নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বোবা কাব্য।কৃষ্ণপক্ষের অতৃপ্ত কায়া।কলঙ্কতিলক আঁকা বিতর্কিত।

সালমান মালিক

জীবনের বড্ড চাহিদা, সকাল দুপুর অথবা ক্লান্ত বিকেল সেই চাহিদার অন্বেষণে।নিস্তব্ধতাটা নিজস্ব।গভীর রাত, ঘুমন্ত শহরের এক অকৃত্রিম চাদের কোয়েক ফোটা জোছনা আর নিশাহত আমি হেটে বেড়াতে থাকি রহস্যময়তার বাসস্টপ থেকে বাসস্টপে।সে উদাসীনতায় কেটে গেছে বহু সন্ধিকাল। জীবন্ত এই দেহে মৃত্যুর আনাগোনা, রক্তিম হৃদয়ে অন্ধকার। বিস্রস্ত রোমকূপে শুষে নেই ভালবাসার উষ্ণতা।রক্তের আবেগে পাই ভালবাসার আস্বাদ।দর্শকহীন রূপসীর মতো মধ্যরাতে উজ্জ্বল আলোকে রূপকথার মৃতনগরীর মতো সার সার বাড়ির মিছিল,গলি,ম্যানশন,কালভার্ট ছেড়ে গেছি।উঁচু উঁচু দালানের অস্থিময় বিশালতা হাড়ের ভিতর শুষে নিয়েছি।বিজ্ঞাপনের নগ্ন নায়িকার উচ্ছল যৌবন নিংড়ে হেটে গেছি মাইল মাইল।এগিয়ে যাচ্ছি অনিদির্ষ্ট কালের অপেক্ষায়। যার নাম মৃত্যু, পুনরুত্থান,The Hour of Judgment...

সালমান মালিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগ কি শান্তির পথ নাকি সন্ত্রাসের পথ?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

