নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদিয়া আক্তার

সাদিয়া আক্তার

সাদিয়া আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর সম্মান আর কতভাবে ক্ষুণ্ণ হবে?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৫৫

হ্যাঁ আমি নারী। আমার অস্তিত্ব তোমাদের কাছে চিরকালই গ্লানির। কারণ আমার সব কাজের হিসেব আমাকে তোমাদেরকে দিতে হয়।

আজ হয়ত ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলাকায় ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনাকে ঘিরে আমরা দুঃখিত কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতা যে কতটা তীব্র এটা এখনো আমরা অনুমান করতে পারছিনা। যেমনটা অনুমান করা যায়না ক্যানসার সংক্রমণের শুরুর দিকে।



অনেকের মতামত প্রকাশের মনোভাব দেখে আমি স্তব্ধ। কিছু মতবাদ না বলেই নয় এবং মতামতগুলো বেশিভাগই পুরুষদের, তা ভালই হোক আর খারাপই হোক। কারণ স্বভাবতই পুরুষেরা বেশি সাহসী নিজের মতামত প্রকাশে।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলাকায় যে সকল নারী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন -

* তারা সকলেই নাকি ছেলেদের সাথে এ নাচানাচি করতে গিয়েছিলো এবং এমন কিছুর ঘটানোর জন্যেই ওখানে রাতে অপেক্ষা করছিলো।

* যে সকল নারীর সাথে এমন হয়েছে তাদের পোশাক শালীন ছিলো না।

* তাদের বাবা-মা নাকি তাদের মেয়েদের খবর রাখেন না যে তাদের মেয়েরা কি পোশাক পড়ে।

* মেয়েদের নাকি শালীনতা বজায় রেখে চলা উচিত কারণ সমাজের কিছু অংশ নাকি কখনই এই সুযোগ হাত ছাড়া করবেনা।

* পর্দা করলে নাকি কখনো কোনো মেয়ে ধর্ষণের শিকার হবে না।

* এত রাতে মেয়েদের বাইরে থাকার কি দরকার।

* আমাদের দেশে নারীরা নাকি চায় খোলামেলা পোশাক পরে ছেলেদের আকর্ষণ করতে।

* ওখানে তো আর ও মেয়ে ছিলো তাহলে কেন শুধু ওই ২০/২৫ টা মেয়ের সাথেই হলো? অবশ্যই মেয়েগুলোর সমস্যা ছিলো।



এখন আসি দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মতামতে-

* এ নিশ্চয় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যে বিরোধীদলের ষড়যন্ত্র!!

* এটা জামাত এর কাজ , যাতে করে আগামী বছর বাংলার মা বোনরা পহেলা বৈশাখ পালন না করে।

* যারা নববর্ষ পালনের বিপক্ষে, নববর্ষ কে হিন্দু কালচার দাবি করে এসেছে, নব বরষের অনুষ্ঠানে বোমা মেরেছে ,এ কাজ তাদের।

*এই কাজ অবশ্যই ছাএলীগ এর কারণ ক্ষমতা তাদের হাতে।



নারীদের কি একবার জিজ্ঞেস করবেন যে আমাদের কি মতামত? আমরা সুরক্ষিত কোথায়? কোন পোশাকে?

একজন নারীতো তার নিজের বাড়ীতেও নিরাপদ নয়, বাল্যকাল থেকেই তাকে শিকার করার জন্যে কিছু হায়েনা মুখিয়েই থাকে। তাহলে কি বাল্যকাল থেকেই নারীরা ছেলেদের অকৃষ্ট করার জন্যে মুখিয়ে থাকে? নাকি তখনও শালীন পোশাকের অভাব দেখে শিকার হয়? মাদ্রাসার শিশুরা পর্যন্ত হুজুর দ্বারা ধর্ষিত হয়। পোশাক কি তবে ধর্ষণের জন্য দায়ী?

