নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালমা রুহী

সালমা রুহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষার গর্ব দাদুভাই

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৮


সোবহান সাহেব একজন 'ভাষা-সৈনিক'। বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়েছেন, লাঠিটাই এখন একমাত্র ভরসা....
ইদানিং চোখে ঝাপসা দেখছেন, পা গুলোতে শক্তি কমে আসছে।
কয়েকদিন আগেও পাশের মসজিদে আযান দিতেন, নামায পড়তে যেতেন এখন আর পারেন না।
শখের বাগানটাতে ও এখন সময় দিতে পারেন না। আগেতো প্রায়ই গাছের শুকনা পাতা ছেঁটে দিতেন, নিড়ানি দিয়ে মাটি নিড়িয়ে দিতেন।
এখন চায়ের কাপ উঠাতেই হাত কাপে..!
তবুও বাগানটায় দিন দু'বার লাঠিতে ভর দিয়ে চক্কর দেয়া যেন তার প্রাত্যহিক রুটিনেরই অংশ। কারণ, গাছ গুলির জন্য সোবহান সাহেবের পরিবারের সদস্যের মত মায়া লাগে। কত যত্ন করে গাছগুলো লাগিয়েছেন। কত শত গাছ সব গাছের নামও এখন আর মনে নাই.....
হালিমা বেঁচে থাকতে তাকে নিয়ে শখের বাগানটাতে ঘুরে ঘুরে কত গল্প করতেন।
হালিমা যখন ছিল সময় খুব দ্রুত কেটে যেতো, এখন সময় কাটতেই চায় না।
তাছাড়া সোবহান সাহেবের অন্যতম শখ গুলোর মধ্যে পত্রিকা পড়া একটি, সারাদিনে পত্রিকা বই এসব পড়ে পড়েই তার বেজায় সময় কাটাতো কিন্তু এখন তাও কেমন জানি ঝাপসা লাগে.......
শরীর টা দিন দিন দূর্বল হয়ে যাচ্ছে।
একসময় এই শরীরেই কত বল ছিলো যে ভাষার জন্য, এই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন।।
আর আজ ভাবতেই, "বুক চিরে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো...।"
সারাজীবন সৎপথে চলেছেন, সরকারি চাকুরী করেছেন কিন্তু এক পয়সা ঘুষ খাননি।।
মানুষ বলে সরকারি চাকুরী মানেই ঘুষ খাওয়া। ধিক্কার তাদের, যারা এসব কথা বলে....!!
বাড়িটার চারদিক নারকেল গাছ আর সুপারি গাছে ঘেরা, যেন এরা গুপ্ত দূর্গের প্রাচীর।।
ছেলে বলছে, "বাড়িটা পুরানো হয়ে গেছে ভেঙ্গে নতুন করে করবে।"
তিনি না করে দিয়েছেন, "আমি বেঁচে থাকা অব্দি কেউ এই বাড়িতে হাত লাগাতে পারবে না।"
হালিমাকে এই বাড়িতে বউ করে এনেছিলেন, এই বাড়ি থেকেই কবরে শুইয়ে এসেছেন...।
নিজেও একদিন এই বাড়ী থেকে হালিমার কাছে যাবেন।
"এই বাড়িতে তার কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে...। তা কি করে মুছে দিবেন!!!!"

"দাদুভাই কি ভাবছো??" ভাষার ডাকে সম্বিৎ ফিরে পেলেন।
২১শে ফেব্রুয়ারির দিনে ভাষার জন্ম হয়েছিল,তাই সোবহান সাহেব খুশি হয়ে তার নাতির নাম রাখলেন 'ভাষা'।
ভাষা, এবার এইচএসি এক্সাম দিবে। ভালো ছাত্র, বই পড়া, ছবি আঁকা, ম্যজিক দেখানো, অজানাকে জানা তার আজন্ম শখ......।
দাদুভাইয়ের সাথে তার খুব বন্ধুত্ব, সময় পেলেই দাদার কাছে 'ভাষা আন্দোলন'র গল্প শুনে।।
দাদু ভাই কে নিয়ে বন্ধুদের সাথে গল্প করে, দাদু ভাইকে নিয়ে গর্ব করে।
ভাষার মুখে দাদুভাই এর কথা শুনে শুনে, ভাষার বন্ধুরাও দাদুর মুখে "ভাষা আন্দোলনের" গল্প শুনতে চায়।
ভাষা দাদু ভাইকে বলে, "দাদু ভাই আমার বন্ধুরা তোমার কাছে "ভাষা আন্দোলন"এর গল্প শুনতে চায়।"
দাদু ভাই বললেন," বাহ! এতো ভাল কথা, তাদের নিয়ে এসো।
ভাষা বলে, "দাদুভাই, তোমার কষ্ট হবে নাতো??"
নারে দাদু, "এই স্মৃতি গুলোই তো আমার গর্ব, এই গর্বের কথা গুলো তোমরা শুনতে চাইছো..তাতো আমার সৌভাগ্য....!!
ভাষার জন্য লড়াই করতে কষ্ট হয় নি, আর আজ বলতে কিসের কষ্ট!!!!!