প্রথমে পিতা অত:পর পুত্র যাঁদের মহান মেহনত কঠিন কষ্ট, মুজাহাদা,স্রষ্টার জন্য উৎসর্গ চোখের পানি যার রূপের রূপকার তাবলীগ।
ইলিয়াস (রহ)শত কষ্ট, ক্লেশ ও মুজাহাদার দরুন যেই মেহনত চালু করেছিলেন,সেই অহরান পাহাড়ের ঝর্ণা আজ নদী-নালা,খালবিল পেরিয়ে মহাসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।
যেসব মানুষ একদিন ছবি অংকন করতো, গান গাইত, শত জুলুম ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল, ভয়ংকর থেকে অতী ভয়ংকর পাপিষ্ঠ সন্ত্রাসী ছিল তারা যখন পাপড়ি পাতার মহান বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে তখন তারা হয়েছে সোনার মানব।তারা আয়ত্ত করতে চায় বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ চরিত্র মহানবী (স) ও সাহাবাওয়ালা চরিত।
বর্তমান সারা বিশ্বে তাবলীগ জামাত ইসলামী নবজাগরণ সৃষ্টি করেছে।সোজাসাপ্টা কিছু উদাহরণ দেই।ইংল্যান্ডে গত কয়েক বছর পূর্বে হাতে গোণা কয়েকটিমাত্র মাদ্রাসা ছিল যা এখন হাজার পেরিয়েছে।বর্তমান বিশ্বের তিনজন নামজাদা খেলোয়াড় দক্ষিণ আফ্রিকার যাদের ধর্ম ইসলাম এবং অধিনায়ক হাশিম আমলা তাবলীগ পন্থী। কিছুদিন পূর্বেও কেউ ভাবতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিমে কোম মুসলিম খেলোয়াড়ের সুযোগ হবে অথচ এখন উসমান খাজা একজন নিয়মিত খেলোয়াড়।
"ইসলাম শান্তির ধর্ম"
বাংলার ইজতেমার কথা ভাবুন ;লক্ষলক্ষ মানুষ যেথায় একত্রিত হয় এবং অবস্থান করে, সেথায় নাই কোন গোলযোগ, মারামারি। চারদিক সুভাষিত শান্তির বাতাসে।মন্ত্রের মুগ্ধতায় চলছে সব।
প্রথমে তিনদিন তারপর একচিল্লা,তিনচিল্লা এভাবে সারাটা জীবম কাটিয়ে দিচ্ছে দ্বীনের খেদমতে,মানুষকে ধর্মের আহবানে।মা-বাবা,স্ত্র­ী-সন্তান, আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে যাযাবরের মতো কখনো দেশের মাটিতে কখনো অদূর দিগন্তে পরদেশে।কখন জীবনের হুমকি কখনোবা হিংস্র আক্রমণের কড়াল থাবায় জর্জরিত হয়ে দুফোটা চোখের নোনাজল সে জমিন ভিজিয়ে আসে;যে অশ্রু ধীরেধীরে সবুজে সিক্ততা দেয়
বিরান ভূমিকে।জীবন কুরবান করে তাদের শেষ ইচ্ছে প্রতিটি ঘড়ের কার্ণিশে পৌঁছে যাক "আল্লাহ এক,মুহাম্মদ (স) আল্লাহ্‌ রাসূল"।
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী, শাহ জালাল,শাহ পরান যাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে জন্মগত ভাবে ইসলামের সুশীতল ছায়া পেয়েছি ;জন্মের পর থেকে পেয়েছি ইসলামী শিক্ষা।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত যেথায় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার কারণে সমাজ থেকে বয়কট করা হয়,জীবিত কবর দেওয়া হয়,গুজরাটের বাতাসে আজো ভেসে বেড়ায় মুসলিম লাশের পোড়া গন্ধ। কাশ্মীরে প্রতিনিয়তি ধর্ষিত হচ্ছে শতশত মা-বোন;শহীদ হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ নির্মম ভাবে।চীন ও বার্মায় চলমান মুসলিম ইতিহাসের রক্তক্ষরণ শোকের কলিতেই গাধা থাকবে।
ফেনার কেশরে ফুসে উঠা বিধর্মীদের ঈপ্সিত কঠিন রূঢ় নির্যাতন ও অপমান মুখ বুজে,দাতেদাত চেপে রেখে অটল ঈমানের পথে পরদেশি মুসলিম।
বিপরীতে আমরা হারিয়ে বসেছি ঈমানের অহংকার;হারাতে বসেছি ধর্মের আচল।আঘাতে ছিন্নক্ষত জরাজীর্ণ আমরা।
ধর্মের বাণীতে লিপিবদ্ধ "দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ "।
তাবলীগ কখনো জঙ্গি সৃষ্টি করেনা কখনো দেশদ্রোহীতা শিক্ষা দেয়না।
তবে হে,আমি তাবলীগ করবো তাবলীগের আইন মেনে শরিয়তে যেভাবে বলা আছে সেভাবে তাবলীগ করতে হবে।তাবলীগ মানে কিন্তু মসজিদে পরে থাকা আর ফাজায়েলে আমল পড়া নয়।তাবলীগ মানুষকে ধর্মের দিকে এক আল্লাহ্‌ পাণে আহবান করার নাম।
নিঃসন্দেহে ফাজায়েলে আমলে পূর্ণ জীবনধারা বর্ণিত নেই।কোনকালে এক মজলিসে শ্রবণ করা বয়ান পরবর্তীতে অন্যকোন মজলিসে পেশ করতে গিয়ে চৌদ্দশ বছর আগের ইতিহাস তিনহাজার বছর আগের রূপকথার রূপ দিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো কঠিন গোনাহ। প্রবীণরা কখনোই ফাজায়েলে আমলের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকতে বলেনি। ধর্মীয় পুস্তক সহ সকল জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন। আলেম অথবা হাফেজ হতেই হবে তা কিন্তু নয়।আমি ডাক্তার হবো নিয়ত
হতে হবে এক আল্লাহ্‌ জন্য মানুষের সেবা করবো। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমন নিয়ত থাকবে আল্লাহতালার জন্য মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে।
বর্তমান শিক্ষার বড়ই অভাব।শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। খুব অল্প সংখ্যক মানুষি আছে আমাদের যারা ভিনদেশে গিয়ে সাবলীল ভাষায় মানুষকে আল্লাহ্‌ পথে ডাকতে পারে।অথচ ধরণীতল তাকিয়ে আমাদের দিকে।
তাবলীগ জামাতের একটি তত্ত্ব আছে "আমিরের নির্দেশ মান্য করা"।
ফ্রান্সের শার্লি হোবদা,হিন্দুস্থানের মুম্বাই,বাংলার গুলশানে আক্রমণকারী কেউ কি তাবলীগের সাথে জড়িত অথবা তারা মুসলিম হয়ে থাকলে কোন আমিরের নির্দেশে আক্রমণ পরিচালনা করছে।আমরা সবাই অবগত ;ধর্মের মুখোশ পরে যারা এসব হীন সন্ত্রাসী কর্ম করছে তাদের আমির খোদ আইএস অথবা আইএস এর মতো কোন সংগঠন যারা বিধর্মীদের মদদে ইসলামকে ভূপৃষ্ঠ থেকে মুছে দিতে চায়।যেই চেষ্টা করে আসছে তাদেরি পূর্বপুরুষরা ইসলামধর্ম আত্মপ্রকাশের পূর্ব থেকে।
মহান আল্লাহ্‌ পৃথিবীজুড়ে এমন এক মেহনত চালু করেছেন এবং এমন ভাবে এ মেহনত কবুল করেছেন যার সফলতা যার আলো প্রতিটি ঘরকে উদ্ভাসিত করে চলছে।সেই মেহনতের নাম তাবলীগী মেহনত।
ইনশাআল্লাহ্‌ আর বেশিদিন বাকি নেই যেদিন এই মেহনতের উসিলায় ইসলাম আবারো দেখা পাবে সোনালি সূর্য যা গলে পড়বে সবুজের মাঝে।পৃথিবী আবারো দেখবে মক্কা বিজয়ে মহানবী (স)এর উদারতা, শান্তির বাতাস প্রবাহিত হবে প্রতিটি ঘরের জানালায়।চারদিক ধ্বনিত হবে "আল্লাহ্‌ এক মুহাম্মদ (স)আল্লাহ্‌ রাসূল।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