বিভিন্ন জরিপে দেখা যায় ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীরা ধর্ষণের সময় ৪৮% নারীই শাড়ী / বোরখা , ৪১% নারী সেলয়ার কামিজ পরিধান-রত ছিলো। ৮২% যৌন-হয়রানী হয়েছে পরিচিত মানুষদের দ্বারা। ২৯.৩% ছিলো ১১বছরের নিচের শিশু। ৭.৩% নারী ৫০বছরের ঊর্ধ্বে। ৪০% নারী ধর্ষিত হয়েছে নিজের বাসায়।

এসব তথ্যই প্রমাণ করে যে নারী কোথাও ,কোনো পোশাকেই সুরক্ষিত ??



ইসলামকে টেনে অনেক কথা বলা হয়েছে। আমি অথবা আমার মত অনেকেই ইসলাম নারীর সম্মান দিয়েছে তা অকপটে মেনে নিব। তবে কোনো ধর্মকে টেনে এনে এই জঘন্য কাজকে স্বীকৃতি দেওয়াকে মেনে নিতে পারবো না। ইসলামে কোথাও বলা নেই কোনো নারী যদি বেপর্দা থাকে তাকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার অথবা তাকে স্পর্শ করার , তার মানহানি করার অধিকার তোমার আছে। তাহলে বলতে হবে সব বেধর্মী নারীকেও ইসলামে অসম্মান করার কথা বলেছে। নাউজুবিল্লা!!!

আমার প্রশ্ন হলো ধর্ষণ করার আগে কি তারা ধর্ম জিজ্ঞেস করে ধর্ষণ করে? ইসলামে নারীদের পর্দা করতে শুধু বলেনি, পুরুষদের ও বলেছে। সে পর্দার বর্ণনা খুব কঠিন। ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি প্রদান করতে ও বলা হয়েছে। পারলে ভালো করে জেনে বক্তব্য দিবেন। আমি মানছি ইসলামিক পথে চললে অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি উপেক্ষা করা সম্ভব হবে কিন্তু তা শুধু নারীর জন্যে প্রযোজ্য নয়। ইসলামে শুধু মেয়েদের পোশাক এর পর্দার কথা বলা হয়নি, ছেলেদের চোখের পর্দার কথাও বলা হয়েছে, ছেলেদের পোশাক এর ও সংযম রয়েছে। কয়জন ছেলে সেই সংযম মেনে চলেন?



তাই বলেতো মেয়েরা ছেলেদের শাস্তি দিতে যায়নি অথবা তাদের ধর্ষণ ও করতে যায়নি। তাদের পোশাক নিয়া আপনার আপত্তি থাকতে পারে, আপনি তাকে এড়িয়ে চলুন, তাদের বোঝানোর চেষ্টা করুন, কিন্তু তার গায়ে হাত দেওয়ার অধিকার আপনাকে কেউ দেয়নি। যারা অশালীন পোশাকের দোহাই দিয়ে নারীদের যৌন হয়রানীকে জায়েজ বলছেন তারাও প্রকাশ্যে ধর্ষক, সময় পেলে এরাও নারীদের গায়ে হাত দেবে, ধর্ষণ করবে শাস্তির নামে। অনেক ছেলেই হাফ-পেন্ট পরে রাস্তায় ঘুরে যেখানে ইসলামে বলা আছে হাঁটুর নিচে কাপড় পরতে, অনেকে ছেলেই নিজেদের অন্তর্বাস দেখিয়ে পেন্ট পরে। রাস্তায় দারিয়ে নিজেদের গোপ-নাঙ্গ বের করে মূত্র বিসর্জন করে। তাদের পেন্ট ধরেতো কোন মেয়ে টানাটানি করে না অথবা তাদের যৌন-পীড়ন ও করেনা। এমনকি তাদের দিকে কোনো মেয়ে লালসা ভরা চোখে তাকিয়েও থাকে না, কটূক্তি করাতো দূরের কথা। ছেলেদের বেপর্দা থাকাও, অনেক মেয়ের কাছে আকর্ষণ এর কারণ হতে পারে। ছেলেদেরও তো অঙ্গভঙ্গি আছে। কোনো ব্যাখ্যাই এই অপরাধের অজুহাত হতে পারে না। কারো পোশাক অশালীন হলেও তার পোশাক খুলে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।



