নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন চাকুরীজীবির ডায়েরীতে লিখা হাজারও বায়না, সীমাবদ্ধতায় তা আর কখনই পূরন করা হয়নি । আমি সে ডায়েরীর খোঁজে ।

সাগর সাখাওয়াত

পাগল, শিউলী তলয়া কুঁড়িয়ে পাওয়া পুতুলের জন্য গারদের বাসিন্দা ।

সাগর সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষার তরে এসো চুরির তরে বের হও

৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

বাংলাদেশ কাস্টমস কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য ]
কোনো এক দেশের জনৈক গবেষক নিজেকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য ভিন্ন মাত্রার যন্ত্রাংশ আবিষ্কারের চিন্তা করেন । ভূত মাথায় চেপে বসে গবেষকের ৷ যেই ভাবনা সেই কাজ, পর্যাপ্ত সময় নিয়ে গবেষনা করে গবেষক আবিষ্কার করলেন যন্ত্রটি ৷ মহাবিদ্যা পুকুর চুরি ঠেকাতে সহায়ক হবেন আর চোর কে ধরতে পারবেন । যন্ত্রটি আপনার আসে পাশে কোনো প্রকার চুরি হলে চোর ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে সংকেত সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে ৷ গবেষকের মেশিনটি আবিষ্কারের উদ্দেশ্য হলো যদি মেশিনটি দিয়ে মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেন , তাহলে নোবেলের স্বপ্ন দেখতে পারেন ৷ পরীক্ষামূলক হিসেবে মেশিনটি প্রথম বসানো হয় কানাডাতে ।

একবছর পর তেমন কোনো আশা সরূপ পরিসংখ্যন না আশায় ভদ্রলোক যন্ত্রটি পরিবর্তেনর সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ এবার আনুপাতিক হারে যন্ত্রটি চায়নাতে বসানো হয় সেখানে বছর ঘুরে পরিবর্তনের ফলে ভদ্রলোকের আশার পরিস্পুঠন হয় । সামান্য কিছু সংখ্যক চোর ধরা পড়ে ৷ যেহেতু ভদ্রলোকের উদ্দেশ্য নোবেল অর্জন সেহেতু তিনি এতে সন্তুষ্ট থাকতে পারলেন না ৷ সহকারী বললো, তার কাছে একটি দেশের তথ্য আছে যেখানে যন্ত্রটির সঠিক প্রয়োগ হবে ৷ দেশটির নাম #বাংলাদেশ, তারই ধারাবাহিকতায় কর্মব্যস্ত #শাহজালাল এয়ারপোর্টে যন্ত্রটি বসানো হয় ৷ বসানোর ৩০ মিনিট পর সহকারী প্রকৌশলী প্রধান প্রকৌশলীকে ফোন kore জানালেন , sir যন্ত্রটি জ্যাম হয়ে গিয়েছে, প্রতিউত্তরে তাকে জানান দিলেন যে আসছে ৷ গুলশান থেকে প্রারম্ভ করলে যত খানিক সময় ব্যায় হবে ততক্ষণ ৷ প্রকৌশলী যখন গন্তব্যের সন্নিকটে তখনি সহকারী আবার ফোন করে জানালো স্যার আপনি আসার আর প্রয়োজন নেই তিনি এর কারণ জানতে চাইলে তাকে বলা হলো যন্ত্রটি চুরি হয়ে গিয়েছে ৷ বাংলাদেশের আয়ের বৃহত্তর অংশ আসে #প্রবাসীদের রেমিটেন্স ৷ ২০১৩ সালে যার পরিমান ছিলো উল্লেখযোগ্য #১৩ বিলিয়ন ডলার প্রায় ৷ ১৫ তে ৬১০ বিলিয়ন এবং ১৭ তে ৪.১ বেড়ে দাঁড়াবে #৬১৩ বিলিয়নে ৷ কিন্তু #মধ্যপ্রাচ্ছ #ইউরোপিযন ইউনিয়ন, #যুক্তরাজ্য, #আম্রেরিকা থেকে প্রবাসীরা যখন আসেন তাদের কাছে আর্তনাদের প্রধান কারণ হয়ে দাড়ায় এয়ারপোর্টটি ৷ সন্তান, পরিবার সর্বপুরি রাষ্টের চাকা সামনের দিকে ধাবিত করার প্রয়োজনে দেশ মাতৃকা ছেড়ে দুরে অবস্থান করেন ৷ সন্তানের বায়না, মা বাবা, স্ত্রীর জন্য দূর দেশ থেকে কষ্টাঅর্জিত শ্রমের টাকায় কেনা পছন্দের জিনিসপত্র ৷

মুল্য যাই হোক প্রবাসী আসলেও আশা হয়না তার #লাগেচ ৷ রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন দেশের দুর্বল ব্যাবস্থাপনাই দায়ী অথবা পরিচালক ৷ আর যারা এই কাজগুলো করছেন তাদের শিক্ষা অর্জন দেশের সেরা বিদ্যাপিট থেকে যেখানের মূল স্লোগান #জ্ঞানের জন্য এসো #সেবার জন্য তরে বের হও ৷ জ্ঞানের জন্য না এসে জীবিকার জন্য #জ্ঞান হলে সেটা #সেবা না হয়ে চুরি বা দুর্নীতি হওয়াটাই নিত্যনৈমিত্তিক বেপার ৷ তার উপর অশালীন ব্যাবহারতো রুটিনে পরিগণিত হচ্ছে ৷ যাদের টাকায় আপনাদের শীতলহাওয়ার নিচে বসে কার্যটি সম্পাদন করছেন অন্ততো নিজেদের হীনমন্যতার পরিচয় না দিন ।
নির্ভেজালে সন্তানকে বা বাবাকে মাতৃনিড়ে ফিরতে সহায়ক হবেন সর্বপুরি যার যার অবস্থান থেকে তাকে মূল্যায়িত করবেন ৷

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.