নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বোবা কাব্য।কৃষ্ণপক্ষের অতৃপ্ত কায়া।কলঙ্কতিলক আঁকা বিতর্কিত।

সালমান মালিক

জীবনের বড্ড চাহিদা, সকাল দুপুর অথবা ক্লান্ত বিকেল সেই চাহিদার অন্বেষণে।নিস্তব্ধতাটা নিজস্ব।গভীর রাত, ঘুমন্ত শহরের এক অকৃত্রিম চাদের কোয়েক ফোটা জোছনা আর নিশাহত আমি হেটে বেড়াতে থাকি রহস্যময়তার বাসস্টপ থেকে বাসস্টপে।সে উদাসীনতায় কেটে গেছে বহু সন্ধিকাল। জীবন্ত এই দেহে মৃত্যুর আনাগোনা, রক্তিম হৃদয়ে অন্ধকার। বিস্রস্ত রোমকূপে শুষে নেই ভালবাসার উষ্ণতা।রক্তের আবেগে পাই ভালবাসার আস্বাদ।দর্শকহীন রূপসীর মতো মধ্যরাতে উজ্জ্বল আলোকে রূপকথার মৃতনগরীর মতো সার সার বাড়ির মিছিল,গলি,ম্যানশন,কালভার্ট ছেড়ে গেছি।উঁচু উঁচু দালানের অস্থিময় বিশালতা হাড়ের ভিতর শুষে নিয়েছি।বিজ্ঞাপনের নগ্ন নায়িকার উচ্ছল যৌবন নিংড়ে হেটে গেছি মাইল মাইল।এগিয়ে যাচ্ছি অনিদির্ষ্ট কালের অপেক্ষায়। যার নাম মৃত্যু, পুনরুত্থান,The Hour of Judgment...