একদিন ভাষা তার সব বন্ধুদের বাসায় নিয়ে আসলো।
কালচে শ্যাওলার দাগে যেন শিল্পখচিত ভাষাদের বাড়ির দেয়াল। ভাষাদের ড্রইংরুম ছোটখাট একটা 'মিউজিয়াম'।
ভাষার বাবা পুরানো সব জিনিস সাজিয়ে রেখেছেন।
ভাষার দাদির বিয়ের মসলিন শাড়ি, রুপার পানের বাটা, দাদা ভাইয়ের বিয়ের ঘড়ি সানগ্লাস.....
ভাষার বাবার ছোটবেলার ডাংগুলি, নাটাই, বাল্যশিক্ষা- পুস্তক, ৭১ এর বুলেট আরো কত কি সাজানো...
ভাষার বন্ধুরা, ভাষার বাবার মিউজিয়াম, দাদা ভাইয়ের বাগান সবই দেখলো......

"এবার দাদুভাইকে নিয়ে বসলো, 'ভাষা আন্দলনের' গল্প শুনতে।"
ভাষা সবাইকে নিয়ে গোল হয়ে দাদুভাইয়ের পাশে বসলো,,,,,,,, দাদুভাই একবার মাথাটা তুলে সবার দল
দিকে শান্ত নজর বুলিয়ে, ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি এনেই চোখ বুঝে বসে রইলেন, যেন স্মৃতির পাতা উল্টাচ্ছেন!!!!
দাদুভাই বলতে শুরু করলেন," জানিসতো ভাষা বাইসনের গুহা থেকে যেদিন গুহা- মানবেরা বেরিয়ে এলো, দেখলো নতুন পৃথিবী...." জীবনের প্রয়োজনে তারা গুহাতে এঁকেছিল শিকারের অসংখ্য কৌশল, এটাই তাদের অক্ষর।।
হায়রোগ্লিফিকের যুগথেকে অক্ষর মুক্তবিহংগ। পরিশেষে সৃষ্টি হলো 'ভাষা', তার পর গড়িয়ে গেলো হাজার হাজার বছর।।
১৯৪৭ এর জুলাই মাসে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য ডঃজিয়াউদ্দীন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
১১-১৫ মার্চ ১৯৪৮ ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
২১ মার্চ ১৯৪৮ পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বলেন, "Urdu and only urdu shall be the state language of Pakistan".
কার্জনহলেও তিনি এই কথার পুনরাবৃত্তি করলে, উপস্থিত ছাত্ররা এই কথার প্রতিবাদে বলে উঠে, "No no it can't be."
"সে যে কি উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত ছিলরে ভাষা!!!! " বলেই দাদুভাই হালকা হাসলেন......
ছাত্ররা মিলে ২৪-২৫ মার্চ ধর্মঘট পালন করে।
পরবর্তীতে ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে মুসলিম লীগের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন পুনরায় উচ্চারিত করেন, "উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা"।
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে চরম বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলার গনমানুষ, শুরু হয় দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন............
জানিস, "১৯৫২ সাল মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে, বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে সারা বিশ্বের গৌরদীপ্ত এক বিরল ইতিহাস!!!
মাতৃভাষার জন্য বুকের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস বাংলাদেশ ব্যতীত বিশ্বের আর কোথাও নেইরে দাদুভাই....."
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারী করে, সকল মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষনা করে।
আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এককথায় টগবগে তরুন...
দাদুভাই তোমরা তো নিশ্চয় দেখেছো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান 'অপরাজেয় বাংলা', সেখানে বসেই দাদু আর দাদুর বন্ধুরা মিলে কাঠ কাগজে তৈরী প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনে লাল ও কালো কালির বড় বড় হরফে লিখতাম, "মানিনা, মানবো না, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই", "আমাদের দাবি মানতে হবে, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই".....।

"কথাগুলো দাদুভাই এমনভাবে বলছেন যেন তিনি মুহূর্তেই বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে ফিরে গেছেন..."

