নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বোবা কাব্য।কৃষ্ণপক্ষের অতৃপ্ত কায়া।কলঙ্কতিলক আঁকা বিতর্কিত।

সালমান মালিক

জীবনের বড্ড চাহিদা, সকাল দুপুর অথবা ক্লান্ত বিকেল সেই চাহিদার অন্বেষণে।নিস্তব্ধতাটা নিজস্ব।গভীর রাত, ঘুমন্ত শহরের এক অকৃত্রিম চাদের কোয়েক ফোটা জোছনা আর নিশাহত আমি হেটে বেড়াতে থাকি রহস্যময়তার বাসস্টপ থেকে বাসস্টপে।সে উদাসীনতায় কেটে গেছে বহু সন্ধিকাল। জীবন্ত এই দেহে মৃত্যুর আনাগোনা, রক্তিম হৃদয়ে অন্ধকার। বিস্রস্ত রোমকূপে শুষে নেই ভালবাসার উষ্ণতা।রক্তের আবেগে পাই ভালবাসার আস্বাদ।দর্শকহীন রূপসীর মতো মধ্যরাতে উজ্জ্বল আলোকে রূপকথার মৃতনগরীর মতো সার সার বাড়ির মিছিল,গলি,ম্যানশন,কালভার্ট ছেড়ে গেছি।উঁচু উঁচু দালানের অস্থিময় বিশালতা হাড়ের ভিতর শুষে নিয়েছি।বিজ্ঞাপনের নগ্ন নায়িকার উচ্ছল যৌবন নিংড়ে হেটে গেছি মাইল মাইল।এগিয়ে যাচ্ছি অনিদির্ষ্ট কালের অপেক্ষায়। যার নাম মৃত্যু, পুনরুত্থান,The Hour of Judgment...

সালমান মালিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদরাসারর ওস্তাদ

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে ফরিদাবাদ মাদ্রাসার ওস্তাদ(?) বেত দিয়ে বারোটি আঘাত করেছে, তৃতীয়টির সময় রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এর উপর আবার অভিবাবকের কাছে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ গেছে!

আমি ভাবছি, নীচের কোন কাজটি করা যায়ঃ

১. হত্যাপ্রচেষ্টা না হোক, পুলিশের কাছে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ দাখিল, এবং দাখিলের পর্যায়ে কয়েকটি বিশেষ টাইপের টিভি চ্যানেলে যোগাযোগ করা। (ঐ জানোয়ারটাকে পুলিশ দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য কল্পনার চোখে দেখে বেশ সুখানুভুতি হচ্ছে!)

২. ডেকে আনার জন্য এলাকার বাস্টার্ড জাকির, ল্যাংড়া বাবু, কাইল্লা মনিরদেরকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে ঐ ইতরটাকে চড়-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে পার্টি অফিসে আনিয়ে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখে থানায় খবর দেয়া হবে, নাকি এই মর্ষকামি মাদ্রাসাই উঠিয়ে দেয়া হবে, নাকি এ'যাত্রা ক্ষমা করে দেয়া হবে - সেই দর কষাকষি'র জন্য ছাত্রলীগের ছোটভাইদের হেফাজতে ছেড়ে দেয়া।

৩. মাদ্রাসায় অস্বাস্থকর পরিবেশে আবাসন শিক্ষার্থীদের চরম স্বাস্থঝুঁকিতে রেখেছে, ট্যাপের পানি পান করতে বাধ্য করে শিক্ষার্থীদেরকে টাইফয়েড ও অন্যান্য পানিবাহিত ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হওয়ার মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন কিচেনে রান্না করা খাবার খেতে শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে - এই তিন অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করে, মাদ্রাসার আবাসন ও খাবারের ব্যবসা সীলগালা করানোর জন্য (দেশের প্রচলিত পদ্ধতিতে চেষ্টা করা।

আমি ইদানীং এদেরকে "কওমিওয়ালা" নাম দিয়েছি, শব্দটা সুদের কারবারি "কাবুলিওয়ালা" থেকে মাথায় এসেছে।

আর হ্যাঁ, আমি অবশ্যই জানি, আলেমরা নবীর উত্তরাধিকার হিসেবে সবচাইতে সম্মানিত সম্প্রদায়। কিন্তু, এটাও জানি, জাজমেন্ট ডে'তে সবার আগে ভ্রষ্ট আলেমদেরকে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে উপুড় করে পা উপরে মাথা নীচে অবস্থায় ছেঁচড়িয়ে নিয়ে নরকে ফেলা হবে। যে অন্যের হক রক্ষা করে না, যে অন্যকে কষ্ট দেয়ার মত পাপাচার করে, সে নিশ্চয় ভ্রষ্ট; কোনো সম্মান তার প্রাপ্য হতে পারে না।