সালমান মালিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

Mysteries of Quran

২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬


আল কোরআনের যেসব নিয়ম শৃংঙ্খলা মানা হয়েছে, গণিতের যে দুর্বোধ্য সমীকরণ তাতে সৃষ্টি করা হয়েছে তেমনি ভাবে সমশব্দ ও সমসংখ্যক অক্ষরে অনুরূপ বৈশিষ্ট্য গ্রন্থ রচনায় একজন মানুষের সময় লাগবে ৬.৩৬-১০ বছর, তাও তাকে সবসময় সমভাবে সমপরিমাণ কাজ করে যেতে হবে। কত বিশাল এই সেপটিলিয়ন সংখ্যাটি যা মানুষের চিন্তা ও কল্পনার বহু উর্ধ্বে।
৬২৬ লেখার পর ২৪টি শূণ্য বসালেই উক্ত সংখ্যাটি পাওয়া যাবে। আমরা জানি পৃথিবীর বয়স ৪৫০ কোটি বছর অর্থাৎ ৪৫ এর পর শূণ্য বসাতে হবে ৮টি। পৃথিবীর বয়সের সাথে সেপটিলিয়ন সংখ্যাটি কল্পনা করলেই বুঝা যাবে কোরআনের পরিধি কতো অফুরান। বর্তমান পৃথিবীর জনসংখ্যা ৬০০ কোটির উপরে। এই মানুষগুলো যদি পৃথিবীর জন্ম লগ্ন থেকে অবিরামভাবে এরকম একটী গ্রন্থ রচনায় নিয়োজিত হতো কম্পিউটারের হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হতো মাত্র একশ কোটি ভাগের ৩৫ভাগ (০,০০০০০০০৩৫) এখানে আবার প্রতিটি মানুষকে ৪৫০ কোটি বছরের আয়ু নিয়ে নাওয়া-খাওয়া ঘুম সহ সকল কিছু বাদ দিয়ে শুধু একাজে একটানা নিয়োজিত থাকতে হবে।
পবিত্র কোরআনে ১৯ সংখ্যাটির অত্যাশ্চর্য প্রয়োগ আছে। পবিত্র কোরআনের সূরা মুদ্দাচ্ছিদের ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “আলাইহা তিসআ’তা আশারা” যার অর্থ ইহার উপর (১৯), অথবা মাহাত্ম উনিশ (১৯)। হেরা পর্বতের গুহায় সর্বপ্রথম হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে পবিত্র কোরআনের সূরা আলাকের প্রথম ৫টি আয়াত রাসূল (সাঃ) এর উপর অবতীর্ণ হয়। এরপর চতুর্থবার সাক্ষাতে সূরা মুদ্দাচ্ছিদের প্রথম ৩০টি আয়াত অবতীর্ণ হয়। এ ৩০টি আয়াতের সর্বশেষ আয়াতটিতেই ১৯ সংখ্যার রহস্যের কথা বলা হয়েছে। জিব্রাঈল (আঃ) যখন পঞ্চম বার ওহী নিয়ে আসেন তা ছিল সূরা আলাকের বাকী ১৪ আয়াত। পূর্বের ৫টি আয়াত মিলিয়ে সূরা আলাকের আয়াত সংখ্যা হলো ১৯টি। এটা কোরআনুল কারীমের ৯৬নং সূরা। পবিত্র কোরআনের মোট সূরা ১১৪ । অতএব পিছন থেকে সূরা আলাকের অবস্থান ৯৬ তম হয়। আর এখান থেকেই ১৯ এর প্রয়োগ শুরু। যদিও এর আগে আংশিকভাবে সূরা আলাকের ৫ আয়াত এবং সূরা মুদ্দাচ্ছিরের ৩০ আয়াতের পর আবার সূরা আলাকের ১৪ আয়াত সহ কিছু আয়াত বিক্ষিপ্ত ভাবে নাযিল হয়েছে কিন্তু কোরআনে সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা হিসেবে সূরা ফাতিহা নাযিল হয়েছে। তার পূর্বে নাযিল হয় “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” আয়াতখানা।
আর “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” এর অক্ষর ১৯ এতে ব্যবহৃত হয়েছে চারটি শব্দ যেমনঃ-
১.ইসম ২. আল্লাহ ৩. রাহমান ৪. রাহিম। আর শব্দগুলো কোরআনে যতবার এসেছে তা ১৯ দ্বারা নিঃশেষ বিভাজ্য। যেমনঃ-
১ । ইসম শব্দটি এসেছে ১৯ বার (১৯÷১৯)=১
২। আল্লাহ শব্দটি এসেছে ২৬৯৮ বার (২৬৯৮÷১৯)=১৪২
৩। রাহমান শব্দটি এসেছে ৫৭ বার (৫৭÷১৯)=৩
৪। রাহীম শব্দটি এসেছে ১১৪ বার (১১৪÷১৯)=৬
পবিত্র কোরআনের প্রত্যেকটি সূরার আরম্ভে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” উল্লেখ থাকলেও সূরা তওবার শুরুতে এই আয়াত উল্লেখ নেই। কিন্তু সূরা নমলে আবার ২ বার উল্লেখ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এই আয়াতটি ১১৪ বার উল্লেখ আছে। যা (১১৪÷১৯)=৬ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য। অনুরূপভাবে পবিত্র কোরআনের ১৯ সংখ্যাটির প্রয়োগ নিয়ে বিস্ময়কর আরো কিছু তথ্য প্রদত্ত হলো-
পবিত্র কোরআনের অনেকগুলো সূরার প্রারম্ভে কতগুলো বিচ্ছিন্ন বর্ণ উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোকে কুরআনের ভাষায় হরফে মুকাত্বয়াত বলে। দেখা যায় আরবী বর্ণের ১৪টি বর্ণ ১৪টি বিন্যাসে মোট ২৯টি সূরায় এ মুকাত্বয়াত গুলো এসেছে। যার সমষ্টি দাড়ায় ১৪+১৪+২৯=৫৭ (৫৭÷১৯=৩) অতএব ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
