নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বোবা কাব্য।কৃষ্ণপক্ষের অতৃপ্ত কায়া।কলঙ্কতিলক আঁকা বিতর্কিত।

সালমান মালিক

জীবনের বড্ড চাহিদা, সকাল দুপুর অথবা ক্লান্ত বিকেল সেই চাহিদার অন্বেষণে।নিস্তব্ধতাটা নিজস্ব।গভীর রাত, ঘুমন্ত শহরের এক অকৃত্রিম চাদের কোয়েক ফোটা জোছনা আর নিশাহত আমি হেটে বেড়াতে থাকি রহস্যময়তার বাসস্টপ থেকে বাসস্টপে।সে উদাসীনতায় কেটে গেছে বহু সন্ধিকাল। জীবন্ত এই দেহে মৃত্যুর আনাগোনা, রক্তিম হৃদয়ে অন্ধকার। বিস্রস্ত রোমকূপে শুষে নেই ভালবাসার উষ্ণতা।রক্তের আবেগে পাই ভালবাসার আস্বাদ।দর্শকহীন রূপসীর মতো মধ্যরাতে উজ্জ্বল আলোকে রূপকথার মৃতনগরীর মতো সার সার বাড়ির মিছিল,গলি,ম্যানশন,কালভার্ট ছেড়ে গেছি।উঁচু উঁচু দালানের অস্থিময় বিশালতা হাড়ের ভিতর শুষে নিয়েছি।বিজ্ঞাপনের নগ্ন নায়িকার উচ্ছল যৌবন নিংড়ে হেটে গেছি মাইল মাইল।এগিয়ে যাচ্ছি অনিদির্ষ্ট কালের অপেক্ষায়। যার নাম মৃত্যু, পুনরুত্থান,The Hour of Judgment...

