নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন চাকুরীজীবির ডায়েরীতে লিখা হাজারও বায়না, সীমাবদ্ধতায় তা আর কখনই পূরন করা হয়নি । আমি সে ডায়েরীর খোঁজে ।

সাগর সাখাওয়াত

পাগল, শিউলী তলয়া কুঁড়িয়ে পাওয়া পুতুলের জন্য গারদের বাসিন্দা ।

সাগর সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি শুনেছি অতপর দেখেছি

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

বিখ্যাত তিনি শুনেছি অনেক । দেখা মেলে নি । কৌতূহল নিয়ে কাছে যাবার জন্য অপেক্ষমান প্যারিসের ক্যাফেতে । মুঠোফোনে কল করতেই বললো আসছি ২ মিনিট লাগবে । সায় দিলাম ঠিক আছে । আসলেন তিনি । উষ্ক বাবরী চুলের ৬৮ সমমান বয়সী একজন মানুষ । খাকি ফ্যান্ট পুরোনো চামড়ার ব্যাল্টে বন্ধনী । ট্রেইনারগুলো অবাক করার মত । জুতোর সোল্ড খুলে গেছে । ছেড়া সামনের অংশে । কাঁধে ঝোলানো সল্প মানের ক্যামেরা । কালো ফ্রেমের ফাঁকে চোখ ফেলছেন ক্যামেরাতে এদিক ওদিক দিক । কেমন আছেন স্যার জিজ্ঞেস করতেই উত্তর আসলো , ভালো । তবে স্যার বলো না । আপনার যে খ্যাতি ও যোগ্যতা স্যার বলাটা দোষের কিছু নয় । শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি বুয়েট থেকে পড়েছেন আর্কিটেকক্টের উপর । বাংলাদেশের আন্তর্জাতিকমানরে আলোকচিত্রী, চলচ্চিত্র ভিডিওগ্রাফার । বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যামেরাতে চোখের যে কারুকার্য বন্দি করেছিলেন তা বিশ্ব দরবার অনবদ্য ভূমিকা রাখে । বাবা সিনেমা অফিসে চাকুরী করার সুবাদে ছবির নেশায় মত্ত হতেন তিনি । পুনেতে ছবির উপর সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়েছেন এ মানুষটি ।

সূত্রপাত হয় গুরুর মাধ্যমে । ক্যাফেতে আড্ডার স্থলে গুরুর সহযাত্রী রানা ভাই, প্রকাশ দা,কাব্য কামরুল ভাই কবি দাউদ হায়দার । প্রজন্ম থেকে নাড়ী'র সংমিশ্রন করানোর জন্য ধন্যবাদ উল্লেখিত সিনিয়রদের ।

কি করি জানতে চাইলো , প্রকাশ দা নোটিশ করলেন ছবিওয়ালাকে ও খুব ভালো লিখে । বললাম দু:ক্ষিত আসলে আমি এখনও কলম ধরতে পারি না । ভালোর নাম তো অনেকদূর । কাছ থেকে উত্তর করলাম । বললো ৪জি প্রজন্মের মাঝে কেউ একজন কলম হাতে নিয়ে সেটি বিশাল কিছু । প্রতিউত্তরে আবার বললাম, রাস্তা আপনারা তৈরী করছেন আমরা পায়ের ছাপ ফেলছি । স্যার আপনাকে নিয়ে দু কলম লিখবো ভাবছি তার জন্য এখানে ছুটে আসা । বললো তুমি প্যারিস আছো যে কোন সময় লিলে এসে চা কফি পর্ব শেষ করবো একসাথে, যে কোন সময় কল দিয়ে চলে আসবে । আত্ন অহংকারের কোন বালাই নেই । সাদাসিধে সাদা মনের মানুষ তিনি । বললাম আপনি তো আর্কিটেকচার, ছবিওয়ালা কেন হতে চাইলেন বললো এটা আমার মনের পেশা । এ ক্যামেরাতে হিন্দুদের ঈশ্বর আর মুসলিমদের খোদা খুঁজে পাই । মানুষের ভালোবাসা নেই । এছাড়া আর কোন বিশেষত্ব নেই, কথা বলছেন ফাঁকে ছবি তুলছেন কিছুক্ষন পর পর । চোখে নাকি জীবন্ত ফ্রেম ভাসে ।
শুনেই যাচ্ছি, বিয়ে করেছেন ফ্রেন্চ ভদ্রমহিলাকে দুটো সন্তান তার । থাকেন আমার নিকটবর্তী । তার শশুরমশাই মানবতার দূত হিসেবে কাজ করেন কালাইস বর্ডারে ।

আপনার অনেক কাজের মাঝে উল্লেখযোগ্য কাজগুলো চোখে পড়ার মত । সুর্য দীঘল বাড়ি ১৯৭৯ সালে, এমিলির গুন্ডা বাহিনী ১৯৮০ সালে,বস্ত্র বালিকা,হূময়ান আহমেদের শ্যামল ছায়া ২০০৪ সালে , লালসালু ২০০২ সালে ,চিত্রা নদীর পাড়ে ১৯৯৯ সালে ,নদীর নাম মধুমতী ১৯৯৪ সালে , তিন সুন্দরী ২০০৬ সালে, স্বপ্নভূমি ২০০৭ এ । এতো তথ্য দেয় কে আমার সম্পর্কে শুনি ? আপাদমস্তক আপনাকে নিয়ে রিচার্স করি । আপনার সম্পর্কে জানবো না তো কার সম্পর্কে জানবো স্যার । হেসে দিলেন ।
আধুনিক কালে আমাদের প্রজন্ম নিয়ে কিছু করবেন বা আমাদের জন্য কিছু দেওয়ার থাকলে ম্যাসেজ, প্লিজ ? বললো তোমাদের দুনিয়া এখন স্মার্ট, নিজেদের দেখার সুযোগ আছে, জীবনকে দেখতে পাও তোমরা । আমাদের কাজ করতে হয়েছে সংকীর্ণতার মাঝে । কিন্তু তোমরা করতে চাও না , সমস্যা সেখানে । মনে রাখবে তুমি যদি মন থেকে নীতি আদর্শ নিয়ে চাও কিছু হতে, একদিন ঠিকই দেখবে হয়ে গেছ । লিখার অভ্যেস সবার থাকে না । চালিয়ে যাও দেখবে একদিন তা হয়েই গেছ, আর তোমাদের জেনারেশন তো চোখে পড়ার মত গোছানো থাকো । মা মাটি সাহিত্য কে এভাবেই গোছাতে হবে সে দ্বায়িত্ব তোমাদের । চেষ্টা করবো । ১৫ তারিখে বাংলাদেশে ফিরবেন । এরমাঝে আজও কথা হবে মানুষটির সাথে বিকেল তিনটে তে । তার জন্যই প্রস্থানের পথে____ ছবিতে সাথে ছিলেন তুখোড় কবি জনাব দাউদ হায়দার

আনোয়ার হোসেন আনু ভাইয়ের সাথে ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

কক্ষচ্যুত বলেছেন: ভাল লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.