নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় নতুন করে লেখার মত কিছুই এখনও হয়ন....

সাইফুল১৩৪০৫

সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?

সাইফুল১৩৪০৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি ভূয়া কিন্তু কারবালার কথা: আমীন বলবেন না কেন?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২০

ইসলামে জ্ঞানার্জনকে ফরজ করা হয়েছে। মোহাম্মাদ (সাঃ) দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞানার্জনের কথা বলেছেন। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু জ্ঞানহীন মানুষ সৃষ্টির সেরা হয় কিভাবে?

আজকাল আমরা ধর্মের চর্চা ফেজবুকেই করছি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফেজবুকে গিয়ে কিছু ছবি লাইক আর আমীন আমীন বলেই অশেষ সওয়াব হাসিল করছি!

অবশ্যই ফেবজুকে ধর্মীয় বিষয় শেয়ার করা দোষের কিছু না। কিন্তু না জেনে-বুঝে ভূয়া ছবি শেয়ার করে, আমীন আমীন বলে লাভ কী? জিনিসটা যে ভূয়া এটুকু জ্ঞানই অর্জন করেননি! তাহলে দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত যে জ্ঞানার্জনের তাগিদ দিয়েছে ততটা জ্ঞানের গভীরে কি যাওয়া হবে?

ফেজবুকে রেডিও মনা, রেডিও সন্দেশ, রেডিও পাগলা (ইচ্ছাকৃত পরিবর্তন) ইত্যাদির ভেরিফায়েড পেজ এবং কিছু মডেল সেলিব্রেটি (মিডিয়া অথবা ফেজবুক) ইসলাম প্রচারে বিশাল ভূমিকা রাখছে। দেখুন, এই পেজগুলোর ওয়েবসাইট অর্থাৎ রেডিওতে সারাদিন হিন্দি, বাংলা গান বাঁজানো হয়। তারা যে ইসলাম প্রচার করছে, তারা নিজেরা ইসলামের শিক্ষা পেয়েছে কী? আমজনতা এটুকু জ্ঞানই বোধহয় অর্জন করেনি।

যাক, এখন নিচের ছবিটা লক্ষ করুন। এই পাটিতে হুজুর (সাঃ) ঘুমাতেন! এই পাটিতে আসলে ঘুমাতেন না ঘোমাতেন? ঘোমাতেন কি আলাদা শব্দ নাকি? এত ছোট কেন পাটিটা? মনে হয় এক টুকরা ছবি পাইছে।



আরেকটি ছবি দেখেন। মোহাম্মদ (সাঃ) এর নাম শুনলে দরুদ পড়তে হয় জানি কিন্তু তার জুতার ছবি দেখে সুবহানআল্লাহ পড়তে হয় কিনা তা জানা হয়নি। সুতরাং জানবো কার কাছে? আলেম-ওলামা, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেনদের কাছে নাকি ফেজবুকে রেডিওর এডমিনদের কাছে?



আবার ছবিটা অবিশ্বাস করে একটা গ্রুপে পোস্ট দেওয়ার পর এক ইসলামী পণ্ডিত নাস্তিক আখ্যায়িত করেছে! আগে জানতাম আল্লাহকে বিশ্বাস না করলে নাস্তিক। আর এখন দেখি জুতাও বিশ্বাস না করলে নাস্তিক!



এবার সোনার মত চকচক করা ছবিটা দেখেন। ছবিটায় লেখাটা পড়ুন। এবার আমীন বলুন। জানিতো আপনি বলবেন না। তবে আমীন বলার লোকের কিন্তু অভাব নেই। ছবিটা আমার তোলা। সেখানে লেখাটি আমার ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল। এটা ঢাকা সেনাবাসের নিকুঞ্জ থেকে ঈদ-উল-ফিতরের সময় তুলেছিলাম। রাতের বেলায় পানিতে লাইটের আলো পড়েছে। আর আমি ছবিতে কারবালার কথা বলে একটা ইতিহাস তুলে ধরেছিলাম। তাতেই কাজ হয়ে গেছে। ছবিটা বিভিন্ন গ্রুপে ইচ্ছাকৃতভাবে শেয়ার করে দেখলাম ভালই আমীন আমীন চলছে! শেয়ারও হচ্ছে। পরে কয়েকটি গ্রুপ থেকে ছবিটা রিমুভ করেছি।

আচ্ছা এভাবে ভুল জিনিসে বিশ্বাস করা কি ঠিক হচ্ছে? জ্ঞানার্জন ফরজ। হাজারো হোক, কারবালার বালি সোনায় পরিণত হয়েছে বলে কথা! কিন্তু ফরজ জ্ঞানার্জন হচ্ছে কী? জ্ঞানের অভাবে উর্দূতে লেখা কাগজকে আরবী মনে করে মাটিতে পড়ে থাকায় তুলে নিয়ে চুমা দিচ্ছেন। কিন্তু সেখানে লেখা ছিল কী জানেন? লেখা ছিল নতুন ছবির জন্য স্যুটিংয়ে যাচ্ছেন অনন্ত-বর্ষা!

বিভিন্ন স্থানে আল্লাহর নাম দেখিয়েও লাইকের বন্যা তৈরি করেন। কিন্তু এসব যদি করা ঠিক হত তাহলে মোহাম্মদ (সাঃ), সাহাবীরাসহ সকলেই এই পন্থা অবলম্বন করতো। এই বোনটি পর্দা করেছে। তার জন্য কতটা লাইক হবে? পর্দা করার পর ছবি জনসম্মুখে ছড়ানো কি জায়েজ? আরে ইসলামে তো অপ্রয়োজনে ছবি ওঠাই নিষেধ।

কে বোঝাবে এদের? বোঝাতে গিয়ে নিজেকেই আবার অবুঝ হতে হবে। আল্লাহ তাআলা সবাইকে সঠিক জ্ঞানার্জনের তৌফিক দিবে এই কামনায় আজকের মত শেষ করছি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৮

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: উপরওয়ালা এইসব মানুষ গুলোকে হেদায়েত করুন। ইসলাম নিয়েও ব্যবসা অনেক পুরনো হয়ে গেছে আজকের দুনিয়ায়।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৬

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২০

কানিজ রিনা বলেছেন: এরকম ধোকাবাজের অভাব নাই, কিন্তু সাধারন মানুষকে
ধোকা দিতে দিতে একদিন বড় ধোকাবাজে পরিনত হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.