আলিফ-লাম-মীম এই মুকাত্বয়াত হরফ গুলি ৬টি সূরায় এসেছে। সূরাগুলি ১. সূরা আল-বাকারা ২. সূরা আল ইমরান ৩. সূরা আল আনকাবুত ৪. সূরা লুকমান ৫. সূরা আস সাজদাহ। উপরোক্ত সূরা গুলোতে আলিফ, লাম, মীম এ তিনটি অক্ষর পুনরাবৃত্তিত হয়েছে মোট ১৯৮৭৪ বার যা (১৯৮৭৪÷১৯=১০৪৬) দ্বারা বিভাজ্য। আবার আলাদা ভাবে এ ৬টি সূরা মুকাত্বয়াত অক্ষর গুলোর পুনরাবৃত্তি করলে দেখা যাবে তা-ও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। যেমনঃ-
১। আল বাকারা (আলিফ, ৪৫০২ + লাম, ৩২০২ + মীম, ২১৯৫ )=(৯৮৯৯ ÷ ১৯)=৫২১
২। আলে ইমরান (আলিফ, ২৫২১ + লাম, ১৮৯২ + মীম, ১২৪৯ )=(৫৬৬২ ÷ ১৯)=২৯৮
৩। আল আনকাবুত (আলিফ, ৭৭৪ + লাম, ৫৫৪ + মীম, ৩৪৪ )=(১৬৭২ ÷ ১৯)=৮৮
৪। আর রূম (আলিফ, ৫৪৪ + লাম, ৩৯৩ + মীম, ৩১৭ )=(১২৫৪ ÷ ১৯)=৬৬
৫। লোকমান (আলিফ, ৩৪৭ + লাম, ২৯৭ + মীম, ১৭৩ )=(৮১৭ ÷ ১৯)=৪৩
৬। সাজদাহ (আলিফ, ২৫৭ + লাম, ১৫৫ + মীম, ১৫৮ )=(৫৭০ ÷ ১৯)=৩০
পবিত্র কোরআনের সপ্তম সূরা “সূরা আরাফের” মুকাত্বয়াত হলো আলিফ-লাম মীম সোয়াদ। এখানে (আলিফ= ২৫২৯ বার)+(লাম= ১৫৩০ বার)+(মীম= ১১৬৪বার)+(সোয়াদ=৯৭বার)=৫৩২০÷১৯=২৮০ যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য।
১৯ তম সূরা “সূরা মারইয়াম” এর মুকাত্বয়াত কাফ-হা-ইয়া-আইন-সোয়াদ।
৩৮ তম সূরা “সূরা সোয়াদ” এর উক্ত হরফে শুধু “সোয়াদ” এসেছে মোট ২৬+২৯+৯৭=১৫২ বার (১৫২÷১৯)=৮ যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য।
এখানে লক্ষ্য করার মত আরেকটি বিষয় রয়েছে আর তাহলো “সূরা আরাফের” ৬৯নং আয়াতে “বাসততান” শব্দটি আরবী ব্যাকরণ অনুযায়ী “সোয়াদের” স্থলে “সীন” ব্যবহার হওয়ার কথা। দেখা যায় এটা ব্যাকরণের রীতি বিরুদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও রাসূল (সাঃ) কাতেবে ওহীগণকে ‘সীন’ এর স্থলে ‘সোয়াদ’ দিয়ে ‘বাসতান’ শব্দটি লিখতে বলেন তারা রাসূল (সাঃ) কে অবহিত করলেন যে, এটা ব্যাকরণের নিয়ম বহির্ভূত। জবাবে রাসূল (সাঃ) বললেন এখানে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ নির্দেশ রয়েছে যা আমি জিব্রাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাই সাহাবীগণ নীতির বিরুদ্ধে হওয়া সত্ত্বেও ‘সোয়াদ’ দিয়ে লিখতে ও পড়তে শুরু করলেন। এর গূঢ় রহস্য হলো যদি ‘সোয়াদের” পরিবর্তে সীন ব্যবহৃত হতো তাহলে এতক্ষণ ‘সোয়াদ’ দিয়ে যে হিসাব কষা হয়েছে তার বিঘ্ন ঘটত। তাতে ১৯ এর ফর্মূলা ঠিক থাকত না, অতএব ব্যাকরণের নিয়ম বহির্ভূত হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ তায়ালা ১৯ এর ফর্মূলা অটুট রেখেছেন।
পবিত্র কোরআনে ৪২ তম সূরা শুরায় “ হা-মীম-আইন-সীন-ক্কাফ” হরফ গুলো আবার ৫০ তম সূরা ক্কাফে শুধুমাত্র “ক্কাফ” উভয় সূরায় “ক্কাফ” অক্ষরটি এসেছে মোট ৫৭+৫৭=১১৪ বার। পবিত্র কোরআনে সূরা রয়েছে ১১৪টি। অর্থ্যাৎ প্রতিটি সূরার জন্য একবার ক্কাফ এসেছে। আর ক্কাফ হরফটি কোরআনের শব্দ সংক্ষেপে ( Aderviation ) হিসেবে ধারণা করা হয়।
এখানে যে বিষয়টি দৃষ্টিগ্রাহ্য তা হলো পবিত্র কোরআনে লুত সম্প্রদায়ের কথা এসেছে মোট ১২ জায়গায়। এই ১২ জায়গার ১১ জায়গায় তাদের সম্বোধন করা হয়েছে “ক্কাওমে লুত” বলে। অথচ কেবলমাত্র সূরা ক্কাফ এর ১৩ নং আয়াতে “ইখওয়ানে লুত” বলা হয়েছে। এখানেও যদি ক্কাওমে লুত বলা হতো তাহলে ক্কাফ হরফের সংখ্যা ৫৭ না হয়ে ৫৮ হতো, ১৯ এর ফর্মূলা নষ্ট হয়ে যেত।
৩৬ তম সূরা “সূরা ইয়াসীন” দুটি মুকাত্বয়াত হরফ হলো ইয়া-সীন এ সূরায় দুটি অক্ষর রসেছে ২৮৫ বার যা (২৮৫১৯=৭) দ্বারা নিঃশেষ বিভাজ্য।
এমনিভাবে পবিত্র কোরআনের যে সকল সূরায় এ হরফগুলি এসেছে তার সবগুলোতেই ১৯ এর রহস্য জাল বিদ্যমান আছে।
