নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন চাকুরীজীবির ডায়েরীতে লিখা হাজারও বায়না, সীমাবদ্ধতায় তা আর কখনই পূরন করা হয়নি । আমি সে ডায়েরীর খোঁজে ।

সাগর সাখাওয়াত

পাগল, শিউলী তলয়া কুঁড়িয়ে পাওয়া পুতুলের জন্য গারদের বাসিন্দা ।

সাগর সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮



মেট্রোতে বয়োজৈষ্ঠ দেখেছি যতদিন ততদিনই আসন ছেড়ে দিয়েছি । কোন মা যদি সিড়ি দিয়ে বাচ্চা ও বাচ্চার গাড়ীটি নিয়ে নামতে পারছেন না দেখা মাত্রই তাকে নামিয়ে দিয়েছি । সন্তান সম্ভবা দেখে সাথে সাথেই চেয়ার ছেড়ে দিয়েছি । বই কিম্বা পত্রিকা পড়া অবস্খার কোন যাত্রীর সামনে ফোনে আলাতুল গেজাই নাই । আর শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক দেখলেই মিস্টি হেসে আপনি বলে সম্বোদন করে জিজ্ঞেস করি বসবে কিনা । এগুলো করার একটাই কারন ছিল “ যাতে কেউ দেখে বলে বাঙালীরা আসলেই শান্তিপ্রিয় জাতি । আমি একজন থেকে হাজার হবে আর জেলা কিম্বা বিভাগ নয় জাতি হিসেবে সবাইকে সম্মানের সাথে দেখবে যেহেতু তার দেশের অধিবাসী । কিন্তু একটি প্রবাদ আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও নাকি ধান ভাঙ্গে । দেশে যারা যৌন নিযার্তন, ইভটিজিংকারী, পাবলিক বাসে গায়ে দেওয়ার লোকগুলো অনেকটাই ঢেঁকির মতন । প্রথম বিশ্বে থেকেও এদের স্বভাব চরিত কোনদিন ভালো হবে না । আমি তো মনে করি এরা ইউরোপে থাকার মতন কোন যোগ্যতাই রাখেন না ।

কতটুকু মস্তিষ্ক বিকৃত হলে স্কুলের শিশুদের গায়ে হাত দিতে পারে । যৌন ক্ষুধা মানুষের থাকে এটা স্বাভাবিক নিয়ম । তোর যখন এতই প্রয়োজন তুই ল্যাম্পপোস্টের নিচে যা ।কিন্তু নিগৃহীত শিশু ও জাতীর ইমেজ কেনো ? ভাবুন যে বাঙালী কাজটি করেছে যার সাথে করেছে নিশ্চই তিনি ফরাসি ,তার কাছে আজীবন বাঙালী মানেই শিশু নিযার্তনকারী হিসেবে দাঁড়াবে ইমেজ। শুধু তার কাছে নয় তার আশেপাশে পরিবার বন্ধুবান্ধব সবাই একই দৃষ্টি পোষন করে

আমি আমার বন্ধু ছোট ভাইদের সাথে যখন যাই দেখি কারো হাতে ফরাসির সারিও(বাজারের ব্যাগ ) কারো কোলে কালি মামীদের বাচ্চা, কেউ আবার ট্রেনের দরজা ধরে রাখেন যাত্রীদের জন্য যাহা রীতিমত সুখকর ব্যাপার । উল্টো দৃশ্যও দেখি এমন যে অনেক সময় কিন্ডার গার্ডেনের নামধারী পাঠা উঠেন কতগুলান। পরিচয় দেন নির্দিষ্ট জেলার।অনেকটাই গেরামের মুরগীচোর চ্যায়ারম্যানের পোলার মতন । তারা হয়ত জানেন না সারা দুনিয়া দেশকে চেনেন জেলা বিভাগ কে নয় । তারা বসবেন এক চেয়ারা হাগায়া পা তুলে দিবেন অন্যটাতে, মেয়ে দেখা মাত্রই স্ক্যান শুরু করে দিবেন টপ টু বটম । আর বাঙালী পাড়াতে যদি কোনভাবে কোন মেয়েকে নিয়ে যেতে পারেন ওই নাবালিকার গায়ে হাত দেওয়া ভাইদের উত্তরসূরী রা চোখ দিতেই আউট করে ফেলবেন । সব আউট ক্রিটেকেটর আউট না কিছু আউট অন্য


আমরা বাঙালীরা এক পক্ষ যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী শীতের কাপড় বিলানো, রাস্তা পরিস্কার, উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে পড়াশুনা, ফরাসি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, এগুলো দিয়ে নিজেদের জাত চেনাচ্ছেন । ফাহিম নামক খুঁদে দাবাড়ু, কিম্বা সুপ্রিমকোর্ট থেকে প্রথম অনুমোদিত অনুবাদক শিহাব ভাই, ক্রিকেট ক্লাব, ভাষার স্কুল মোট কথা হচ্ছে একপক্ষ করছেন অন্যপক্ষ সেগুলোকে দুচে দিচ্ছেন । এগুলো মুলত পারিবারিক বেড়ে উঠার উপর নির্ভর করে । ঘরের টা বোন বাইরের টা মাল তা তো হবে না । উন্নত বিশ্বে তারা বাহ্যিক দিক থেকে খোলামেলা ভেতরেও তা । খোলামেলা চলা মানে এই নয় যে সে সে পাবলিক ফিগার । যদি খোলামেলা কিম্বা মাল্টি কালচারে অভ্যস্থ না হতে পারে তাহলে এ দেশ আপনাদের জন্য নয় । আর অন্তত শিশুদের শরীরে বিকৃত লালসা যারা খুঁজে পান এরা আর যাই হোক মানুষ নয় ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই শ্রেনীর লোক সমাজে প্রচুর আছে। এরা অসুস্থ।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সকল ধরণের অপরাধের একটা সহ্যসীমা থাকলেও থাকতে পারে, অনেকে পক্ষে বিপক্ষে মত দিতেই পারে। কিন্তু যারা শিশুদের উপর নির্যাতন করে (যেকোন ধরণের) তাদের আগে যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার। উদেরকে কাঠগড়ায় তুলে জবানবন্দি শুনার দরকার আছে বলেও আমি মনে করিনা!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.