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দানে, আমরা ছাত্র সমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করি.......।
পুলিশ আমাদের মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে.....
এই কথা বলে দাদাভাই চুপ করে গেলেন, চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে...."শহীদ ভাই বন্ধুদের কথা মনে পড়েছে!!!"
আমাদের বন্ধুরা সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ অনেকে শহীদ হয়। ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই। চারিদিকে শুধু রক্তের ছড়াছড়ি, লাশ আর লাশ......

এক পর্যায়ে দাদাভাই গম্ভীর গলায় আবৃতি করতে শুরু করলেন কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর, 'মাগো ওরা বলে' কবিতার কয়েকটি লাইন......

"চিঠিটা তার পকেটে ছিলো..
ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা
মাগো ওরা বলে,
সবার কথা কেড়ে নেবে
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না...
বলো মা, তাই কি হয়!!!!

সবগুলো কথা বলতে গিয়ে দাদুর বয়স-বৃদ্ধ কন্ঠ জড়িয়ে গেলেও, তার মনটা যেন আজো অসীম সাহসীকতায় পূর্ণ.......

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির সংঘটিত মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের খবর সারাদেশে বিদ্যুত বেগে পৌছে যায়।
দেশবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, যার ফলশ্রুতিতে ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সরকার, "বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা" হিসাবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়.....।

কথাটি বলেই দাদুভাই কবি শামসুর রহমানের একটি কবিতা আবৃতি করলেন,

"আবার ফুটেছে দেখো কৃষ্ণচূড়া,
থরে থরে শহরের পথে
কেবল নিবিড় হয়ে কখনোবা,
একা হেঁটে যেতে মনে হয় ফুল নয় ওরা,
শহীদের ঝলকিত রক্তের বুদবুদ,
স্মৃতি গন্ধে ভরপুর
একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রঙ।"

মায়ের দিয়ে যাওয়া চায়ের ট্রে থেকে, চিনি কম চায়ের কাপটা হাতে নিতে নিতে দাদুভাই বললেন, "জানিস ভাষা,,,,,২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ শফিউর যেখানে গুলিবিদ্ধ হন, শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ২২ ফেব্রুয়ারি অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছাত্রজনতা এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মিলে রাতারাতি সেখানে শহিদ মিনার নির্মাণ করে ফেলে। এবং পরেরদিন ২৩ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ শফিউরের পিতার হাতে উদ্বোধন করার পরোক্ষনেই অর্থাৎ ২৪ শে মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি পুলিশ ফোর্স লাঠিচার্জের মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলে শহীদ স্মৃতিতে নির্মিত শহিদ মিনার........"

শেষ লাইনটি বলার পরেই দাদুভাই মুখে বিজয়ের হাসি নিয়ে আবৃতি করে উঠলেন কবি আলাউদ্দিন আল আজাদের কবিতার দু'টি লাইন,,,,,

"ইটের মিনার ভেঙ্গেছে ভাঙুক,
একটি মিনার গড়েছি আমরা চার-কোটি পরিবার...."

হঠাৎ দাদুভাই ভাষাকে জিজ্ঞেস করে উঠলেন, আচ্ছা বলোতো দাদুভাই, প্রথম শহিদ মিনারের নকশা কে প্রণয়ন করেন??
"সাইদ হায়দার" এবং নকশায় মিনারের উচ্চতা ৯ ফুট থাকলেও নির্মাণের পর এটির উচ্চতা দাঁড়ায় ১১ ফুট, তাইনা দাদুভাই!!!" ভাষা উত্তর দিলো।
দাদুভাই মাথা নেড়ে উত্তরের সমর্থন করলেন এবং বললেন, তোমরা এখন ঢাকা মেডিকেলের সামনে যেই শহিদ মিনারটি দেখো তা হচ্ছে হামিদুর রহমানের চূড়ান্ত নকশার পরিপূর্ণ রূপ। প্রতিবছর তোমরা এই মিনারের সামনেই ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করো। এবং এই শহীদ মিনারের আদলেই বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।
দাদুভাই উপরের দিকে তাকিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে গেলেন, কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে আমাদের বললেন,
"দাদুভাই তোমরা জানো আমার কাছে শহিদ মিনারের পরিচয় কিরূপ!!!!
আমার কাছে শহিদ মিনারের স্তম্ভগুলো মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার তথা মা ও তার শহীদ সন্তানদের প্রতিক। মাঝখানের সবচেয়ে উঁচু স্তম্ভটি মায়ের প্রতিক। আর চারপাশের ছোট চারটি স্তম্ভ তার বীর সন্তানদের প্রতিক, যারা তাদের বুকের রক্ত ঢেলে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আসলে আমাদের জীবনে যা কিছু সুন্দর, যা কিছু শুভ তার সঙ্গে শহিদ মিনারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এটি শুধু একটি মিনার নয়, এটি আমাদের প্রেরণার প্রতিক। আর শুধু ভাষা আন্দোলনেই নয়, মুক্তিযুদ্ধেও এই শহিদ মিনার আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছে। বরং আমাদের যুদ্ধ জয়ের অন্যতম প্রেরণা 'একুশে ফেব্রুয়ারি'। চলারপথে আমরা যখনই অন্যায়ের শিকার হই, তখনই শহিদ মিনার তার প্রতিবাদ করার জন্য, রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের অনেক বেশি সাহস ও প্রেরণা জোগায় যা শত সহস্র জনমেও অনস্বীকার্য............।"

