নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় নতুন করে লেখার মত কিছুই এখনও হয়ন....

সাইফুল১৩৪০৫

সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?

সাইফুল১৩৪০৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তর্ক থেকে কেউই শেখে না, সেও না আমিও না

২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:০৩

রাতে ভালো ঘুম হয়নি। আবার ভালো কাজও হয়নি। কিন্তু টেবিল চেয়ারে বসে ছিলাম প্রায় রাত ২ টা পর্যন্ত। সকালবেলা বসে বসে একটু হিসেব মেলাতে চেষ্টা করলাম। দেখলাম, খুব অল্প সময় কাজের পেছনে ব্যয় করেছি। বাকি সময়টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে।

সকালবেলা মনে হচ্ছে রাতের সেই অধিকাংশ সময় আমি কিভাবে ব্যয় করেছি? একজন বিটিসিএল এর একটা আইপি কলিং অ্যাপের লিঙ্ক শেয়ার করেছেন। লিঙ্ক থেকে কেউ অ্যাপ ইনস্টল করলে রেফারেল কমিশন দেওয়ার কথা। যদিও অ্যাপটা কোনো কমিশন আপাতত দিচ্ছে না।

ছেলেটা যে গ্রুপে লিঙ্ক শেয়ার করেছে সেটা ছিল মূলত একটা টিভি দেখার অ্যাপভিত্তিক। আর গ্রুপটা মূলত সেই গ্রুপেরই নিজস্ব একটা অ্যাপ সম্পর্কিত। তাই মনে হলো ভুল জায়গায় পোস্ট দিয়েছে। কমেন্ট করে বসলাম, যতই চাপাচাপি করেন (একটা টিভি বিজ্ঞাপনে দেখেছিলাম) রেফারেল কমিশন পাবেন না।

এই কমেন্টের রিপ্লাইয়ে ছেলেটা সেই বাজেভাবে কমেন্ট করে বসল। যেটা হয়তো না করলেও পারত। এরপর সে যা বলত, তাতে বোঝালো অ্যাপটা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নাই। অথচ সে ছেলেটাই ভুলভাল কথা বলতেছিল অ্যাপটা সম্পর্কে। মোটামুটি এক রকম তর্কে জড়িয়ে পড়লাম। যদিও একেবারে অল্প বয়ষ্ক একটা ছেলে। এখনো কলেজের গণ্ডি পেরোয়নি। সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললে হয়তো আমার কথা মাথা নিচু করে শুনতো। কিন্তু আমি থাকি কুড়িগ্রাম, সে থাকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে। আমাকে সম্মান না দিলেও তার চলবে। আমি দেখলাম আমার পিঠের ভার্চুয়াল ছাল এখনো কিছুটা বাকি আছে। তাড়াতাড়ি কমেন্ট রিমুভ করে দিলাম।

এখানেই মাথাটা একটু গরম হয়ে আছে। এরপর দেখলাম, আমার ফ্রেন্ডলিস্টের এক ছেলে একটা পোস্ট দিয়েছে। সেখানে তারই এক শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে কমেন্ট করছে। সেখানে অনেক শিক্ষার্থী (যাদের পড়াশোনা ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ হয়েছে ও শেষ হয়নি উভয়ই) শিক্ষকের বিপক্ষে কথা বলতেছে। দালাল থেকে শুরু করে যেভাবেই আঘাত করা যায় করতেছে। শিক্ষককেও দেখলাম, কিছু কিছু কথা অতিরিক্ত বলতেছেন। চট করে আমিও সেখানে ঝাপিয়ে পড়লাম শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

যদিও আমি মনে করছি আমি আমার দিক থেকে দুটো ঘটনাতেই সঠিকই ছিলাম। শিক্ষকের সামনে দাঁড়ালে আমিও মাথা নিচু করে সব শুনে যেতাম। কিন্তু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। হয়তো আমার চেয়ে মাত্র কয়েক বছরের সিনিয়র হবেন। আবার নাও হতে পারেন। তাই হয়তো চট করে তর্কে লেগে গেলাম।

লাভের লাভ আসলে কি হলো। প্রায় সারারাত কাটালাম তর্কে। এতে যা হলো-

১। প্রথম ছেলেটার সাথে আমার হয়তো কখনো দেখাই হবে না। কারণ তার আর আমার মাঝে দূরত্ব অনেক।

২। স্যার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন সেখানে আমার খুবই ঘনিষ্ট এক আত্মীয়ও চাকুরি করেন। তাই তার সাথে সেখানে আমার কখনও যাওয়ার সুযোগও হতে পারে। তখন হয়তো সেই স্যারের সাথেও দেখা হয়ে যেতে পারে। দেখা হলে, হয়তো সেই স্যারের অভিব্যক্তি খুব একটা ভালো থাকবে না।

ভাবলাম, এভাবেই কি তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা আমাদের শত্রু বাড়িয়ে তুলছি? এজন্যই কি তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট, ভিডিও, কমেন্ট ইত্যাদির কারণে জ্বালাও, পোড়াও শুরু হয়? তারচেয়েও বড় কথা মনের অজান্তেই কি আমরা আমাদের শত্রু বাড়িয়ে তুলছি না? সকাল হতে হতে বারবার মনে হচ্ছে, দরকার কি ছিল দুজন লোকের সাথে তর্কে জড়ানো? যে লোকগুলো আমাকে চেনেই না।

প্রতিজ্ঞা করলাম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব কম সময় দিব। আর হুটহাট কোথাও কমেন্ট করে তর্কে জড়াবো না। কারণ তর্ক দেখছি চলতেই থাকে। শেষ আর হয় না। তর্ক থেকে কেউই শেখে না, সেও না আমিও না। নিজস্ব গণ্ডির ভেতর যেসব গ্রুপ আছে আর পরিচিত বন্ধু বান্ধব আছে, আর যেখানে যথাযথ মডারেশনের ব্যবস্থা আছে সেখানে বিচরণ করব।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: তর্ক থেকে আমি শিখেছি, তর্ক থেকে কিছুই শেখা যায় না।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৯

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: বলেছেন: আপনিতো অনেক আগেই শিখেছেন তাহলে। আর আমি এইতো মাত্র কয়েকদিন আগে শিখলাম। অথচ আরো আগেই শেখা উচিৎ ছিল আমার। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.