন কালো শঙ্খিনী, এই কালো শঙ্খিনীকে দেখার পর এতো বেশী সতর্ক ছিলাম যে ভাষায় প্রাকাশ করার মতো না, ধন্যবাদ ভাই।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন সব ছবি , অসাধারন , অপূর্ব !!
চমৎকার লেখায় ও ভালোলাগা আর আপনার ইচ্ছা ও কপাল কে হিংসা এত্তগুলা ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাদের হিংসাগুলোকে সব সময়ই আমি যত্ন করে বুক পকেটে রাখি. কারণ এটাকে সব সময়ই আমি আমার জন্য শুভ কামনা মনে করি। ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকুন, সব সময়।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

শামচুল হক বলেছেন: এমন পাহাড়ী জঙ্গলে এমন দাড়িওয়ালা লোক কোথায় পেলেন ভাই? তবে ছবি কিন্তু খুবই সুন্দর।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ হক ভাই, দাড়িওয়ালা লোকগুলো আমাদের ভ্রমণ টিমেরই সদস্য। আর পাকা দাড়িওয়ালা লোকটার বয়স আমার থেকে দশ বছর কম।

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: খুবই ভাল লাগল আপনার জাদুকরি হাতে তুলা ছবিগুলো সাথে চমৎকার বর্ণনা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ শাহিন ভাই, আপনি আমাকে ভালোবাসেন বলেই এমনটা বলেছেন।

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ,




এবার কিছু কমুনা .................
উৎসুক হয়ে কেবল দেখে গেলুম ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিছু কইবেন্না বলাটাই কিন্তু কওয়া হয়ে গেল, শুভেচ্ছা জানবেন জী এস ভাই।

১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ৫/৬ একটি ভালো লাগার মত ছবি। বাকি সবগুলো ভালো লেগেছে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন সাহাদাৎ ভাই

১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

সাপটা কিন্তু বিষাক্ত ছিল না সাদা ভাই!


আর নতুন করি ছবি নিয়া আর কি কমু কন! অসাম অসাম প্রতিটা...

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বিষাক্ত ছিল কিনা সেটা ওকে জিজ্ঞেস করিনি, আসলে সাপটা আমাদের দেখে পালাতে চাচ্ছিল, আর আমরাও তাই, ধন্যবাদ ডানা।

১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

সুমন কর বলেছেন: মাংসন সাইতারের ছবি ব্লগ ভালো লাগল।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আরো ভালো লাগতো যদি ভরপুর পানি থাকতো, ধন্যবাদ সুমন ভাই।

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বান্দরবানের রোয়াংছড়ির রোনিন পাড়ায় দুর্গম পাহারী জায়গায় অবস্থিত মাংসন সাইতার বা মাসংন ঝর্ণাটি সহ সেখানে গমন পথের ছবি ও বিবরণ পাঠে ভাল লেগেছে । এ্‌ই বয়সে সেখান গিয়ে এটা দেখার তৌফিক আল্লাহ দিবেন কিনা জানিনা । তবে চেষ্টা করব সেখানে একবার যেতে । রোয়াংছড়ির দুর্গম এলাকায় অবস্থিত বড় কষ্টের ছোট ঝর্ণাটি দেখে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মনের অজান্তে এদেশে আশ্রিত বিপন্ন রোহিঙ্গাদের আদি নিবাস রোহাংএর কিছু কথা মনের পর্দায় ভেসে উঠে । শুনেছি ‘‘রখইং ছড়া’’ যেখানে তারাছা খালে এসে মিশেছে, স্মরণাতীতকাল পূর্বে সেই রখইং ছড়ার মোহনায় মারমা উপজাতিদের জনপদ গড়ে উঠেছে । সেখানকার মারমা উপজাতিদের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী স্থানীয় অধিবাসীরা সেই জনপদকে ছড়ার নামে ‘‘রখইং ওয়াহ্’’ নামে অভিহিত করে । বলা হয়ে থাকে ‘‘রখইং বা রাখাইন’’ শব্দের অর্থ বার্মা বা মায়ানমার রাষ্ট্রের আরাকান প্রদেশ বা আরাকানীদেরকে বোঝানো হয়। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নাকি আরাকানকে ‘‘রোয়াং’’ বলা হয়।
রোয়াংছড়ির এই পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারীদের মধ্যে মার্মা নৃ-গোষ্ঠীয় মানুষের সংখ্যাই বেশি যার অধিকাংশই জুম চাষী ।