ডি এম মিজানুর রহমান বলেছেন: ভাল লেগে ভাইয়া ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২১

সালমান মালিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

আহলান বলেছেন: আপ্নি ইলিয়াস এর পারে রহ লিখতে পারলেন অথচ খাজা মইনুদ্দীন শাহ জালাল শাহপরাণের নামে পারে রহ লিখতে পারলেন না। এটাও কি আপনার তাব্লীগের শিক্ষা?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২১

সালমান মালিক বলেছেন: দুঃখিত। আসলে তাবলীগ আমাকে ইহা শিক্ষা দেয় নাই ঐটা আমার লেখার মাঝে ভুল তার জন্য আমি আবার দুঃখিত।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাবলীগ এখনো সন্ত্রাসে নেই বটে- যাবেনা তার নিশ্চয়তা নাই। আরে গেলে পরিণতি যে ভয়াবহ হবে তা অননুমেয়!

তবে তাবলীগ ভয়াবহ মূর্খতা গোড়ামী ছড়িয়ে দিচ্ছে ঘরে ঘরে! যা ইসলামের নামে আরেক কলংক হয়েই বাড়বে মনে হচ্ছে!!

প্রত্যক্ষ প্রমাণ আমার শালা!
তাবলিগে নিয়মিত হবার পর ঘরের টিভি বিক্রি করে দিছে। বাচ্চাগুলা আমার ঘরে আসলে পাগলের মতো টিভির সাথৈ লেপ্টে থাকে!
তার বউ এমন গোড়া হইছে- আমার ছেলে ৯ এ পড়ে সম্পর্কে তার ভাগ্নে তার সাতৈও কথা বলে না!!!! সে নাকি গায়রে মাহরাম!!!!!!!!!!!!
জরুরী খবর দিতে টেলিফোন করলেও কথা বলে না!!!!
আপন ভাসুর আসলে খাবার দিতে বা সালাম দিতেও সামনে যায় না!!!!!!!!!!!!!!

