নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন চাকুরীজীবির ডায়েরীতে লিখা হাজারও বায়না, সীমাবদ্ধতায় তা আর কখনই পূরন করা হয়নি । আমি সে ডায়েরীর খোঁজে ।

সাগর সাখাওয়াত

পাগল, শিউলী তলয়া কুঁড়িয়ে পাওয়া পুতুলের জন্য গারদের বাসিন্দা ।

সাগর সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভরসার জলধী\'র নাম বাবা

১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০১



যখন দেশ ছেড়েছি বুঝি নি সম্পর্কের আভিধানিক, বুঝি নি বাবা শব্দটার অনুভূতি কেমন । অতি বিরক্ত করে ছেড়েছি দেশ । একজন নীতিবান মানুষ কিংবা তার চাইতেও বেশী ছিলেন । বারান্দায় একটি চেয়ার ছিল ঠিক প্রধান পটক সম্মুখে । বসে থাকতেন ছোট একটি শিশুর মত । কখনও আড্ডায় যেতেন না, শুধু সময় করে মসজিদে যেতেন বেলা পাঁচেক । সকালে ঘুম ভাঙ্গতো বারান্দায় বসে কুরআন পড়তেন । বাহারী ফলজ গাছ লাগাতেন, হয়ত সর্বোচ্চ নিজের পৈত্রিক ভিটেমাটিতে বিচরন করতেন । আপনি ছাড়া কাউকে কখনই কথা বলতেন না । ব্যস্ত হয়ে পড়তেন যখন তাবলীগের দল আসতো । আমির ছিলেন তিনি । কিভাবে খাওয়াবেন তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন । তারই সুবাদে বৃটেন থেকে তাবলীগ দল দাওয়াত দিতে গিয়েছেন । তো প্রত্যহ বিকেলে এরা সারিবদ্ধভাবে হাঁটতেন আর দাওয়াত দিতেন ইসলামের । আর মসজিদে যাওয়ার কথা বলতেন । তো আমি এর মাঝে ঢাকা থেকে বাসায় গিয়েছি । চুলে রং করা, কানে বালি ঠোঁটের নিচে রিং, ভ্রু তে রিং।হাতে অসংখ্য খাড়ু । তো বিকেলে বের হয়েছি, হঠাৎ দেখি বাবাসহ পুরো তাবলীগের দল ।সামনে পড়তেই বাবার মুখের দিকে তাকাতেই পারছিলাম । পেছন থেকে একজন বলতে লাগলেন উনি আমাদের আমীর সাহেবের ছোট ছেলে । বুঝি নি তখন কি কষ্টটাই না পেয়েছিলেন । অতিব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব তৈরী করেছিলেন একা একা, গনপ্রজাতান্ত্রীক বাংলাদেশ কে সার্ভিস দিয়েছিলেন ৩৩ বছর নিষ্ঠার সাথে, হারাম ঘুষ নিজেও খান নি আমাদের কেও রেখেছিলাম দূরে । রাজনৈতিক চোর রা রাখতেন বদলির উপর । এরমাঝে সাকা চৌধুরী নির্বাচনী এরিয়াতে রেন্জার হিসেবে বদলী হোন । পাহাড় ইজারা নিয়ে মামলা ঠুকে দেন সরকারের পক্ষ থেকে, বিনিময়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান । গুলি করে দিয়েছিলেন তার পালা নেড়ী কুত্তারা । ঢাকা বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই চাকুরীর পোস্টিং হয়েছিল । কোথাও ঘুরতে যেতে বললে। বলতেন আমি সারাদেশ দেখেছি আর কি দেখব ? সাদা রঙের জুব্বা ছিলো, পকেটে টাকা যা ছিল সব আমিই নিয়ে যেতাম, কিছুই বলতো না । একটি মোবাইল ছিল অন্যছেলে দিয়েছিল । কাশের সিরাফ খাওয়ার জন্য সেটিও একদিন বিক্রয় করে দেই বলেছি ফেলে দিয়েছি । শুধু বলতেন তুই পারবি বাট সময়ের অবহেলায় বুঝবি । বলতাম বাবা শুধু বকেন আমাকে । এখন সাফল্যতা ধরতে গিয়ে প্রতি কদমে কদমে বুঝতে পেরেছি উনি আমাকে কিসের কথা আগেই হিন্ট দিয়েছিলেন । আমার সব কথা সব আবদার, সব উত্তর, সব গল্পই পড়ে গেছে । সুযোগ হয়নি একটিও । কারন তিনি মানসিক পঙ্গুত্ব বর্ন করেছেন । বারংবার বাবা বলে ডাকি নি যখন বাবা উত্তর করতে পারতেন । এখন হাজার বার ডাকলেও উত্তর করেন না তাকিয়ে থাকেন । তিনি কথা বলতেন পারেন না । একজন সন্তানের কাছে এর চেয়ে হৃদয় বিদারক কি হতে পারে যখন যখন আপনি বাবা বলেই ডেকে যাচ্ছেন তিনি তাকিয়ে আছেন আর কিছু একটা বলতে চাইছেন কিন্তু পারছেন না । মা পাশেই বসে শিশুর মত শিখিয়ে দেন এইটি আপনার ছোট ছেলে । শেষ কথা হয়েছিল ২০১৩ সালের মাঝামাঝি, তিনি আমাকে বলেন বাবা আমি অনেক খুশী তুমিও বড় হয়ে গিয়েছ, আজ হয়ত আমি সাফল্যমন্ডিত বাবাদের তালিকায়, বলেই কেঁদে দিয়েছিলেন । এমন হাজারো ভাবনার দলে বসে থাকা প্রশ্নের দল আছে, এখানে দিতে পারি নি । পুর্নজন্ম দিব উত্তর । বিশাল এক লিস্ট তোমাকে বলার । দেখা তো হবেই বাবা,কাল/কয়েকদিন পর নতুবা কোন একদিন বাবা _______________