ভাষা খেয়াল করলো কথাগুলো যেন দাদুভাই এক নিশ্বাসেই বলে ফেললো যেন তার সবগুলা কথা তার হৃদয়ের স্মৃতিতে চির অম্লান চির উজ্জীবিত।

দাদুভাই আবার বলতে শুরু করলেন, তারপর ১৯৫৬ সালের সংবিধানে সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারি ইউনেস্কো সংস্থার পক্ষ থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষনার জন্য, জাতিসংঘ মহাসচিব 'কফিআনান' এর কাছে আবেদন পাঠানো হয়।
দাদুভাইয়েরা,,,তোমরাতো জানোই, তারপরেও বলি, ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তজাতিক "মাতৃভাষা দিবস" পালনের প্রস্তাব ইউনেস্কোর ৩১তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
এবং বর্তমানে সারাবিশ্বে ১৮৮টি দেশ ২১শে ফেব্রুয়ারি কে আনন্দের সাথে "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" হিসাবে পালন করছে.......কথাগুলো ভাবতেই নিজেকে সীমাহীন গর্বিত বলে মনে হয়রে ভাষা....।।।
দাদুভাই বললেন, "ভাষা, আজ তোমরা গর্বের সাথে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলো, বাংলায় উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করো......আমাদের শহীদ ভাইদের রক্ত দেওয়া তাহলে আজ সার্থক।"

"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,
আমি কি ভুলিতে পারি!! "

লাইন দুটো বলেই দাদুভাইয়ের গাল গড়িয়ে পানি পড়তে লাগলো..........
দাদুভাইয়ের বলা কথাগুলো এবং তার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া,,,,,ভাষা ও তার বন্ধুদের মনে হল তারা যেন চাক্ষুষ 'ভাষা আন্দোলনটা' দেখে ফেললো। নিজের অজান্তেই তারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো এবং সবাই একসাথে দাদুভাইকে স্যালুট জানালো ......
দাদুভাই দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে ভাষার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো, ভাষা দাদুকে দাঁড় করানোর পরোক্ষনেই দাদুভাই এক চিলতে হাসি হেসে ভাষার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। এবং কাঁপা কাঁপা হাতে চশমাটা খুলে ঝাপসা চোখে তাদের দিকে তাকিয়ে তিনি যেন তার অর্জিত 'ভাষা আন্দলনের' শেষ পাওয়াটা, এই শেষ প্রজন্মের স্যালুটের মধ্য দিয়েই পেয়ে গেলেন...........

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



পোষ্ট বেশী বড় হয়ে গেছে

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৮

সালমা রুহী বলেছেন: দুঃখিত । সামনে থেকে বিষয়টি খেয়াল রাখবো । মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: আর তাই এখন পড়তে পারছি না!

প্রিয়তে রাখলাম।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৯

সালমা রুহী বলেছেন: সাম্নে থেকে অবশ্যই খেয়াল রাখবো । মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

আচ্ছা, বলুন তো আবদুল জব্বার কে কি ভাষা সৈনিক বলা যায়?

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৩

সালমা রুহী বলেছেন: যতটুক বইয়ে পড়েছি উনি একজন ভাষা সৈনিক ছিলেন ।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: গল্পটা ভালো লিখেছেন ভালো লাগলো

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৭

সালমা রুহী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.