ইসলামের নামে এইসব বিষ বীজ কি ইসলামকে এগিয়ে নেবে না তালেবানী কায়দায় পিছিয়ে দেবে ভাবুন।


১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

সালমান মালিক বলেছেন: আপনে যেই ব্যাপারটা বললেন আমি সেইদিকটা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।আমি বলছি তাবলীগ কিন্তু মসজিদ ও ফাজায়েলে আমলের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়।আসলে যারা এসব গোঁড়ামি ছড়াচ্ছে তাদের উদাহরণ আবু তালেব..
সত্যিটা জেনেও পূর্বপুরুষ, আওলাদ দের জন্য সত্যি গ্রহণ করতে পারেনি/পারেনা।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: না ভাই আপনারা মসজিদে থাকুন...রাস্তায় নামার দরকার নাই

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

সালমান মালিক বলেছেন: দুঃখিত ভাই আমি কিন্তু বলেছি মসজিদে পরে থাকা ও ফাজায়েলে আমল পড়ার নাম তাবলীগ নয়।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি কি তাবলিগে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন?

আপনি যেটাকে গোড়ামী বলছেন তারাতো তাকেই আকড়ে আছে!

আমি অন্তত ৩ জন বড় মাপের মুরুব্বীর সাথৈ ঘন্টা পর ঘন্টা বাহাজ করেছি। তারা কোন ভাবেই তথ্য প্রযুক্তির এ সকল মাধ্যমকে মেনে নিতে রাজি না!
খোদ টঙ্গির মাঠে মাইক চালূ হয়েছে মাত্র কয়েক বছর! আগে এটা হারাম হিসাবেই গণ্য হতো!

টিভি রেডিও সিনেমা কি আপনার মতে জায়েজ?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

সালমান মালিক বলেছেন: ভাই আসলে দেখুন মিডিয়া নামক জিনিসটা চৌদ্দশ বছর আগে থেকেই আছে যেমন ধরুন মহানবী (স) ওহী প্রাপ্ত হওয়ার পর পাহাড়ের উপর দারিয়ে সবাই কে ডাক দিলেন এবং প্রাপ্ত নবুওয়ের দাওয়াত দিলেন সেই যুগের মিডিয়া ছিল ঐটা আজ আমরা কি পাহাড়ে উঠে ডাক দিলে কেউ শুনবে এখন অবশ্যই আমাদের সবার সামনে যেতে হলে সবাইকে ধর্মের পথে ডাকতে হলে মিডিয়াতে প্রবেশ জরুরি।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি যা বললেন জবাব হল না্ এটা ভাবনা। অনুভব।
এটা সকলেই ফিল করলেও ধর্শের বরকন্দাজ নামক চিড়িয়াগুলো হয় মূর্খতায় নয় ইহুদী চালে ব্যাকফুটে হাটছে।
ধর্মকে আইসোলেটেড করে ফেলেছে বিয়ে খতনা আর চল্লিশায়!!!!
বর্তমান যাপিত জীবনে নির্দেশনায় তারা কাঁচা ব্যার্থ!!!

আপনার অনুভব নয় আমি তাবলিগের নীতি জানতে চাইছি। আপনি জনলে বলেন। না জানলে বলেন জানিনা।

তাবলিগ মানুষকে বাহ্যিক কিছূ আচরনে ব্যাপক প্রভাবিত করলেও তাদের ভেতরের মূলনীতি গুলো প্রশ্ন সাপেক্ষ!
প্রযুক্তি বিরোধী, যা মুলত মুসলমানদের ব্যাকফুটেই ঠেলে দিচ্ছে!


১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

সালমান মালিক বলেছেন: আসলে এর জবাব তাবলীগ যা বলে একটা ময়লা পানির ড্রেন দিয়ে যদি মিষ্টি ভেসে আসে তবে আপনে কি সেই মিষ্টি খাবেন?
না খাবেন না।ঠিক তেমনি টিভি থেক্র গান,বাদ্য সবসময় চলমান।
তাবলীগ এসব ব্যাপারে চরম বিরোধী মানতে হবে তবে তাদের রীতি অনুসরণ করেই আজ বিশ্বের বুকে ইসলামী নবজাগরণ সৃষ্টি করছে তাকিয়ে দেখুন রাশিয়া,আফ্রিকার দিকে।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে এর জবাব তাবলীগ যা বলে একটা ময়লা পানির ড্রেন দিয়ে যদি মিষ্টি ভেসে আসে তবে আপনে কি সেই মিষ্টি খাবেন?

