নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় নতুন করে লেখার মত কিছুই এখনও হয়ন....

সাইফুল১৩৪০৫

সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?

সাইফুল১৩৪০৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রয়লার মুরগি নিয়ে কালেরকণ্ঠের মানহীন তথ্যের জবাব!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯


ব্রয়লার মুরগি নিয়ে কালেরকণ্ঠে একটি সংবাদ ঘুরে ফিরে প্রকাশিত হচ্ছে। কালেরকণ্ঠের নিউজের মান কতটা উন্নত তা পাঠক ভাল করেই জানেন। আর যদি তা লাইভস্টক সেক্টর নিয়ে হয় তবে বলা যায় সত্যতার পরিমাণ নেই বললেই চলে।
[ব্রয়লার মুরগি খেলে কমবে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা, ক্যান্সারও হতে পারে! http://archive.is/6MA1v] লিঙ্কটিতে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন সংবাদটি। সেখানে ৫ টি বিপদের কথা বলা হয়েছে। আসুন সেই বিপদগুলো আসলেই বিপদ নাকি গাঁজাখুরি কথা তার ব্যাখা করি।

১. ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধিকে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও এন্টিবায়োটিকের উপর চাপিয়েছে। যদি এগুলোই মুরগির ওজন বৃদ্ধির কারণ হয় তবে দেশি মুরগিকে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে দেখুক।

আবার বলছে, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ব্রয়লারে এন্টিবায়োটিক প্রদান করা হচ্ছে! আসলে যারা খামার করেনি/খামারের কাছেই যায়নি তারা কিভাবে বুঝবে ব্রয়লারে এন্টিবায়োটিক কেন, কি কারণে, কোন উপায়ে দেয়া হয়? তাছাড়াও কত মাত্রায় ব্যবহার করা ক্ষতিকর? আর খামারে সার্বক্ষণিক ভেটেরিনারিয়ান তথা প্রাণিচিকিৎসক থাকেন। তারা অবশ্যই জেনে-বুঝেই যথাযথ মাত্রায় ওষুধ ব্যবহার করেন।

২. কাঁচা মাংসে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে? ১ নং টপিক্স এ বলল একাধিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে! তাহলে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার পরও ব্যাকটেরিয়া থাকে কিভাবে? তা আর বলেনি। তাছাড়াও আমরা কিন্তু কাঁচা মাংস খাইনা। বিষয়টি পরের দিকে বলছি।

৩. এখানে বিশেষজ্ঞের বরাদ দিয়ে বলছে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে! আবার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ায়! কিন্তু তারাই বলছে এটার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পায়নি। তাহলে প্রমাণ পাওয়ার আগেই ছড়ানোর কারণ কি?

বাস্তবতা হচ্ছে-কোলেস্টেরল জমা ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় বলে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন মুরগির মাংস ও মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। [মুরগির মাংসের উপকারিতা নিয়ে আরও জানতে পড়ুন:
http://www.somoyerkonthosor.com/2016/12/17/76735.htm/amp ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো: মুরগির মাংস এবং মাছ খেলে কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। তবে এই তথ্যের পক্ষে এখনও জোরালো ভিত্তি পাওয়া যায়নি। - বাস্তবতা হচ্ছে কান্সারের ঝুঁকি বাড়ানো কিংবা কমানো দুটোর ক্ষেত্রেই কোনো যুক্তিযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

৪. বলছে ফুড পয়জনিং হবে। কারণ এখানে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে। সাধারণত ১৬০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায় এই ব্যাকটেরিয়া বাঁচে না। সুতরাং ভালভাবে রান্না করা মাংসে এই ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবণা নেই।

৫. শুধু ব্রয়লার মুরগির জন্য কেন? যেকোনো কিছুই ব্যবহারের পর ব্যবহারকৃত বস্তু উত্তমরূপে ধুয়ে ফেলতে হয়। তাই এটা নিয়ে আর বেশিকিছু বলছি না।

