নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন চাকুরীজীবির ডায়েরীতে লিখা হাজারও বায়না, সীমাবদ্ধতায় তা আর কখনই পূরন করা হয়নি । আমি সে ডায়েরীর খোঁজে ।

সাগর সাখাওয়াত

পাগল, শিউলী তলয়া কুঁড়িয়ে পাওয়া পুতুলের জন্য গারদের বাসিন্দা ।

সাগর সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেটস এনজয়

১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৪



এমন সাংঘাতিক কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি, সকল বাংলা আইটেমের রাজধানী এখন পারী । বস্তুনিষ্ঠ , সত্যতা, স্বচ্ছতার তিন মন্ত্রমূল নিয়ে সাংবাদিকতা । সাম্প্রতিক সময় কিংবা ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে সাংবাদিকতা বা গনযোগাযোগ বিভাগের শুরু করেন বিখ্যাত ব্রাজিলীয়ান ইতিহাসবিদ জোহান কার্লোস ১৬০৫ সালে । যাকে আধুনিক সাংবদিকতার জনক বলা হয় । তারপর ১৭০২ সালে প্রথম ইংরেজী পত্রিকা ডেইলী কারেন্ট যা পরিচালিত হতো এলিজাবেথ ম্যালেট ফ্যাল্টব্রিজ, লন্ডন থেকে । পৃথিবীর কয়েকটি টাফ এন্ড ভ্যালুয়েবল সাবজেক্টের মধ্যে সাংবাদিকতা ও গনযোগাযোগ বিভাগ অন্যতম । কিন্তু ঘটনার মারপ্যাচ উল্টো প্যারিসে । সাংবাদিক হতে হলে আপনাকে রিফিউজি প্ল্যাস্টিক/নিকন ক্যামেরা/আরেক কথিত-উদিত ভাইয়ার ডিম টিপলেন হবে । বাকিটা আপনি দাবিদার । সাংবাদিকতার জন্য দেশে আপনাকে নূন্যতম কলেজ এবং মেধা তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করতে হবে কিন্তু এখানে আপনি ৫ বছরে উচ্চতর জ্ঞান এসএসএসি কিংবা কমপক্ষে স্কুলের বারান্দায় ঘুরেলই হবে । পুরো ফ্রান্স জুড়ে সর্বমোট বাঙালী হবেন আনুমানিক ২০-২৫ হাজার প্রায় । বা তারও কম বেশী হতে পারেন । কারন উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছেন ফ্রান্সে বাঙালী-ভারতীয়-পাকিস্তানি মিলে প্রায় ১ লক্ষ । বাঙালিদের প্রথম প্রজন্ম শেষ হয়ে দ্বিতীয় প্রজন্ম প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সবেমাত্র স্কুল/কলেজে/যাওয়া আসা শুরু করেছেন । ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন সাংবাদিকতার উপর ভিত্তি করে অসংখ্য মাল । বাস্তবসতা একেবারেই ঠাডা পরা মিছা কথা । এরা দেশে কেউ গায়ে হলুদের লাইনম্যান,কেউ শান্ত স্টুডিওর খিছানেওয়ালা পেছনে শাবনূরের ভিউ কার্ড লাগানো । রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার দুই বছর আগেও এরা কেউ বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে সিডি,ফলমূল, দর্শনীয় স্থানে আলীজি আলীজি করেছেন । কেউ তো কয়েকদাপ এগিয়ে দুবাই আর মধ্যপ্রাচ্য থেকে কম্বল আর উটের পায়ে নূপুর পরানো ছেড়ে ফ্রান্সে এসে এক ডিগবাজিতে ডিরেক্টর বইনা গেছেন । একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য ভিডিও তে কয়টি মূল শর্ট লাগে জানেন ই না । ডান্স কুইন ময়ুরীর জন্মদিন পালন করে তিনারা প্রোডাকশন হিট । পায় গো ভাই পায় । আগে শুনতাম রক্তে হিমোগ্লোভিন থাকতো মাগার এদের নাকি হিমোগ্লোভিনের