স্বামী-সন্তান পাশে থাকা স্বতেও যখন একজন নারীকে শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়েছে সেখানে আর কেউ কি পারবে তাকে রক্ষা করতে ? শাড়ী পড়া দেখেও যদি তাদের এমন কুদৃষ্টি হয় তাহলে মা-বোনদের দেখে নিজেদের কেমনে সামলায়?

লিটন নন্দীর মত এরকম সাহসী বাংলাদেশী যুবক আমাদের সবারই কামনা কিন্তু এই একজন কি পারবে বাঙালী নারীদের একাই রক্ষা করতে ? সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এই কথাটা আমরা সবাই জানি এবং বলিও। কিন্তু কেউ একজন আগাবে এই আশায় আমরা বসে আছি। কিন্তু আর কতটা সহ্য করার পরে? আর কতটা অপমানিত হয়ে? কেউ কেউ বলেছেন, মেয়েগুলো আত্মহত্যা করলেও অবাক হয়ার কিছু নেই, কেন আত্মহত্যা করবে মেয়েগুলো ? কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষে দেওয়া লাঞ্ছনায় লজ্জিত বটে কিন্তু তা পুরো সমগ্র জাতির, সেই নিরপরাধ মেয়েগুলোর নয়। আত্মহত্যা ওই জানোয়ারগুলোর করা উচিত যারা মেয়েদের শুধু ভোগের সামগ্রী মনে করে, যাদের আত্মতৃপ্তি জড় মাংসপিণ্ডতে ও হয়।



সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যে সকল ভাইয়েরা মজা দেখছিলেন তাদের উদ্দেশে কিছু কথা না বললেই নয়। লিটন নন্দীর বক্তব্যে উনি বলেছেন, অনেক লোক দূরে দাঁড়িয়ে ছিলো কিন্তু তিনি তাদের ঢাকার সাহস পাচ্ছিলেন না , ভয় হচ্ছিল যদি তারাও যৌন লালসায় উত্তেজিত হয়ে পরে। কতটা ভয়ংকর পরিস্থিতিতে মানুষের এমন চিন্তা মাথায় আসতে পারে? কেউ কেউ হয়ত মোবাইল এ ভিডিও করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। হয়ত এই ভিডিও রাতের তিপ্তির খোরাক যোগাবে। হায়রে যখন তাদের মা বোনদেরকেও এভাবে ইজ্জত হারাতে হবে তখনোও কি তারা মোবাইলের ক্যামেরায় ভিডিও করায় ব্যস্ত থাকবে? আমাদের দেশের অধিকাংশ পুরুষই প্রকাশ্যে ভালো যখনই একটু আড়ালেও যায় তখন তার আসল রূপ দেখা যায়।



এটা একটা পরিকল্পিত অপরাধ, ধর্ষণের চাইতে কম জঘন্য অপরাধ নয় এটি। চল্লিশ মিনিট ধরে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে অপরাধ করে যাবার ক্ষমতা যে সংঘবদ্ধ দলের থাকতে পারে তারা কারা? হঠাৎ একই সময় একই ধরনের ঘটনা পুরো টিএসসি জুড়ে কি ভাবে ঘটে? তাও ঢাকা ইউনিভার্সটির মতো জায়গায়? বিচ্ছিন্ন ভাবে বখাটেরা ঘটালে ব্যাপারটা এত বড় হত না। এই তিরিশটা ছেলের শক্তির উৎস তাহলে কোথায়? ৩০-৪০ ছেলে হলে এতগুলো ঘটনা একি সাথে কি করে ঘটে? ঘটনার ৩দিন পার হলেও কোনো পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি? সি সি ক্যামেরায় থাকা স্বতেও কেন ধরা পড়েনি দোষীরা? পুলিশ থাকা স্বতেও কেন বাঁধা দেয়নি? প্রোক্টর কেন এত নির্লিপ্ত? ২ জনকে ধরে পুলিশে দেয়ার ১০ মিনিট পরই পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয় কেন? কাদের অর্ডারে ?