হা হা হা

আব আয়া উট পাহাড় কে নীচে ;) হা হা হা

বুদ্ধি বৃত্তিক এবং জ্ঞানের দৈনতাই প্রকাশ পায় এ ধরনের বোধ এবং অনুভবে।
ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন টিএন্ডটির তৎকালীন ইঞ্জিনীয়ার এখন আমেরিকায় থাকা তাবলীগের এক বড় ভাই।
উনাকে বলেছিলাম- প্রথম কথা যদি আপনি মিষ্টি ড্রেনে/ সুয়ারেজ পাইপ (উনি কথা বলার পাশে দাড়ানো বিল্ডিংয়ের স্যুয়ারেজ পাইপ দেখীয়েছিলেন) ফেলেন আপনি উন্মাদ!
২য়ত যদি প্রয়োজনে তা করতেই হয়- তবে তার আগে অবশ্যই পাইপ/ ড্রেন ক্লিন করে আউসোলেটেড করে মিষ্টি পরিবহনের উপযোগী করেই ফেলবেন! তখন নিশ্চয়ই খাব।
উনি চুপ হয়ে গেছিলেন।

এখন আপনি বলুন- রাসূল যখন ইসলাম প্রচার করেন নি। তখন সেই জাহেরী আরবে নগ্ন হয়ে ক্বাবা তাোয়াফ হতো, যেই পাহাড়ের উদাহারন আপনি আগে বল্লেন সেই পাহাড়ে দাড়িয়েই কিন্তু জাহেল কাফের রাও আহবান করত... যে কোন জরুরী প্রয়োজনে তারা ঐ পাহাড়ে চড়েই আহবান করতো সত্য হোক বা মিথ্যা , যুদ্ধ হোক বা ঝগড়া..
রাসূল কিন্তু ঐ পাহাড়ে চড়েই সত্যের আহবান করেছিলেন!

আপনাদের ড্রেন যুক্তিতে তাহলে রাসূল ভুল করেছিলেন!!!???

যদি না হয় আপনারা ফালতু যুক্তি বাদ দিয়ে চলমান বিশ্বের সাথে সাধারন বোধ বিবেককে গ্রহণ করুন। জ্ঞান বিজ্ঞানের শীর্ষ পদে মুসলিমরা ছিল ভেবে তৃপ্তি না পেয়ে এখন নোবেল লিস্টে নাম উঠবার মতো কাজ করুন। ঐটাই হবে বেশি শক্তিশালী দাওয়াত!

দাওযাতের নামে গোমরাহ করে, মানুষকে পিছিয়ে ফেলে জ্ঞান প্রযুক্তি আবিস্কারকে অবহেলা করে- না ইসলামের উপকার হবে না রাসুলের সুনাম হবে। না আল্লাহর উপকার হবে।

যদিও আপনার পক্ষে তা সম্ভব নয়। কারণ তাবলিগ একটা কঠিন চক্র! এই চক্রে মিশে গেলে থাকতে পারবেন। যারাই প্রতিবাদ করতে গেছে তারা নাই হয়ে গেছে!
তাই যদি বুঝে এসে থাকে সত্যের নাম করে সত্যের মোড়কে এই জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিমূখ তাবলিগের প্রচারণা না করেও অন্তত মুসলমানদের উপকার করতে পারেন।