সালমান মালিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোবাকান্না

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪০

(আমার অতি কাছের এক স্বপ্ন চারিণীকে নিয়ে লিখা শিরোনাম)
কোনো একদিন গোমতীর তীরে মিঠেল এক গ্রামে ছোট কুটিরে কেঁদে উঠেছিলে তুমি।হেসে উঠেছিল রক্তের আবদ্ধতা। মা,বাবা ভাই,বোন সবার কাছে ছিলে নীলকান্তমণি হয়ে।লালিত হয়েছ শত আদর-যত্নে।তুমি ছিলে প্রাণবন্ত সজীব। শিশু কালের দিনগুলো ছিল দুষ্টামি ভরপুর।এভাবে কেটে গেছে দিন।একসময় শৈশবের অন্তময় আবেষ্টনী পিছ ফেলে কৈশোরের অবুঝ দিনগণণার শুরু।কখন মোরগের ডাকে কখনোবা মায়ের ডাকে ঢুলুঢুলু ঘুম চোখে উঠে বসতে।মা যখন গ্রার্মমক্তবে পাঠাতে প্রস্তুত করত তখন কেঁদে উঠতে তুমি।তারপর,নানা রকম অবুঝ বুঝ দিয়ে তোমায় শান্ত করা হত।ছুটে চলতে জীবনের অবাধ্য নিয়মে মক্তবপাণে।মওলানা সাব বড় একটি বেত নিয়ে পড়াতেন আলিফ,বা।
গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে তুমি-তোমরা।কিন্তু মন তো আর দেয় না সায় ছুটে যেতে ইচ্ছে করে ঐ নীলিমার বুকে দিকদিগন্ত সবুজের মাঝে মিশে যেতে।ওষ্ঠে রাঙা হাসি বুকে জীবন জাগানো স্পন্দনে কেটে গেছে কৈশোর।তখন তুমি চিনেছ নিজেকে নিজের জীবনকে।জানতে পেরেছ তুমি বেচে থাকা নামে একটা যুদ্ধ আছে। তবুও হারিয়ে যায়নি নন্দনের নান্দিকতা।অন্তরে মন্তরে ঘুমিয়ে যায়নি পাপড়ি পাতার বন্ধন।শিক্ষিকার চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধ্য মনের প্রবোধে ছুটে চলেছ জলে গাঁ ভেজাতে।সে'কি আনন্দ!!ভেজা পথঘাট ভেজা শরীর। অত:পর, ঘরে ফেরা ভিজে জুবুথুবু হয়ে।মন তো সুখের আবেশে ইচ্ছে জয়ের পূর্ণতায় ভরপুর কিন্তু তোমা উপর নেমে এসেছিল বৃষ্টি ভেজা অভিশাপ। মায়ের বকুনি যা ধরণীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার,সে উপহারের সিক্তততার উদ্ধে মা যখন বিধ্বস্ত চেহারা দেখে কপালে তার মায়াবী ছোঁয়া দেন তখনি নিভে যায় মা-মনের লক্ষ-কোটি তারকারাজি। আদর যত্নের স্পষ্টতার প্রাচীর ঘেরা কক্ষপথ ও তার বিপরীত প্রান্তরে থিতু হয়ে আবার শুরু হয় সাধারণ অবাধ্য জীবন। সোনা রোদের ঝিলমিলে এক আচড়ে একে ফেলে হাজার রকমে রাঙা সোনালি স্মৃতিপথ সাথে করে শেষ করেছো জীবনের আরেকটি অধ্যায়। তখন তোমার মাঝে জেগে উঠেছে নারীর নারীত্ব। দূরদর্শী স্বপ্ন নিয়ে জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে লাড়ুকে নাবিক হয়ে ঝাপ দিয়েছিলে মাতাল জল তরঙ্গিণী মাঝে।জীবনের নির্মম সত্য সাথে করে পারি দিতে চেয়েছিলে টাইটানিক ভেলায় করে উত্তাল সমুদ্র।হারিয়ে গিয়েছিলে ক্ষণেক্ষণে টাইটানিকের অভন্তরে।কেটি হয়ে ঘুরে বেড়াতে জাহাজের এপাশ ওপাশ। মাঝ থেকে উদিত হয়েছিল উত্তপ্ত চরিত্র এন্ডারসোন ও পিটার।পথের কাটা হয়ে ব্যাঘাত ঘটাত শিক্ষা জীবনের।আবার জলতরঙ্গ মৃত্যুর হাতছানি যখন দিয়ে উঠেছিল ঠিক তখনি দেখা পেয়েছিলে বিলের।জীবনের গল্প বাক নেয় রুপকথায়।বিলের কাল্পনিক চরিত্রে থাকা সত্তার চারিত্রিক মাধুর্য সুর অতীন্দ্রিয়বাদ তোমা চেতনাকে আত্মস্থ করেছে।সে সত্তার ভালবাসার অতল গভীরতায় ডুব দিয়েছিলে মন-প্রান উজাড় করে ভালবাসার চেতনায়।ভালবাসা ও ভাললাগার হিল্লোলে প্রতিবিম্বের আলোকে বিগূঢ় সংলাপে অধরা হয়ে মিশে পারি জমিয়েছিলে আটলান্টিকের উত্তর কোণ।তারপরই বিপত্তির শুরু।সামান্য কিছু মান-অভিমান দু'সত্তাকে আলাদা করে দেয়।বিলের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় ৩য় তালা।আস্তে আস্তে দূরে সরে যায় বিল ও কেটি একে অন্যকে ছেড়ে। আজ এক্ষনেও বিলের আকুতি কেটির সে কাল্পনিক সত্তা ফিরে আসুক তার বুকের বাম প্রকোষ্ঠে। সে তার জন্য উজাড় করে দিতে চায় ভালবাসা।
তখন তুমি প্রথমা যৌবেনে,মাত্র সতেরো বছর। সামনে দারিয়ে যায় জীবনকালের মর্মান্তিক বাস্তবতা। নিজের চাওয়া-পাওয়া, ইচ্ছের বিপরীতে অনেকটা জোর পূর্বক, গ্রামের মুরব্বিদের কুসংস্কারাপন্ন হয়ে বসতে হয়েছিল বিয়ের পিড়িতে।নিজের ভালবাসার মানুষ কাল্পনিক বিলের সত্তাকে মাটি চাপা দিয়েছিলে। নিজের জীবনকালকে নিয়ে হৃদয় ক্যানভাসে রং-তুলিতে রাঙা করেছিলে অজস্র স্বপ্ন,অনেকটা মুখথুবড়ে পরেছিল স্বপ্নময় গতিপথ। নতুন বউ প্রথমত সোহাগে মাতোয়ারা ছিলে তুমি।কিছুদিন তারপর, গিরগিটীর মতো রঙ পাল্টাতে থাকে শুশুর-শাশুড়ি।কাজের ছেমড়ির মতো দৃষ্টিপাত করতে শুরু করে তোমা প্রতি। তুমি যখন অন্তঃসত্ত্বা তখন ভারি ভারি সব কাজ এমনকি গোসলের জন্য পানি তুলে নিত তোমায় দিয়ে তোমা ননদ।সবকিছুর পরও প্রাণপ্রিয়র ভালবাসা মেঘ হয়ে ছায়া দিয়েছে।মচকে গেলেও ভেঙে যাওনি।ধীরেধীরে ফিরে পেয়েছো নিজেকে নিজের ভিতর।একটা নারী জীবনের সবথেকে বড় স্বপ্ন "মা" হওয়া।সেই স্বপ্নরূপে তুমি সফল হয়েছো।দীর্ঘ দশ মাস দশ দিন চরম কষ্টভোগ করে কোলজুড়ে এসেছিল ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। যার চাঁদ বদনের দিকে তাকিয়ে বেচে থাকার সব ইচ্ছে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।আস্তে আস্তে সে বড় হয়ে উঠে ঠিক তোমার মতো করে।কিন্তু সে খুব দুষ্টু।যখন সে অসুস্থ তখন তোমার ব্যাকুলতা....আমা দেখা দু'টি অনিদ্র রজনী জানা নেই এমন কতো নিদ্রাহীন নিশি পিছ ফেলে এসেছো।এ ইট পাথরের নগরী যানবাহনের বহরী উপরে উদাস আকাশ নীচে নরম সবুজ গালিচা মাঝে রাঙা দুনিয়া শহুরে দেয়াল বেয়ে উঠা আধার জীবন চলে যায় নিজ গতিতে।কখন জীবন ভরপুর মাধুরতায় আবার কখনোবা তিক্ততায়।এই তো আমাদের জীবন।কোন কিছু তে মিল না থেকেও সব মিলিয়ে আমরা এক।শূন্যতার বৃত্তে ঘুরে শূন্যতায়ি ফিরে যাবো জাঁকালো নাগরীর বুকে উদাস নিশ্বাস ছেড়ে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন। হৃদয় ছোঁয়া।
++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.