৭১ এর বিচার এর জন্যে গণজাগরণ হয় আর নতুন বাংলা বছর এর এই নারীদের যারা অপমান করল তাদের বিচারে জন্য কেউ বলবেনা কারণ এটা রাজনীতির খেলা নয়। আমরা কেন এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে পারি না? গণজাগরণ কি নারীর সম্মান রক্ষায় হবে না? যেখানে সব বিবেকবান / চেতনাবান সেই চেতনা-বাদীদের মাঝে কি করে নারীদের অবমাননা হল? কেউ আর সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ জানাবে না কারণ এবার আর কোন রাজনৈতিক ছায়া মাথার উপর থাকবে না।

কোন দলের ছেলেরা করেছে,কোন দল সাপোট করে এরা, তা জেনে আমাদের কি হবে? দল-ভেদে চিন্তা না করে জাতির কথা আগে চিন্তা করুন। দোষী যেই হোক আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘৃণিত অপরাধ করার সাহস না পায়। যে দেশের প্রধান এবং বিরোধী দলের প্রধানও নারী সে দেশেই নারীর সম্মান কেন নেই? ১৯টা সি সি ক্যামেরা থাকা স্বতেও কি সহজে পুরো ঘটনাটি এড়িয়ে গেল মিডিয়া। ফেসবুকে একটা মিথ্যে ছবি প্রকাশ করে ঘটনাকে ঘিরে কুয়াশা সৃষ্টি করা হল কেন? বিকালকে রাত বলা হচ্ছে কেন?

১৫ বছর আগে ৩১শে ডিসেম্বর রাতে টিএসসি তে বাঁধনের উপর একই ভাবে হামলা করেছিল কিছু লোক, যার ফলে এর পরের বছর থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৩১শে ডিসেম্বর উৎযাপন নিষিদ্ধ। এবার হয়ত পহেলা বৈশাখ উৎযাপন নিষিদ্ধ হবে। নিজের দেশে নারীরা যখন নিজেদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এমন অবস্থায় পরে তবে কি সেই দেশের মানুষের স্বাধীনতা আছে ?

আমাদের সমস্যা হল আমরা সব ঘটনাই রাজনীতির সাথে জড়াই, তাই প্রকৃত অপরাধীরা বেঁচে যায়। ৩০/৪০টি ছেলের অপরাধের শাস্তির দাবি না করে আমরা তার ব্যাখ্যা দিতেছি যে কেন তাদের বস্ত্র হরণ করা হল, কি কারণে, ইত্যাদি ইত্যাদি। পুরুষ-শাসিত এই অসুস্থ সমাজ এ নারী বিদ্বেষী কিছু ব্যক্তি অপরাধীর চেয়ে ভুক্ত-ভুগিকে আগে দোষারোপ করে। মানসিকতা বদলের যুদ্ধ সবচাইতে বড় যুদ্ধ। বাংলাদেশ এ লিখালিখি করে কিছু বদলানো যাবে না। বদলাতে হলে রুখে দাড়াতে হবে। এ রুখে দাঁড়ানোর দায়িত্ব শুধু পুরুষের একার নয়, নারীদের নিজেদের মর্যাদার দায়িত্ব তাদের নিজেদেরও।



