নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন চাকুরীজীবির ডায়েরীতে লিখা হাজারও বায়না, সীমাবদ্ধতায় তা আর কখনই পূরন করা হয়নি । আমি সে ডায়েরীর খোঁজে ।

সাগর সাখাওয়াত

পাগল, শিউলী তলয়া কুঁড়িয়ে পাওয়া পুতুলের জন্য গারদের বাসিন্দা ।

সাগর সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুপুরীর নিত্য নতুন আয়োজন

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯



৩টি সরকারী ৮০ টি প্রায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ৩০০০ হাজার স্কুল কলেজ মাদ্রাসা, মৎস ভবন থেকে শুরু করে সরকারী ও বেসরকারী হেড কোয়াটার সবই এ ঢাকাতে । সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে ক্যামিকেল ফ্যাক্টরী বিসিক ট্যানারী ও এয়ারপোর্টসহ সবই এ ঢাকাতে । এখানে টাকার সাথে প্রানও উড়ে । কখনও গাড়ী চাপায়, কখনও ভবন ধসে, কখনও অগ্নিাকান্ডে, কখনও কখনও আবার বেওয়ারীশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে ।

কংক্রিটের জঙ্গলে ভরা ধূষিত মৃত্যুপরীতে নিত্য নতুন মৃত্যুর আয়োজন নিয়ে হাজির হয় মানুষের সামনে ।ঘটনার সূত্রপাত এক পিকআপের সাথে মাইক্রোবাসে সংঘর্ষ । সেখান থেকে পাশের হোটেলর গ্যাস সিলেন্ডার তারপর বৈদ্যুতিক খুঁটি তারপর নেইল পালিশ তারপর পারফিউমের গোডাউনে । গর্ভবতী মা নামতে পারে নি তাই স্বামী ও নামেন নি, ভাই কে নামাতে না পেরে ভাইও নামেন নি, জমজ সন্তান নিয়ে মা বাবা মৃত্যু থেকে বাঁচতে হাসপাতালে ঠাঁই নিয়েছিলেন । জীবন তার আয়োজন সাজিয়ে সাঙ্গ করে দিয়েছে । সেখানেই পুঁড়ে ছাই । দূর থেকে এক সন্তান কে পুঁড়তে দেখেছেন মা । যেই মা একটি আঁচড় ও লাগতে দেন না তার মানিকের উপর । প্রত্যেক মায়ের কাছেই তার সন্তানগুলো মনিরাজ । সেখানে মায়ের সামনে সন্তান পুড়েছে অসহায় মা দেখেছেন তাকায়ে তাকায়ে । আরেক মা তার কফিনে বন্দি সন্তান কে উচ্চ শিক্ষিতি বানাতে চেয়েছিলেন, তার সন্তান বিদেশ গিয়ে উচ্চশিক্ষিতি হয়ে তার মুখ উজ্জ্বল করবে । তার সে স্বপ্ন আজ পুঁড়ে কফিনে , স্বপ্ন যেন আজ কফিন বন্দি ।

হেডিংগুলো আসছে আর নিজের ভেতর কেমনে যেন নিজেকেই আহত করে ফেলছি । অপরিকল্পিত শহর যেখানে সাফ্যলতার চাবাকাঠি ধরার জন্য ৬৮ হাজার গ্রাম থেকে স্বপ্নবাজ মানুষের আগমন ঘটে । অনিয়মই এ শহরে নিয়মে । কেউ কোন কিছুর তোয়াক্কা করেন না । থাকার কথা ৫০ লাখ মানুষ থাকেন দুই কোটি প্রায় । যে যার মতন রাস্তা,ঘাট,পরিত্যক্ত জমি পার্ক দেখলে নিয়ে আসছেন । পাবলিক প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন সব দলীয় নেতাদের দখলে । বর্জ্য নিষ্কাষনের জায়গা ভরাট করে করা হয় কারখানা । পৃথিবীর উন্নত নাগরিক সুবিধা পাওয়া কয়েকটি শহরে থাকার সুবাদে আমি বলতে পারি পৃথিবীর কোন শহরেই মানুষের মাঝে কারখানা নেই । পৃথিবীর কোথাও শহরে এয়ারপোর্ট নেই । নগরবিদদের পরিকল্পনা মানছেন না নাগরিক রা । সাত তলার অনুমোদন দিলে করে ফেলা হয় ১৪ তলা । এক বাসার সাথে অন্য বাসা গিঞ্জি গিঞ্জি করে লাগানো ।

প্রত্যেকেটি এপার্টম্যান্টে পার্কিং অত্যাবশ্যক বললেও মোটামুটি কমবেশী রাস্তায় ই পার্কি করেন । মানুষ ফুটপাতে না হেঁটে হাঁটছেন রাস্তায়, ফুঁটপাত দখলে নিয়েছেন হকার রা । আবার রাস্তা যাও আছে সবগুলোতে দলীয় নেতাদের মেয়াদউর্ত্তীন গাড়ীতে ভরা ।কালো টাকায় কেনা একাধিক গাড়ীতে যেন রাস্তা থেকে গাড়ীর সমস্যা সম্পূরক । ট্রাফিক শব্দ দূষন সব মিলিয়ে ঢাকা আজ দূষিত শহরের তালিকায় এক নাম্বারে । সব সম্ভবের দেশ আমার দেশ ।

আমাদের দেশে দূর্ঘটনা যতগুলো ঘটে তার চেয়ে উদ্ধার জটিলতায় ভোগান্তি কয়েকগুন বেশী । ভবন ত্রিশ তলা করেছে অথচ করার অনুমোদন ছিল বিশ তলা । অগ্নি নির্বাপক টিম আসলে তাদের কাছে যন্ত্রপাতি যাহা আছে দশ তলায় উঠা পর্যন্ত । আবার অনেক জায়গায় রাস্তা দখল করে বাড়ী তৈরী করাতে ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধারকারী টিম। ঢুকতেই পারেন না । কেউ কাউকে মানেন না, দেখার ও কেউ নেই । যতদিন না রাষ্ট্র ও জনগন একে অপরের সহায়ক না হবেন ততদিন এ সমস্যাগুলো ক্রমশ বাড়বে । উন্নত দেশে কুকুরের জীবন আমাদের দেশের সাধারন নাগরিক থেকেও বেশী নিরাপদের । কারন নাগরিক নিয়ম-নগর-রাষ্ট্র-জনগন যেন একে অপরের সম্পূরক । অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি । রাষ্ট্রীয় ছুটিতে গোছাতে গিয়ে নিজেরাই গুছিয়েছেন চির তরে ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: শহুরে জীবন আর ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানীগুলোর চাহিদা মিটাতে রাষ্ট্রীয় ছুটির দিনেও এই সব জায়গায় কাজ চলে।

রাষ্ট্রের নিয়ম মানতে চায় না মানুষ, মানুষের চাহিদা বুঝতে পারে না রাষ্ট্র!!!

এ কেমন দেশ!

এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আমাদের!

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এসব বলে কি লাভ,সমাধান হবে কি?

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

রাজীব নুর বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.