নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন চাকুরীজীবির ডায়েরীতে লিখা হাজারও বায়না, সীমাবদ্ধতায় তা আর কখনই পূরন করা হয়নি । আমি সে ডায়েরীর খোঁজে ।

সাগর সাখাওয়াত

পাগল, শিউলী তলয়া কুঁড়িয়ে পাওয়া পুতুলের জন্য গারদের বাসিন্দা ।

সাগর সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই আনমুল রতন

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ব্রিটিশ প্রথম বেপারী জাহাজ হেক্টর' ব্যাবসার উদ্দেশ্যে ১৭১২ সালে উপমহাদেশে আসে । তাদের এই আসা ২৪৭ বছর বা নন অফিসিয়ালি তার চেয়েও বেশী বছর স্থায়ীত্ব নিবে তা কেউই অনুমান করতে পারে নি । যাবার সময়ও নিরব ঘাতক বিষ রেখে গেছেন । দ্বি-জাতী তত্ত্ব । তত্ত্বের ভিত্তিতে দুটো দেশের পতাকা হাতে তুলে দিয়েছিলেন ইংরেজ'রা । সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম মিলে পাকিস্তান । আর ১১ টি প্রদেশ নিয়ে ভারত । সিমলায় বড় লাটের সাথে দুই দেশের নেতারা প্রতিনিধিত্ব করেন । জহর লাল নেহেরু, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ , পার্থিব ভাই প্যাটেল , মহাত্মা গান্ধী । গান্ধীর হাতে ক্ষমতা অর্পন সেটাও বিরাট মানের পলিটিলেক গেম ছিল । কারন সংখ্যা গরিষ্টি হিন্দু প্রধান দেশ বর্তমান ভারত ।

মুঘল থেকে শুরু করে ইংরেজ'রা ও তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করতেন ভারত কেন্দ্রীক । আর এখানে দেশ বিভক্তের ক্ষেত্রে সীমানা ইংরেজ'রা যেভাবে নির্ধারিত করেছে সেটিই মেনে নিয়েছে গান্ধী । পূর্ব বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা । আমাদের নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি বললেই চলে । পশ্চিমবাংলা , আসাম, মুর্শিদাবাদ ছাড়াই দেওয়া হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের সীমানা । ১৭ টি অফিসিয়াল ভাষা । যার সুবাদে আজ বর্তমান বিশ্বে ইন্ডিয়া অন্যের কালচার নিজের বলে চালিয়ে দেয় । শাড়ী, পান্জাবী বাংলা ভাষা দেখিয়ে বলে আরে দাদা এটা আমাদের কলকাতার, আমরাই প্রতিনিধিত্ব করছি । সিংহল ভাষাভাষি দেখিয়ে বলে তামীলও আমার কালচার , চেন্নাই । আজকে যে আমার আমার বলে চিৎকার কাল তা পর হবেই । আসাম, গুজরাট, পান্জাব, ত্রিপুরা, কাশ্মীর ,চেন্নাই অলরেডি স্বাধীনতা চেয়ে বসে আছে । আসামের উলফার পরেশ বড়ুয়াকে কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন ।

ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র , আমরা মনে করি তারা নয় । আমাদের সাহায্য করতো না যদি না তাদের উদ্দেশ্যে সফল হবে না বলে অনুমান করতে পারত । পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ থেকে বাঁচতে স্বায়ত্তশাসীত কাশ্মীর ভারতের সেনাবাহিনী সাহায্য চেয়েছিল । আজকে কাশ্মীর ভারতের অঙ্গ রাজ্য । শ্রীলঙ্কার তামীল[ LTTF ]ও তারা তৈরী করেছিল । আর এম জি রামাকরন প্রত্যক্ষ মদদ দিয়েছিল সাথে জার্মানী, পাকিস্তান,রাশিয়া, ইসরায়েলের । জাফনাতে তে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে পরবর্তীতে ভারত সরাসরি হস্তক্ষেপ না করতে পারায় ২০০৯ সালে সারা পৃথিবীতে ভারতের র' ও কমান্ডো , রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপারেশনে মারা পড়ে LTTF প্রধান প্রভাকরন। যদিও শ্রীলংকা সরকার প্রভাকরনের মৃত সার্টিফিকেট দেয় নি আজও । আবার রামাকরন ও রাজীব গান্ধীকেও হত্যা করেছিল LTTF । এশিয়ার প্রত্যেকটি ছোট দেশের জন্য ইন্ডিয়া সমস্যা । তাদের কিছু সেক্টর উন্নত দেশের তালিকায় আছে । পারমানবিক , জিডিপিতে বিশ্বে চর্তুথ , দ্বিতীয় বৃহৎ সেনাবাহিনী থাকার দরুন চাপিয়ে কথা বলা ও জোর খাটানো অভ্যাসে পরিনত হয়েছে । আবার মার্কিন গুরু রা ভারতকে আরেকটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় । চায়নাকে দমানোর জন্য ।

তা আদৌ কি সম্ভব হবে কিনা জানা নেই । যে দেশের জনসংখ্যার ৬০% এর শৌচাগার নেই , খোদ মুম্বাই তে ১.৫ মিলিয়ন মানুষ বস্তিতে থাকে যেখানে আকাশচুম্বি রাজ প্রসাদ করেছেন রিলায়েন্সের স্বত্ত্বাধীকারি মুখেশ আম্বানী । যেদেশে মিডিয়া আর্টিস্ট দের সংখ্যার চেয়ে পতিতালয় তিন গুন । ব্রিট্রিশদের জলসাখানার পতিতা পেশা , যদিও সম্মানের সাথে নিচ্ছেন ভারতের নারীরা। সাম্প্ররদায়ীক দাঙ্গা, রেপ, নারীদের নাম্বার ওয়ান থ্রেট প্লেস ভারত । পাকিস্তান আছে লস্করে তৈয়বা, বোম, নিয়ে ।

শুধু আমরাই মনে হয় ৬.৮% রেমিটেন্স ছোট পায়ে পোশাক, রেমিটেন্স, হিমায়িত পন্য, মেশিনারী , ওয়াসফিয়া, বিবি রাসেল দের নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি
ওভার অল আমরা সুযোগ সন্ধানী ।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওভার অল আমরা সুযোগ সন্ধানী ।।

উপরের বিশ্লেষণের ন্যায় এই কথাটিও ভুল। আমরা সূযোগ পেয়ে হাতছাড়া করতে বেশি পটু। সবথেকে বড় কথা আমাদের চালায় রাজনৈতিক হিপোক্রেটরা। তাই আমরা সঠিক পথে নেই। আমরা এখনো ভুলপথে চালিত হচ্ছি। জনগণ ধীরে ধীরে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে আর সূযোগ করে দিচ্ছে রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের।

ভারত ভারতই। তাদের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট ভাল। আমাদের দেশের চেয়ে তো বহুগুণে ভাল। পাকিস্থান এক্ষেত্রে ব্যর্থ রাষ্ট্র। তাই ভারতের যতই রাজ্য ছিনিয়ে নেয়ার মতো গোষ্টী বেড়ে উঠুক, ভারতের চুলে হাত দেয়ার সাধ্য খোদ আমেরিকারও নেই। তবে বোম্বাইয়ের বোমা হামলার মতো ঘটনা হয়তো ঘটানো সম্ভব। কিন্তু প্রশাসনিক বিভক্তি অসম্ভব।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৮

সাগর সাখাওয়াত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
কিছু সেক্টর আমি উল্লেখ্য করেছি , এটা স্বীকার করতে হবে এত কিছুর পরও দেশ বেসরকারী ভাবে এগিয়ে যাবে । কারন রুগীর চিকিৎসা করার চেয়ে রোগের করা শ্রেয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.