ভাল থাকুন ।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৩

রাসেল সরকার বলেছেন: ইসলামের ছদ্মনামে মেওয়াতী তবলীগ চরম গোমরাহী ফেরকা তথা ৭২টি জাহান্নামী দলের একটি । এই সংঘঠনটি ১৯২৬ ইং সালে বর্তমান ভারতের < মেওয়াত নামক শহর হতে কার্যক্রম শুরু করে । তার অনুসারীরা তাকে হজরত জী বলে ডাকে । ইলিয়াছ মেওয়াতী ১৮৮৫ ইং সালে জন্ম গ্রহণ করে এবং ১৯৪১ ইং সালে মৃত্যু বরণ করে ।
বাংলাদেশ সহ প্রায় সারা বিশ্বের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন, তাদের বাহ্যিক লেবাস দেখে তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দ্বীনের প্রকৃত ধারা হতে যেমন সরে যাচ্ছে তেমনিভাবে তাদের আকিদাকে সঠিক মনে করতেছে । কিন্তু সত্য অনেক ভিন্ন । কারনঃ-
* ইসলামের উছুল হলো পাঁচটিঃ কলেমা, নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্ব । কিন্তু ইলিয়াছ শান্তি, মুক্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলামের পঞ্চবেনা ভেঙ্গে মনগড়া ছয় উছুলে রূপান্তর করেছে । যথাঃ- কলেমা, নামাজ, একরামুল মুছলেমীন, এলেম ও জিকির, ইখলাছে নিয়্যাত, দাওয়াত ও তবলীগ ।
* মৌঃ শিব্বির আহম্মদ দেওবন্দী মোকালাতুস সদরইন নামক কিতাবে লিখেছে- মৌঃ ইলিয়াছ মেওয়াতীকে বৃটিশ গভঃ-এর পক্ষ হইতে নিয়মিত ৬০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়া হত । প্রক্ষাত ঐতিহাসিক জনাব মাওলানা গোলাম মেহের আলী সাহেবের দেওবন্দী মাজহাব নামক কিতাবেও এই ভাতা প্রাপ্তির কথা উল্লেখ রয়েছে ।
* ইলিয়াছ মেওয়াতী তার বিশ্বস্ত শিষ্য জহিরুল হাসানকে তার আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছে যে, জহিরুল হাসান আমার গোপন রহস্য কেউ জানেনা, লোকজন মনে করছে এটা নামাজের আন্দোলন, আমি কসম খেয়ে বলছি এটা কোন নামাজের আন্দোলন নয় । একদিন খুবই আক্ষেপ করে বললেন, মিয়া জহিরুল হাসান আমার উদ্দেশ্য হলো নতুন একটি কওম তথা দল সৃষ্টি করা । ( দ্বিনী দাওয়াত উর্দু রেছালার ২৩৪ পৃষ্ঠা )।
*তবলীগ জামায়াতের চিল্লা- আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করার চেয়েও শ্রেষ্ট । ( মালফুজাত- ৬৭, ৬৮, ১২৩ পৃষ্ঠা ) ।
* ১৯৫০ এর দশকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে তবলীগ জামায়াতের প্রসার লাভ করে । ১৯৬৫ সালে ঢাকায় প্রথম এজতেমা শুরু হয় । এর আগে এই এজতেমা অনুষ্ঠিত হত কাকরাইল মসজিদে । পরবর্তীতে টঙ্গীর তুরাগ নদীর পূর্ব তীরে এই এজতেমার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে থাকে ।
<< বোখারী শরিখঃ ২য় খন্ড ১১২৮ পৃষ্ঠা আবু সাঈদ খুদরী থেকে বর্ণিত- প্রিয় নবী এরশাদ ফরমান- পূর্বদেশ থেকে একটি দল বের হবে, এরা কুরআন পড়বে কিন্তু ওদের কুরআন পড়া হলকুমের নীচে যাবেনা ।ওরা দ্বীন ধর্ম থেকে এরূপ ভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার ভেদ করে চলে যায় আর কখনো শিকারের উপর ফিরে আসেনা । জিজ্ঞাসা করা হলো ইয়া রাসুলাল্লাহ ওদের চেনার উপায় কি ? প্রিয়নবী বললেন, ওরা অধিকাংশ লোকই মাথা কামায়ে (চেচে) রাখবে ।
মেশকাত শরীফের ২য় খন্ডে ৪৬২ পৃষ্ঠায় হাশিয়া লুমআতে বর্ণিত আছে ওরা গোল হয়ে বসবে ।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

