নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিষন্নতা উচ্ছাসের উৎসব

বিষন্নতা উচ্ছাসের উৎসব

চলো পালাই

ভাসান জলে থাকি খড়কুটো হয়ে, কচুরীর ফাঁকে ।

চলো পালাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ মাতার কাছে চিঠি সর্বস্বতঃ সংরক্ষিত শহরতলী ব্যান্ড

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

মা,

এখন মাঝরাত, আমি জানি তুমি আমাদের মত ঘুমাও না। একটা সময় ছিলো, যখন তুমি রাতে বিশ্রাম নিতে; এখন আর সেই ফুরসত কই? তোমার বুকে ২৪ ঘন্টাই যে ঘোরে অর্খনীতির চাকা! তাই এই অসময়েই তোমাকে স্মরণ করছি।



মা,

৯ মাসের অবিচল ধৈর্য্য ও উত্তাল বেদনার পরই তো তুমি ‘মা’। শৈশবে অভাবে যে শিশু উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতো, যৌবনে প্রাচুর্যের মোহে সে লাগামহীন টাট্টু ঘোড়া; বেয়াড়াপনা তার রন্ধ্রে-রন্ধ্রে। দু’দশক আগে, এটাকে বোধ হয় দুষ্টুমি বলা যেতো, এখন নষ্টামি বলা ছাড়া কোনো গতি দেখছিনা। তোমার প্রসব বেদনার ক’বছর আগে যে ধ্বনি বা বর্ণমালার জন্য জীবন হারিয়ে শহীদ পেলাম; সেই সালাম, বরকত, রফিক বা জব্বারের রক্তে ভেজা শার্ট যাদুঘরে না থেকে, ঐ শার্টের একটি সুতাও যদি আমাদের হৃদয়ে থাকতো, তাহলে বুলিতে যে মিথ্যা, আর ঝুলিতে যে পাপ, তার শাপ কিছুটা হলেও মোচন হতো।



মা,

সুখ বা শোক দিবস দুটোই এখন বানিজ্যিক হায়েনার খাদ্য, আর ১৬ই ডিসেম্বর বা একুশে ফেব্রুয়ারি; সবই ফুরফুরে “হলিডে”। কনসার্ট, কনফারেন্স, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সংলাপ, টক-শো, এমনকি সংসদ অধিবেশন; সব এখন “স্পনসর্ড”! সার্বজনীন পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে লাখ টাকার আতশবাজি ফুটে; আর সেই একই অনুষ্ঠানে গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ভিক্ষা করে একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা । যে মানচিত্রের সীমানা লক্ষ শহীদের রক্তের কালিতে আঁকা, সে সীমানায় আজো রক্ত ঝড়ে। যে সার্বভৌমত্বের বড়াই করে বলি “আমরা বাংলাদেশী”; সে সার্বভৌমত্ব কেনা-বেচা হয় আন্তর্জাতিক মীমাংসার টেবিলে। “কূট” এর সাথে “নীতি” যায়না বলেই বোধ হয়, কূটনীতি না বলে সবাই “ডিপ্লোমেসি” বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর প্রতিনিয়ত নিজের সাথে প্রতারনা করা জনগন বোঝেনা যে পাঁচ বছর পর-পর তারা একই ভুল করে। থোড়-বড়ি-খাড়া আর খাড়া-বড়ি-থোর; বার বার খাল কেটে কুমির আনা কবে শেষ হবে তোর?



মা,

জানি তুমি মমতাময়ী, একটাও আগ্নেয়গিরি নেই তোমার বুকে, আছে কেবল জালের মত বিছিয়ে রাখা নদী। তোমার শোকের বহি:প্রকাশ হিসেবে সেখানে প্রায়ই চর পড়ে। তোমার ক্ষোভ দেখি টর্নেডোতে, ভুমিকম্পে, জলোচ্ছাসে… তোমার কি একবারও মনে হয় না মা, এ অস্তিত্বের মানে নেই, এ ঘর ঠিকানাবিহীন? তোমার কি মনে হয় না, আঁতুড় ঘরে লবন দিয়ে শেষ করে দেয়া উচিৎ ছিলো তোমার পথভ্রষ্ট সন্তানকে, মনে হয় না; “সাফারি পার্ক” থেকে জঙ্গল ভালো?

আমার তো মনে হয়, ছোট খাঁচা থেকে মুক্ত হয়ে বড় খাঁচায় এলাম! জেলখানাতেই আছি এখনো… এখান থেকেই চিঠিটা পোস্ট করবো, পেলে উত্তর দিও ......

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দেশমাতা আসলে কার ??????

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

চলো পালাই বলেছেন: আমার , আমাদের ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.