নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় নতুন করে লেখার মত কিছুই এখনও হয়ন....

সাইফুল১৩৪০৫

সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?

সাইফুল১৩৪০৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তার কর্মসংস্থান চিরস্থায়ী করায় ধন্য ধন্য বলি তাদেরকে!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২২



অফিসে নতুন বাবু যোগ দিয়ে কাগজপত্র ঘাটতে গিয়ে দেখলেন ‍পুরাতন বাবু মানে আগের জন গ্রামের পশ্চিম দিকের পুকুরটা ভরাট করার জন্য বরাদ্দ নিয়েছিলেন।

নতুন বাবু সরজমিনে গিয়ে দেখলেন পুকুর পুকুরই আছে ভরাট করেন নাই! বাবু রাতদিন ভেবে চলেছেন। রিপোর্ট করবেন নাকি ভিন্ন কোনো পথ আছে? আবার যার নামে রিপোর্ট করবেন তার খুঁটির জোর কেমন তা না জেনে রিপোর্ট করা কি উচিৎ হবে?

অবশেষে ভেবে পেলেন। তিনি কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করলেন। এখন অবশ্য ইমেইলের যুগ। আবেদন পত্র পড়া আর শেখার তেমন প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে হয় না। যেমন বাংলাদেশ বেতারের AM Frequency এর অনুষ্ঠান প্রচারের আর কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। সারাদেশ ঘুরে ৫ টা রেডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না যেগুলোতে AM Frequency ধরছে (আজ বিশ্ব বেতার দিবস)।

তিনি লিখলেন, পুরাতন বাবুর আইডিয়াতে কিছুটা ভুল ছিল। পুকুর ভরাট করায় অনেক মানুষ গোসল করতে পারছে না, গরু-ছাগল গোসল করাতো সেটাও হচ্ছে না। ঐ পুকুরে অনেক প্রাকৃতিক মাছ পাওয়া যেত এখন আর সেটাও পাওয়া যাচ্ছে না। কাজেই পুনরায় পুকুর খনন করতে হবে। সুতরাং বরাদ্দ দেন। বরাদ্দ দিলে কিছুদিনের জন্য হলেও অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।

কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখলেন কথা ঠিক। দেয়া হল বরাদ্দ! নতুন বাবু পুরাতন বাবুকে ধন্যবাদ দিয়ে বরাদ্দটা নিজের পকেট ভরালেন। আর ভাবলেন শালা টাকা উপার্জন কতই না সহজ! পুকুর ভরাট করতে চেয়ে টাকা নিয়ে, পুকুর ভরাট না করে খারাপ কাজ করেছিলেন পুরাতন বাবু। আর আমি সেই খারাপ কাজ থেকেই দারুন উপায় বের করলাম। কিছু লোকের কর্মসংস্থান করলাম। ধন্যবাদ দিলেন সার্ফ এক্সেলকে (দাগ থেকে যদি দারুণ কিছু হয় তবে দাগই ভাল)।

যতদূর মনে পড়ে, ২০১০ সালে ফখরুদ্দিন সাহেব রংপুর গিয়েছিলেন যখন রংপুর বিভাগ করা হয়। সে সময় রংপুরের কর্তৃপক্ষরা রাস্তাঘাট ঘষে চকচকা ফকফকা করছিলেন। আমার বারবার মনে হচ্ছিল ফখরুদ্দিন আসলে ফকফকা করার কি আছে?

হয়তো ফখরুদ্দিন রংপুরের উন্নয়নে বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু সেই বরাদ্দ পকেটে গিয়ে ফকফকা হয়েছে। নইলে কেন রাস্তার কালো রং উজ্জ্বল কালো করার আয়োজন? ফখরুদ্দিন বরাদ্দ না দিলে ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে নিয়ে যান। আর বলেন স্যার, এখানকার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ দেননি তাই এই হাল। কিন্তু এমন কথা বলার সাহস কারো অতীতেও যেমন ছিল না, বর্তমানেও আছে কী?

চট্টগ্রামের উড়াল সেতুও (বহদ্দারহাট) সমালোচনার উর্দ্ধে নয়। মগবাজার-মৌচাক পুরো ভার্সিটি লাইফ ভোগাইছে। এটিও এখন সমালোচনায় পড়ছে! কর্মসংস্থান টেমপোরারি করলে চলে না। পার্মানেন্ট করার ভাবনা থাকতে হয়।

এই যেমন দেখেন অটো রাইস মিল হওয়ায়, দেশের বিভিন্নস্থানে চাল কলগুলো (চাতাল) বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক লোক কর্ম হারিয়েছে। কিন্তু রাস্তার লোকগুলো কখনই কর্ম হারাবে না। কারণ তাদের পরিকল্পনা চমৎকার ও সুদূরপ্রসারী। উড়াল সেতু একটা হলে তার কিছুটা সামনে আরেকটা বানাও, রাস্তাগুলা এক স্থানে মেরামত করতে না করতেই সামনে আবার একটু খোয়া বের হবে। গ্যাস লাইন, পানির পাইপ ফেঁটে যাবে। সুতরাং আবার রাস্তা খনন কর। পাইপ লাগাও। আর টেকা দেও। এত টাকার ধান্ধা করিস জন্যই গান গাইতে পারিস নারে বাউল (এক বাউল গান শোনানোর আগেই আমার কাছে থেকে টাকা নিয়েছিল। পরে দেখি সে গানই পারে না। শুধু ভেক ধরছে)।

পুকুরের গল্পটা লোকমুখে শোনা, বাস্তবতার সাথে মিল নেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.