নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় নতুন করে লেখার মত কিছুই এখনও হয়ন....

সাইফুল১৩৪০৫

সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?

সাইফুল১৩৪০৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব মানবতার জন্য কিছু লজ্জার ছবি!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩১

সম্প্রতি তুরস্ক সমুদ্র উপকূলে আয়লান নামের বাচ্চার লাশ পাওয়ার বিষয়টি পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে বাঁচার স্বপ্নে বাবা আব্দুল্লাহ কুর্দির সাথে তিন বছরের সুন্দর বাচ্চাটি সমুদ্র পথে গ্রীসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার অধিক লোক থাকায় নৌকা ডুবে যায়। এতে আব্দুল্লাহ কুর্দি তার পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ফেলে!

সিরীয় উপকূলের মৃত বাচ্চাটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের যুদ্ধান্বেষী নেতৃবৃন্দসহ সকলের দৃষ্টি অবনমিত হয়। চক্ষু অবনমন করার মত আরো কয়েকটি ছবি ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। চলুন দেখা যাক ছবিগুলো।

১৯৭২ সালে ভিয়েতনামে বোমা হামলার পর ধ্বংসলীলা ও কাপড়ে আগুন লাগায় তা ছিড়ে ফেলে উলঙ্গ হয়ে ছুটতে থাকা এক মেয়ের ছবি মানবতাকে লজ্জার সাগরে ডুবায়।

১৯৯৩ সালে সুদানে ভয়াবহ দূভিক্ষ দেখা দেয়। ছবিতে একটি শকুন দূর্ভিক্ষ পীড়িত এক বাচ্চার মরার জন্য প্রতিক্ষা করছিল। কেবিন কার্টার ছবিটি তুলেছিলেন। বাচ্চাটিকে কেভিন বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু সেই চেষ্টা করেননি। পরে এই অনুশোচনায় তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে বাচ্চাটি শকুনের খাবার হয়নি। প্রায় সাত আট বছর পর মারা গিয়েছিল।

মানবতার জন্য লজ্জাজনক আরেকটি সিরীয় বাচ্চার ছবি। যেখানে এক জার্নালিস্টের ক্যামেরাকে বন্দুক ভেবে নিষ্পাপ বাচ্চা ভয়ে কেঁদে ফেলে এবং হাত উপরে তুলে আত্মসমর্পন করে!

দূর্ভিক্ষের বিভীষিকার নিদর্শন এক বাচ্চার হাত।

একটার পর একটা বাচ্চার এসব ছবি আমাদের মানবিকতাকে সাময়িকভাবে ধিক্কার জানায়। যদি চিরস্থায়ীভাবে জানাত তবে এসব ঘটনা বারবার ঘটতনা। যুদ্ধ-বিগ্রহ, দূর্ভিক্ষ শেষ হোক। শান্তিতে থাকুন দেশ ও বিশ্বের মানুষ।
# ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.