আশা করছি উপরের আলোচনায় কিছুটা হলেও বোঝাতে পেরেছি যে ব্রয়লার মাংস নিয়ে এত ভীতির কোনোই কারণ নেই। সুতরাং নিঃসন্দেহে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ব্রয়লার মুরগির মাংস খেতে পারেন।
কালেরকণ্ঠের ভূয়া তথ্যের লিঙ্ক: http://archive.is/6MA1v

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে চীন থেকে যেভাবে ক্যামিক্যাল আসছে, দেশে মুরগীকে কি ক্যামিক্যাল ইত্যাদি দিচ্ছে, কে জানে!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪২

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ওষুধ/ক্যামিক্যাল শুধু চীন থেকে নয় বিভিন্ন দেশ থেকেই আসে। তবে নির্ধারিত মাত্রায় ব্যবহার করলে ক্ষতি করবে না। তাছাড়াও উইড্রাল পিরিয়ড অনুযায়ী মাংস খেতে কোনো সমস্যা নাই।
তাছাড়া ব্রয়লার মুরগি জেনেটিক্যালি ডিভলোপ করা। সেগুলো ক্যামিক্যালের জন্যই যে দ্রুত ওজন বাড়ছে তা কিন্তু নয়।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ব্রয়লার মুরগি না থাকলে বাংগালি গোশ না খেয়ে নিরামিষাশী হত। এখন প্রতি কিলো 80 থেকে 90 টাকা। যেখানে এককিলো চিংড়ি (কুচো) 400 টাকা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ঠিকই বলছেন। ধন্যবাদ ভাই।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


