নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৩০ জুন '১৮ সকাল ৯.৩০ মিনিটে 'ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমীতে' ঢুকলাম। মেয়ের জন্য মায়ের এই আসা, দ্বিতীয় বারের মত মেয়ে মেধা 'অন্বেষণ প্রতিযোগিতা'য় উপজেলা থেকে প্রথম হয়ে এসেছে। গতবার গিয়েছিলাম অন্নদা হাই স্কুলে, আজ জেলায় প্রতিযোগিতা, উপজেলার সকল মনোনীত হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলাভিত্তিক প্রতিযোগিতা হবে।
বিরাট অডিটোরিয়াম, কাঁচা ফুল দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ষ্টেজ সাজানো।
ঠিক ১০টায় হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে উপস্থাপক ষ্টেজে উঠলেন, ভরাট গলায় দরাজ কন্ঠে উপস্থাপনা শুরু করলেন। এরা আর কেউ না, আমাদের 'বাউনবাইরার কতার' মেম্বার বাসির দুলাল ভাই ও মোডারেটর মাহবুবুল আলম ভাই।
সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্র্যাক্টিসেস (সিদীপ) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানের আয়োজক দুজন অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে শশব্যস্ত।
১০০ জন থেকে ৫০ জন, প্রথম ইভেন্ট শুরু হলো, ৫০ জন পরীক্ষা দিবে ২০ জন সেকেন্ড রাউন্ডে যাবে।পরীক্ষা শেষ হলো।
লাঞ্চ ব্রেক, খাওয়া-দাওয়ার পর মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বাসির ভাই মঞ্চে উঠেললেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আড্ডা দিতে। আর ওদিকে শিক্ষা অফিসার ও অন্যান্য বিচারকদের নিয়ে মাহবুব ভাই খাতা কাটায় ব্যস্ত।
বাসির ভাই সাবলীল ভাবে গল্প করছেন, প্রথমেই বললেন, "আমি এতগুলো শিক্ষক ও মেধাবীদের সামনে দাঁড়ানো মানে, সমুদ্র জলের সামনে সুঁইয়ের ডগায় একফোঁটা পানির মত"। খাতা কাটার সময় টুকু কথার জাদু দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করলেন। ভরাট কন্ঠে কবিতা আবৃতি করছেন। গান হচ্ছে আবৃতি হচ্ছে, ফাঁকে ফাঁকে প্রশ্ন চলছে.....
শেষ কথা বললেন, "যারা চলে যাবে কেউ হতাশ হবে না, হতাশা নামের কোন কিছু আমার ডিকশনারিতে নেই।
রেজাল্ট চলে আসলো, ২০ জনের মাঝে চলে আসলো আমার মেয়ে.........!
দিতীয় ইভেন্ট শুরু হলো 'উপস্থিত বক্তৃতা' যার ভাগ্যে যা উঠে, বিচারক মন্ডলী এসে বসলেন।
আমার মেয়ের ভাগ্যে উঠলো 'আমার দেশ'....!
মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন হাতে শুরু করলো, "আজ আমি গর্বিত, আমার দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আমাকে আমার দেশ নিয়ে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে"।
কোথাও কোন জড়তা না রেখে সবার সামনে নিজের দেশকে যে ভাবে উপস্থাপন করলো, মায়ের চোখ ভিজিয়ে দিলো......
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার 'জেলা প্রশাসক' মহোদয় উপস্থিত হলেন, রেজাল্ট ঘোষনা ও পুরষ্কার বিতরণ করবেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে অনেক উৎসাহদান ও অনুপ্রেরণামূলক কথা বললেন।
এবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা....
টেবিলে সাজানো আছে ১০টা ক্রেস্ট, ১০টা সার্টিফিকেট, ১০টা জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার 'ইয়েস কার্ড'।
টান টান উত্তেজনা.......।
কারা হবে সেই ১০ জন ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী?
প্রথমেই নিজের মেয়ের নাম শুনে, মা মেয়েকে জড়িয়ে ধরলাম, না মেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলো জানি না......!
জেলায় আমার মেয়ে প্রথম!
মঞ্চে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট আর নীল ফিতায় গলায় ঝুলালো জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার ইয়েস কার্ড.....
আমার মেয়ে আজ আমাকে গর্বিত মায়ের স্থানে জায়গা করে দিলো।
জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠানটিতে 'প্রধানমন্ত্রী' উপস্থিত থাকবেন।
ধন্যবাদ আমার মেয়েকে, ধন্যবাদ এই অনুষ্ঠানের সহায়ক 'পিকেএসএফ' ও 'সিদীপ' কর্তৃপক্ষকে।
আর যাদের ফিরে যেতে হলো তাদের প্রতি রইলো আমার শুভকামনা।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
সালমা রুহী বলেছেন: ধন্যবাদ.....
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা!! সুন্দর অভিজ্ঞতা আপুর। আমাদের ভাগ্নীর জন্য রইল অভিনন্দন। মায়ের যোগ্য সান্নিধ্যেই এই সাফল্য সম্ভব। আগামীতেও উভয়ের সাফল্য কামনা করি। এরকমই পরের পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক শুভ কামনা প্রিয় আপু ও পরিবারকে।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫০
সালমা রুহী বলেছেন: অনেক ধন্যাদ, দোয়া করবেন জাতীয় পর্যায়ে গিয়েও যেন সফল হয়ে আসে। আর আমি ও একটা পোষ্ট দেওয়ার সুযোগ পাই।
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩২
রাকু হাসান বলেছেন: বাহ!! ভাল খবর .খুশির খবর , আপনাদের অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো ।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫০
সালমা রুহী বলেছেন: ধন্যবাদ, দোয়া করবেন.....
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: ভালো খবর শুনলে ভালো লাগে।
অভিনন্দন আপনাদের মা ও মেয়েকে।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫২
সালমা রুহী বলেছেন: ধন্যবাদ.....
৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
এখওয়ানআখী বলেছেন: মা মেয়ের জন্য শুভকামনা।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৪
সালমা রুহী বলেছেন: ধন্যবাদ.......
৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: শুভকামনা আপনাদের জন্য। মামনি আরো এগিয়ে যাক এটাই কামনা।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৫
সালমা রুহী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাদের দুয়ায় যেন এগিয়ে যায়....
৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৩
শামচুল হক বলেছেন: মা মেয়েকে অভিনন্দন।