এখন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে, পবিত্র কোরআনুল কারীমে মধ্যে এ ১৯ সংখ্যাটি বিশেষভাবে বেছে নেয়া হলো কেন? এ প্রশ্নের উত্তর স্বাভাবিক। সমস্ত সংখ্যার মধ্যে ১৯ এমন একটি সংখ্যা, যার প্রথমে ১ এবং শেষে ৯ রয়েছে। আর সংখ্যাতাদ্ধিক দৃষ্টিকোণ থেকে ১ হলো এমন একটী সংখ্যা যা অতুলনীয়। কেননা এই ১ হলো অসীমত্ব, বিরাটত্ব ও এককত্ব নির্দেশক সংখ্যা। আর ৯হলো একটি অনন্য বৈশিষ্টমণ্ডিত সংখ্যা।
সুতরাং ১৯ হলো গণিতের আলফা হতে ওমেগা। তাই কোরআনের নিরাপত্তা ও স্বতন্ত্র বজায় রাখতে ১৯ সংখাটি নির্বাচন করা হয়েছে।
“ একটি বিশাল গ্রন্থে এ রকম একটি হিসাব পরিকল্পনাহীন ভাবে একবার ঘটে যেতে পারে তবে দ্বিতীয় বার নয়। তৃতীয় ক্ষেত্রে অসম্ভব এবং চতুর্থ ক্ষেত্রে প্রশ্নাতীত।
পবিত্র কোরআনে চমৎকার কিছু শাব্দিক মিল রয়েছে যা সত্যিই হতবাক করার মতো ব্যাপার। যেমনঃ-
১। পুরুষ শব্দটি (আরবীতে রিজাল) এসেছে ২৪ বার তার বিপরীতে স্ত্রী শব্দটি (আরবীতে ইমরাআ) এসেছে তাও ২৪ বার।
২। আমাদের দুনিয়ার জীবন ব্যবস্থার সাথে আখিরাতের জীবন ব্যবস্থা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে বলেই “দুনিয়া” শোব্দটী ব্যবহৃত হয়েছে ১১৫ বার এবং “আখিরাত” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ১১৫ বার।
৩। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে জীবনের সাথে মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। তাই “আল হায়াত” (জীবন) শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে ১৪৫ বার এবং “আল মাউত” (মৃত্যু) শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে ১৪৫ বার।
৪। “আল মালাখ” (ফেরেশতা) শব্দ বলা হয়েছে ৮৮ বার এবং “শায়াতিন” (শয়তান) শব্দও বলা হয়েছে ৮৮ বার।
৫। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে পৃথিবীতে এমন কোন জাতি নেই, যে জাতির কাছে আমি রাসূল পাঠাইনি। সে সূত্রে “উম্মাহ” (জাতি) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ৫০ বার, আর “রাসূল” শব্দটিও ব্যবহৃত হয়েছে ৫০বার।
৬। ইবলিস শব্দটি পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে ১১ বার এবং ইবলিস থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলা হয়েছে ১১ বার।
৭। “মুসিবাত” (বিপদ) শব্দটি পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে ৭৫ বার। আর মুসিবাত থেকে আল্লাহর রহমতে উদ্ধারের পর শুকরিয়া আদায় করার শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে ৭৫ বার।
৮। People who are mislead অর্থাৎ পবিত্র কোরআনে বিপদ্গামী জাতির কথা বলা হয়েছে ১৭ বার। আর মহান আল্লাহর কাছে বিপদ্গামী জাতিরাই হচ্ছে মৃত বা ধ্বংসপ্রাপ্ত সেহেতু মৃত জাতির কথা বলা হয়েছে ১৭ বার।
৯। যাকাত শব্দটির অর্থ পবিত্রকরণ। সম্পদের যাকাত প্রদান করলে মহান আল্লাহ ধনসম্পদে বরকত দান করেন। তাই পবিত্র কোরআনে “যাকাত” শব্দটি উল্লেখ করেছেন ৩২ বার সাথে “বরকত” শব্দটি উল্লেখ করেছেন ৩২ বার।
১০। বার মাসে একবছর। তাই পবিত্র কোরআনে “আল শাহর” বা মাস শব্দটি বলা হয়েছে ১২বার।
১১। ৩৬৫ দিনে এক বছর তাই পবিত্র কোরআনে ‘ইয়াওমা’ বা দিন শব্দটি বলা হয়েছে ৩৬৫ বার।
আরো আশ্চর্যজনক বিষয় হলো আমাদের এই পৃথিবীতে পানি ও মাটির অবস্থান। আমরা সাধারণ ভাবে জানি, পৃথিবীর তিন ভাগ জল একভাগ স্থল। কিন্তু সূক্ষ হিসাব জেউ জানে কি? পবিত্র কোরআনে আল বাহার শোব্দটী এসেছে ৩২ বার। তার বিপরীত শব্দ আল বার বা স্থল শব্দটি এসেছে ১৩ বার। অর্থাৎ এই (জল+স্থল) বা (পানি+মাটি) তথা (৩২+১৩) মিলিয়ে আমাদের এই পূর্ণ পৃথিবী। অর্থাৎ ১০০% পৃথিবী। ৩২+১৩=১০০% পৃথিবী।
পানির পরিমাণ হলো (৩২৪৫÷১০০%=৭১,১১১১,১১১১)। অর্থাৎ পৃথিবীতে পানির পরিমাণ হল ৭১,১১১১,১১১১ ভাগ।
মাটির পরিমাণ (১৩৪৫÷১০০%=২৮,৮৮৮৮,৮৮৮৮)। অর্থাৎ পৃথিবীতে মাটির পরিমাণ হলো ২৮,৮৮৮৮,৮৮৮৮।