মো: হাসান আল মামুন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ও লেখক ভাই, আপনাদের কমেন্ট পরে আমি যেটা বুজতে পারলাম সেটা নিয়ে আর কিছু বললাম না। আমি ছোট তাই আমার জ্ঞানও ছোট তাই লেখকের কাছে আমার প্রশ্ন মসজিদ কি ঘুমানোর জায়গা।
আর বিদ্রোহী ভৃগু আমি আমার এলাকায় অনেক চোর, মাধক সেবি, মাদক ব্যাবসায়ি, ভন্ডামি, অত্যাচারিকে দেখেছি এই তাব্লিক জামায়াতে গিয়ে এখন মহান আল্লাহ ও নবী-রাসূল গনের দেখানো পথে ভলছে। তাই এর বিষয়ে যেহেতু নিজের চোখে ভাল ফল দেখতে পেলাম তাই এটা আমার মনে আসলেই এটা সন্ত্রাসী কিংবা জজ্ঞিবাধি হতে পারে না।
আর ভাই লেখক অনুগ্রঅহ করে আমার প্রশ্নের উত্তর দেবেন আশা করি। ধন্যবাদ

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

মো: হাসান আল মামুন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ও লেখক ভাই, আপনাদের কমেন্ট পরে আমি যেটা বুজতে পারলাম সেটা নিয়ে আর কিছু বললাম না। আমি ছোট তাই আমার জ্ঞানও ছোট তাই লেখকের কাছে আমার প্রশ্ন মসজিদ কি ঘুমানোর জায়গা।
আর বিদ্রোহী ভৃগু আমি আমার এলাকায় অনেক চোর, মাধক সেবি, মাদক ব্যাবসায়ি, ভন্ডামি, অত্যাচারিকে দেখেছি এই তাব্লিক জামায়াতে গিয়ে এখন মহান আল্লাহ ও নবী-রাসূল গনের দেখানো পথে ভলছে। তাই এর বিষয়ে যেহেতু নিজের চোখে ভাল ফল দেখতে পেলাম তাই এটা আমার মনে আসলেই এটা সন্ত্রাসী কিংবা জজ্ঞিবাধি হতে পারে না।
আর ভাই লেখক অনুগ্রঅহ করে আমার প্রশ্নের উত্তর দেবেন আশা করি। ধন্যবাদ

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @েমা: হাসান আল মামুন, আপনি যা বুঝলেন তা নিয়ে কিছু বললেন না তাই আমারো কিছু বলার নেই।

যে প্রশ্নটা করেছেন- মসজিদ কি ঘূমানোর জায়? এটা উত্তরে আপনার প্রচুর পড়তে হবে। ইসলামের ইতিহাস।
মসজিদ ছিল সংসদের ভূমিকায় এর শুরুতে। পরে ইয়াজিদ গং যখন ইসলামকে ধর্ম আর নেতৃত্বে ক্ষমতাকে পৃথক করে ফেলল তখন এটা হয়ে গেল েস্রফ উপাসনার স্থান তালাবদ্ধ, জীবনবাস্তবতা বিমূখ।

আর দু চারজন চোর, মাদক সেবীর যে কথা বল্লেন তা বাহ্যত ঠিকাছে । তাদের প্রাথমিক বাহ্যিক আচরন যথেষ্ট আকর্ষনীয় । কিন্তু এখােন আলোচনা উঠেছে মৌলিক গন্তব্য নিয়ে। কর্ম পদ্ধতি বিশ্বাস এবং তার ফলাফল নিয়ে। যা সঠিক নয়।
সাময়িক ভালর পরে ব্যাপক মন্দ কি আপনার চোখে গ্রহণযোগ্য!
যারা একদমই জানেনা তাদের জানার জন্য প্রাথমিক জ্ঞান যথেষ্ট। কিন্তু যখন নীতি নির্ধারন এবং জাতিগত বিষয় জড়িত সেখানে কি সেই জ্ঞান যথেষ্ট?

লেখক তো আমার শেষ কমেন্টের উত্তর একনো দেন নি। দেখী কি বলেন!!!