অভিনন্দন, আপনার লেখাটি এইমাত্র জাতিকে উদ্ধার করল।আহ, জয় হোক জয় হোক...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: কালেরকণ্ঠের ভূয়া রিপোর্টের জবাব দিয়েছেন ডাঃ শুভ দত্ত। আমাদের সাথে থাকুন। আর লাইভস্টক সেক্টর নিয়ে যেকোনো ধরনের রিপোর্ট বানোয়াট/গুজব/ভীতিকর মনে হলে আমাদের ইনবক্সে জানান। সময়মত সঠিক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করা হবে ইনশা-আল্লাহ।
বলদ মার্কা রিপোর্টিং কেমন হতে পারে তা দেখতে নিচের রিপোর্টটি দেখতে পারেন। ক্লিকের ব্যবসা করতে গিয়ে এখন লিডিং পত্রিকাগুলোও কাট-পেষ্ট রিপোর্ট করা শুরু করেছে। যেখানে তথ্যের বিচার বিশ্লেষন নেই, নেই লেটেস্ট বিজ্ঞানের ধারনা বা নেই সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা। উক্ত রিপোর্টে ব্রয়লার চিকেনের কিছু ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হয়েছে। এই পয়েন্টগুলো কতটুকু সঠিক একটু দেখার চেষ্টা করি।
# পয়েন্ট_১: কাঁচা মাংসে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে যেটা সবাই জানি। আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ প্রত্যেকটা প্রাণীদেহেই ব্যাকটেরিয়া থাকে হোক সেটা ব্রয়লার চিকেন বা ক্যাটেল বা গোট বা হিউম্যান। ব্যাকটেরিয়ার ভয়ে কি সকল প্রকার মাংস খাওয়া বাদ দিবেন? আর রিপোর্টার মশাই হয়তো জানেন না সকল ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর নয়। আর ব্যাকটেরিয়া মুলত দুই প্রকার।
ক. হিট স্ট্যাবল
খ. হিট লেবাইল।
বেশিরভাগ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হিট লেবাইল। অর্থাৎ তাপ প্রয়োগে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আমরা বাঙালিরা যেভাবে তাপ প্রয়োগে মাংস রান্না করি তাতে ব্যাকটেরিয়ার চৌদ্দগুষ্টি ধ্বংস হয়ে যায়। তাই দয়া করে সাধারন মানুষদের ব্যাকটেরিয়ার ভয় দেখাবেন না।
# পয়েন্ট_২: ব্রয়লার মুরগীতে নাকি অ্যন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়া হয়। কোথায়? কোন ফার্মে? কোন এলাকায় এই ইনজেকশন দেবার প্যাক্টিস আছে জানতে চাই। ব্রয়লারে মুলত যে অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় তা পাউডার ফর্মে ও সল্যূশন হিসেবে পাওয়া যায়। আর ব্যাকটেরিয়ার মত অ্যন্টিবায়োটিক ও দুই প্রকার।
১. হিট স্ট্যাবল
২. হিট লেবাইল।