ইতিহাস হতে জানা যায় ‘মারমা’ শব্দটি ‘ম্রাইমা’ থেকে এসেছে। ঐতিহাসিক তথ্য মতে মারমারা মিয়ানমার থেকে এসেছে বিধায় তাদের ‘ম্রাইমা’ নাম থেকে নিজেদের ‘মারমা’ নামে ভূষিত করে। মারমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। কথা বলার ক্ষেত্রে মারমাদের নিজস্ব ভাষা থাকলেও লেখার ক্ষেত্রে তারা বার্মিজ বর্ণমালা ব্যবহার করে। বান্দরবানে মারমা লোকসংখ্যা প্রায় এক লাখের কাছাকাছি। শিক্ষাদীক্ষা ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে মারমারা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে ।

মার্মাদের এই ইতিহাস এবং বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার অগ্রগতির চিত্রটি, ঝর্ণাটিকে দেখতে যাওয়ার পথে সেখানকার অধিবাসীদের ঘরবাড়ী সহ গ্রামের ছবিগুলিতে এ পোষ্টে সুন্দরভাবে ভেসে উঠেছে । খড়ের কিংবা পাতার ছাওনী ,মাঁচার উপরে বাশের সুন্দর কারোকাজকরা বেড়া , বারান্দা সহ ঘর ও সেখানে বসবাসকারীদের সুন্দর সুঠাম দেহবল্লরী তাদের চমৎকার স্বাস্থ্যসন্মত পরিবেশের কথাটিই পরিস্ফুট করে তুলে । বাড়িগুলো থেকে উৎসুক হয়ে অভিযাত্রী দলকে দেখা এই পোষ্টের দৃশ্যে থাকা মানুষদের ছবিগুলি উচ্চ কন্ঠে প্রমান দেয় তাদের সুন্দর জীবন যাপনের ।

আরাকান পর্বতের পাদদেশে রোয়াংছড়ির রোনিন পাড়ার মত দুর্গম পাহারী জায়গায় অবস্থিত মাংসন সাইতার বা মাসংন ঝর্ণার মত আরো ছোট ছোট ঝর্ণা হতে পানি নেমে এসে মিশেছে গিয়ে সাঙ্গু নদীতে । বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে কয়টি নদীর উৎপত্তি তার মধ্যে সাঙ্গু নদী অন্যতম। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার পাহাড়ে এ নদীর জন্ম। বান্দরবান জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে।

সে এলাকার মানুষের জীবনে ঝর্ণার পানির অবদান অনেক ,ঝর্ণার পানি হতে সৃষ্ট নদীটি সেখানকার যোগাযোগ , ওখানকার মানুষের জীবন জিবিকা ও জীববৈচিত্রের এক অন্যতম উপাদানে পরিনত হয়েছে । তাই মাসংন ঝর্ণাটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই অকাতরে ।

রোয়াংছড়ির ঝর্ণার মত সেখানকার অধিবাসী মার্মাদের প্রিয় উৎসব সাংগ্রাই এর কথা এখানে উল্লেখযোগ্য । এ্ই সাংগ্রাই এর প্রধান আকর্ষন হল পানি খেলা যেটিকে মারমারা বলে “ড়ি লং পোয়ে” । বছরের প্রথম দিনে ঝর্ণার পানিতে মার্মা তরুনীদের জল খেলা হতেই নাকি এটার উদ্ভব হয়েছে ।

সাংগ্রাইয়ের এই পানি খেলা শুধুমাত্র এখানকার মারমাদের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া আর চীনের দাই জাতিগোষ্ঠীরাও এপ্রিলের মাঝামাঝিতে এর অনুষ্ঠান করে থাকে। মায়নামারে এই ধরনের অনুষ্ঠানকে “থিনগন” আর থাইল্যান্ড ও লাওসে এই অনুষ্ঠানকে “সংক্রান” বলে।

এখন কথা প্রসঙ্গে বলা যায় আদি রোসাং তথা আরাকান হতে আসা মার্মাদেরকে আমরা কত যতনে সুন্দর ভু-অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবেশে পুরাপুরী জাতীয় নাগরিকত্বের সুযোগ সুবিধা দিয়ে এ দেশে সুন্দরভাবে জীবন যাপন ও বিকসিত হওয়ার অবারিত সুযোগ দিচ্ছি করে তা মিয়ানমারের মগরা দেখে যাক এসে । কামনা করি আরাকানের রোহাং এ বসবাসরত সেখানকার আদিবাসী রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর মিয়ানমার এর মগদের নির্মম নির্যাতন ও জাতি নির্মুলের মত অমানবিক ও পাশবিক কর্মকান্ড বন্ধ হোক , নির্বাসিত রোহিঙ্গাদেরকে অচিরেই ফিরিয়ে নেয়া হোক তাদের আদি নিবাসে , উচ্ছল ঝর্ণার মত সুন্দর ও সাবলিল হোক তাদের জীবন যেমন এখানে এই ঝর্ণার পাদমুলে সুখে শান্তিতে কাটছে আরাকানের রোহং হতে শত বছর আগে আগত মার্মা জাতিগোষ্ঠির জীবন ।