যখন দেশ ছেড়েছি বুঝি নি সম্পর্কের আভিধানিক, বুঝি নি বাবা শব্দটার অনুভূতি কেমন । অতি বিরক্ত করে ছেড়েছি দেশ । একজন নীতিবান মানুষ কিংবা তার চাইতেও বেশী ছিলেন । বারান্দায় একটি চেয়ার ছিল ঠিক প্রধান পটক সম্মুখে । বসে থাকতেন ছোট একটি শিশুর মত । কখনও আড্ডায় যেতেন না, শুধু সময় করে মসজিদে যেতেন বেলা পাঁচেক । সকালে ঘুম ভাঙ্গতো বারান্দায় বসে কুরআন পড়তেন । বাহারী ফলজ গাছ লাগাতেন, হয়ত সর্বোচ্চ নিজের পৈত্রিক ভিটেমাটিতে বিচরন করতেন । আপনি ছাড়া কাউকে কখনই কথা বলতেন না । ব্যস্ত হয়ে পড়তেন যখন তাবলীগের দল আসতো । আমির ছিলেন তিনি । কিভাবে খাওয়াবেন তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন । তারই সুবাদে বৃটেন থেকে তাবলীগ দল দাওয়াত দিতে গিয়েছেন । তো প্রত্যহ বিকেলে এরা সারিবদ্ধভাবে হাঁটতেন আর দাওয়াত দিতেন ইসলামের । আর মসজিদে যাওয়ার কথা বলতেন । তো আমি এর মাঝে ঢাকা থেকে বাসায় গিয়েছি । চুলে রং করা, কানে বালি ঠোঁটের নিচে রিং, ভ্রু তে রিং।হাতে অসংখ্য খাড়ু । তো বিকেলে বের হয়েছি, হঠাৎ দেখি বাবাসহ পুরো তাবলীগের দল ।সামনে পড়তেই বাবার মুখের দিকে তাকাতেই পারছিলাম । পেছন থেকে একজন বলতে লাগলেন উনি আমাদের আমীর সাহেবের ছোট ছেলে । বুঝি নি তখন কি কষ্টটাই না পেয়েছিলেন । অতিব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব তৈরী করেছিলেন একা একা, গনপ্রজাতান্ত্রীক বাংলাদেশ কে সার্ভিস দিয়েছিলেন ৩৩ বছর নিষ্ঠার সাথে, হারাম ঘুষ নিজেও খান নি আমাদের কেও রেখেছিলাম দূরে । রাজনৈতিক চোর রা রাখতেন বদলির উপর । এরমাঝে সাকা চৌধুরী নির্বাচনী এরিয়াতে রেন্জার হিসেবে বদলী হোন । পাহাড় ইজারা নিয়ে মামলা ঠুকে দেন সরকারের পক্ষ থেকে, বিনিময়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান । গুলি করে দিয়েছিলেন তার পালা নেড়ী কুত্তারা । ঢাকা বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই চাকুরীর পোস্টিং হয়েছিল । কোথাও ঘুরতে যেতে বললে। বলতেন আমি সারাদেশ দেখেছি আর কি দেখব ? সাদা রঙের জুব্বা ছিলো, পকেটে টাকা যা ছিল সব আমিই নিয়ে যেতাম, কিছুই বলতো না । একটি মোবাইল ছিল অন্যছেলে দিয়েছিল । কাশের সিরাফ খাওয়ার জন্য সেটিও একদিন বিক্রয় করে দেই বলেছি ফেলে দিয়েছি । শুধু বলতেন তুই পারবি বাট সময়ের অবহেলায় বুঝবি । বলতাম বাবা শুধু বকেন আমাকে । এখন সাফল্যতা ধরতে গিয়ে প্রতি কদমে কদমে বুঝতে পেরেছি উনি আমাকে কিসের কথা আগেই হিন্ট দিয়েছিলেন । আমার সব কথা সব আবদার, সব উত্তর, সব গল্পই পড়ে গেছে । সুযোগ হয়নি একটিও । কারন তিনি মানসিক পঙ্গুত্ব বর্ন করেছেন । বারংবার বাবা বলে ডাকি নি যখন বাবা উত্তর করতে পারতেন । এখন হাজার বার ডাকলেও উত্তর করেন না তাকিয়ে থাকেন । তিনি কথা বলতেন পারেন না । একজন সন্তানের কাছে এর চেয়ে হৃদয় বিদারক কি হতে পারে যখন যখন আপনি বাবা বলেই ডেকে যাচ্ছেন তিনি তাকিয়ে আছেন আর কিছু একটা বলতে চাইছেন কিন্তু পারছেন না । মা পাশেই বসে শিশুর মত শিখিয়ে দেন এইটি আপনার ছোট ছেলে । শেষ কথা হয়েছিল ২০১৩ সালের মাঝামাঝি, তিনি আমাকে বলেন বাবা আমি অনেক খুশী তুমিও বড় হয়ে গিয়েছ, আজ হয়ত আমি সাফল্যমন্ডিত বাবাদের তালিকায়, বলেই কেঁদে দিয়েছিলেন । এমন হাজারো ভাবনার দলে বসে থাকা প্রশ্নের দল আছে, এখানে দিতে পারি নি । পুর্নজন্ম দিব উত্তর । বিশাল এক লিস্ট তোমাকে বলার । দেখা তো হবেই বাবা,কাল/কয়েকদিন পর নতুবা কোন একদিন বাবা _______________

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.