ইসলাম ধর্মের প্রধান শিক্ষক, নবী মোহাম্মাদ (সঃ) নববীতে কোনো সাহাবিকে বেতিয়েছিলেন, এমন কোনো হাদীস আমি অনেক খুঁজেও পাই নি। এমনকি, এই কওমিওয়ালারা যে দারুল উলুম দেওবন্দের নাম বেচে খায়, সেই দেওবন্দে বেতানোর ব্যাপার ছিল বলেও জানতে পারি নাই। বরং, এর বিপরীত বর্ণনা ঢের পাওয়া যায়। জাস্টিস তক্বী ওসমানি সাহেবের পিতা মুফতি শফী সাহেব উনার উস্তাদ আশরাফ আলী থানবি (রঃ) এর কাছ থেকে যে আচরণ পাওয়ার কথা বর্ণনা করেছেন, সেটা এই কওমিওয়ালাদেরকে "বেতাইয়া" শিখানো দরকার
কপি:মুনতাকিম...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

জাওয়াদ স্পিকিং বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।কওমিওলারা কমবেশি জানোয়ার প্রবৃত্তির হয়।হেফজ খানা গুলোরে রিমান্ড বানাইয়া রাখছে।অথচ ইসলাম সহ বাকি সব শিক্ষা বেতাইয়া শিখানোর জিনিস না।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

অন্ধকারে আলোর পথ বলেছেন: একজনের কারনে কউমিওয়ালা বলে চিল্লাবেন না। একজন মুসলমান ক্ষারাপ বলে ঘোটা মুসলিমকে খারাপ বলবেন না,অবশ্যই যে হুজুর এ কাজ করেছে তা অবিচার করেছে, তবে স্কুলের পরিমলরা ধর্ষন করলেও তখন মনে হয় না এমন লেখালিখি হয়,তখন আর স্কলকে স্কুলওয়ালা বলে গালি দেওয়া হয় না।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অবশ্যই ঐ শিক্ষকের শাস্তি হওয়া উচিৎ

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

আবু আবদুর রহমান বলেছেন: ছোট্টকালে আমি ও কাউমী মাদ্রাসায় হেফজখানায় পড়েছি , কঠিন শৃংখলার মধো পড়তে হয়েছে । আমি আজ ও ওস্তাদদের জন্য হাত তুলে মন হতে দোয়া করি । সত্যিই তারা মা-বাবার মত আদর করে পড়িয়েছে । মার তেমন একটা দেয়নি , তবে একবার কারি সাহেব খুব মেরেছে । কারণ একজন হোমিও ডাক্তার ছিলো তার কাছ হতে চুরি করে মিল্ক অবসুগারের গ্লোউবিউল চুরি করে খেতাম । ঐ ডাক্তার সে দিন চেম্বার খুলেনি , তার রুম মাদ্রাসার গেইটের সামনে, বাইরে জুতা রয়েছে তার মানে সে রুমে আছে । ডাকাডাকির পর ও রুম না খুলাতে শয়তান আমাদের মাথায় চেপে বসে কয়েকজন মিলে পানির পাইপ জানালার কাছে নিয়ে পানির পাম্প চালু করে দিলাম । ডাক্তারের সব লেপ-তোষক, খেতা-বালিশ সারা রুম ভিজে বন্যার মত হয়ে গিয়েছে :D B-) ডাক্তার দৌঁড় দিয়ে বের হয়ে সামনে কারি সাহেবকে পেলেন , আর অভিযোগ করলেন ভিজা কাপড় নিয়ে , কারি সাহেবের খুব রাগ উঠে গিয়েছে । আমরা কতজন ছিলাম মনে নেই তবে সকলকে গুল পিটুনি দিয়েছে কারি সাহেব, আজ ও তার জন্য মহান রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করি। অনেক সময় ছাত্ররা ও খুব বেশি শয়তানি করে । তবে ইদানিং কিছু মাদ্রাসায় বেত্র নেই , মারা তো দূরের কথা । যেমন বসুন্ধরা মাদ্রাসা , বগুড়া জামিল মাদ্রাসা । যুগের সাথে আমাদের মানসিকতার ও যেন পরিবর্তন হয় । হাতিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাটা মুপ্তি সাইফুল ইসলাম রাহিমাহুললাহ তিনি সব ওস্তাদদের ছাত্রদের মারতে নিষেধ করতেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.