পরিমান কম সাংবাদিকতা বেশী । তো তিনাদের দিনের কর্মসূচী কি বলে একটু ম্যারাথন মাইরা আসি । ফ্রান্সে দ্বিতীয় যুদ্ধের পর আজও শান্তিময় পরিবেশ বজায় রয়েছেন । তো তিনারা পায়জামার সাথে জাম্বু ক্যাডস,পিংক কালারের ব্লাউজের উপরে কটি পড়েন, গলায় ঝোলান মার্ক ডি । তো থাকেন মেছে । যেখানে সকালের নাস্তা সোনার হরিন । তো রক্তে প্রতিভা থাকা ভাইয়ারা হাজির বাঙালী অধ্যুষিত এলাকায় । বাঙালিদের হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান,রেস্তোরা হোটেল রয়েছেন । যেখানে কেউ না কেউ আছেন যে বিলখানা চুকাইয়া দিবেন । বাঙালী ব্যাবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান কে অনেকেই চেনেন না তো তাদের প্রচার ও প্রসারের বিনিময়ে দুপরের আহার শেষ করেন । কিংবা ২০/৩০ ইউরো হতে পারে । রাতের টা মেসে সারান । এরমাঝে নব্য আবিষ্কৃত কিছু হাতওয়ালা ভাইয়ার সৃষ্টি হয় এ বাইন*দেরা গো মাধ্যমে । তো ভাইয়াদের কাজ কি ? ভাইয়া নিজেও মাল সাথে এমন প্রতিভার ভান্ডার নিয়ে ঘুরতে বেড়ান । ভাইয়ার ডিমটিপা, অন্য ভাবীদের দৃষ্টি আকর্ষন আরও কত কি । বাকি নাই বললাম । তো ভাইয়ার মাথায় নাই লিকুয়েড না এডুকেশন কোয়ালিটি ট্যাকার জোরে বাংলা স্টাইলে তিনারা স্টেইজ/মহল/ক্লাব আলোকিত করেন । সাথে এ শূয়রের বাচ্চারা তো আছেন ই । ১৭ টি টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধিত্ব করেন এরা যে যার মত । তো দুনিয়ার আজব খবর নিয়ে হাজির । এক সাংবাদিক এট্যাক হয় নিচস ভিলাতে তিনি লাইভে আসেন কেত্রেসীমা তে । আরেকজন এতই জনপ্রিয় যে চাপাবাজী করে বেড়ান তিনি আসন্ন নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হবেন মাগার দেশে যাবার পর পাত্রী সংকটে এখনও সিঙ্গেল মারেন হ্যান্ডেল । আরেকজন ক্যামরায় ছট নেন কইলাম কি ? কয় ছট মান (শর্ট ) সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ । কিন্তু এইটি যে ফ্রান্সেও হবে তা আসলেই জানা ছিল না । কাউকে ছোট নয় বরং যে যে চেয়ারের মালিক সে সেখানে যাবেন এবং দেখানোই কাজ । হয় ত সময় আর বেশীদূরে নয় । প্যারিসে সাংঘাতিক বললেন ধুপধাপ শুরু হয়ে যাবে । অলরেডি বার কয়েক হয়ে গেছেন । সৃষ্টিকর্তা সম্মানি মানুষকে সম্মানিত করবেন তার যোগ্যতার কর্মফলে । টাকা দিয়ে পরিবেশ নষ্ট, কিংবা অযোগ্যরা যোগ্যদের স্থান দখল করছেন । যার জন্য যারা আসলেই সাংবাদিক/নির্মাতা/স্থির আলোকশিল্পী/মন-মূখোশ/চিত্রশিল্পী রা লুঁকিয়ে আছেন । নতুন প্রজন্ম জানেনই না তাদের কে কে আন্তর্জাতিক মানের আছেন । এই শূযরের নাতিগুলো তাদের আশেপাশেই যান না যান ভাইয়াদের কাঁচমহলে । তাইতো মহসিন আলী বলেছিলেন এই ধরনের সাংঘাতিক রা বেয়াদপ/ফকিন্নির পোলা/অশিক্ষিত/মূর্খ মাতাম ফল । ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৪

শূন্য-০ বলেছেন: পুরনো কথা

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০৯

সাগর সাখাওয়াত বলেছেন: ভাই রে প্রতিভা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.