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

মো: হাসান আল মামুন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই বুঝলাম। ধন্যবাদ

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: ভৃগু ভাই.. আমি একচিল্লা দেওয়া প্রার্থী!

যতটুকু বুঝি ,তাবলীগ ইসলামের পথে আসার জন্য একটা প্রাথমিক পর্যায় ।এখানে সবকিছু ১৪০০ বছর আগের মত করে ভাবা হয় ।সময়ের সাথে একদম আপডেটেড না ।আর আমিও ঠিক এর সাথে আপডেটেড না ।কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে আমি যতটুকুন দেখেছি... গোড়ামির সাথে তাবলীগ প্রত্যক্ষ সংযোগ নেই ।কিন্তু এটা দূর করতেও এর কোন ভূমিকা নেই ।

তাবলীগের মূলনীতি- দৈনিক ৫ কাজ । এখন এই ৫ টা কাজ আমি সময়ের সাথে আপডেটেড হয়ে করবো নাকি ১৪০০ বছরের রূপকথা দিয়ে এটা আমার বিষয়' ।এখন তাবলীগের মোড়কে থেকে আপডেটেড হতে চাইলে এর-মুরুব্বীরা হয়ত বাধা দিবে বা হ্যানো-ত্যানো অনেক কিছুই বলতে পারে ।এটা তাদের ব্যক্তিগত গোড়ামি যেটা এরা সাংগঠনিক ছায়ায় থেকে বয়ে বেরাচ্ছে ।

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: সত্যর ভিতর মিথ্যা আর মিথ্যার ভিতর সত্য এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা বাছাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সময় যত যাচ্ছে তত পরিবেশ কঠিনভাবে অবস্থান নিচ্ছে।

১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩৬

রাসেল সরকার বলেছেন: ইলিয়াসী তবলীগের গর্হিত কর্মকান্ড-

সুষ্ঠভাবে তবলীগ নীতি পরিচালনার জন্য মৌলবী ইলিয়াস মেওয়াতী একটি আইন পুস্তক রচনা করেন । যার নাম মালফুজাতে ইলিয়াস । সেই পুস্তকটিকে তিনি ২১৪টি উপদেশ বাণী দ্বারা সম্পাদন করেছেন । নিম্নে আমরা তার সেই পুস্তকের উপদেশ বাণী সমূহ হতে মাত্র ১টির সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি- (১) মৌলবী ইলিয়াস বলেনঃ তবলীগ জামায়াত ভক্ত ছাড়া অন্যান্য সকলেই অমুসলিম । যেমন- ইলিয়াস মেওয়াতী তার দলীয় লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছন—খাঁটি মুসলমান ঐ ব্যক্তি, যে ব্যক্তি তবলীগ জামায়াত ভক্ত হয় এবং খাঁটি মুসলমান ঐ ব্যক্তি, যে তবলীগ জামায়াতীদের সহায্য সহযোগীতা করে । এ দু’ প্রকারের মানুষই মুসলমানে গণ্য, অবশিষ্ঠ মানুষ যারা তবলীগ জামায়াত সমর্থন করবে না তারা (ইলিয়াসী আইন মোতাবেক) অমুসলিম কাফের । এখানে মৌলবী ইলিয়াস মেওয়াতী ইসলাম ধর্মের অবিশ্বাসীদের কাফের বলেননি, তিনি তাবলীগ জামায়াত অবিশ্বাসীদেরকে কাফের বলে সাব্যস্ত করেছেন । ইলিয়াস মেওয়াতীর এ কুফুরী আইনের অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন প্রথমে তার মৃত পিতা ইসমাইল মেওয়াতী । কারণ পিতা ইসমাঈল, পুত্র ইলিয়াস কর্তৃক তবলীগ জামায়াতের আবির্ভাবের পূর্বে মৃত্যু বরণ করেন । সেহেতু পিতা কুফুরী অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন । ইলিয়াসী তবলীগের সুযোগ লাভ করতে পারেননি ।

১৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০১

বিজন রয় বলেছেন: কোন কিছুকে সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে পারলে শান্তি আসে অন্যথায় নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.