তবে কে যাবে এর প্রতিবাদ করতে? কার নিজের জীবনের প্রতি মায়া নেই? তাহলে আর কি করার বসে থাকি বাসায়? আজ অন্য কারো মেয়ের সাথে হয়েছে, অন্য কারো মার সাথেও হয়েছে, অন্য কারো বউ / বোন তাইতো? তাহলে অপেক্ষা করো কাল হয়তো তোমার কারো সাথে হবে ততদিনে হয়ত মানুষ আরও নির্বিকার হয়ে যাবে। অথবা রেখে দাও অর্ধেক জাতিকে গৃহবন্দী করে। সমাধান খুব সোজা। বিচার চাওয়াই কঠিন।

আজ নারী হয়ায় লজ্জিত আমি, আমরা। কিন্তু এই লজ্জা কি সত্যিই আমাদের? নাকি আমাদের রক্ষা করতে না পারায় বাংলার সন্তানদের?

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা মেয়েদের অপমান করেছে, বা করবে, তাদেরকে সঠিক শাস্তি দেয়া হবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

সাদিয়া আক্তার বলেছেন: কিন্তু শাস্তি দেওয়ার তৎপরতা কোথায়? আমরা যদি নিজেদের জন্যে নিজেরা না দাঁড়াই তাহলে কি আমাদের অধিকার আমাদের দেওয়া হবে?

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪২

অব্যক্ত স্লোগান বলেছেন: ক্লিক করুন দয়া করে পড়ে দেখুন।
আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল। এই রকম প্রতিবাদ সকল এর ই করা উচিৎ। ধন্যবাদ! :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

সাদিয়া আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার লিখা আমি পড়েছি। ভালো লিখেছেন । আমরা সকলে যেদিন সচেতন হব এবং নিজেদের চেতনাকে প্রশ্ন করবো সেদিনই আমাদের সত্যিকার অর্থে উন্নতি সম্ভব।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০০

কাবিল বলেছেন: হায়নাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

সাদিয়া আক্তার বলেছেন: সেই কাঙ্ক্ষিত শাস্তি তাদের কখনই দেওয়া হবে না। যদি না আমরা তার প্রতিবাদ করি।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

ক্যামরুন বলেছেন: কি করব বোন. আমরা যে অসহায়, এদের শক্তি থাকে মন্ত্রীদের হাতে, এরা থাকে বড় ভাই নামক শক্তির হাতে, আমরা অসহায় আমাদের ক্ষমাকরুন..

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

সাদিয়া আক্তার বলেছেন: আমি জানি আমারা চাইলেই অনেক কিছু করতে অথবা বলতে পারি না। সবারই নিজের জীবন প্রতি মায়া আছে। সবারই পিছুটান আছে , কিন্তু এখন আর বসে থাকা চলে না। কারণ এখন আর বেশি দিন বাকি নেই যখন নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েও টানা হেঁচড়া হবে। তাই আরও একবার চিন্তা করে দেখুন।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখা। কিন্তু উপায় নাই এদেশের উপর মহল এদের রক্ষা করে। ধন্যবাদ

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:১২

সাদিয়া আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । পৃথিবীতে সর্বকালের চিরন্তন সত্য হলো খারাপ মানুষেরা ক্ষমতাবান হয়, তাই বলে অন্যায় মেনে নিয়ে তাদের সাহস বাড়িয়ে দেওয়া মটেই কাম্য হতে পারে না।

৬| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

এভারগ্রীণ আনোয়ার বলেছেন: কথা অনেক গুরুত্ব পূর্ন্য

১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

সাদিয়া আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ আমার লিখাটি পড়ার জন্যে এবং গুরুত্ব বুঝার জন্যে, তবে কবে এর গুরুত্ব আমরা সবাই বুঝবো এবং চিন্তা ধারনা বদলাবো?

৭| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

এভারগ্রীণ আনোয়ার বলেছেন: যত দিন আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্ত্ন না হবে তত দিন কিছুই হবে না। আইন যতই কড়াহোক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.