হিট লেবাইল অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা মাংস তাপ প্রয়োগে রান্না করলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যায়। ফলে এই ধরনের অ্যন্টিবায়োটিকের রেজিট্যান্সী আসার কোন সম্ভবনাই নেই। অপর দিকে সঠিক উইথড্রাল পিরিয়ড মেনে অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে ও মাংস খেলে সেক্ষেত্রেও অ্যন্টিবায়োটিক রেজিট্যান্সীর সম্ভবনা নেই। আমরা ভেটরা মানব স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ, অ্যন্টিবায়োটিক ফ্রি ব্রয়লার মিট ও এগ উৎপাদনের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করছি।
# পয়েন্ট_৩: ৩ নং পয়েন্টের পক্ষ রিপোর্টার কোন প্রমাণ পান নাই। যাই হোক একটু নেট ঘাটেন বা একটু গুগোল করেন তাহলেই জানতে পারবেন। মিট প্রধানত দুই প্রকার।
১. রেড মিট। (বিফ, মাটন, চ্যাবন) ২. হোয়াইট মিট। (চিকেন, পর্ক, র্যাবিট) রেড মিট অপেক্ষা হোয়াইট মিটে কোলেস্টেরল পারসেন্টেস কিছুটা কম থাকে। যেমন প্রতি ১০০ গ্রাম বিফে কোলেস্টেরল থাকে ৭২ মিলিগ্রাম, পর্কে থাকে ৭০ মিলিগ্রাম এমনকি প্রতি ১০০ গ্রাম ফিসে ও কোলেস্টেরল থাকে ৭০ মিলিগ্রাম। যেখানে প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রয়লার চিকেন মিটে কোলেস্টেরল থাকে মাত্র ৬৪ মিলিগ্রাম। সো জনগনকে ধোঁকাবাজি না দিয়ে সঠিক নিউজ দিন।
# পয়েন্ট_৪: ৪ নং পয়েন্টটা ধোঁয়াশাপূর্ন। রিপোর্টার নিজেও জানেন না ব্রয়লার চিকেন রেয়ার করতে কোন কোন ক্যামিক্যাল ব্যবহার করা হয়। আমার মনে হয় জাস্ট পয়েন্ট বৃদ্ধি করতে গিয়ে তিনি এই পয়েন্টটি লিখেছেন। তার পরেও বলি ব্রয়লার চিকেন রেয়ার করতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন প্রকার ক্যামিক্যাল, গ্রোথ হরমোন, স্টেরয়েড ব্যবহৃত হয় না। চাইলে ইনভেস্টিগেট করতে পারেন।
# পয়েন্ট_৫: গর্দভ কাকে বলে? একাধিক গবেষণায় নাকি পাওয়া গেছে ৬৭% ব্রয়লার মিটে ই. কোলাই পাওয়া গেছে। আরে গর্দভ ই. কোলাই নাই কোন প্রানীতে। পৃথিবীতে ই. কোলাই বিহীন কোন প্রানী আছে নাকি? কথা হলো ই. কোলাই এর লোড বেশী না কম সেটা। ই. কোলাই এর লোড বেশী হলে তবেই ফুড পয়জনিং হতে পারে। এর পরেও কথা আছে। ই. কোলাই এর ডিকট্রাকশন টেম্পারেচার ৭০ ডিগ্রী সেন্টগ্রেট। সো ৭০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট বা তার বেশী তাপমাত্রায় মাংস রান্না করলে ই. কোলাই ও এর টক্সিন ডিস্ট্রয় হয়ে যায়। আর আমাদের দেশে ১০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের উপরে মাংস রান্না করা হয়। তাই এখানে ই. কোলাই দ্বারা ফুড পয়জনিং হবার প্রশ্নই আসে না। অযথা বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সঠিক তথ্য দিন। কারোও এজেন্ট হয়ে দেশের ও দেশের জনগনের ক্ষতি করবেন না।
পোস্ট করেছেন: ডাঃ শুভ দত্ত।
কালেরকণ্ঠের ভূয়া রিপোর্টের লিঙ্ক: http://archive.is/6MA1v