১৯৭৩ সালে লেবানন অধিবাসী ডঃ রশিদ খলিফা মিসরীর গবেষণা থেকে।


ছবিঃসালমান মালিক (লেখক)


মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

কানিজ রিনা বলেছেন: যদিও আরবী হরফের কোরআনের ব্যকরন
কিছুই বুঝিনা তবুও কিছুটা বুঝার চেষ্টা করেছি
যেমন পুরুষ নারী ২৪ বার করে অন্যান্য একই
সংখ্যায় এসেছে ভিষন ভাল লাগা রেখে গেলাম
সুবহান আল্লাহ্। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২২ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

সালমান মালিক বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম, তারপরও পড়ে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার সুযোগ করার জন্য

২২ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

সালমান মালিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৬

নতুন বলেছেন: এই রাসেদ খলিফা কিন্তু কোরানের ২টা আয়াত ভুল ভাবে যোগ করা হয়েছে বলে দাবি করে.... না হলে তার ১৯ এর গনিতে এই দুইটা আয়াত ভুল বলে তিনি বলেন...

আপনি কি বলেন??? তার থিউরি ১৯ এর জাদু ঠিক?

http://quransmessage.com/articles/
CODE 19 AND THE REMOVAL OF TWO VERSES FROM THE QURAN - A PROBLEMATIC THEORY

২২ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

সালমান মালিক বলেছেন: ভাই রাসেদ খলিফার উক্ত দাবীটি সঠিক।
কুরআনের এমন অনেক কিছু আছে এমন আয়াত আছে যা অবতীর্ণ হওয়ার পর রহিত হয়ে গিয়েছে ।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই রাসেদ খলিফার উক্ত দাবীটি সঠিক।
কুরআনের এমন অনেক কিছু আছে এমন আয়াত আছে যা অবতীর্ণ হওয়ার পর রহিত হয়ে গিয়েছে ।


তাহলে এই দুই আয়াত কোরানে ভুল ভাবে আছে? এই দুইটা বাদ দেওয়া দরকার?

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

নতুন বলেছেন:

http://www.quranaloneislam.net/rashad-khalifa-exposed

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

কাউয়ার জাত বলেছেন: এই লেখক কি আদৌ রাশেদ খলীফা সম্পর্কে জানে?
সে তো মুসলিমই না। নিজেকে ওহি প্রাপ্ত মনে করত। মুসলিমরাই তাকে মেরে ফেলেছে।
কেন কুরআনকে গণিত দিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে?

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৩

মুহামম্াদ হুসাইন বিল্‌লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটি দেওয়ার জন্য।

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫৮

ডিজাইনার রেজাউল বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট। অনেক ধন্যবাদ এই তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটির জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.