অনেক ধন্যবাদ , আপনার মুল্যবান সুন্দর পোষ্ট টি দেখার সাথে সাথে কিছু প্রসঙ্গিক কথা এখানে তুলে ধরার সুযোগ পেলাম বলে । কথাগুলি পোষ্টের উপরে অপ্রাসঙ্গীক মন্তব্য মনে হলে নীজ গুণে ক্ষমা করবেন।

শুভেচ্ছা রইল

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সাঙ্গুর পানি যে ছোট বড় সব পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো থেকেই আসে এমন মিলনস্থল দেখেছি আমি অনেক। তার মধ্যে আমার মনে হয় সাঙ্গুর পানির সব থেকে বড় যোগানদাতা হল রেমাক্রি খাল। রেমাক্রি, থানচি, রোয়াংছড়িতে এসে সাঙ্গুতে মিশতে দেখেছি আমি এই সব ঝর্ণার পানিগুলোকে। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবের পানি খেলা দেখেছি খাগড়াছড়িতে, ওদের উৎসাবগুলো খুবই প্রাণবন্ত হয়। আপনার গবেষণামুলক মন্তব্যের জন্য রইল অনেক অনেক শ্রদ্ধা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সাংগ্রাই নিয়ে আমার একটা পোষ্ট আছে, এখানে টোকা দিয়ে দেখতে পারেন

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১৬

কালীদাস বলেছেন: কি সুন্দর সুন্দর ছবি। লাস্টের দিকে খিদা লাইগা গেলু..... :P

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার রোগটা আমার মাঝেও আছে, খাবারের ছবি দেখলে খালি কাইতে মুন্চায় :)

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর ছবি গুলো, ভালো লাগলো, বরাবরের মতো মতই মুগ্ধ।

ভাই, মাঝেমধ্যে পানিতে ওইরাকম সাপ মাথা বের করলে আমি আর সামনে না গিয়ে পিছুন দিক ছোটতাম, কতবড় সাপ!!

১৬ নং মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো, ছবিগুলোও মন কাড়া।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সাপ জোঁকের ভয় মনে থাকলে এসব এ্যডভেঞ্চার কোন কালেও সম্ভব নয় নয়ন ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



কামাল ভাই,
যথারীতি অসাধারন ছবি আর অনুপম বর্ননা।

খারাপ লাগে নি একথাটাও- কানে কানে কই, কাউকে কইবেন্না যেন, আমিও তাই =p~

ভাল থাকুন নিরন্তর।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটা তো জাহিদ ভাইকে আমি বলেছিলাম, আপনি শুনে ফেললেন...........শুভেচ্ছা

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ১৫ নং ছবিতে মনে হচ্ছে কুয়াশা নামছে। সুন্দর সবগুলো।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অনেকটা তাই, পানি ছিলনা বললেই চলে, ধন্যবাদ রাজপুত্র

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

বর্ষন হোমস বলেছেন: অসাধারণ!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।

২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক সুন্দর ছবি আর ছবির সাথের বর্ণনা।
জোক ধরেছিল নাকি?
আমি তো সাপ দেখে ভয় পাইছি।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জোঁকের কথা নাইবা বললাম, অনেক জোঁকের কামড় খেতে হয়েছিল এই ট্যুরে, শুভেচ্ছা জানবেন আপু।

২৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নিয়াজ সুমন বলেছেন: অনেক সুন্দর তো। ভালোবাসা থাকলো সাদা মনের মানুষের জন্য।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শ্রদ্ধা জানবেন সুমন ভাই।

২৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

পুলক ঢালী বলেছেন: সামমা ভাই সুন্দর ছবির সাথে আপনার বর্ননাও খুব ভাল হয়েছে। পড়তে পড়তে সাপ ও জোকের কথা ভাবছিলাম, ওমা! আপনি দেখি ঠিক ঠিক সাপ হাজির করেছেন। :D
আপনাদের ট্রেইলের যা চেহারা দেখলাম তাতে পানি কম থাকাতে ভাল হয়েছে নাহলে আপনারা সব ভেসে যেতেন।
হেনা ভাউ কই? খবর পায়নি মনে হয় :)
ডঃ এম এ আলী সাহেবের মন্তব্যে অনেক কিছু জানতে পারলাম ওনাকে এই শ্রমলদ্ধ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এসব ট্যুরে গেলে সাপ ও জোক তো ডাল ভাত। হেনা ভাই এখন ভারত সফরে আছে, আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে।

২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরের মতই অনেক সুন্দর সব ছবি।
পোষ্টে+++

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাকেও প্লাস মোস্তফা ভাই :D

২৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

রানা আমান বলেছেন: খুবই ভাল লাগল আপনার ছবিগুলো সাথে চমৎকার বর্ণনা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আমার ভাই, উৎসাহিত হলাম অনেক।

২৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: জনাব ডঃ এম এ আলী যে মন্তব্য করেছে তা দিয়ে একটি পোস্ট করা যায়।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, আমিও তাই বলি।

২৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১০

জুন বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর ছোট ঝর্নাটি সাদা মনের মানুষ । ছবিগুলোও ভালোলাগলো ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, শ্রদ্ধা জানবেন।

২৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ হক ভাই, দাড়িওয়ালা লোকগুলো আমাদের ভ্রমণ টিমেরই সদস্য। আর পাকা দাড়িওয়ালা লোকটার বয়স আমার থেকে দশ বছর কম।

ছোট ঝর্না দেখে ভালো লাগল, তবে কথা হইল-- উপরের প্রতি মন্তব্য পড়ে কৌতুহল জাগল তাইলে আপনার বয়স কত?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পাকা দাড়িওয়ালা মানুষটার বয়স মাত্র ৩৬ বছর, আমার ৪৬ প্লাস :)

৩০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: মারাত্মক ছবিব্লগ।


১০ং ছবির মানুষের ছবিটুকু এডিট করে দিলে তো শিল্পীর আঁকা কোন চিত্র মনে হবে।


অসম্ভব ভালোলাগা পোস্টে।

পরের বার গেলে এই বান্দাকেও সাথে নিয়ে নিবেন। B-)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কেউ ভালো লেগেছে বললে উৎসাহ বোধ করি, আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনাকে নিয়ে যাবার কোন ঠিকানা আমার কাছে নাই।

৩১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শাপের মাথা ।ফণা তুলেনি???

মানুষদের ভয় দেখানো সূক্ষ্ণ প্রচেষ্টা B-) !:#P

৩২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার মুর্শিদাবাদের কাটরা মসজিদ ও মুর্শিদকুলি খানের সমাধি ফটো ব্লগটা গেলো কথায়?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওটাতে কিছুটা সমস্যা ছিল সমাধান করে আবার পোষ্ট দিয়েছি ভাই।

৩৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তবে অসময়ে যাওয়ার কারণে এই ঝর্ণাটার যৌবন দেখা হয়নি।


ঝর্ণারও যৌবন থাকে? ও হাঁ, ঝর্ণা তো এখন যুবতীই বটে। ঝর্ণার বাপ গফুর মিয়া মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজছে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপ্নে কি ঝর্ণার চাচা? =p~

৩৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন:


পোস্টের ভেতর পোস্ট
ডঃ আলী ইজ দ্যা হোস্ট

থ্যাংক ইউ ডঃ আলী ফর এ রিচ কমেন্ট উইথ পিকচারস।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ইঞজিরি কবিতা ভালো লাগছে অল মোষ্ট =p~

৩৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইঞজিরি কবিতা ভালো লাগছে অল মোষ্ট


এটা কবিতা নয়, ছবিতা। মানে ছবি দেখে তার প্রশংসা করা।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হে হে হে, ইন্ডিয়া থেকে ফেরার পর আপনাকে বেশ গেয়ানি গেয়ানী লাগতাছে :D

৩৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মলাসইলমুইনা এই নামটা উচ্চারণ করতে গিয়ে দাঁত ভাঙ্গার উপক্রম হচ্ছে। চোখ গেছে, মাথার চুল গেছে, এবার দাঁতও যদি যায় তো আমার আর কিছুই থাকবে না। ৩২ নম্বর কমেন্টের ব্লগার ভাইরে নামটা চেঞ্জ করতে কন না ক্যান কামাল ভাই।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনারা গুরুজন, আপনারা দেখেন কিছু কর্তে পারেন কিনা। আমারে ক্যান সমস্যায় ফেলান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.