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: কালেরকণ্ঠের ভূয়া রিপোর্টের জবাব দিয়েছেন ডাঃ শুভ দত্ত। আমাদের সাথে থাকুন। আর লাইভস্টক সেক্টর নিয়ে যেকোনো ধরনের রিপোর্ট বানোয়াট/গুজব/ভীতিকর মনে হলে আমাদের ইনবক্সে জানান। সময়মত সঠিক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করা হবে ইনশা-আল্লাহ।
বলদ মার্কা রিপোর্টিং কেমন হতে পারে তা দেখতে নিচের রিপোর্টটি দেখতে পারেন। ক্লিকের ব্যবসা করতে গিয়ে এখন লিডিং পত্রিকাগুলোও কাট-পেষ্ট রিপোর্ট করা শুরু করেছে। যেখানে তথ্যের বিচার বিশ্লেষন নেই, নেই লেটেস্ট বিজ্ঞানের ধারনা বা নেই সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা। উক্ত রিপোর্টে ব্রয়লার চিকেনের কিছু ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হয়েছে। এই পয়েন্টগুলো কতটুকু সঠিক একটু দেখার চেষ্টা করি।
# পয়েন্ট_১: কাঁচা মাংসে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে যেটা সবাই জানি। আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ প্রত্যেকটা প্রাণীদেহেই ব্যাকটেরিয়া থাকে হোক সেটা ব্রয়লার চিকেন বা ক্যাটেল বা গোট বা হিউম্যান। ব্যাকটেরিয়ার ভয়ে কি সকল প্রকার মাংস খাওয়া বাদ দিবেন? আর রিপোর্টার মশাই হয়তো জানেন না সকল ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর নয়। আর ব্যাকটেরিয়া মুলত দুই প্রকার।
ক. হিট স্ট্যাবল
খ. হিট লেবাইল।
বেশিরভাগ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হিট লেবাইল। অর্থাৎ তাপ প্রয়োগে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আমরা বাঙালিরা যেভাবে তাপ প্রয়োগে মাংস রান্না করি তাতে ব্যাকটেরিয়ার চৌদ্দগুষ্টি ধ্বংস হয়ে যায়। তাই দয়া করে সাধারন মানুষদের ব্যাকটেরিয়ার ভয় দেখাবেন না।
# পয়েন্ট_২: ব্রয়লার মুরগীতে নাকি অ্যন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়া হয়। কোথায়? কোন ফার্মে? কোন এলাকায় এই ইনজেকশন দেবার প্যাক্টিস আছে জানতে চাই। ব্রয়লারে মুলত যে অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় তা পাউডার ফর্মে ও সল্যূশন হিসেবে পাওয়া যায়। আর ব্যাকটেরিয়ার মত অ্যন্টিবায়োটিক ও দুই প্রকার।
১. হিট স্ট্যাবল
২. হিট লেবাইল।
হিট লেবাইল অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা মাংস তাপ প্রয়োগে রান্না করলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যায়। ফলে এই ধরনের অ্যন্টিবায়োটিকের রেজিট্যান্সী আসার কোন সম্ভবনাই নেই। অপর দিকে সঠিক উইথড্রাল পিরিয়ড মেনে অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে ও মাংস খেলে সেক্ষেত্রেও অ্যন্টিবায়োটিক রেজিট্যান্সীর সম্ভবনা নেই। আমরা ভেটরা মানব স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ, অ্যন্টিবায়োটিক ফ্রি ব্রয়লার মিট ও এগ উৎপাদনের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করছি।
# পয়েন্ট_৩: ৩ নং পয়েন্টের পক্ষ রিপোর্টার কোন প্রমাণ পান নাই। যাই হোক একটু নেট ঘাটেন বা একটু গুগোল করেন তাহলেই জানতে পারবেন। মিট প্রধানত দুই প্রকার।
১. রেড মিট। (বিফ, মাটন, চ্যাবন) ২. হোয়াইট মিট। (চিকেন, পর্ক, র্যাবিট) রেড মিট অপেক্ষা হোয়াইট মিটে কোলেস্টেরল পারসেন্টেস কিছুটা কম থাকে। যেমন প্রতি ১০০ গ্রাম বিফে কোলেস্টেরল থাকে ৭২ মিলিগ্রাম, পর্কে থাকে ৭০ মিলিগ্রাম এমনকি প্রতি ১০০ গ্রাম ফিসে ও কোলেস্টেরল থাকে ৭০ মিলিগ্রাম। যেখানে প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রয়লার চিকেন মিটে কোলেস্টেরল থাকে মাত্র ৬৪ মিলিগ্রাম। সো জনগনকে ধোঁকাবাজি না দিয়ে সঠিক নিউজ দিন।
# পয়েন্ট_৪: ৪ নং পয়েন্টটা ধোঁয়াশাপূর্ন। রিপোর্টার নিজেও জানেন না ব্রয়লার চিকেন রেয়ার করতে কোন কোন ক্যামিক্যাল ব্যবহার করা হয়। আমার মনে হয় জাস্ট পয়েন্ট বৃদ্ধি করতে গিয়ে তিনি এই পয়েন্টটি লিখেছেন। তার পরেও বলি ব্রয়লার চিকেন রেয়ার করতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন প্রকার ক্যামিক্যাল, গ্রোথ হরমোন, স্টেরয়েড ব্যবহৃত হয় না। চাইলে ইনভেস্টিগেট করতে পারেন।
# পয়েন্ট_৫: গর্দভ কাকে বলে? একাধিক গবেষণায় নাকি পাওয়া গেছে ৬৭% ব্রয়লার মিটে ই. কোলাই পাওয়া গেছে। আরে গর্দভ ই. কোলাই নাই কোন প্রানীতে। পৃথিবীতে ই. কোলাই বিহীন কোন প্রানী আছে নাকি? কথা হলো ই. কোলাই এর লোড বেশী না কম সেটা। ই. কোলাই এর লোড বেশী হলে তবেই ফুড পয়জনিং হতে পারে। এর পরেও কথা আছে। ই. কোলাই এর ডিকট্রাকশন টেম্পারেচার ৭০ ডিগ্রী সেন্টগ্রেট। সো ৭০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট বা তার বেশী তাপমাত্রায় মাংস রান্না করলে ই. কোলাই ও এর টক্সিন ডিস্ট্রয় হয়ে যায়। আর আমাদের দেশে ১০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের উপরে মাংস রান্না করা হয়। তাই এখানে ই. কোলাই দ্বারা ফুড পয়জনিং হবার প্রশ্নই আসে না। অযথা বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সঠিক তথ্য দিন। কারোও এজেন্ট হয়ে দেশের ও দেশের জনগনের ক্ষতি করবেন না।
পোস্ট করেছেন: ডাঃ শুভ দত্ত।
কালেরকণ্ঠের ভূয়া রিপোর্টের লিঙ্ক: http://archive.is/6MA1v

