নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বোবা কাব্য।কৃষ্ণপক্ষের অতৃপ্ত কায়া।কলঙ্কতিলক আঁকা বিতর্কিত।

সালমান মালিক

জীবনের বড্ড চাহিদা, সকাল দুপুর অথবা ক্লান্ত বিকেল সেই চাহিদার অন্বেষণে।নিস্তব্ধতাটা নিজস্ব।গভীর রাত, ঘুমন্ত শহরের এক অকৃত্রিম চাদের কোয়েক ফোটা জোছনা আর নিশাহত আমি হেটে বেড়াতে থাকি রহস্যময়তার বাসস্টপ থেকে বাসস্টপে।সে উদাসীনতায় কেটে গেছে বহু সন্ধিকাল। জীবন্ত এই দেহে মৃত্যুর আনাগোনা, রক্তিম হৃদয়ে অন্ধকার। বিস্রস্ত রোমকূপে শুষে নেই ভালবাসার উষ্ণতা।রক্তের আবেগে পাই ভালবাসার আস্বাদ।দর্শকহীন রূপসীর মতো মধ্যরাতে উজ্জ্বল আলোকে রূপকথার মৃতনগরীর মতো সার সার বাড়ির মিছিল,গলি,ম্যানশন,কালভার্ট ছেড়ে গেছি।উঁচু উঁচু দালানের অস্থিময় বিশালতা হাড়ের ভিতর শুষে নিয়েছি।বিজ্ঞাপনের নগ্ন নায়িকার উচ্ছল যৌবন নিংড়ে হেটে গেছি মাইল মাইল।এগিয়ে যাচ্ছি অনিদির্ষ্ট কালের অপেক্ষায়। যার নাম মৃত্যু, পুনরুত্থান,The Hour of Judgment...

সালমান মালিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সমাধিতে সে...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৬

আমার সমাধিসৌধে সে দাঁড়িয়ে
অঝরে কেঁদে চলছে
গাল বেয়ে গড়িয়ে পরছে অশ্রু,বিজন ঘাসে।
তার দুটি চোখ অসহায়,ক্লান্ত
নিশ্বাস গুলো দীর্ঘ
তার দুটি হাত রিক্ত
তীব্র ব্যাকুলতায় ছুঁতে চায় আমায়
সমাধি শৃঙ্গের মাটি বাঁধা দিয়ে যায়।

চারদিকে নীরব আঁধার
আকাশ ভরা বরফের কুচি
অদূরে ল্যামপোস্টের আলো
ঝিঁঝিঁ পোকার দল ডেকে ডেকে যায়
জোনাকিরা আলো জ্বেলে উড়ে বেরায়
সামনেই কুয়াশার দেয়াল
পৌষের শীতল বাতাস ছুটে
দুলে উঠে বনঝাউ
কেপে উঠে হাড়
খটখট করে দাত
কি অসহায় তার চাহুনি।

কবর প্রহরী তাকে ফিরে যেতে তাড়া দেয়
সে ঘুরে দাঁড়ায় আবারো পিছ ফিরে তাকায়
ঠিক এভাবেই তাকাত গত শ্রাবণের শেষে
নিরাক পরা দুপুরে কলেজ ফিরতি পথে।
হঠাৎ হু হু করে কেঁদে উঠে সে
দৌড়ে বেরিয়ে যায়
সমাধিভূমি খা খা করে...

আমি বড়ই বিশ্বাসঘাতক
ভালবেসেছিলাম সারা জীবন পাশে থাকার প্রতিজ্ঞায়
কিন্তু আমার নিঃশ্বাস আমার জীবনের হেয়ালি
আমি অবিশ্বাসী
কোনো কোমল হৃদয়ের বিশ্বাসচূর্ণকারী।

আমি নীরব,নিথর
আমার আর্তনাদ গগণ বিদারক
আমার অস্তিত্বে দেহের হাড়
যাতে রক্ত-মাংসের বালাই নেই
ক্ষুদা তৃষ্ণার চাহিদা নেই
নেই কোনো জরুরত।

আমি ঠিক এমনই আছি
বছর পেরিয়ে
যা মাটির বুকে গর্ব করে হেটেছি
সে মাটিই আমায় ক্ষয়ে করেছে
এ হয়ত খোদার নিষ্ঠুর বিচার।

আমি মাটি চাপা পরে আছি
কিন্তু দেখছি এ জগতের সব
তোমাদের হাসিকান্না
তোমাদের বহু অজানা
অন্ধকারে রহস্যের তলানি
হয়ত বেঁচে থাকা সময়ের অপূর্ণতা
মরণের ডাকে পূর্ণতা পেয়েছে।

আমি দেখি সে প্রিয়তমেষুকে
যে আমার জন্য প্রতি রজনীতে কাঁদে
গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে গেলে
হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে আমায়
ঠিকে তার পাশে
যেথায় আমি শুয়েছি ভালবাসার ফুলশয্যায়।
কিন্তু আমি নেই
হারিয়েছি চিরজীবনের তরে
মনে পরে,কেঁদে উঠে সে ডুকরে ডুকরে
কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যায়
মৃত্যুর অপেক্ষায়
আরেকটি নতুন সকালে
ঘুম ভেঙ্গে ডাকতে চায় আমায়
আমি নেই বুক ভরা শ্বাস নেয়
ব্যেস্ত হয়ে যায় জীবনের ছায়ায়
শেষবিকেলে চিলেকোঠায় বসে
আপনমনে কথা বলে আমার সাথে
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে অশ্রুজলে।

এভাবেই কেটে যায় দিন রাত
ঐ তামাটে নীলাভ আকাশে
সূর্য হাসে,মেঘ ভাসে
চাঁদ উঠে,তারকা ঝরে পরে
এভাবেই শত সহস্র বছর
একই নিয়মে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: লেখা সুন্দর হয়েছে +

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৮

সালমান মালিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
কাচা হাতের লেখা তবুও আপনাদের উৎসাহ আমার এগিয়ে যাওয়ার খোঁড়াক।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৮

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: খুব ভাল লাগল। বেদনায় ভরে গেল মন।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




এসব ঝামেলা চুকাতে হলে, মরার আগে ঋণের টাকা শোধ করে যেতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.