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



মুর্গী নিয়ে এত ক্যাচাল কেন....

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: এর উপর হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই শিল্পকে আবার ধ্বংসের জন্যও অনেকে লেগে আছে। আমাদের পাবলিকরা আবার গুজবে বিশ্বাসী। গুজব দিয়ে পেজ হিট বাড়ানো যায়।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

জুন বলেছেন: আপনার প্রতিটি বক্তব্যের সাথে সহমত সাইফুল১৩৪০৫ ।
আমাদের মত বয়সী যারা দেশী মুরগী খেয়ে বড় হয়েছে তাদের জন্য একটাই সমস্যা তা হলো ব্রয়লারের স্বাদ ভালো না লাগা। যা এই ব্রয়লার প্রজন্ম জানেও না বুঝেও না । তারা আরো উলটো বিরক্ত হয় দেশী মুরগীর মাংস কম আর শক্ত বলে।
+

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামতের জন্য। আসলে আমাদের দৈনন্দিন আমিষের চাহিদা শুধু দেশি মুরগি দিয়ে মেটানো সম্ভব না। তবে আমার কাছে দেশি মুরগির স্বাদ বেশি ভাল লাগে। কিন্তু শক্তের বিষয়টা আমারও খারাপ লাগে।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




তো আপনি এখানে জোরালো কন্ঠে লেখুন... মুর্গী কে রক্ষা করুন.....

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: মুরগিকে অবশ্যই পালন করতে হবে। পালন করে খাওয়াও হবে। কিন্তু কোনোভাবেই বলা যাবে না খাইলে বিপদ আছে। আপনি কালেরকন্ঠের নিউজটা আবার একটু পড়ে নিবেন। ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: কালের কণ্ঠের অনলাইন ভার্সন অতি জঘন্য। ব্রয়লার মুরগি নিয়ে তাদের প্রিন্ট ভার্সন চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন ছেপেছে। এই মাসের ২ তারিখ আমাদের সময়ের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত "ব্রয়েলার মুরগি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?" থেকেই কিছু যোগ বিয়োগ করে কালের কণ্ঠ এটা আপলোড করেছে। কালের কণ্ঠের অনলাইনের ৯৫% নিউজ অন্য সাইট থেকে কপি পেস্ট করা। কলকাতার নিম্নমানের বাংলা সাইট থেকে তো নিয়মিত টুকে যাচ্ছেই। এরা মাঝে মাঝে বাই নেমে কিছু লেখা প্রকাশ করে যার ৪৫% থেকে ৬৫% সামহোয়ার ব্লগের কয়েক বছর আগের পুরনো লেখা থেকে চুরি করা। কপি বা চুরিতে আপত্তি করছি না, আপত্তি হলো এদের চুরিতে কোনো স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন হয় না, এরা পুরাই ছিঁচকে চোর। এতোটুকু এডিট করে না। তবে এই জাতীয় খবরে সমালোচনার পাশাপাশি পয়সা আসে সেটাও একটা বিষয়। পোল্ট্রিওয়ালারা জানে জনগণ তথ্য যাচাইয়ের দিকে যাবে না, তাই সাংবাদিকের ফোনে ডায়াল করাই শ্রেয় ;)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন আপু।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায় .।.।.।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

নতুন বলেছেন: দেশি খামারের ক্ষতিহয় এমন রিপোট না করাই উচিত। এবং বুঝে শুনে করা উচিত।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: সহমত....

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: সম্পূর্ণ অরগানিক পদ্ধতিতে পালন করা মুরগী থেকে প্রস্তুতকৃত বসুন্ধরা চিকেন। প্যাকেট খুলুন, তেলে ভাজুন, আরাম করে খান, রোগমুক্ত থাকুন।
কয়দিন পর হয়তো এরকম বিজ্ঞাপন দেখা যেতে পারে।
আগে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরানোর পাঁয়তারা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। কালেরকণ্ঠের নিশ্চয়ই কোনো স্বার্থ আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.